কপি পেস্ট করে ইনকাম করুন-২০২৪ সালের সেরা উপায়

ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে মানুষ অনলাইনের উপর নির্ভরশীল। মানুষের হাতে-হাতে অনেক দামি স্মার্টফোন। এই স্মার্টফোন দিয়ে শুধু ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে লাইক, কমেন্টস, আর লাভ রিয়েক্ট দিলে চলবে না। নিজের কিছু একটা করার তাড়না থাকতে হবে। মনের মধ্যে যদি ভালো কিছু করার জেদ থাকে, তাহলে উপায় একটি সামনে চলে আসে। আপনি কপি পেস্ট করে ইনকাম শুরু করতে পারেন। পরে অন্য দিকে মুভ করতে পারবেন। মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানতে পড়ুন।

Table of Contents

শুরুতে কপি পেস্ট এর কাজ দিয়ে শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের শুরুতে অনেক বড়-বড় ফ্রিল্যান্সার কপি পেস্ট এর মতো ছোট কাজ দিয়ে তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। কপি পেস্ট করে ইনকাম করা তুলনামূলক সহজ। একটু একটু করে অন্য বড় কোনো কাজ শিখবেন। এভাবে শুরু হবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। ফ্রিল্যান্সিং শিখব কিভাবে জানতে পড়ুন।

কপি পেস্ট কাজ কি ?

কপি পেস্ট কাজ হলো মূলত ক্যপচা পূরণ করা, মাইক্রোসফট এক্সেইল থেকে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড-এ রুপান্তরিত করা, পিডিএফ ফাইলকে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইল- এ কনভার্ট করা, ইমেজ ফাইলকে ওয়ার্ড ফাইলে কনভার্ট করা আবার ওয়ার্ডকে পিডিএফ এ কনভার্ট করা, ওয়ার্ড ফাইলকে ইক্সেল ফাইলে কনভার্ট করা। আর মনে রাখবেন, কপি পেস্ট এর কাজ মূলত এসব কাজই করতে হয়। হাতে থাকা একটি স্মার্টফোন ফোন হলেই চলবে।

মূলত কপি পেস্ট এর কাজ করতে বেশ কিছু অনলাইন টুলস এর ব্যবহার করতে হবে। কিভাবে মোবাইল দিয়ে কপি পেস্ট করে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করবেন? কোথায় কপি পেস্ট এর কাজ পাবেন? কপিপেস্ট এর সুবিধাসমূহ, ইনকাম করতে কতো সময় লাগবে? এসব নিয়ে থাকছে বিস্তারিত আলোচনা।

কপি-পেস্ট করে ইনকাম করতে যা যা প্রয়োজন হবে:

কপি পেস্ট কাজ খুবই সহজ। কাজ করতে আপনার তেমন কিছু প্রয়োজন হবেনা। বেশিরভাগ কাজ করতে হবে কনভার্টারের কাজ। এখানে সব কাজ করা থাকবে। আপনাকে শুধু একটি ফর্ম থেকে আরেকটি ফর্মে কনভার্ট করতে হবে। এসব কাজরে জন্য আপনার প্রয়োজন হবে;

  • একটি ভালো নেটওয়ার্ক ব্যবহার নিশ্চত করা।
  • আপনার একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যেমন, পিসি বা মোবাইল ফোন থাকতে হবে।
  • আপনার প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা সময় থাকতে হবে। প্রয়োজনে শুরুতে আরো বেশি সময় লাগতে পারে।
  • আর যেটা লাগবে তা হলো আপনার কাজ ইচ্ছাশক্তি।

কপি পেস্ট করে ইনকাম কিভাবে করবেন?

আগেই বলেছি কপি পেস্ট এর কাজ মূলত কনভার্টের কাজ। কপি পেস্ট এর কাজ হলেও এখানে আপনাকে

  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড।
  • মাইক্রোসফট এক্সেল।
  • পাওয়ার পয়েন্ট।
  • পিডিএফ ফাইল টু মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইল।
  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইল টু পিডিএফ ফাইল।

ইত্যাদি কাজগুলো করতে হবে। এসব স্কিল-এ আপনাকে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে। আপনার যদি কোন পিসি বা ল্যাপটপ না থাকে তাহলে, একটি মোবাইল দিয়েই এসব স্কিল এর কাজ করতে হবে।

 আবার কখনো কখনো

  • লিড জেনারেশন এর কাজ
  • ইমেইল এন্ট্রি করার কাজ।
  • এড্রেস, মোবাইল নাম্বার ইনপুট দেওযার কাজ।

আপনাকে করতে দেওয়া হবে। আবার আপনাকে ডাটা এন্ট্রির কাজও দেওয়া হবে। এভাবেই মোবাইল দিয়ে কপি পেস্ট এর কাজ করতে করতে এক সময় লিড জেনারেশন এর কাজ, ইমেইল মার্কেটিং কাজ, ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখে নিতে পারবেন। অনেক বেশি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কপি পেস্ট কাজ কোথায় পাবেন?

কপি পেস্ট করে ইনকাম

কপি পেস্ট কাজ যেমন সহজ তেমন পাওয়া কঠিন। কাজ সহজ হওয়ার কারণে সবাই এই কাজ করতে পারেন। তাই কপি পেস্ট এর কাজ পাওয়া বেশ কঠিন। কোন-কোন ওয়েবসাইট থেকে আপনি সহজেই কপি পেস্ট এর কাজ পাবেন? যেসব ওয়েবসাইট থেকে সহজেই কপি পেস্ট এর কাজ পাওয়া যায় তা দেখে নিবো।

এসব সাইট এর নাম, কিভাবে এসব সাইটের একাউন্ট খুলতে পারবেন? বা এসব সাইট থেকে কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন? কতো টাকা ইনকাম করতে পারবেন? সেসব বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

শর্ট লিংক কপি পেস্ট করে ইনকাম:

Adf.ly এডফ.লি 

এডফ.এলে এটি একটি লিংক শর্টেনার সাইট। এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি শুধু লিংক শর্ট করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনাকে লিংক শর্ট করার কাজ করতে হবে। এডফ.লি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা। এই সাইট থেকে আপনি প্রতি ১০০০ ক্লিক এর জন্য ৫-১২ ডলার পাবেন।

অর্থাৎ আপনার শর্ট করা লিংকে যদি ১০০০ ক্লিক হয় তাহলে সর্বনিম্ন ৫-ডলার এবং সর্বচ্চো ১২ ডলার। এই শর্ট লিংক এর কাজ পাওয়ার জন্য মার্কেটিং করতে পারেন। মানে আপনার লিংকে ভিজিটর আনার জন্য।  

  • এখান থেকে আপনি মাত্র ৫ ডলার ইনকাম করলে, উত্তোলন করতে পারবেন।
  • রেফারেন্স হিসাবে পাবেন ২০% কমিশন।
  • পেমেন্ট মেথড: পেপাল এবং পাইওনিয়ার এর মাধ্যমে  আপনার অর্জিত টাকা উত্তোলিত করতে পারবেন।
  • আলেক্সা অবস্থান : বিশ্বে আলেক্সা অবস্থান 92 তম।

Zagl জাগল:

বর্তমান সময়ের সব থেকে জনপ্রিয় লিংক শর্টনার সাইট হলো এই Zagl। এই সাইট-এ যদি আপনি কাজ করেন তাহলে, ভালো একটি আর্নিং করতে পারবেন। এই সাইটে শর্ট লিংক করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পেইড করা হয়। আপনার করা শর্ট লিংকে যদি ১০০০ ক্লিক পরে তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন ৫ ডলার এবং সর্বচ্চো ১২ ডলার প্রদান করা হবে। এবং মাত্র এক (১) ডলার হলেই আপনার আর্নিং তুলতে পারবেন। জনপ্রিয় এই সাইট থেকে ইনকাম করতে হলে আপনাকে ভিজিটর আপনার জন্য মার্কেটিং করতেই হবে।

পেমেন্ট মেথড: আপনার উপার্জিত টাকা  পেপাল এবং পাইওনিয়ার এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।

LinkShrink.net:

লিংকশ্রিঙ্ক ডট.নেট হলো কপি পেস্ট কাজ করার জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট থেকে লিংক শর্ট করার কাজ করে আপনি পর্যাপ্ত ইনকাম করতে পারবেন। এই লিংকশ্রিঙ্ক সাইট আপনাকে রেফারেল হিসেবে সর্বচ্চো ২০% কমিশন প্রদান করবে। মাত্র ৫ ডলার হলেই আপনি উত্তোলন করতে পারবেন আপনার উপার্জিত অর্থ।

পেমেন্ট মেথড: আপনি যে, ডলার ইনকাম করবেন তা পেপাল এবং বিটকয়েন এর মাধ্যমে তুলতে পারবেন। আলেক্সা অবস্থান হলো ৬০৬।

BC.VC:বিসি.ভিসি:

আপনি যদি কপি পেস্ট এর কাজ করতে চান? তাহলে আপনার জন্য কপি লিংক শর্টনার করার কাজ উপর্যুক্ত হবে। লিংক শর্টনার এর কাজ দিয়ে শুরু করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। আর এ ক্ষেত্রে বিসি.ভিসি ওয়েবসাইট টি আপনার জন্য পারফেক্ট হতে পারে।

  • বিসি.ভিসি ওয়েবসাইটটি আপনাকে রেফারেন্স বোনাস দিয়ে ২০% কমিশন।
  • তবে বিসি.ভিসি ওয়েবসাইট-এ ৫-ডলারের কম হলে আপনার ইনকাম তুলতে পারবেন না।
  • পেমেন্ট মেথড: বিসি.ভিসি ওয়েবসাইট থেকে আপনি আপনার ইনকাম করা টাকা পেপাল এবং পাইয়োনিয়ার এর মাধ্যমে তুলতে পারবেন।
  • আলেক্সা অবস্থান: বিসি.ভিসি আলেক্সা র‌্যাঙ্ক হলো ১১৩১ নাম্বার।

অও.আইও:

আপনি যদি কপি পেস্ট এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে, এই ওয়েবসাইট হলো আপনার একটি বেস্ট ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার আপনার কপি পেস্ট এর কাজ শুরু করতে পারবেন। কপি পেস্ট এর কাজ এর জন্য অও.আইও খুবই ভালো একটি ওয়েবসাইট।

অও.আইও ওয়েবসাইট এর থেকে আপনি রেফারেল কমিশন হিসেবে পাবেন সর্বচ্চো ২০% কমিশন।

আপনার অর্জিত অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন পেপাল এর মাধ্যমে।

মাত্র ৫-ডলার হলেই উত্তোলনের সুবিধা পাবেন।

আলেক্সা অবস্থান : ৪০৮ তম অবস্থানে আছে বিশ্বে।

কপি পেস্ট আরো কিছু এডভান্স লেবেলে কাজ আছে। সেসব কাজ করার জন্য কিছু স্কিল প্রয়োজন। আবার এসব কপি পেস্ট কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। দেখে নেওয়া যাক কি সেসব কাজ।

কপি পেস্ট করে ইনকাম

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইল টু পিডিএফ ফাইল:

কপি পেস্ট এর এই কাজ টি খুবই জনপ্রয়ি। মার্কেটপ্লেসে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইল থেকে পিডিএফ ফাইলে কনভার্ট করার প্রচুর কাজ রয়েছে। এই কাজের ডিমান্ডও প্রচুর। এই কাজ করতে পারলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

 তবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর কাজ জানলে ভালো কাজ করতে পারবেন। তার জন্যই কাজটি শুরু করার আগে, যদি আরো একটু আপনার স্কিল ডেভলাপ করেন তাহলে আপনার জন্য ভালো হবে।

কাজটি করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে:

  • একটি মোবাইল বা পিসি প্রয়োজন হবে।
  • দ্রুত গতির ইন্টারনেট প্রয়োজন হবে।
  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইল সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
  • প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা সময় প্রয়োজন হবে।
  • বিভিন্ন টুলস এর ব্যবহার

কাজ পাবেন কোথায়:

বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজটি পাবেন। যেমন আপওয়ার্ক, ফাইভার, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে এই কাজটি পেয়ে যাবেন। এছাড়া বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। ফেসবুকসহ সকল সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি বা কোম্পানির সাথে যোগায়োগ করে কাজ নিতে পারবেন। কাজের রেট, কতো দিনের মধ্যে কাজ সাবমিট করতে হবে তাও আলোচনা করে নিবেন।

মাইক্রোসফট এক্সেল ফাইল টু ওয়ার্ড ফাইল:

মাইক্রোসফট এক্সেল ফাইল থেকে যদি ওয়ার্ড ফাইল কনভার্ট করতে চান তাহলে, অবশ্যই আপনার এক্সেল ফাইল সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। আর বলবো মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইল এর টুকটাক কাজ জানতে হবে। তাহলেই মাইক্রোসফট এক্সেল ফাইলের থেকে ওয়ার্ড ফাইলে কনভার্ট করতে পারবেন। এটাই হবে আপনার কাজ। তবে মনে রাখবেন। আপনার প্রতিদিন অনেক কাজ দেওয়া হবে। এসব কাজ ঠিকমতো করে দিতে হবে।

কি কি প্রয়োজন হবে:

  • একটি ভালো মানের মোবাইর ফোন বা পিসি
  • দ্রুত গতির ইন্টারনেট
  • মাইক্রোসফট এক্সেল ফাইল সম্পর্কে ভালো ধারণা
  • বিভিন্ন টুলস এর ব্যবহার
  • ৩-৪ ঘন্টা সময় দিতে হবে।

কাজ কোথায় পাবেন:

মার্কেটপ্লেসে প্রচুর রয়েছে। ফাইভার, আপওয়ার্ক, পিপল পার আওয়ারে একাউন্ট তৈরি করুন। এসব মার্কেটপ্লেস থেকে প্রচুর কাজ পাবেন। তাছাড়াও ফেসবুকসহ সকল সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে বায়ার এবং কাজ পাবেন। বাইরের দেশের বায়ারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ এক্টিভ থাকে তাই যদি পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খোঁজাখুজি করুন। তাহলে বায়ার এবং কাজ উভয় পেয়ে পাবেন।

ইমেজ টু ওয়ার্ড ফাইল কনভার্ট:

এই কাজে বায়ার আপনাকে কিছু ইমেজ দিবে। সেই ইমেজকে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইলে কনভার্ট করতে হবে। এই কাজের জন্য আপনার তেমন কোন স্কিল থাকার দরকার নেই। তবে শুধু ভালো মানরে মোবাইল থাকলেই আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন।

কি কি প্রয়োজন হবে:

  • একটি ভালো কনফিগারেশনের মোবাইল ফোন বা পিসি।
  • দ্রুত গতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা।
  • বিভিন্ন অনলাইন টুলস এর ফ্রি ভার্সন ব্যবহার শিখুন।
  • প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা সময় দিতে হবে।

কাজ পাবেন কোথায়:

কাজ পাবেন কোথায়? বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ রয়েছে। যেমন, আপওয়ার্ক, ফাইভার, পিপল পার আওয়ারসহ আরো কিছু মার্কেটপ্লেসে কপি পেস্ট এর কাজ পাবেন। তাছাড়ও ফেসবুক সহ সকল সোশ্যাল মিডিয়া সাইট তো আছেই।

উন্নত দেশের সকল বায়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটিভ থাকেন। তাই সোশ্যাল মিডিয়া হতে পারে আপনার জন্য জব হান্টার বা বায়ার হান্টার। আর এভাবেই কপি পেস্ট এর মতো সহজ কাজ গুলো দিয়ে শুরু করা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার এক সময় হবে সফল ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।

এইসটিএমএল 9(HTML) ফরম টেস্টিং কাজ:

এক্ষেত্রে বায়ার আপনাকে কপি পেস্ট এর কাজ হিসেবে এইসটিএমএল এর বিভিন্ন ফরম দিবে। এগুলো পূরণ করতে দিবে। HTML এর ফরম সঠিকভাবে পূরণ হয়েছে কিনা তাও চেক করতে দেওয়া হবে। এই কাজগুলো করতে হলে আপনার HTML and Codin সর্ম্পকে প্রাথমিক ধারণা থাকতেই হবে। যদি প্রাথমিক ধারণা না থাকে তাহলে, এই কাজ আপনার জন্য নয়। যাদের ধারণা আছে তারা কিভাবে কাজ পাবেন। মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ আছে। একটু সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া তো আছেই।

কিভাবে কপি পেস্ট করে ইনকামের অর্ডার পাবেন?

তুলনামূলকভাবে সহজ হওয়ার কারণে কপি পেস্ট পাওয়া কঠিন। কারণ সবাই এই কপি পেস্ট কাজ করতে চান। কিন্তু কোথায় পাবেন? এবং সঠিক ওয়েবসাইট কোনটি  তা বুঝতে পারেন না। তাই তো অনেকেই আছেন কাজ করে টাকা তুলতে পারেন না।

ধরা খেয়ে বসে থাকেন। তাই আমি বলবো যেকোম্পানির বা সাইটের কাজ করেন না কেন? শুরুতে তাদের সাইট সম্পর্কে ভালো করে খোঁজ-খবর করেন। তাদের সাইট কতো সালে প্রতিষ্ঠিত তা জানুন। কতোজন কাজ করে তা ভালোভাবে জানুন। তাদের কাজের রেট কেমন ইত্যাদি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তারপর কাজ করুন।

কপি পেস্ট কাজ পাবার জন্য অনলাইনে যেতে হবে। আপনার ডিভাইসের বাউজারে গিয়ে Copy Past Job লিখে সার্চ করুন। এবার দেখুন আপনার সামনে অনেক গুলো সাইট চলে আসবে। তার মধ্যে থেকে আপনার পছন্দের কয়েকটি সম্পর্কে ভালো করে খোঁজ খবর নিবেন। তারপর কাজ শুরু করুন।

তাছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো তো আছেই। যেমন, আপওয়ার্ক, ফাইভার, পিপল পার আওয়ার এসব মার্কেটপ্লেসে কাজ করে আপনার টাকার উত্তোলনের সমস্যা হবে না।

আর লিংকডইন হলো একটি প্রফেশনাল সাইট। এখানে একাউন্ট খুলতে পারেন। কারণ লিংকডউনকে বলা হয় বায়ারের খনি। এখানে প্রচুর কাজ আছে।

কপি পেস্ট ইনকামের সুবিধা:

এতো সময় যদি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে হয়তো কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। ঘরে বসে না থেকে কপি পেস্ট এর কাজ করে ইনকাম করুন। তাতে আপনার পরিবারকে একটু সার্পোট করতে পারবেন। আর শুরুতে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের এডভ্যান্স লেবেলের কাজ একটু কঠিন। তাই কপি পেস্ট কাজ হতে পারে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রথম পদক্ষেপ। কপি পেস্ট কাজের সুবিধাগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।

ঘরে বসে কপি পেস্ট করে ইনকাম করতে পারবেন:

কপি পেস্ট কাজ আপনি ঘবে বসেই করতে পারবেন। কপি পেস্ট কাজ করার জন্য আপনাকে কোনো অফিসে যেতে হবে না। যাতায়ত খরচ লাগবে না। অফিস যাতায়াতের সময় সেভ হবে। এবং খরচও সেভ হবে। আপনার একটি মোবাইল ফোন বা পিসি এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকলে ঘরে বসে যেকোন সময় আপনি কাজ করতে পারবেন।

কপি পেস্ট করে ইনকামের দক্ষতা:

কপি পেস্ট কাজের জন্য আপনার তেমন কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। কারণ এই কপি পেস্ট কাজ হলো এন্ট্রি লেভেলের কাজ। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব বেশি প্রয়োজন হবে না। শুধু একটু ইংরেজি পড়তে পারলেও হবে। আর ইংরেজি পড়তে না পারলেও গুগল ট্র্যান্সেটর ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। আর অবশ্যই কিছু কাজের জন্য স্কিল অর্জন করতে হবে। যেমন, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড টু এক্সেল, পিডিএফ ফাইল টু মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইলের কাজ করতে হলে  MS Word, MS Excel, Power Point, PDF File, ইত্যাদি সর্ম্পকে আপনার ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। তাহলে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

কাজের শুরুতেই কপি পেস্ট করে ইনকাম করা যায় :

কপি পেস্ট কাজ করে শুরুতেই আপনি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। যতোটুকু কাজ করবেন, ততোটুকুর জন্যই আয় করতে পারবেন। আপনার যদি কোন দক্ষতাই না থাকে তাহলে শর্টস লিংক করে ইনকাম করতে পারবেন। শর্টস লিংক করার জন্য আপনার কোনো স্কিল ডেভোলপ করার প্রয়োজন নেই। লিংক শর্টস করেও আপনি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে কপি পেস্ট করে ইনকাম করা যায়:

ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, কিন্তু আপনার একটি পিসি বা ল্যাপটপ নেই। চিন্তার কিছুই নেই। আপনার হাতে একটি স্মার্টফোন আছে নিশ্চয়ই। তাহলে আর কিছুই লাগবে না। এই মোবাইল ফোন দিয়েই আপনি কপি পেস্ট এর কাজ করতে পারবেন। কপি পেস্ট বা শর্টস লিংক এর কাজ করার জন্য আপনার আর কিছুই প্রয়োজন হবে না।

কপি পেস্ট করে ইনকাম করতে সময় কম লাগে:

আপনি যদি কপি পেস্ট কাজ ইনকাম করতে চান, তাহলে আপানাকে খুব বেশি সময় দিতে হবেনা। শুরুতে অল্প সময় দিয়েই আপনি কপি পেস্ট কাজ করতে পারবেন। অবশ্যই আপনার ইনকামও কম হবে। তাছাড়া কপি পেস্ট এর কাজ করতে খুব বেশি সময় লাগে না। প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা সময় দিয়েই আপনি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

কপি পেস্ট করে ইনকাম পারবেন কতো টাকা?

কপি পেস্ট কাজ করে কতো টাকা ইনকাম করতে পারবেন, তা নির্ভর করছে আপনি কতো সময় ব্যয় করবেন কাজের জন্য তার উপর। আপনি কোন কোম্পানির কাজ করছেন। তাদের কাজের রেট কেমন? আপনি কতোদিন ধরে কাজ করছেন? আপনার কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? আপনার ইন্টারনেট স্পিড কেমন? আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে কাজ করছেন না পিসি দিয়ে কাজ করছেন? আপনার মোবাইল বা পিসির কনফিগারেশন কেমন? এসব ফেক্টরের উপর নির্ভর করছে। তাছাড়া আপনার কপি পেস্ট কাজের ধরণ কেমন যেমন, লিংক শর্টস কাজের জন্য খুব বেশি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন না। আবার ওয়ার্ড এর কাজের জন্য বা এক্সেল ফাইল এর কাজের জন্য বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

আমি আপনাকে একটা ধারণা দিতে পারি যে, আপনি প্রতি মাসে যদি ৪-৫ ঘন্টা কাজ করেন, তাহলে মাসে ১২,০০০/ টাকা থেকে ২০,০০০/ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে একটি কথা এই কাজকে কখনোই পেশা হিসেবে নিতে চেষ্টা করবেন না। এই কাজ করে ইনকাম করবেন। আর অন্য কাজ শিখবেন। তারপর ভালো কোন কাজে স্থায়ী হবেন।

কপি পেস্ট করে ইনকামরে কিছু অসুবিধা:

কপি পেস্ট কাজের কাজের কিছু অসুবিধা আছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক কি কি অসুবিধায় পরতে পারেন কপি পেস্ট কাজ করতে গেলে।

ভূয়া সাইট: কপি পেস্ট কাজের জন্য সঠিক সাইট খুজেঁ পাওয়া বেশ কঠিন। কপি পেস্ট কাজ সহজ হওয়ার কারণে যারা অনলাইন জগতে নতুন আসে তারাই এই কাজ করতে চায়। তারা এই অনলাইল জগত সর্ম্পকে তেমন কিছুই জানেনা তাই তো তাদের ঠকানো সহজ হয়। এই সুয়োগ কাজে লাগায় কিছু ভুয়া সাইট। তাই কাজ শুরু করার আগে যেসাইটের জন্য কাজ করবেন সেই সাইট সম্পর্কে খুব ভালো করে খোঁজ খবর নিয়ে তারপর কাজ করবেন। কেউ যেন আপনাকে ঠকাতে না পারে।

কপি পেস্ট করে ইনকাম স্থায়ী কাজ নয়:

শুধু কপি পেস্টের কাজ স্থায়ী কাজ নয়। আপনি অনেক দিন ধরে কোন সাইটের কাজ করতে পারবেন না। তাই নতুন সাইট থেকে কাজ খুঁজতে হবে। নতুন নতুন কাজ করতে হবে।

কপি পেস্ট করে ইনকাম হয় ৩-৫ ডলার প্রতি অর্ডারে:

আপনি চাইলে এই কাজ করতে পারবেন। তবে কপি পেস্ট কাজে সাধারণত ৩-৫ ডলারের মতো অর্ডার আসে। ছোট ছোট কাজ করার মানসিকতা থাকতে হয়। ছোট-ছোট অর্ডারের অনেক কাজ করতে হয়।

কপি পেস্ট করে ইনকাম এর পেমেন্ট উত্তোলন:

আপনি সারামাস কাজ করে যে ডলার ইনকাম করলেন, তা উত্তোলন করতে গিয়ে যদি সমস্যা দেখেন তাহলে কাজের প্রতি ইন্টারেস্ট হারাবেন এটাই স্বাভাবিক। অনেক সাইট আছে যারা কাজ করাবে কিন্তু পেমেন্ট না দিয়ে ভাগবে। তাই কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই সবকিছু খোঁজ খবর নিয়ে তারপর কাজ শুরু করবেন।

পরিশেষে:

আমরা বলতে পারি যে, যদি আপনার অন্য কোনো কাজ না থাকে, বা আপনার কোনো স্কিল না থাকে। তাহলে কপি পেস্ট করে ইনকাম করাই আপনার জন্য উপযুক্ত উপায় হতে পারে। তবে স্থায়ী ক্যারিয়ার হিসেবে নিবেননা। নিজের টিকে থাকার জন্য কপি পেস্ট কাজ করতে পারেন।

তারপর ভালো কোনো কাজের স্কিল ডেভোলাপ করতে পারলে সেই কাজের জন্য মার্কেটপ্লেসে গিগ পাবলিশ করতে পারেন। বা কাজের জন্য বিড করতে পারেন।

আমাদের ব্লগ সাইটের অন্য আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন। তাহলে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করার পরিস্কার একটি ধারণা পাবেন। তারপর আপনার জন্য কোন কাজ বা স্কিলটি উপযুক্ত হবে তা নির্ধারণ করুন।তারপর সেই স্কিলটি ডেভলাপ করুন।

এভাবে স্কিলটি আয়ত্ব করতে পারলেই আপওয়ার্ক, ফাইভারসহ অন্য মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য চেষ্টা করুন। সফলতা আসবেই। আপনার সাফল্য কামনা করে শেষ করছি। ধন্যবাদ।   

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top