মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম। আপনি কি বর্তমান আয় দিয়ে ব্যয় মিটাতে হিমশিম খাচ্ছেন? হ্যাঁ বর্তমানে প্রতিটা মানুষ তার আয় এবং ব্যয়ের হিসাব মিলাতে পারছেননা। বাজারে গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীর ক্রয়ে কম্প্রোমাইস করতে হচ্ছে। স্ত্রী-সন্তানদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী ক্রয় না করে বাসায় ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষকরে দুই বছরের করোনাকালীন বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে।তাছাড়া বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তো চলছেই। আপনার মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম উপায় থাকা উচিৎ।

Table of Contents

আপনার মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম থাকলে, পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন। যেহেতু, বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক অবস্থানে আছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশে জিডিপি কমেছে। বিপরীতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। বিপরীতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সবারই বর্তমানের আয়ের পাশাপাশি, মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করার মতো একটি পার্ট ইনকাম থাকা উচিৎ। এমনই কিছু মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম নিয়ে আলোচনা করবো।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর ধারণা:

প্রতিদিন দুই-তিন ঘন্টা করে সময় দিন। তাহলে, মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে কাজটি শিখতে হবে। সেই বিষয়ে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি কোনো একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে, প্যাসিভ ইনকাম দাঁড় করাতে পারবেন। অনলাইনে এমন অনেক কাজ আছে। এখান থেকে আপনি যেকোনো একটি কাজ ভালোভাবে শিখুন। কোন কাজটি আপনার জন্য ভালো হবে? অর্থাৎ কোন কাজে আপনি ইনটারেস্ট ফিল করেন। যেকাজে আপনার আগ্রহ আছে, সেই কাজটি বাছাই করুন।

 এইরকম অনেকগুলো কাজ নিয়ে আজকে আলোচনা করবো। আর্টিকেলটি পড়লে বুঝতে পারবেন। কোন কাজটি আপনার জন্য উপর্যক্ত হবে। যেকাজ কাজ শিখতে ভালো লাগে। সেই কাজটি শিখুন। আর কাজটি ভালো করে শিখতে চাইলে, ইউটিউবে অসংখ্যক টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। এবং আমাদের ওয়েবসাইটেও প্রতিটি কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।

আপনি চাইলে যেকোন একটি কাজ শিখতে পারেন। মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। তাহলে আসুন প্রতিটি ট্রপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম কিভাবে করবেন?

বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে মানুষের সকাল শুরু হয় স্মার্টফোন চেক করে। অর্থাৎ স্মার্টফোনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার নটিফিকেশন চেক করে। আবার রাতে ঘুমাতে যায় স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে। যত সময় ঘুম না আসে, ততো সময় একটা ছেড়ে একটা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিজিট করতে থাকে। আর এভাবেই মানুষ অনলাইন দুনিয়াতে নির্ভরশীল হয়ে পরছে। মানুষের এই অনলাইন নির্ভরতাই, মানুষের জন্য মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরী করছে।

এভাবেই মানুষ অনলাইন ভিজিট করতে করতেই অনলাইন থেকে একটি প্যাসিভ ইনকাম বা অনলাইন ইনকাম করছে। তথ্য বলছে, বর্তমান সরকার প্রযুক্তি বান্ধব সিন্ধান্ত গ্রহণ করছেন। সেই সিন্ধান্ত বাস্তবায়নে বিভিন্ন পদক্ষেদ গ্রহণ করছেন। এর ফলে দেশের যুবসমাজ অনলাইন ইনকামে আগ্রহী হয়ে উঠছে। নতুন-নতুন ফ্রিল্যান্সার তৈরী হচ্ছে।

তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করছে। গত দশ বছরে বাংলাদেশে অনলাইন ইনকামের ধারণায় পরিবর্তন এয়েছে। প্রচুর ছেলে-মেয়ে আছে, যারা ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম করছে। নিজের এবং পরিবারকে স্বচ্ছল করেছে। তারা অনলাইন থেকে ইনকাম করে দেশের জিডিপিতে অবদান রাখছেন। আপনার জন্যও অপেক্ষা করছে এমন সুন্দর একটি স্মার্ট অনলাইন ইনকাম।

আপনি যদি সত্যিই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে আর সময় নষ্ট করবেননা। আজকে থেকেই শুরু করে দেন। আর হয়ে উঠুন অনলাইন ইনকামের দুনিয়ার রাজা।

যেভাবে শুরু করবেন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

আপনি যদি স্কুল কলেজ, ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কাছে প্রচুর সময় আছে। আর সরকারী-বেসরকারী চাকুরিজীবী কিম্বা বেকার যেই হোন না কেন? আপনার মেধা আর মননশীলতা দিয়ে অবসর সময়কে কাজে লাগাতে হবে। সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে, আপনিও হয়ে উঠতে পারেন অনলাইন জগতের বস। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তো ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার লিংকডইন, হোয়াটসঅ্যাপসহ সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় ব্যয় করেন।

আপনি চাইলেই এই সময়টুকু শুধু চ্যাটিং আর বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ার নিউজফিড ভিজিট না করে এখান থেকেও মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে পড়া-লেখার পাশাপাশি অবসর সময়ে স্কিল ডেভোলমেন্ট করেন। তাহলে সেটা যেমন আপনার পরবর্তী জীবনে কাজে লাগবে, তেমনি আপনার বর্তমান সময় খুব ভালো কাটবে। মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম শুরু করতে পারেন।

শুধু একটি স্মার্ট ডিভাইস লাগবে। তার সাথে ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে। আর যেটা সবথেকে বেশি লাগবে, সেটা হলো আপনার ইচ্ছাশক্তি। কিভাবে কাজ শিখবেন? কিভাবে কাজ শুরু করবেন? সেটা নিয়ে চিন্তা করছেন? সমাধান নিম্নে আলোচনা করা হলো ।

 মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর সেরা ২০টি উপায়ঃ

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার স্বপ্ন সবারই থাকে। কিন্তু কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়, তা সবাই জানে না। তাছাড়া কি কি সোর্স আছে, তাও সবাই জানেনা। তাই তাদের জন্য শুরু করাটাই অনেক কঠিন হয়ে যায়। আবার কিছু খারাপ সোর্সও আছে। এই খারাপ সোর্স গুলো অবশ্যই বাদ দিয়ে কাজ করবো।  আজকে এমন ২০টি উপায় নিয়ে কথা বলবো।

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম অসংখ্য মাধ্যম আছে। এর মধ্যে থেকে সেরা ২০ টি উপায় নিচে দেয়া হলো।

১। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর উপায় ফ্রিল্যান্সিং

বর্তমানে যারা ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান। তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং হলো সব থেকে উপর্যুক্ত একটি উপায়। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে শুরুতে আপনাকে একটি স্কিল ভালো করে আয়ত্ত্ব করতে হবে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন ইনকাম-এ অষ্টম অবস্থানে আছে।

কি কাজ করবেন?

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেক কাজ আছে। যেসব কাজ করে আপনি মাসে দশ হাজার টাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। এমন কিছু কাজের উল্লেখ করা হলোঃ

১। ডিজিটাল মার্কেটিং:

  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ফেসবুক মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • লিংকডইন মার্কেটিং
  • ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং
  • পিনস্টারেস্ট মার্কেটিং
  • টুইটার মার্কেটিং

২। কনটেন্ট রাইটিং

৩। কপি রাইটিং

৪। গ্রাফিক্স ডিজাইন

৫। ওয়েভ ডেভোলপমেন্ট

৬। ওয়েভ ডিজাইন

৭। ইফিক্যাল হ্যাকিং

৮। ভিডিও এডিটিং

৯। ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন

১০। ডাটা এন্ট্রি

উরোল্লিখিত ক্যাটাগরিগুলোর আবার আছে কিছু সাব-ক্যাটাগরি। আর এসব ক্যাটগরি ও সাব-ক্যাটাগরি যেকোনো একটি কাজ আপনাকে শিখতে হবে। আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে কিছু টিউটোরিয়াল দেখে কাজ শেখা শুরু করতে পারেন। আর যদি কিছু টাকা খরচ করতে পারেন তাহলে, কিছু কোচিং সেন্টার  আছে, তাদের কাছে থেকে শিখতে পারবেন। তবে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান তেমন কিছু শেখায় না।

ব্যবসা করে মানুষেরে সাথে। তাই যদি শিখতে চান। অর্থাৎ কোর্স করতে চান, তাহলে অবশ্যই খুব ভেবে চিন্তে খোঁজ খবর নিয়ে তারপর কোর্সে ভর্তি হবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিংসহ যেকোন একটি নিশ নিয়ে কাজ করলে আপনি প্রচুর কাজ পাবেন। আর ইনকাম হবে অফুরন্ত। মাসে $10 থেকে $10,000 পর্যন্ত অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

কাজ কোথায় পাবেন?

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

মনে করলাম, উপরে উল্লিখিত বেশ কিছু কাজ আপনি পারেন বা শিখছেন। কাজ শিখার পর কে আপনাকে কাজ দিবে? কোথায় কাজ পাবেন? বায়ার কোথায় পাবেন? এসব প্রশ্ন আপনার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে তাই না? আপনার মনে উদিত হওয়া প্রশ্নের উত্তর আমরা নিচে দিতে চেষ্টা করবো। আপনি হয়তো

  • Frelancing.com
  • Fiverr.com
  • Upwork.com
  • People perwork

ইত্যাদি মার্কেটপ্লেস এর নাম শুনেছেন। হ্যাঁ এসব মার্কেটপ্লেসে প্রথমেই আপনাকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট খুলতে কিছু তথ্যের প্রয়োজন হবে।

  • একটি এক্টিভ মোবাইল নাম্বার।
  • একটি ইমেইল আইডি।
  • ইউনিক ইউজারনেম লাগবে।
  • একটি স্ট্রং পাসওর্য়াড লাগবে।

মার্কেটপ্লেসগুলো এখনো ফ্রিতেই একাউন্ট খুলতে দিবে আপনাকে। তাই ফ্রিতেই একাউন্ট খুলে নিন। একাউন্ট খুলা হয়ে গেলে আপনি যেবিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ে পোর্টফলিও রেডি করুন। পোর্টফলিও একাউন্টে শোকেস করে রাখবেন। প্রতিটি কাজের অভিজ্ঞতা আপনার একাউন্টে আপডেট করবেন। শুরুতে মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে আপনার কাজের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হতে পারে।

যেহেতু আপনার অভিজ্ঞতা নেই, তাই কাজের পোর্টফোলিও হতে পারে অভিজ্ঞতার বিকল্প। তাই যতোবেশি পোর্টফোলিও এড করবেন একাউন্টে, ততো বেশি কাজ পাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হবে।

ফাইভার মার্কেটপ্লেস থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

বর্তমানে ফাইভার খুবই জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। ফাইভারে কাজ করে অনলাইন ইনকাম করার জন্য প্রথমে একাউন্ট তৈরি করু্ন। তারপর একাউন্টে গিগ পাবলিশ করতে হবে। ফাইভারে শুরুতে ২-৩ টি গিগ পাবলিশ করবেন। যদিও নিউ সেলার হিসেবে আপনি সাতটি গিগ পাবলিশ করতে পারবেন। গিগ পাবলিশ করার সময় প্রফেশনাল হবেন। অনেক বিষয় আছে, সেগুলো খুব ভালো করে ফলো করবেন।

আরো পড়ুন: ফাইভার একাউন্ট তৈরির উপায়:

গিগ ইমেজটা পরিস্কার এবং পিএনজি টাইপ দিতে চেষ্টা করবেন। একটি ভালো গিগ আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভবনা অনেকটা বাড়িয়ে দিবে। আর যদি কাজ পেয়ে যান, তাহলে একটি গিগ থেকে অনেক ইনকাম করতে পারবেন।

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

প্রথমে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস এ একাউন্ট খুলবেন। তারপর একাউন্টে অবশ্যই আপনার কাজের পোর্টফোলিও আপডেট করবেন। আপওয়ার্কের সিস্টেম হলো বায়ার জব পোস্ট করবেন। আর যারা ফ্রিল্যান্স্যার আছেন, তারা কাজের জন্য বিড করবেন। কে কতো অল্প টাকায় ভালো সার্ভিস দিতে পারবেন। তার একটি বর্ণনা দিতে হবে। এখানে প্রতিটি বিড করার জন্য কানেকশন এর প্রয়োজন হবে।

আর এভাবেই জব বিড করে জব উইন করতে হবে। তারপর সম্পূর্ণ প্রোজেক্টটি শেষ করে বায়ার কে জমা দিতে হবে। আর এভাবে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এরকমভাবেই সব মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলন। একাউন্ট খুলে কিছুদিন সময় দিন। তাহলে, দেখবেন সেই মার্কেটপ্লেস থেকে অনলাইন ইনকামের উপায় পেয়ে যাবেন।

আরো পড়ুন: অনলাইন ইনকাম বিডি পেমেন্ট বিকাশ   

২। ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ব্লগিং হলো অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপায়। বলা হয়ে থাকে ব্লগিং মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সবথেকে পুরানো একটি উপায়ও। শুধু ব্লগিং করে একজন ব্লগার মাসে লক্ষাধিক টাকা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। লেখালিখি যে একটি স্মার্ট পেশা হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ব্লগিং কি?

ব্লগিং হলো মূলত একটি অনলাইন নিউজপেপার এর মতো। শুরুতে আপনাকে আপনার পছন্দের বিষয়টি বাছাই করতে হবে। এবং বিষয়টির উপর লেখালেখি করতে হবে। আপনার যেবিষয়ে আগ্রহ থাকে, সেই বিষয়েই লিখতে পারেন। খেলাধুলা, আইসিটি, বিজ্ঞান, পরিবেশ, অর্থনীতি, রাজনীতি, অনলাইন ইনকাম, আইন, রান্নাবান্না, ভ্রমণসহ যেকোনো বিষয়ে লিখতে পারেন। আপনি যেআর্টিকেলটি পড়ছেন, এই আর্টিকেলটিও একটি ব্লগ পোস্ট। উদাহারণ হিসেবে আমরা বলতে পারি।

আপনি খুব ভালো রান্না করতে পারেন। বা কোথায় ঘুরতে গেছেন। ব্যস্ এসব নিয়ে লিখে ফেলতে পারেন। আর লেখালিখার ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন। কথা হলো, ব্লগিং করে তো অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনি লিখবেন কোথায়? বা ব্লগিং করবেন কোথায়?

এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হবে। আপনি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট তৈরি করে নিবেন। এখন সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন। তবে কথা হলো ফ্রিতে তৈরি ব্লগ সাইটে মানুষের খুব একটা আস্থা থাকে না। গুগল ফ্রি সাইট বা ব্লগ সাইট র‌্যাংক করায় না। তাই আমি বলবো একটু কষ্ট করে হলেও একটি টপ লেবেল ডোমেইন কিনে নিবেন।

আর সাথে একটি এক জিবি হোস্টিং অবশ্যই লাগবে। তবে  ফ্রি থিম থাকলেও চলবে। তাহলে আপনি শুরু করতে পারবেন ব্লগিং। আপনি যদি আপনার কোন কনটেন্ট বা পেজ গুগলের টপ পেজে নিয়ে আসতে পারেন। তাহলে দেখবেন প্রচুর অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

ইনকাম কিভাবে আসবে?

আপনার ব্লগ সাইটে বা ওয়েবসাইটে যখন অনেক ভিজিটর থাকবে। তারা তখন আপনার পেজ ভিজিট করবে। অর্থাৎ আপনার ব্লগ পোস্ট পড়বে। তখন আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটটি গুগল মনিটাইজ করাতে পারবেন। গুগলের পার্টনার প্রোগামের অংশ হতে পারবেন। এবং নিয়মিত অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে অ্যাফিলিয়েট ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া ডাটা এন্ট্রি করেও ইনকাম করতে পারবেন।

৩। ইউটিউবিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে অনলাইন থেকে ইনকাম করার ধারণা পরিবর্তন হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামেও মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলো সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে গ্রামে থেকে, ঘরে বসে মানুষ অনলাইন থেকে ইনকাম করছে। গ্রামের যুবসমাজ ইউটিউবিং এর প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। কারণ অনলাইন থেকে ইনকামের মধ্যে ইউটিউব হলো অন্যতম।

আরো পড়ুন: ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম।

একজন সফল ইউটিউবার মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আপনারা ইউটিউব ভিলজের নাম শুনেছেন? এটি একটি গ্রামের নাম। তবে গ্রামটি প্রকৃত নাম কিন্তু এটি নয়। তাহলে একটি ইউটিউব চ্যানেল গ্রামটির নাম পরিবর্তন করে দিয়েছে। গ্রামটি বাংলাদেশেই অবস্থিত। খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জিলায় অবস্থিত। কুষ্টিয়া জিলার খোকসা উপজেলার অর্ন্তগত শিমুলিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রাম। Around Me Bd নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল এই কাজ করেছে। সম্পূর্ণ গ্রামটিকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।

এছাড়া Village life with Shompa নামে আরেকটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। যেটা পরিচালনা করা  হয় মানিকগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল থেকে।

এই চ্যানেলটিও খুবই জনপ্রিয়। এরকম হাজার  হাজার ইউটিউব চ্যানেল পাবেন যারা মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছে।

কিভাবে শুরু করবেন?

শুরুতে প্রয়োজন হবে একটি ক্যামেরা এবং একটি কম্পিউটার। যদি আপনার ক্যামেরা আর কম্পিউটার না থাকে। তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন। এই স্মার্ট মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি সব কাজ করতে পারবেন। 

ইউটিউব থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য, আপনাকে ইউটিউবে একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করতে হবে। চ্যানেল ক্রিয়েট করার জন্য প্রয়োজন হবে

  • একটি জিমেইল।
  • সচল মোবাইল নাম্বার।
  • প্রফেশনাল মানের সুন্দর সাজানো একটি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য অবশ্যই একটি ভালো মানের চ্যানেল লোগো প্রয়োজন হবে।
  • প্রোফাইল পিকচার প্রয়োজন হবে।
  • আপনার জন্য কী-ওয়ার্ড দিতে হবে।
  • চ্যানেল ড্রেসক্রিপশন।
  • চ্যানেলের একটি সুন্দর নাম দিবেন।
  • আপনার চ্যানেল ক্যাটাগরি ঠিক করবেন।

এসব কিছু হলে আপনার চ্যানেলের কাজ শেষ। এবার প্রয়োজন ভালোমানের কিছু কনটেন্ট। ভালোমানের কনটেন্ট এর জন্য আপনাকে ভিডিও এডিটিং শিখতে হবে। ইউটিউবেই এমন প্রচুর টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। এখান থেকে আপনি ভিডিও এডিটিং শিখে নিতে পারবেন।

প্রফেশনালমানের চ্যানেল হয়ে গেল, ভিডিও এডিটিং শিখলেন। এডিটিং করা সুন্দর ভিডিও গুলো ইউটিউবে আপলোড করলেন। কিন্তু অনলাইন থেকে ইনকামটা আসবে কিভাবে?

 ইউটিউব থেকে ইনকামের শর্তঃ

এক (১) হাজার সাবস্ক্রাইবারস

এবং চার (৪) হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম প্রয়োজন হবে।  

চ্যানেলে কোন প্রকার কপিরাইট স্ট্রাইক থাকতে পারবেনা।

কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক থাকতে পারবেনা।

তাহলে চ্যানেলটি মনিটাইজের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তারপর গুগলের রিভিউ টিম ম্যানুয়ালি রিভিউ করে দেখবে। যদি কোনো সমস্যা না থাকে। তাহলে আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজ করে দিবে। তখন থেকে আপনার চ্যানেলে এড দেখাবে। আর এড থেকেই আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এড থেকে ইনকামের (৫৬-৪৪) % করে কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং গুগল ভাগ করে নেয়।

এভাবেই আপনি গুগল থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া আরো অনেক ভাবেই আপনি আপরনার ভিডিও থেকে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন Sponsored ad দিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এভাবেই আপনি হাতের মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

তাহলে আর অপেক্ষা না করে শুরু করুন। আপনার পছন্দের ইউটিউব চ্যানেল। আর অনলাইন থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করুন অনলাইন ইনকাম বিড থেকে।

৪।ফেসবুক থেকে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম:

বর্তমানে বাংলাদেশে কয়েক কোটি ফেববুক ব্যবহারকারী রয়েছে। স্মার্ট ফোন ব্যবহার করনে। কিন্তু ফেসবুক ব্যবহার করেন না, এমন মানুষ খুজেঁ পাওয়া যাবে না। সকালে ঘুম থেকে উঠেন। তারপর স্মার্টফোনে ফেসবুক নটিফিকেশন চেক করেন। এমন মানুষ নাই যে ফেসবুক নটিফিকেশন চেক করেনা। গড়ে প্রতিদিন ৫-৬ ঘন্টা ফেসবুক ভিজিট করা মানুষের সংখ্যা কম নয়। প্রতিদিন এতোটা সময় যখন ফেসবুকে ব্যয় করেন। তখন চাইলেই, আপনিও ফেসবুক থেকে কিছু অনলাইন ইনকাম করতে পারেন।

ফেসবুক থেকে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে হলে, অবশ্যই একটি ফেসবুক পেজ থাকতে হবে।  যেফেসবুক পেজটি থাকবে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের আন্ডারে । এই ফেসবুক পেজে আপনি যেকোন ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। এইভিডিও যখন মানুষ দেখবে, তখন ভিডিওতে এড দেখানো হবে। এই এডকে বলা ইন-স্ট্রিম এড। এই এড থেকে মূলত ইনকাম হয়ে থাকে। তবে ভিডিওতে এড দেখাতে হলে অবশ্যই ফেসবুকের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যেমন,

আরো পড়ুন: ফেসবুক পেজের নাম:

ফেসবুকের পেজ মনিটাইজেশনের শর্ত ২০২৩:

  • আপনার পেজে অবশ্যই ৫০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে।
  • ফেসবুক ৬০০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
  • বিগত দুই মাস এসব শর্ত পূরণের জন্য বিবেচনা করা হবে।

এইশর্তগুলো পূরণ করুন। তাহলে আপনি মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তারপর ফেসবুক টিম আপনার আবেদনটি রিভিউ করে দেখবে। অন্যান্য সব কিছু ঠিক থাকলে আপনার ফেসবুক পেজটিকে মনিটাইজেশনের জন্য এপ্রোভ করে দিবে। তখন আপনি আপনার ভিডিও থেকে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ড কোলাবারাস করে পেজ থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামকরতে পারবেন। তাছাড়া ওয়েবসাইটের মতো ফেসবুকে আর্টিকেল সেকশনে ব্লগ বা আর্টিকেল লিখে সেখান থেকেও অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনি যদি চান তাহলে ফেসবুক পেজটি ব্যবহার করে বিভিন্ন মার্কটেপ্লেসের বায়ার খুঁজে বের করতে পারবেন। বিভিন্ন পণ্যের প্রচার করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।  

৫। ডাটা এন্ট্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে ডাটা এন্ট্রি হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি কাজ। এটা বলা হয়ে থাকে যে, যারা ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং জব করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করেন। তাদের বেশির ভাগই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন ডাটা এন্ট্রি কাজ করে। ডাটা এন্ট্রির একটি বড় সুবিধা হলো এইকাজটি অনেক বড় বড় কোম্পানি দিয়ে থাকে। কারণ এই সহজ কাজটি তারা তাদের কর্মীদের দিয়ে না করিয়ে উন্নয়নশীল দেশের ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে থাকেন। তাই এইকাজটি সহজেই পাওয়া যায়। এবং দীর্ঘদিন ধরে করা য়ায় ।

তবে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে এম.এস.ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, গুগল, ইমেইল ইত্যাদিতে পারদর্শী হতে হবে। এই কাজগুলো না জানা থাকলে অবশ্যই জেনে নিন। কারণ এই কাজগুলোতে এক্সপার্ট না হলে আপনি কাজ করতে পারবেননা।

ডাটা এন্ট্রির কাজ করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে জব মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করতে হবে। এবং বায়ার খুঁজে বের করতে হবে। তবে এখন আপনি মার্কটেপ্লেসের বাইরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনেক বায়ার পেয়ে যাবেন। তাদের সাথে কাজের চুক্তি করে কাজ করতে পারবেন। এবং আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।

এমন কিছু ডাটা এন্ট্রি কাজের উদাহরণ নিম্নে দেওয়া হলো আপনাদের সুবিধার জন্য:

  • কপি এন্ড পেস্ট করে ইনকাম
  • ওয়ার্ড প্রোসেসিং এর জব
  • অনলাইন ফরম পূরণ এর কাজ করে ইনকাম।
  • ডাটা ক্লিনিং কাজ করে ইনকাম।
  • ইমেজ থেকে টেক্সট এবং টেক্সট থেকে ইমেজ কনর্ভাট করে ইনকাম।
  • টেক্সট থেকে পিডিএফ এবং পিডিএফ থেকে টেক্সট
  • অডিও থেকে টেক্সট
  • মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন রাইটিং
  • মেডিকেল কোডিং
  • ক্যাটালগ রাইটিং এর কাজ

এছাড়াও ইমেইল চেক, ইমেইল সেন্ড করা সহ বেশ কিছু কাজ পেয়ে যাবেন। যা খুব সহজেই আপনি করতে পারবেন। আর এভাবেই শুরু হবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। তাহলে ডাটা এন্ট্রি দিয়েই শুরু হোক আপনার অনলাইন ইনকামের যাত্রা ।

৬। কনটেন্ট রাইটিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

আপনি যদি লেখালেখিতে পারদর্শী হয়ে থাকেন। তাহলে কনটেন্ট লিখেই অনলাইন থেকে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে কনটেন্ট রাইটারদের অনেক চাহিদা। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ আছে। আপনার নিজের যদি কোনো ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইট নাও থাকে, তবুও আপনি কনটেন্ট লিখে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

একজন গুনগতমানের কনটেন্ট লেখক প্রতিমাসে ১-হাজার ডলার থেকে ১০-হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। মনে রাখবেন, অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের কাজের অভাব হতে পারে কিন্তু একজন ভালোমানের কনটেন্ট রাইটারের কাজের অভাব হয় না। আপনার যে বিষযে ভালো ধারণা আছে। সেই বিষয়ে লিখতে পারেন। তাতেই পাবেন সফলতা ।

কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ পাবেন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে। যেমন

 ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে কাজের অভাব নেই। এছাড়াও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতেও কাজ পাবেন। কনটেন্ট রাইটিং এ ভালো দক্ষতা থাকলে ইউটিউব ভিডিওর জন্য ড্রেসক্রিপশন লিখে দিতে পারবেন। তাছাড়াও বিভিন্ন প্রোডাক্টের ড্রেসক্রিপশন লিখেও ইনকাম করতে পারবেন। কিছু আর্টিকেল কেনাবেচার ওয়েবসাইট আছে। যেখানে আপনার লেখা আর্টিকেলগুলো ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। এভাবেই আপনি কনটেন্ট রাইটিং ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। আর মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

৭। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকাম করার সহজতম একটি উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে, তেমনই এইসব সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দ্রুতই পেশা হিসেবে যায়গা করে নিচ্ছে অনলাইন দুনিযায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আপনি মাসে ১০-হাজার ডলার থেকে  ১- লক্ষ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চাইলে হাতের মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আরো পড়ুন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম।

কিভাবে করবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্রয়োজন হবে। মনে করুন, আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। সেই ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল লিখলেন। আর্টিকেলে কোনো একটি প্রোডাক্টে সর্ম্পকে একটি প্যারা লিখলেন বা একটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল লিখলেন । এবং এই আর্টিকেলে ঐ প্রোডাক্টের কোম্পানির লিঙ্ক দিয়ে দিলেন।

এবার আপনার ওয়েবসাইটে যেসব ভিজিটর আসবে তারা আপনার আর্টিকেল পড়ে, যদি সেই লিঙ্কে ক্লিক করে। তাহলে তাকে সেই কোম্পানিতে নিয়ে যাবে। সেই কোম্পানিতে গিয়ে সে যদি প্রোডাক্ট ক্রয় করে।  তাহলে সেখান থেকে (৫-৭)% কমিশন আপনি পাবেন। এটাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আবার আপনার  যদি ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং এই ইউটিউব চ্যানেলে অনেক সাবস্ক্রাইবার থাকে। তাহলে এখান থেকেও আপনি অ্যাফিলিয়েট  ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি আপনার ইউটিউবের ড্রেসক্রিপশনে কোন প্রোডাক্টের লিঙ্ক দিয়ে দিলেন । এবং সেই ভিডিওতে ঐ প্রোডাক্ট সর্ম্পকে একটু ধারণা দিলেন আপনার ভিজিটরদের। এখন এই ভিডিওর ড্রেসক্রিপশনে দেওয়া প্রোডাক্টের লিঙ্কে ক্লিক করে যদি কেউ সেই প্রোডাক্ট ক্রয় করে তাহলে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এভাবে আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে যতো বেশি ভিজিটর থাকবে আপনি ততো বেশি অ্যাফিলিয়েট ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও যদি আপনার একটি এক্টিভ ফেসবুক প্রফাইল  থাকে এবং একটি  ফেসবুক পেজ থেকে তাহলেও আপনি অ্যাফিলিয়ট মার্কেটিং করে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

৮। ভিডিও দেখে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

ভিডিও দেখেও যে, মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। সেটা আমিও জানতাম না । আর আমি প্রথম যখন শুনেছিলাম আপনার মতো আমিও অবাক হয়েছিলাম। অবাক হলেও কথা সত্য এমন কিছু ওয়েবসাইট পাবেন যেখানে ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করা যায়। বর্তমানে প্রচুর কনটেন্ট ক্রিয়েটর আছে। এছাড়া প্রতিদিন নতুন নতুন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৈরি হচ্ছে। তাদের ভিডিও কনটেন্ট এর প্রোমোশন চালানোর জন্য মূলত এসব ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে।

কিভাবে? মনে করুন, আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। অনেকগুলো ভিডিও আপলোড করেছেন। কিন্তু ভিডিওতে ভিউ আসছে না। তখন আপনি চাইলেন, ভিডিওতে প্রোমোশন চালাবেন। তখন এই ওয়েবসাইট আপনার কাছে থেকে টাকা নিয়ে আপনার ভিডিওতে অর্গানিক ভিউ দিবে। কিন্তু কিভাবে দিবে? এই ওয়েবসাইটটি আপনার থেকে যেটাকা নেয়, তার অর্ধেক টাকা দিয়ে ভিজিটরদের বলবে, আপনি যদি সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখেন তাহলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাবেন।

এই হলো ভিডিও দেখে অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের সিস্টেম। তবে একটি কথা এই সুয়োগে অনেক ভুয়া ওয়েবসাইট মানুষ ঠকিয়ে ভিডিও দেখিয়ে পেমেন্ট না করে চলে যায়। এমন ঘটনায় অহরহ ঘটছে। তাই যদি দেখেন অতিরিক্ত লোভ দেখাচ্ছে কোনো ওয়েবসাইট। তাহলে ভালোকরে খোঁজখবর নিয়ে তারপর কাজ শুরু করবেন।

তবে মনে রাখবেন, এই ভিডিও দেখে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে হলে খুব অল্প বা সামান্য পরিমাণ টাকাই আপনি পাবেন। আর এটা কখনও ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবেননা ।

৯। এসইও করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

আপনি এসইও করে কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক। এসইও(SEO) অর্থ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এখন এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন জিনিস টা আবার কি? এটাই তো প্রশ্ন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো কোনো ওয়েবসাইট বা পেজকে গুগলের টপ পেজে নিয়ে আসা বা গুগল টপ র‌্যাঙ্ক করানোই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। বাংলাদেশসহ বিশ্বে সব দেশেই এসইওর গুরুত্ব দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই সেক্টরে কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে । এসইও তে যারা ভালো করছে তাদের কাজের রেটও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

এসইও তে ভালো করতে হলে অবশ্যই আপনার কনটেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়াতে হবে। এছাড়া ব্লগ রাইটিং, ফোরাম রাইটিং, গেস্ট পোস্টিং ইত্যাদি সম্পর্ক স্বচ্ছ ধারণা থাকতেই হবে।

অফ পেজ এসইও এবং অন পেজ এসইও থেকে যেকোনো একটি নিয়ে কাজ করলেই আপনি অনেক ভালো কাজ করতে পারবেন। কাজ করে শেষ করতে পারবেননা। এসইওতে ভালো করলে মাসে ৩-হাজার ডলার থেকে ৪-হাজার ডলার স্থায়ী চাকুরী করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে তো প্রচুর কাজ পাবেন। এতো কাজ পাবেন যে করে শেষ করতে পারবেননা। আর এভাবেই আপনি এসইও করে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

১০। রিভিউ লিখে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম:

রিভিউ লিখে অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়? তাই জানবো এই সেকশনে। আপনি যেকোনো পণ্য, সঙ্গীত, বই এর পর্যালোচনা লিখে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুতে তুলনামূলক সহজ কাজ হলো কোন পণ্য বা বই এর রিভিউ লিখে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা। তাই আমার পরামর্শ থাকবে, আপনি যদি ভাবেন, আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করবেন, তাহলে রিভিউ লিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন ।

বই এর রিভিউ লিখে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

এক্ষেত্রে কোনো একটি বই পড়তে দেওয়া হবে। সেই বই পড়ে, সেই বই সম্পর্কে একটি পর্যালোচনা লিখতে হবে। মিউজিক বা পণ্য থেকে বই সম্পর্কে রিভিউ লিখে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বই সম্পর্কে রিভিউ লিখে প্রতিটি রিভিউ এর জন্য ৫ ডলার থেকে ১০০ ডলার উপার্জনও হতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন বই সম্পর্কে রিভিউ লিখার। বই এর রিভিউ লিখে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সঙ্গীত এর রিভিউ লিখে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

সঙ্গীত বিষয়ের রিভিউ লিখে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আর হ্যাঁ সঙ্গীত বিষয়ে রিভিউ লিখতে চাইলে অবশ্যই আপনার মিউজিক সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। আপনি যদি সঙ্গীত নিয়ে ভুল, ত্রুটি ধরতে না পারেন তাহলে সঙ্গীত বিষয়ে রিভিউ লেখা আপনার কাজ নয়।

পণ্য এর রিভিউ লিখে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

পণ্য পর্যালোচনা করে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। পর্যালোচনাকে আবার স্পন্সর পোস্টও বলা হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে আপনার ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট থাকতে হবে। তাহলে আপনার ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্যের পর্যালোচান করে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

১১। ওয়েবসাইট তৈরি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। দিন দিন যেভাবে সবকিছু ডিজিটাল হচ্ছে। তাতে অনলাইন থেকে ইনকামের সুয়োগও বাড়ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর, এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সময়। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যুবসমাজকে ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুয়োগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম খুবই জনপ্রিয় হবে। আগামী দিনে সব ব্যবসার জন্য একটি করে ওয়েবসাইট থাকবে। আর আপনি চাইলে একজন ওয়েবসাইট ডেভলোপার হয়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আপনি আপনার নিজের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। তাতে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করাতে পারেন। তাহলে গুগল থেকে নিয়মত মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাছাড়া আপনি ভালো কাজ পারলে স্থায়ী চাকুরী করতে পারেন। একজন ওয়েবডেভোলপার হিসেবে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ফাইভারে যান।

তাহলে দেখবেন, এখানে একজন ওয়েব ডেভলোপারের কি পরিমাণ কাজ রয়েছে। ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন। একটি ওয়েবসাইটের থিম কাস্টমাইজেশন করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইট রিভিউ করে দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

কিভাবে ওয়েবসাইট এর কাজ শিখবেনঃ

ওয়েবসাইট এর কাজ একটু জটিল। শুরুতে কাজ শিখতে হবে। কাজ শিখা খুব বিরক্তিকর মনে হতে পারে। পরিকল্পনা করে নিয়মিত কাজ শিখতে পারলে কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়। কাজকে ভালোবাসুন। দেখবেন কাজ সহজ হয়ে যাবে। আর জানেন তো। বলা হয়ে থাকে, সুপরিকল্পনা কাজের অর্ধেক। কাজ শেখা শুরু করার আগে সুন্দর একটি পরিকল্পনা করুন। একটি রুটিন তৈরি করুন। রুটিন মাফিক নিয়মিত কাজ করতে থাকুন। দেখবেন অল্প সময়েই ওয়েবসাইট তৈরির কাজ আয়ত্ব করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট তৈরির কাজ শিখতে আপনাকে কোডিং শিখতে হবে। কোডিংয়ের কথা শুনে ভয় পেয়ে গেলেন না তো? ভয় পাওয়ারই কথা। শুরুতে সবার মাঝেই একটু নার্ভাসনেস কাজ করে। আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। এবার কোন প্রোগ্যামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে কোডিং শিখা শুরু করবেন। সবারই কোডিং এর হাতে খড়ি হয় HTML দিয়ে।

  • HTML
  • PHP
  • Java
  • JQuerry
  • C
  • C++
  • Python

ইত্যাদি প্রোগ্যামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হবে। তাহলে আপনি নিজে নিজেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। ওয়েব ডেভলোপার হিসাবে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন। তবে শুরুতে আপনি যেকাজটি করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস এর থিমে সব কাজ করে দেওয়া থাকে। আপনি আপনার মনের মতো করে কাস্টমাইজেন করে নিতে পারবেন। পৃথিবীতে প্রায় ৭০% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি।

কাজ কোথায় পাবেন?

প্রথমত আপনি নিজের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে নিন। আর গুগল এডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট, প্রোডাক্ট প্রোমোশন করে আনালিমিটেড অনলাইন ইনকাম করুন। তারপর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন, ফাইভার, আপওয়ার্ক, পিপলপারওয়ার্ক, গুরু.কম এর মতো মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ পাবেন। তাছাড়া বায়ার, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ পেয়ে যাবেন। আর অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

প্রতি মাসে ১-হাজার ডলার থেকে ১০-হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে শুরু করুন। আপনার স্বপ্নের ওয়েবসাইট তৈরির কাজ। মনে রাখবেন, হাতের মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা প্রায় অসম্ভব। তবে কাজ মোবাইল দিয়ে কাজ শিখতে পারেন।

১২। ই-কর্মাসের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে। শহর থেকে গ্রামে সব মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। তাই তো ই-কর্মাস ব্যবসার ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে দিন-দিন। ই-কর্মাস মানে হলো ব্যবসার সব কিছু পরিচালিত হবে ইন্টারনেটে। মানে ইন্টারনেট ভিত্তিক বাজর ব্যবস্থা।

যেখানে সকল পণ্য কেনাবেচা হয় অনলাইনের মাধ্যমে। তথ্য বলছে প্রতিদিন ৪০-৫০ হাজার ডেলিভেরি হয় ইন্টারনেট এর মাধ্যমে। আর এই সংখ্যা যে দিন দিন বাড়বে তা বলার জন্য গবেষক হওয়ার প্রয়োজন হয় না। কাস্টমারদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারলে ই-কর্মাসের মাধ্যমে লক্ষ-লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বিশ্বের জনপ্রিয় কিছু ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান হলো আমাজন ডট কম, আলিবাবা ডট কম, ইবে, এছাড়া বাংলাদেশী কিছু জনপ্রিয় ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান হলো Daraz.com, ajkerdeal, Bikroy.com, rokomari.com, priyoshop.com ইত্যাদি ।

কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করবেন?

আপনার যদি ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক পেজ থাকে তাহলে সেই পেজটিকে কাজে লাগাতে পারেন। পেজটিকে প্রোফেশনাল সেটিং করুন। তারপর আপনার যে ব্যবসা আছে। তার বিভিন্ন সুন্দর-সুন্দর ইমেজ ফেসবুজ পেজে আপলোড করুন। দেখবেন খুব ভালো রেসপন্স পাচ্ছেন। মনে করুন, আপনার পেজে ৫০-হাজার ফলোয়ার আছে। আপনি ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করলেন। তাহলে আপনার ঐ পোস্ট ৫০-হাজার মানুষ দেখবে। এখান থেকে ১০০ জন ক্রয় করলে। ১০০ টি ডেলিভারি হবে। প্রতিটি ডেলিভারি থেকে ১০০ টাকা লাভ করলে মোট লাভ হবে ১০০*১০০= ১০-হাজার টাকা । অর্থাৎ একটি মাত্র পোস্ট থেকে আপনার এই টাকা ইনকামের সুয়োগ হচ্ছে। যেকেউ চাইলেই হাতের মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন।

এভাবেই আপনার ব্যবসার একটি ওয়েবেসাইট থেকে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া সকল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেও ই-কর্মাসের ব্যবসা করতে পারেন। ২০২৩ সালের শুরুতে ই-কর্মাসের বাজারের আকার আছে প্রায় ৬৬০ কোটি ডলারের। যা আগামী ৪ বছরে হবে, ১০০০ হাজার কোটি ডলারের। অর্থাৎ ২০২৬ সাল পর্যন্ত ই-কর্মাসের বাজার বাড়বে ৬৬০ কোটি ডলার। বাংলাদেশে ২০২৭ পর্যন্ত ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী হবে ১ কোটির উপরে। অথচ ফেসবুক, গুগল, অ্যামাজনসহ মোট নয়টি অনাবাসী প্রতিষ্ঠান সরকারকে কর দিয়েছে মাত্র ৩৮৫ কোটি টাকা ।

১৩। ব্লগিং লিখে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

দিন-দিন ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সুয়োগ বাড়ছে। মানুষ যত বেশি অনলাইন নির্ভব হবে। যত বেশি ইর্ন্টারনেট ব্যবহার করবে ততো বেশি ব্লগিং করে আয় বাড়বে। ব্লগিং করে অনলাইন থেকে একটি প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। আপনি ফ্রিতে ব্লগারে ওয়েবসাইট খুলতে পারবেন। তারপর সেখানে ব্লগ পোস্ট লিখে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি কিছু টাকা খরচ করেন।

তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস থেকে একটি ওয়েবসাইট থিম নিয়ে কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন। একটি ব্লগ সাইট তৈরি করুন। তারপর সেখানে ব্লগ পোস্ট লিখে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন। অন্যের ব্লগের জন্য গেস্ট পোস্ট করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

যারা নতুন ব্লগার তাদের পরামর্শ দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ব্লগার টিউটোরিয়াল তৈরি করে টাকা ইনকাম করুন।

১৪। ফটোগ্রাফি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

মানুষ সাধারনত শখের বসে ফটোগ্রাফি শুরু করে। ছবি তুলতে ভালো লাগে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। আর শখের বশে শুরু করা ফটোগ্রাফি হতে পারে আপনার মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার একটি কার্যকরি উপায়। ফটোগ্রাফিকে নিতে পারেন পেশা হিসেবে। দিন যতো যাচ্ছে, বিশ্ব ততো উন্নত হচ্ছে। আর ফটোগ্রাফি ততো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই আপনি চাইলে, মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন।

শখের বসে ছবি তোলেন। আর পেশাগত দিক বিবেচনায় তোলেন। একটি ছবি যে, আপনার পেশাগত জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পাবে। তার প্রমাণ আছে ভরি-ভরি। বিশ্বে সব থেকে বেশি দেখা ছবির নাম কি আপনি জানেন? আমি বলছি, ছবিটির নাম ব্লিস। ছবিটি র নাম শুনে চিনতে পারছেন না? ভাবছেন এই ছবি আপনি জীবনে কখনো দেখেন নাই। কিন্ত আমি বিশ্বাস করি এই ছবি আপনি বহুবার দেখেছেন। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। আপনি নিশ্চয়ই কম্পিউটার দেখেছেন?

কম্পিউটার পাওয়ার বাটন প্রেস করলেই, কম্পিউটার স্কিনে একটি ছবি ভেসে উঠতো। মনে পরছে আপনার? মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজের এক্সপি ভার্সনের ক্ষেত্রে এই ছবিটি ভেসে উঠতো। এক্সপি ভার্সনের স্কিনে বাই ডিফল্ট ওয়ালপেপার হিসেবে দেওয়া হতো এই ছবিটি। তথ্য বলছে সবথেকে বেশিবার দেখা ছবি এটি ।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম /Bliss.bmp

এই ছবির ফটোগ্রাফার ছিলেন, চালর্স ওয়ারিয়ার, তিনি ছবিটি তুলেন ১৯৯৬ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে। স্থানটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালির্ফোনিয়ার ন্যাপাভেলিতে। চালর্স ৬০ বছর বয়সে একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার হিসেবে এই বিরল ছবিটি ক্যামেরা বন্দি করেন। ১৯৯৮ সালে মার্কিন ধনকুবের, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা, বিল গেটসের প্রথম দৃষ্টি গোচর হয় ছবিটির ,তারপর ছবিটির সম্পূর্ণ স্বর্ত্ত্ব কিনে নেয় মাইক্রোসফট।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম কিভাবে আসবে:

 তবে ছবিটির জন্য কতো টাকা ব্যয় করতে হয়েছিল তা আপনার ধারণা আছে? যদি না জানেন তাহলে জানলে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। যদিও ছবিটি ক্রয় বিক্রয়ের কোন তথ্য এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই প্রকাশ করেনি। তবে প্রযুক্তিবিদদের ধারণা মাইক্রোসফটকে ছবিটি ক্রয় করতে ব্যয় হয়েছিল ১ লক্ষ মার্কিন ডলার।

আপনি যদি শুরু করতে চান ফটোগ্রাফি। তাহলে আপনার অবশ্যই একটি স্মার্টফোন অথবা একটি ক্যামেরা থাকতে হবে। আপনি বিভিন্ন বিষযের ছবি তুলতে পারনে। আর সেই ছবি এডিট করতে পারেন। তারপর ছবি বিক্রির বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। যখন আপনার ছবি বিক্রি হবে।

তখন আপনি একটি কমিশন পাবেন। আপনার ছবি যতো ভালো হবে, ছবি যতো বেশি বিক্রি হবে, আপনার কমিশন ততো বেশি হবে। শুরুতে কমিশন কম পাবেন এটাই স্বাভাবিক। মাস শেষে, যদি ১০০ ডলার হয় তাহলেও বাংলাদেশী টাকায় ১০,০০০/ টাকার মতো।

যেসব ওয়েবসাইট কম টাকা দেয় তারাই ২০% কমিশন দিয়ে থাকে। যেসব ওয়েবসাইট বেশি টাকা দেয় তারা প্রায় ৪০% কমিশন দিয়ে থাকে।

ছবি বিক্রির ওয়েবসাইটঃ

Shutterstock.com

dreamstime.com

depositphotos.com

pond5.com

adobe stock.com

getty images.com

istock.com

stocksy.com

alamy.com

এইসব ওয়েবসাইটে আপনি একাউন্ট ক্রিয়েট করে আপনার একাউন্টে আপনার সকল ছবি আপলোড করুন। আপনার কাজ শেষ। এবার যতেবার ছবি বিক্রি হবে, ততোবার কমিশন পেয়ে যাবেন।

আপনি একজন ফ্রিল্যান্সিং ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতে পারেন। তাছাড়া বিভিন্ন ইভেন্ট কাভার করতে পারেন। এখন যতো ইউটিউব চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট করতে হচ্ছে। তার জন্য অবশ্যই মিডিয়া ফটোগ্রাফারদের চাহিদা বাড়ছে। তবে শুধু চাহিদার কথা চিন্তা করে ফটোগ্রাফিতে আসলে বেশিদিন আগ্রহ ধরে রাখতে পারবেন না।

যদি আপনার সৃজনশীলতা না থাকে। ফটোগ্রাফিতে আপনার আগ্রহ না থাকে। তাহলে ফটোগ্রাফিকে কখনই পেশা হিসেবে নিবেন না। শখের ফটোগ্রাফার হিসাবেই থেকে যান। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কথা ভাবার দরকার নেই।

১৫। ইমেইল মার্কেটিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার একটি সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো ইমেইল মার্কেটিং। দিনে-দিনে ইমেইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে ২০২৫ সাল নাগাদ ইমেইল প্রায় ৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। আপনি ইমেইল মার্কেটিং করে ব্যবসার জন্য লিড কালেকশন করতে পারবেন। ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ দর্শককে গ্রাহক বা ক্রেতাতে পরিণত করা যায়।

ইমেইল মার্কেটিংয়ের প্রথম ধাপ হলো একটি পরিকল্পিত, বাছাইকৃত ইমেইল লিস্ট তৈরি করা। আর বাছাইকৃত একটি ইমেইল লিস্ট তৈরি করার জন্য আপনার যদি কোনো ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেই ওয়েবসাইটে একটি ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করুন। আর একটি পপ আপ ফর্ম ক্রিয়েট করন । আপনার যারা গ্রাহক আসবেন তাদের ফর্ম ফিলআপ করবেন। আর আপনি যে বিভিন্ন ধরণের অফার পরিচালনা করবেন তা গ্রহণ করবে। আর এভাবে গ্রাহকের ইমেইল গুলোর লিস্ট আপনি তৈরি করতে পারবেন।

পরবর্তীতে আপনার ব্যবসার বিভিন্ন অফার সম্পর্কে আপনার ক্রেতাদের ইমেইল করতে পারবেন। আর এভাবেই ইমেইল মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে ইনকাম করবেন?

বড়-বড় ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান তাদের ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে লোক হায়ার করে থাকে। Fiverr.com হলো তাদের মধ্যে অন্যতম। ফাইভারে গেলে এমন প্রচুর কাজ পাবেন। তাছাড়া লিংকডইন, ফেসবুক সহ সকল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সরাসরি বায়ারের সাথে যোগায়োগ করে ইমেইল মার্কেটিং কাজ নিতে পারবেন। আপনি শুধু ইমেইল মার্কেটিং করে মাসে ১০০/- ডলার থেকে ১০০০/- ডলার পর্যন্ত মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।   

১৬। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে উঠা। আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়া সর্ম্পকে ভালো ধারণা থাকে, তাহলে আপনি এখান থেকে ভালো একটি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই সকল সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্ক আপনার খুব ভালো ধারণা থাকতে হবে।

প্রথমত, বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিবেন। অথাৎ কোম্পানির পণ্যের পচার চালাবেন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। তাছাড়া প্রায় সকল কোম্পানি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করার জন্য একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ দেন। তাছাড়া সকল স্রেলিব্রেটিরা তাদের সময় স্বল্পতার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দিতে পারেন না। তাই তাদের সকল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করার জন্য একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানজার নিয়োগ দেন। আর মোবাইলে ভালো দক্ষতা থাকলে, মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে কাজ পেতে আপনাকে অবশ্যই আপনার কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হবে। আর কাজের পোর্টফলিও তৈরি করতে হবে। যদি অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে, আপনার পোর্টফলিওগুলো খুব ভালো কাজে আসবে। আপনার অভিজ্ঞতা আর দক্ষতার ভিত্তিতে আপনার ইনকাম কম বেশি হবে।

আরো পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম।

১৭। অনলাইন কোচিং করিয়ে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

এই ডিজিটাল বাংলাদেশে এখন সবকিছু হয় অনলাইনে। করোনাকালীন সময় অনলাইন কোচিং সেন্টারগুলো বাচ্চাদের পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। করোনাকালীন দেশে অনেক অনলাইন কোচিং জনপ্রিয় হয়েছে। এখনো সেই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোচিং সেন্টারের অনলাইন ব্যাচ চালু আছে।

আপনি চাইলে একটি অনলাইন কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠ। করতে পারেন। অথবা কোনো কোচিং সেন্টারের শিক্ষক হিসেবে কাজ করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।  তাছাড়া যেকোনো বিষয়ে অভিজ্ঞ হলে সেই বিষয়ে অনলাইনে ক্লাস নিয়ে মানুষকে শিখাতে পারেন। এখন দেশে ফ্রিল্যান্সিং শিখানোর অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। আপনি চাইলে গেস্ট মেন্টর হিসেবে কাজ করতে পারেন। বা স্থায়ী হিসেবে কাজ করতে পারেন অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য।

চাইলে অনলাইনে ইংরেজি শেখাতে পারেন। ইউটিউবের বিভিন্ন টিউটোরিয়ার তৈরি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।   

১৮। গ্রাফিক্স ডিজাইন করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইন থেকে ইনকাম খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যমে। দেশ যতো উন্নত হবে, গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা ততো বাড়তে থাকবে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার অনলাইন থেকে মাসে ১-হাজার ডলারের বেশি ইনকাম করতে পারে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার চিন্তা, চেতনা, কল্পনা শক্তি, সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে কোনো অবজেক্টে নতুন কিছু সৃষ্টিকরাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে। আর যেসৃষ্টি করেন, তাকে বলে গ্রাফিক্স ডিজাইনার।

কিভাবে শিখবেন?

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হলে আপনার কিছুটা সৃজনশীলতা থাকতে হবে। ইউটিউবের বিভিন্ন চ্যানেলে অনেক ভিডিও আপলোড করা আছে। আপনার যেচ্যানেলের ভিডিও ভালো লাগে দেখুন। কিছুটা শিখা হলে তারপর কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে আপলেভেলের কাজ শিখতে পারেন। দেশে বর্তমানে প্রচুর সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্সটি চালু আছে। কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে শিখলে বিভিন্ন মার্কেট প্লেসের কাজ বা প্রোজেক্ট পাওয়া উপায় সম্পর্কে সব জানতে পারবেন।

কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা, গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের হায়ার করে তাদের কোম্পানির লোগো, বিজ্ঞাপনের পিকচার, বইয়ের কভার ফটো, বিভিন্ন টেমপ্লেট ইত্যাদি কাজ করায়। Fiverr.com, Upwork.com, 99design, Envato Market ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসগুলো গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এই মার্কেটপ্লেসগুলোর মাধ্যমে প্রচুর গ্রাফিক্স ডিজাইনার হায়ার করা হয়ে থাকে।

তাই আর দেরি না করে আজই এইসব ওয়েবসাইটে একাউন্টস ক্রিয়েট করুন। আর আপনার একাউন্টটি সুন্দর করে সেটিং করুন। লোগো আর প্রোফাইল পিকচার দিয়ে সাজান। সকল কাজের পোর্টফলিও আপলোড করুন। দেখবেন আজ হোক কাল হোক, কাজ পেয়ে যাবেন। আর ধর্য্য ধারণ করুন সফলতা আসবেই। আর হাতের মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

১৯। ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

বর্তমানে ফেসবুকের মতোই ইন্সটাগ্রামের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ইন্সটাগ্রামের মালিকানাও মেটাভার্স। ইন্সটাগ্রাম থেকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই আপনার ইন্সটাগ্রামে প্রোফেশনাল বিজনেস একটি একাউন্ট থাকতে হবে। এবার মনে করুন, আপনার একাউন্টে ১০-হাজার ফলোয়ার আছে। তাহলে কোম্পানি তাদের পণ্যের পচারের জন্য আপনার সাথে যোগায়োগ করবে।

আপনি তাদের সাথে দরকষাকষি করে রেট নির্ধারণ করবেন। কতো টাকা দিলে আপনি আপনার একাউন্টে তাদের পণ্যের প্রচারণা চালাবেন। influencermarketing hub এই কোম্পানি তাদের কাজের সাথে একটি জনপ্রিয় ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল যুক্ত করেছ। মিনিমাম ১০,০০০ হাজার ফলোযার থাকলে, আপনি বছরে কম করে হলেও ৫-১০ হাজার ডলার মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যদিও বাংলাদেশে এখনো ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং খুব বেশি জনপ্রিয় নয়। তবে দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আপনার যদি ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে যথেষ্ট ফলোয়ার থাকে। তাহলে কাজ শুরু করতে পারেন।

২০ লিংকডইন মার্কেটিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম:

দিন যতো যাচ্ছে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি ততো বেশি আগ্রহী হচ্ছে। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামের মতো লিংকডইন মার্কেটিং করেও আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। লিংকডইন মার্কেটিংয়ের কাজের রেট অনেক বেশি হয়ে থাকে। লিংকডইন হলো একটি প্রোফেশনাল সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। এখানে ভুয়া একাউন্ট নেই। প্রথমে আপনাকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।

একটি অবশ্যই লোগো এবং প্রোফাইল পিকচার দিয়ে প্রোফেশনালি সাজান। তারপর আপনার একাউন্টটি আপনার এনআইডি দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে। তারপর আপনার একাউন্টে কানেকশন বাড়াতে হবে। যখন কানেকশন বাড়বে তখন বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের প্রচার চালান। অনেক রেট লিংকডইনে মার্কেটিংয়ের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে।

তাছাড়াও অনেক প্রোফাইল পাবেন যারা, তাদের একাউন্ট ম্যানেজ করার জন্য আপনাকে হায়ার করবে। তাদের একাউন্টের কানেকশন বাড়াতে বলবে। আপনি লিংকডইনে কাজ করলেও মাসে ৫০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।

উপসংহার:

পরিশেষে বলতে পারি, মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর অনেক মাধ্যম আছে। আপনি চাইলে এসব সেক্টর থেকে ইনকাম করতে পারেন। তবে শুরুতে অবশ্যই আপনাকে কাজ শিখতে হবে। কাজ না শিখে কাজ করতে যাবেন না। তাহলে হতাশ হয়ে যাবেন। তাই আমি বলবো, খুব ভালো করে একটি বা দুটি কাজ শিখুন। এবং আরো বেশ কিছু কাজের ভালো ধারণা রাখুন।

মনে রাখবেন সফলতা প্রতিটি মানুষের জন্য অপেক্ষা করে কারো কাছে পায়ে হেঁটে আসে না। প্রতিটি মানুষকে পরিশ্রম করে সফলতা অর্জন করে নিতে হয়। আশাকরি আপনিও সফল হবেন। কোন কাজটি আপনার ভালো লেগেছে তা জানান। কোন বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চান, তাও জানাতে পারেন। আশাকরি সমাধান দিতে পারবো। ধন্যবাদ।

1 thought on “মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম”

  1. Pingback: এসইও কি/ কিভাবে SEO করলে পেজ Rank করে - shrabonbd.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top