ঘরে বসে হাতে লেখালেখি করে আয়। হাতে লিখে আয় অনেক উপায় আছে। কেউ আয় করছে, ব্লগিং করে। কেউ আয় করছে গেস্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে। ভালো লিখতে হলে, সৃজনশীলতা থাকতে হয়। সৃজনশীল না হলে ভালো লিখতে পারবেন না। লিখতে হলে প্রচুর পড়তে হবে। পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
বর্তমানে, এআই আবিস্কার এর ফলে হাতে লেখার গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। এমনটা মন করেন অনেকেই। আসলে, হাতে লিখার গুরুত্ব মোটেও কমছে না। হিউম্যান ট্যাসছাড়া ভালো আর্টিকেল লিখা সম্ভব না। এআই লিখতে পারে। মানুষের আবেগ বুঝতে পারে না। লিখায় আবেগ দিতে পারে না।
ঘরে বসে হাতে লেখালেখি করে আয়
শুরুতে, একটি কথা বলে রাখি। ঘরে বসে হাতে লিখে আয়। এই কথাটি দ্বারা আমরা ঘরে বসে লিখে আয় করার কথা বুঝিয়েছি। ঘরে বসে ল্যাপটপ কম্পিউটার স্মার্টফোন দিয়ে লিখে আয় করা যায়।

একটা কথা মনে রাখবেন। ভালো লিখতে পারলে আয়ের অভাব হয় না। আয়ের অনেক উপায় সামনে দেখতে পাবেন। ঘরে বসে হাতে লিখে ব্লগিং করতে পারেন।
ব্লগ সাইটের জন্য লিখতে পারেন। ওয়েবসাইটের জন্য লিখতে পারেন। বিজ্ঞাপনের জন্য স্কিপ্ট লিখতে পারেন। পণ্যের বর্ণনা লিখতে পারেন।
এখন, ফেসবুকে লিখে আয় করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সাইটে গেস্ট পোস্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
একজন ভালোমানের রাইটারের মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। আর ইংরেজি আর্টিকেল লিখতে পারলে, আরো বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ঘরে বসে ব্লগিং করে টাকা আয়
ভালো লিখতে পারলে, ব্লগিং করে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। ব্লগিং এর মূল ভিত্তি হলো আর্টিকেল। সেই আর্টিকেল যতো ভালো হবে ব্লগ সাইট ততো ভালো পার্ফমেন্স করবে।
একটি ডোমেইন, একটি হোস্টিং কিনুন। একটি ভালোমানের থিম ব্যবহার করুন। থিম আপনাকে সাইট ডিজাইন করতে হেল্প করবে। এর ডিজাইনকে রি-ডিজাইন করে নিলেই হবে।
সাইটে ভিজিটরস আসলে মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করুন। মনিটাইজেশনের জন্য Google AdSense ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, এটাই সবথেকে ভালো। বিশ্বস্ত।
ওযেবসাইট তৈরি করুন। হতে ই-কর্মাস সাইট। হতে পারে শিক্ষা সংক্রান্ত সাইট। এসব সাইটের জন্য আর্টিকেলের প্রয়োজন হয়। সেই আর্টিকেল লিখুন নিজে। এই সাইটের মাধ্যমে পণ্য সার্ভিস বিক্রয় করে ইনকাম করতে পারবেন। আবার, কনটেন্ট মনিটাইজেশন করিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
সাইটে গুগলের এড বসিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। এসব সাইটের ট্রাফিক কাজে লাগিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
ঘরে বসে গেস্ট পোস্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে ইনকাম
নিজে ব্লগ সাইট ওযেবসাইট তৈরি করার ঝামেলায় যেতে না চাইলে, গেস্ট পোস্ট রাইটার হিসেবে কাজ করার সুযোগ আছে। দেশ বিদেশে প্রচুর বাংলা ইংরেজি সাইট আছে। এসব সাইটের মালিক একা একা পোস্ট লিখা থেকে সব কাজ করতে পারেন না। তাই, সাইটের জন্য গেস্ট পোস্ট রাইটার হার্য়ার করেন। আবার, চুক্তিভিত্তিক গেস্ট পোস্ট রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
ভালো লিখতে পারলে, অনেকগুলো সাইটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হোন। প্রতিটা থেকে কয়েক হাজার টাকা ইনকাম করতে পারলেও মাস শেষে অনেক টাকা ইনকাম হবে।
বিজ্ঞাপনের স্কিপ্ট লিখে আয়
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচুর এড চলছে। বিশেষ করে ভিডিও এড। এসব এড তৈরি করার আগে পণ্য সার্ভিসের গুনাগুন নিয়ে স্কিপ্ট লিখতে হয়। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্য সার্ভিসের বিস্তারিত তুলে ধরতে হয়। এক মিনিটের মধ্যে যতো বেশি পণ্য তথ্য তুলে ধরতে পারবেন ততো বেশি গ্রাহকের কাছে পৌছাতে পারবেন।
বিজ্ঞাপনের স্কিপ্ট লিখেও মাসে ৩০-৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। ভালোমানের বিজ্ঞাপন তৈরি করার জন্য ভালোমানের স্কিপ্ট লিখতে হয়। এভাবে স্কিপ্ট লিখেও মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
পত্রিকায় লেখালেখি করে আয়
ঘরে বসে হাতে লিখে আয়। পত্রিকায় লেখালেখি করে আয় কি এক কথা। না, এক কথা নয়। তবে, সব পত্রিকার অনলাইন ভার্সন আছে। এসব অনলাইন ভার্সনে লিখতে পারেন। তাহলে, পত্রিকা অফিসে যেতে হবে না। ঘরে বসে পত্রিকায় লিখে আয় করতে পারবেন।
খেলাধুলা থেকে রান্না-বান্না যেকোনো বিষয়ে লিখতে পারেন। সব বিষয়ের চাহিদা আছে। আপনার যে বিষয়ে জানাশোনা আছে, সেই বিষয়ে লিখুন। অনলাইন পত্রিকায় চুক্তিভিত্তিক লিখতে পারেন। আবার, লিখা পাঠিয়ে প্রকাশিত লিখার থেকে টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুকে লেখালেখি করে আয়
বর্তমানে, ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করা সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফেসবুক ঘোষণা করেছে যে, সকল প্রকার টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও থেকে ইনকাম করা যায়।
যতো সৃজীনশীল লেখা হবে। মানুষের হৃদয় ছুয়ে যেতে পারবে। সেই লেখা ততো বেশি মানুষ পড়বে। যতো বেশি মানুষ পড়বে, ততো বেশি আয় হবে।
বাংলা গল্প লিখে টাকা আয়
বাংলা গল্প লিখে টাকা আয়। হ্যাঁ, বাংলা গল্প লিখে টাকা আয় করা যায়। বাংলা গল্প লিখে টাকা আয় করার অনেকগুলো উপায় আছে। প্রথমত, হলো জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত করে টাকা আয়। দ্বিতীয়ত, নিজের সাইটে গল্প প্রকাশিত করে মনিটাইজেশন করিয়ে ইনকাম।
গুগলের এড বসিয়ে ইনকাম করা যায়। আবার, গুগল এড ছাড়াও ইনকাম করা যায়। সেক্ষেত্রে, গল্পের মাঝে মাঝে প্রকাশনী কোম্পানির বিজ্ঞাপন বসিয়ে ইনকাম করা যায়। লোকাল এড বসিয়ে ইনকাম করা যায়।
গল্পের বই প্রকাশ করিয়ে টাকা আয় করা যায়। তবে, একটি গল্পের বই প্রকাশ করতে অনেক টাকা খরচ হয়। সৃজনশীল লিখা না হলে বই বেশি বিক্রয় না হলে আয় বেশি হবে না। ক্ষতির সম্ভবনা বেশি। ভেবে চিন্তে কাজ করা উচিৎ।
উপসংহার
পরিশেষে, বলতে পারি যে, ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করার অনেকগুলো উপায় দেখালাম। আপনার লেখায় সৃজনশীলতা থাকলে, আয়ের অভাব হয়ে না। অনেক উপায়ে আয় করতে পারবেন। আর, সৃজনশীলতা না থাকলে, বেশিদূর যেতে পারবেন না।
আজ আর বেশি লিখি। পোস্টটি ভালো লাগলে, কমেন্টস করে জানান। আরো পোস্ট পড়তে, আমাদের সাইটের সাথেই থাকুন।