যদি পড়তে ভালোবাসেন। তাহলে আপনার লিখার প্রতি আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক। আমরা সবাই ডায়েরি লিখি। প্রতিদিন আমাদের জীবনে কি ঘটছে তা লিখে রাখি। আর যারা আরেক ধাপ এগিয়ে আছেন। তারা কোথায় বেড়াতে গেলে, সেটা নিয়ে একটি ভ্রমণ বিত্তান্ত লিখতে পারেন। এভাবে শুরু হয় লিখালিখি। আর আপনি যদি প্রফেশেনালি লিখতে না পারেন, তাহলে কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ম জনুন-আর্টিকেল লিখে ইনকাম করুন। আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় নিয়ে আজকে আলোচনা করবো।
আর লেখালেখি করে প্রচুর অর্থ ইনকাম করা যায়। যারা ঘরে বসে ইনকাম করতে চান, তারা লেখালেখির কাজ করতে পারেন। আপনার যদি আগ্রহ থাকে। কিন্তু কিভাবে লিখতে হবে তা বুঝতে না পারেন, তাহলেও কোন সমস্যা নেই। আমাদের আজকের আটিকেলে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বতমানে কনটেন্ট রাইটিং খুবই জনপ্রিয় একটি পেশা। কনটেন্ট রাইট করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বা ব্লগ সাইটের মাধ্যমে আয়, ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া বতর্মানে অনেক ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট আছে। যেখানে আপনি কনটেন্ট রাইটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারবেন। এছাড়া আপনি আপনার কনটেন্ট বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন।
কনটেন্ট কি? কিভাবে কনটেন্ট রাইটিং করে? কনটেন্ট রাইটিং করে কতো টাকা ইনকাম করা যায়? গেস্ট কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কোথায় কাজ করবেন? বাংলা না ইংলিশ কনটেন্ট লিখবেন? কনটেন্ট রাইটিং কোথায় শিখবেন? এসব নিয়ে বিস্তারিত থাকছে আমাদের আজকের আটিকেলে।
আর্টিকেল বা কনটেন্ট রাইটিং কি?
আটিকেল রাইটিং বা কন্টেন্ট রাইটিং হলো যেকোন একটি ট্রপিক এর উপর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা, এই ট্রপিক হলো আটিকেলের টাইটেল। বিষয়টির বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে হবে, তারপর যতোগুলো উপাদন বা বৈশিষ্ট্য থাকে তা উপস্থান করতে হবে। সুবিধা এবং অসুবিধা যদি থাকে তাহলে, তা তুলে ধরুন। এছাড়া এটির সম্ভবনা কি আছে তা তুলে ধরুন। অবশেষে আপনার মতামত, উপসংহারে উপস্থাপন করুন।
একটি ভালো মানের আটিকেল লিখতে হলে আপনার ৫০০ শব্দ থেকে ৫০০০ শব্দের মধ্যে লিখতে পারেন। কোন বিষয়ে আটিকেল লিখতে হলে সেই বিষয়ে আপনার অনেক বই পড়তে হবে। আপনার যথেষ্ট নলেজ থাকা উচিত। তাহলে আপনার আটিকেল টি এন্টারএকটিভ হবে। আপনার পাঠকদের পর্যাপ্ত তথ্য দিতে পারবেন।
আপনার পাঠক যদি আপনার আটিকেল পড়ে উপকৃত বা সন্তুষ্ট হোন তাহলে আপনার সার্থকতা। একটি সময় ছিল। যখন আপনার লেখা প্রকাশ করার জন্য তেমন কোন মাধ্যম ছিল না। আপনার লেখা প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা, ম্যাগাজিনই ছিল ভরসা। কিন্ত সময় পাল্টাছে, ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে আপনার আটিকেল লেখা প্রকাশ করা বা পাবলিশ করার অনেক মাধ্যম আছে। যেমন, ব্লগ সাইট, ওয়েবসাইট, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: কপি পেস্ট করে ইনকাম করুন
ভালো কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ম :
একটি ভালো আটিকেল এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে। তাই লিখার সময় চিন্তা করবেন। এই আটিকেলের মাধ্যমে আপনি আপনার ভিজিটরদের যথেষ্ট ইনফরমেশন বা তথ্য দিতে পারছেন কিনা। আপনার আটিকেল পড়ে যদি ভিজিটররা উপকৃত হোন তাহলে আপনার আটিকেলটি ভালো হবে। আপনার প্রতি ভিজিটরদের আস্থা বাড়বে। আপনার লেখা যেন সহজ সরল এবং সাবলীল হয়। পাঠক যেন পড়ে বুঝতে পারেন, আপনি আটিকেলের মাধ্যমে কি তুলে ধরছেন। তার জন্য যেবিষয়ের উপর লিখছেন, সেই বিষযের উপর একটু অধ্যয়ন করুণ। তারপর চেষ্টা করুণ অনেক বেশি বেশি তথ্য উপস্থাপন করতে। যেন আপনার পাঠক আপনার লেখা আগ্রহ নিয়ে পড়ে।
ভালো কন্টেন্ট রাইটিং পাঁচটি (৫) উপায় আছে:
আপনি যদি একটি ইনফরমেটিভ এবং আর্কষণীয় আটিকেল লিখতে চান, তাহলে আপনাকে কিছু টেকনিক ফলো করতে হবে। এবার আপনি যদি কনটেন্ট রাইটার হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার দাড় করাতে চান তাহলে, অবশ্যই কিছু রুলস আছে, যেগুলো আপনাকে ফলো করতে হবে।
- আটিকেলের জন্য একটি টাইটেল দিতে।
- টাইটেলে আটিকেলের কী-ওয়ার্ড থাকতে হবে।
- চার থেকে পাচ লাইনের প্যারা করে ভাগ ভাগ করে করে আটিকেল লিখুন
- সাব-হেডিং ব্যবহার করুণ
- আটিকেল মিনিমাম ৫০০-৫০০০ হাজার শব্দের মধ্য লিখুন
- আর মাঝে মাঝে ইমেজ বা ছবি ব্যবহার করুন:
আর্টিকেলের জন্য একটি টাইটেল দিতে;
আটিকেল লিখার শুরুতে একটি উপযুক্ত টাইটেল ব্যবহার করুন। টাইটেলে আপনার আটিকেলের মূল কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। টাইটেল চার থেকে পাঁচটি ওয়ার্ড এর বেশি ব্যবহার করবেন না। আটিকেল এর টাইটেল পড়ে যেন সবাই বুঝতে পারে আটিকেল এ কি বলেতে চাইছেন।
আরো পড়ুন: সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা
লেখার সময় বানান ভুল:
আটিকেল লেখার সময় সবথেকে বেশি নজর দিতে হবে শব্দের বানান এর দিকে। লেখার সময় তাড়াতাড়ি লিখতে গিয়ে ভুল হতে পারে। কিন্তু পরে অবশ্যই বারবার রিড করে প্রুভ করবেন। কারণ লেখায় বানান ভুল থাকলে পাঠক ভাববে আপনার প্রফেশনালিজমের ঘাটতি আছে। দেখতে খুব বাজে দেখায়। পাঠক আপনার লেখায় বিশ্বাস করতে পারবেননা। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন নিভুল শব্দ লিখতে ।
কন্টেন্ট রাইটিং লেখার এলাইনমেন্ট :
আটিকেল লেখার পরে অবশ্যই এলাইনমেন্ট ঠিক করবেন। আপনি যে ফন্টেই লিখুন না কেন তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে আটিকেল লেখার পরে জাস্টিফাই করবেন। তাহলে লেখা দেখে বইয়ের মতো মনে হবে। লেখার গুনগত মান বাড়বে। দেখে প্রফেশনাল মনে হবে। পাঠকের আস্থা বৃদ্ধি করবে। এভাবেই আপনার আটিকেলটি পাঠক নন্দিত হয়ে উঠবে। সাইটে ভিজিটর বাড়বে।
চার থেকে পাচ লাইনের প্যারা করে ভাগ ভাগ করে করে আর্টিকেল লিখুন:
আটিকেলে কোন বিষয়বস্তু তুলে ধরার জন্য আটিকেলটি বিভিন্ন প্যারায় ভাগ-ভাগ করে লিখুন। প্রতিটি আটিকেল যেন চার থেকে পাঁচ লাইনের বেশি না হয়। যদি বেশি লেখার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই আলাদা একাধিক প্যারাতে লিখতে হবে। ছোট ছোট প্যারাতে লিখলে পাঠকদের পড়তে আগ্রহ থাকে এবং বুঝতে সুবিধা হয়।
আর্টিকলে সাব-হেডিং ব্যবহার করুণ:
আটিকেলের মাঝে সাব-হেডিং ব্যবহার করলে আটিকেলের উপস্থাপন সুন্দর হয়। টাইটেলের জন্য H1 heading, কোন প্যারার হেডিং এর জন্য H2, এভাবে H3,H4 হেডিং ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে, আপনি কোন পয়েন্টকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বুঝাতে চাইছেন আপনার পাঠক তা খুব ভালো করে বুঝতে পারবে।
মিনিমাম ৫০০-৫০০০ হাজার শব্দের মধ্য লিখুন:
আটিকেল মিনিমাম ৫০০ শব্দ হতে হবে। কারণ একটি আটিকেলের মাধ্যমে অনেক তথ্য পাঠকের সামনে তুলে ধরতে হয়। ৫০০ শব্দের কম হলে সঠিক তথ্য বিস্তারিত তুলে ধরতে পারবেন না। একজন পাঠক যখন আপনার লেখা পড়বেন, তখন সে যেন তার সমস্ত তথ্য আপনার লেখা থেকে পান। তাহলে তার অন্যের সাইটে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। আর এজন্য আটিকেলে যত শব্দের প্রয়োজন হবে ব্যবহার করুন । তথ্যের প্রয়োজনে ৫-হাজার শব্দ ব্যবহার করুন।
কন্টেন্ট রাইটিং এর সময় ছবি বা ইমেজ ব্যবহার করুণ:
প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখে পাঠকের বুঝার সুবিধাথে ছবি বা ইমেজ ব্যবহার করুন। ইমেজ ব্যবহার করে কোন কিছু সহজেই পাঠকের সামনে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা যায়। ছবি দেখে পাঠকের মনে বাস্তবতার একটি প্রতিছবি তৈরি হয়।
ভিডিও ব্যবহার করুন:
আপনার নিজের যদি কোন ভিডিও থাকে বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ইমবেড করে দিতে পারেন। আপনার আটিকেলের মাঝে তাহলে পাঠকের জন্য সেই বিষয়ে বুঝা সহজ হবে। আপনার লেখা পড়বে এবং ভিডিও দেখবে তাহলে আটিকেলের বিষয়বস্তু পরিস্কার হয়ে যাবে পাঠকের কাছে।
স্কিন শটস ব্যবহার করুন:
আটিকেল স্কিনশর্টস ব্যবহার করুন। তাহলে আপনার ভিজিটরদের কাছে আপনার আটিকেলের উদ্দেশ্য সফল হবে। আপনার পাঠকরা উপকৃত হবেন। স্কিনশর্টস ব্যবহার আটিকেলের কোয়ালিটি পরিবতন করে দিতে পারে।
কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম করার উপায় :
আটিকেল লিখে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন। ইংরেজি আটিকেল লিখে প্রতি মাসে মিনিমাম ২০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তবে বাংলা আটিকেল লিখ ও অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া আটিকেল লিখে অনেক টাকা ইনকামের পন্থা আছে । সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো এখন।
ব্লগিং এর জন্য কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করুন:
আটিকেল লিখে টাকা ইনকাম করা যায়। এই কথা যদি মাথায় আসে। তাহলে ব্লগিং হতে পারে প্রথম পছন্দ। কারণ ব্লগ এর ক্ষেত্রে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। একটি আটিকেল লিখে অনেকভাবে ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং করে ইনকাম করতে হলে, আপনাকে অবশ্যই গুনগত মানের আটিকেল লিখতে হবে।
আপনি যেকোন ভাষায় আটিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন। যদি ইংরেজি ভাষায় আয়ত্ব থাকে। তাহলে ইংরেজি ভাষায় আটিকেল লিখতে পারেন। ইংরেজি ভাষায় আটিকেল লিখে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইংরেজি আন্তজাতিক ভাষা। তাছাড়া আমেরিকাসহ পৃথিবীর সব উন্নত দেশেই ইংরেজি ভাষা হওয়ার কারণে ইংরেজি ভাষায় লিখা ব্লগ থেকে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যায়।
ব্লগিং করে ইনকাম করতে চাইলে প্রথমে একটি ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইট তৈরি করুন। ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য গুগলের ব্লগার ডট কম অথবা ওয়াডপ্রেস ডট কম ব্যবহার করে একটি প্রফেশনাল মানের ব্লগ সাইট তৈরি করুন। এক্ষেত্রে আপনার কিছু টাকা খরচ করতে হবে শুরুতে।
একটি ব্লগ সাইটের জন্য কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করুন
একটি টপ লেভেল ডোমেইন কিনতে হবে। বিভিন্ন রকমের ডোমেইন আছে তার মধ্যে .Com ডোমেইন সব থেকে ভালো। একটি .Com Domain কিনতে ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা খরচ হতে পারে। কোম্পানি ভেদে ডোমেইন এর দাম কম বেশি হয়ে থাকে। সাথে ১ জিবি হোস্টিং প্রয়োজন হবে। যার মূল্য ১ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা হতে পারে। যার মেয়াদ থাকবে এক বছর। হোস্টিং সার্ভিস এর মূল্য কোম্পানি অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে।
ব্লগ সাইট তৈরি হয়ে গেল। এবার আটিকেল পাবলিশ করুন। কিছু ইউনিক আটিকেল পাবলিশ করতে হবে। আপনার আটিকেল যদি গুনগত মানের হয়। তাহলে অল্প কিছু দিনের মধ্য আপনার ব্লগ সাইটে প্রচুর ভিজিটরস আসবে। তখন আপনার ব্লগ সাইট গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করলে গুগল এপ্রুভ করে দিবে। তখন আপনার ব্লগ সাইটের আটিকেলে এড দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ১০০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন প্রথম অবস্থায়।
এছাড়া যখন আপনার ব্লগ সাইট-এ অনেক ভিজিটর থাকবে তখন আপনার সাইটের এই ট্রাফিক ফ্লো কাজে লাগিয়ে অ্যাফিলিয়েট মাকেটিং এবং সিপিএ মাকেটিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
গেস্ট পোস্ট এর জন্য কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করুন
আপনি যদি দ্রুততম সময়ে ইনকাম করতে চান। তাহলে গেস্ট পোস্ট লিখা হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট সল্যূউশন। কারণ আপনার যদি নিজের ব্লগ সাইট বা ওযেবসাইট না থাকে তাহলে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করা, তারপর আটিকেল লিখা, আটিকেল পাবলিশ করা, আটিকেল গুলো এসইও(SEO Search Engine Optimization) করা, এসব কাজ করে আপনার ব্লগ সাইট থেকে নিয়মিত ইনকাম আসতে আসতে প্রায় ৬-৮ মাস সময় লেগে যেতে পারে। আর এই সময় আপনার বেশ কিছু টাকা খরচ হবে। সাথে অনেক টাইম ইনভেস্ট করতে হবে।
গেস্ট পোস্টে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করুন / কতো টাকা ইনকাম করত পারবেন?
তাইতো গেস্ট পোস্ট হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত উপায়। গেস্ট পোস্ট লিখতে আপনার তেমন কিছুই করতে হবে না। অন্যের ব্লগ সাইটে আটিকেল লিখতে হবে । আটিকেলটি অবশ্যই প্ল্যাগারিজম ফ্রি হতে হবে। কোয়ালিটি ভালো হবে। ১-হাজার থেকে ২-হাজার শব্দের আটিকেল হলেই আপনি প্রতি আটিকেল থেকে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
যদি প্রতি আটিকেল এর জন্য ৫০০ টাকা হয়। এভাবে মাসে যদি ৩০ টি আটিকেল লিখেন তাহলে প্রতি আটিকেল জন্য ৫০০ টাকা হলে মাসে হবে (৫০০*৩০=১৫০০০) ১৫ হাজার টাকা। এভাবে গেস্ট পোস্ট আটিকেল লিখে মাসে ১০- ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায মার্কেটিং করার জন্য আর্টিকেল লিখে ইনকাম করুন
ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপ আছে । এসব পেজ এবং গ্রুপে এড থাকবেন। এসব পেজ এবং গ্রুপে আটিকেল রাইটিং এর কাজ অফার করা হয়। এবং দেশের বিভিন্ন বাংলা ব্লগ সাইট আছে তারাও তাদের ব্লগে গেস্ট পোস্ট এ্যালাউ করে। তারা ভালো আটিকেলের জন্য ৫০০ টাকা পযন্ত পে করে।
রেভিনিউ শেয়ারিং ওয়েবসাইট থেকে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করুন
আপনি যদি ভালো আটিকেল লিখতে পারেন তাহলে রেভিনিউ শেয়ারিং ওয়েবসাটে গিয়ে একাউন্ট খুলত পারেন। এবং এদের ওয়েবসাইটে আটিকেল লেখার সুয়োগ পাবেন। আটিকেল হতে হবে অথেনটিক এবং প্ল্যাগারিজ মুক্ত। অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় লিখতে হবে। প্রতিটি আটিকেল কম করে হলেও ১০০০ ওয়ার্ড লিখবেন। আপনার আটিকেলে যে রেভিনিউ আসবে তা আপনার সাথে শেয়ার করবে। আবার কিছু ওয়েবসাইট আছে তারা আপনার আটিকেলের জন্য পেইড করবে। এরকম কিছু রেভিনিউ শেয়ারিং ওয়েবসাইট নাম দেওয়া হলো:
Top 8 Trusted Revenue Sharing Websites:
1.Forumcoin.com
2.DigitalGlobal.com
3. BeerMoneyForum.com
4. Answeree.com
5.Defat.net
6. Quomons.com
7.Crowdanswers.com
8. Askables.com
এই ওযেবসাইট গুলোতে গিয়ে আপনাকে প্রথমে আপনাকে একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর তাদের সাইটে আটিকেল লিখে পয়েন্ট অজন করুন। আর পয়েন্ট এক্সচেঞ্জ করে ডলার নিতে পারবেন। এখানে কিছু সাইট আছে শুধু প্রশ্ন, উত্তর, কমেন্টস, রিপ্লাই করে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন। আর সেই পয়েন্ট ভাঙ্গায়ে ডলার নিতে পারবেন।
বেস্ট আর্টিকেল রাইটারদের মতে, কিছু গুগল এডসেন্স এন্ড এডসেন্স রেভিনিউ শেয়ারিং সাইটে আছ। যেসাইটগুলো থেকে ভালো ইনকাম হয়।
Best 20 Google Adsense and Non Adsense Revenue Sharing Websites are Following
আরো কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা গুগল এডসেন্স এবং নন এডসেন্স এপ্রুভ আছে। যেমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট নিম্নে দেওয়া হলো:
- Typeaparent.com
- Rantrave.com
- Articleincome.com
- Firehow.com
- Howtodothings.com
- Shetoldme.com
- iEsteam.com
- Freerangestock.com
- Indiastudychannel.com
- Docstoc.com
- Seekyt.com
- Best-reviewer.com
- Snipsly.com
- Flixya.blogspot.in
- eHow.com
- oondi.com
- Hubpages.com
- Cinchbucks.com
- Heysphere.com
- Chatrecruit.com
এসব ওয়েবসাইট-এ আপনি পোস্ট লিখে অনেক ডলার ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ভালো লিখতে পারেন তাহলে পেশা হিসেবে নিতে পারেন। এসব ওয়েবসাইট থেকে প্রতি মাসে আপনি ১০০০-৫০০০ ডলার পযন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
বাংলা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার ওয়েবসাইট:
আপনি যদি বাংলা ছাড়া আর অন্য কোন ভাষা না জানেন তাহলে বাংলা ভাষায় আটিকেল লিখে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনাদের সুবিধার জন্য বাংলা আটিলেক লিখে টাকা ইনকাম করার একটি লিস্ট দেওয়া হলো:
- টেকটিউনস ডট কম
- গ্রাথোর ডট কম
- ইনকাম টিউনস ডট কম
- অডিনারী আইটি ডট কম
- জেআইটি ডট কম
- রোর বাংলা ডট কম
- প্রতিবর্তন ডট কম
এসব সাইট-এ আটিকেল লিখে আপনি খুব বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। তবে আপনি যদি আটিকেল লিখায় নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এসব সাইটে লিখতে পারেন। তাতে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে সেই সাথে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আর পড়ুন: ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম
পত্রিকায় আটিকেল লিখে ইনকাম করুন:
তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে প্রতিটি জাতীয় পত্রিকার একটি অনলাইন পোটাল আছে। এসব অনলাইন পত্রিকার জন্য প্রচুর কনটেন্ট প্রয়োজন হয়। আপনার যদি আটিকেল লিখার কোয়ালিটি ভালো হয় তাহলে এসব পত্রিকায় লিখালিখি কর টাকা ইনকাম করতে পারেন। পত্রিকা গুলোর ওয়েবসাইট গিয়ে তাদের কনটাক্ট ইমেইল যোগাযোগ করতে পারেন। আবার অনেক অনলাইন পত্রিকায় গেস্ট পোস্ট এর অপশন পাবেন। প্রথমে ইমেইল দিয়ে রেজিস্ট্রশন করুন। তারপর লিখালিখি করতে পারবেন।
ই-বুক (E-Book) আর্টিকেল লিখে ইনকাম করুন:
ডিজিটালাইজেশনের ফলে মানুষের জীবনে ব্যপক পরিবতন এসেছে । এখন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত। তাই বলে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ কমে যায়নি। মানুষ এখন ই-বুক এর প্রতি ঝুকে পরছে। তাই আপনার যদি লেখালেখির প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে আপনার পছন্দের বিষয়ে লিখতে পারেন। আর তা ই-বুক আকারে বা পিডিএফ আকারে প্রকাশ করতে পারেন। বতমানে ই-বুক বা পিডিএফ বুক পাবলিশ করার কিছু ওয়েবসাইট আছে এসব ওয়েবসাইটে পিডিএফ বুক পাবলিশ করুন।
পিডিএফ বুক পাবলিশ করার কিছু ওয়েবসাইট:
Slideshare.net website
Issuu.com
Scribd,com
Calameo.com
Lulu.com
Mediafire.com
Shamwords.com
Dealancer.com
Amazon Kindle Direct publishing
Amr boi toiree Korun
আটিকেল লিখে ইনকাম করার মাকেটপ্লেস:
আপনি যদি ইংরেজি আটিকেল লিখতে পারেন তাহলে মাকেটপ্লেস হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট প্লেস। মাকেটপ্লেসে কনটেন্ট রাইটারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। মাকেটপ্লেস থেকে আপনি আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে মাকেটপ্লেসে প্রতিয়োগিতা বেশি থাকায় কাজ পাওয়া অনেক কঠিন বিশেষ করে নতুনদের জন্য। আমার পরামর্শ হলো মাকেটপ্লস এর বাইরে লিখালিখি করে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। তারপর মাকেটপ্লেস এ আসুন।
নিচে কিছু মার্কেটপ্লেসের নাম দেওয়া হলো আপনাদের সুবিধার জন্য।
- Fiverr.com
- Upwork.com
- Freelancer.com
- People per hour
- Guru.com
বাংলাদেশী কিছু ওয়েবসাইট বা মকেটপ্লেস আছে যেখানে আপনি কাজ পেতে পারেন। এসব বাংলাদেশী মাকেটপ্লেসে প্রচুর বাংলা আটিকেলএর চাহিদা ব্যপক । তাই আপনি চাইলে বাংলাদেশী মাকেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন।
বাংলাদেশী মাকেটপ্লেস এর নাম:
- ব্রিল্যান্সার ডট কম
- কাজ খুজি ডট কম
- কাজী আইটি ডট কম
প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন এর জন্য আর্টিকেল লিখে ইনকাম করুন:
বিভিন্ন পণ্য এর ডেসক্রিপশন লিখে টাক ইনকাম করতে পারেন। বতমানে ডিজিটাল মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের প্রচার চালানো এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মাকেটিং করার জন্য এসব পণ্যের বর্ণনা লিখার প্রয়োজন হয়ে থাকে। এক কাজ করে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
পরিশেষে:
উপরের আলোচনা থেকে বলবো যে, আপনি যদি লিখতে আগ্রহী হোন তাহলে, আমাদের আটিকেলটি কয়েকবার ভালো করে পড়ুন। তারপর বেশকিছু ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখুন। এরপর বাংলাদেশী কিছু সাইট আছে তাদের ওয়েবসাইটের জন্য আটিকেল লিখুন । শুরুতে অল্প টাকা পাবেন।
কিন্ত আসল কাজ হবে অভিজ্ঞতা অর্জন। তারপর আপনার স্কিল ডেভলাপ করা। মার্কেট্প্লেসে কাজ করুন। তারপর নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করুন। সাইট নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন। আটিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই সাথে থাকবেন। এমন সব গুরুত্বপূর্ণ আটিকেল আমাদের সাইটে আছে। পড়ার জন্য আমাদের সাইটের অন্য পেজ ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
- ঘরে বসে হাতে লেখালেখি করে আয় করার সেরা ৫টি সাইটঘরে বসে হাতে লেখালেখি করে আয়। হাতে লিখে আয় অনেক উপায় আছে। কেউ আয় করছে, ব্লগিং করে। কেউ আয় করছে গেস্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে। ভালো লিখতে হলে, সৃজনশীলতা থাকতে হয়। সৃজনশীল না হলে ভালো লিখতে পারবেন না। লিখতে হলে প্রচুর পড়তে হবে। পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে, এআই আবিস্কার এর ফলে হাতে লেখার গুরুত্ব… Read more: ঘরে বসে হাতে লেখালেখি করে আয় করার সেরা ৫টি সাইট
- টেকনো মোবাইল দাম বাংলাদেশ ২০২৫। রিভিউ দেখে ফোন কেনা উচিৎটেকনো মোবাইল দাম বাংলাদেশ; আমি একটি মোবাইল কিনবো। টেকনো মোবাইলের দাম কম। আমি অনেক খুঁজেছি। অল্প বাজেটে ভালো কনফিগারেশনের মোবাইল কিনবো। আমার মতো স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য টেকনো মোবাইলই উপযুক্ত। দামে কম, মানে ভালো টেকনো মোবাইল। বাংলাদেশের মোবাইল বাজারে রিয়েলমি, শাওমি, অপো, স্যামসাং এর মতো মোবাইল কোম্পানি ভালো ব্যবসা করছে। প্রতিবছর নিত্য নতুন মডেলের মোবাইল… Read more: টেকনো মোবাইল দাম বাংলাদেশ ২০২৫। রিভিউ দেখে ফোন কেনা উচিৎ
- বাংলাদেশে রিয়েল ইনকাম সাইট!রিয়েল ইনকাম সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে, এই পোস্টটি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে। অনলাইন থেকে অনেকেই টাকা ইনকাম করতে চায়। সবাই পারে না। না পারার কারণ, হলো সঠিক গাইডলাইনের অভাব। অনলাইনে হাজার হাজার ইনকাম সাইট আছে। কিছু ইনকাম সাইট। কিছু ইনকাম সাইট ফে*ক । আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাইলে, যাচাই-বাছাই করে কাজ শুরু… Read more: বাংলাদেশে রিয়েল ইনকাম সাইট!
- ফেসবুক মনিটাইজেশন পলিসি 2024ফেসবুক মনিটাইজেশন পলিসি 2024 । ফেসবুকে অনেকগুলো ফিচারের মাধ্যমে ইনকামের সুযোগ আছে। তাইতো বলা হয়, ফেসবুক শুধু একটি স্যোশাল মিডিয়া নয়। একটি প্রফেশনাল স্যোশাল মিডিয়া সাইট। তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে ইনকাম ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। টাকা ইনকাম করার জন্য বিশ পঁচিশ বছর ধরে পড়ালেখার দরকার নেই। ফেসবুক চালানোর মতো পড়ালেখা জানা থাকলেই ইনকাম করা যায়।… Read more: ফেসবুক মনিটাইজেশন পলিসি 2024
- The best face moisturizer for older skinbest face moisturizer for older skin The best face moisturizer for older skin. The sentence has two parts; face moisturizer and older skin. Both are important for aging. In this post, we will briefly discuss the best face moisturizer for older skin, so let’s dive into the deep sea of moisturizers for older skin and… Read more: The best face moisturizer for older skin