টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

বাংলাদেশীটাকা টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট এর সবথেকে বড় সুবিধা হলো পেমেন্ট গেটওয়ে। বাংলাদেশী যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। ব্যাংক একাউন্ড না থাকলেও সমস্যা নেই। সেক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেমেন্ট উইথড্রো করতে পারবেন। আজকে আমরা মূলত আলোচনা করবো বাংলাদেশী ইনকাম সাইট নিয়ে। বাংলাদেশী ইনকাম সাইট হওয়ায় প্রতিযোগিতা তুলনামূলক অনেক কম। আপনি যদি বাংলাদেশী অনলাইন ইনকাম সাইট -এ কাজ করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

আপনার স্কিল যতো ভালো হবে, ইনকাম ততোবেশি হবে। তাই ইনকাম করার আগে স্কিল তৈরি করুন। ইনকাম আপনি-আপনি আসবে। স্কিল ছাড়া মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে গেলে লেজে-গোবড়ে অবস্থা হয়ে যাবে। শুরুতে অনেক সময় লাগবে। অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তারপরেও কাজের ফিনিশিং ভালো হবেনা। কাজের ফিনিশিং ভালোনা হলে বায়ার সন্তুষ্টু হবেনা। আর বায়ার সন্তুষ্টু না হলে রিপিটেড বায়ার বা কাস্টমার পাবেননা। রিপিটেড বায়ার না পেলে আপনার ক্যারিয়ার গ্রো করবেনা। তাই বলি, কাজ শুরু করার আগে স্কিল তৈরি করুন।

কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এবার কথা হলো, কাজের অভিজ্ঞতা তো আর পড়ে অর্জন করা যায়না। অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হলে কাজ করতে হবে। কাজ না পেলে কাজ করবেন কিভাবে। তাই আপনার জন্য বাংলাদেশী টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট এর সন্ধ্যান দিচ্ছি। বাংলাদেশী ইনকাম সাইটে কাজ পাওযা সহজ হবে। বাংলাদেশী ইনকাম সাইটে কাজ করলে ইনকাম কম হবে। কাজ করুন। অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। এটাই আপনার ক্যারিয়ার গঠনে সহয়তা করবে।

আরো পড়ুন: মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করুন

Kaj Khuji (কাজ খুঁজি) টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইটট:

কাজ খুঁজি ডট কম একটি বাংলাদেশী টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট। এটি একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট থেকে আপনাকে ইনকাম করতে হলে প্রথমে আপনাকে একাউন্ট খুলতে হবে। কাজ খুঁজি ডট কম-এ একাউন্ট খুলা খুব সহজ।

  • আপনার একটি ইমেইল আইডি
  • স্বচল মোবাইল নাম্বার
  • একটি মোবাইলফোন বা ডেক্সটপ কম্পিউটার
  • আর ইন্টারনেট সংয়োগ থাকতে হবে।

এগুলো হাতের কাছে থাকলেই একাউন্ট খুলতে পারবেন। একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আপনার ইমেইল, এবং পার্সওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। তারপর আপনার প্রফাইলের একটি লোগো দিন। একটি প্রফাইল পিকচার আপলোড করুন। এককথায় সুন্দর করে সেটিং করুন। সেটিং করা হয়ে গেলে আপনার কাজের পোর্টফলিও এড করুন। আপনার একাউন্টের এসইও করুন। একাউন্ট এর সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার লিঙ্ক করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

যারা অলরেডি ফাইভার মার্কেটপ্লেস ভিজিট করেছেন, তারা গিগ সর্ম্পকে জানেন। যারা জানেন না তাদের জন্য বলে রাখি। গিগ হলো কাজের প্রোপোজাল। যেখানে কাজ সর্ম্পকে আপনি বিস্তারিত তুলে ধরবেন। কতো টাকায় কাজটি করতে পারবেন। কতো দিনের মধ্যে কাজ করতে পারবেন। পূর্বে যদি কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে তা উল্লেখ করতে পারবেন। গিগ-এ ইমেজ ব্যবহার করুন। গিগের ক্যাটাগি সিলেক্ট করুন। গিগের জন্য ট্র্যাগ দিন, ড্রেসক্রিপশন লিখুন সুন্দর করে। ব্যস আপনার গিগ হয়ে যাবে। এবার গিগটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। দেখবেন অর্ডার পাবেন। এভাবেই বাংলাদেশী অনলাইন ইনকাম সাইট থেকে ইনকাম শুরু করুত পারবেন।

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

কাজ খুঁজি ডট কম, বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন সাইট হওয়ায় কারণে, পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে বাংলাদেশী ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনার বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক একাউন্ট না থাকে তাহলে, যেকোনো একটি মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন।

Belancer.com বাংলাদেশী টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট:

আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সার এর নাম শুনেছেন তারা ঠিক বুঝতে পারছেন, ফ্রিল্যান্সার এর বাংলা সংস্করণ হলো ব্রিল্যান্সার ডট কম। এটি একটি বাংলাদেশী অনলাইন ইনকাম সাইট। বাংলাদেশী বায়ার, বাংলাদেশী প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে হবে। তাই বায়ারের সাথে যোগাযোগ করতে ভাষাগত কোনো সমস্যা হবেনা। বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারবেন। তাছাড়া পেমেন্ট গেটওয়ে বাংলাদেশী যেকোনো ব্যাংক। অথবা বাংলাদেশী যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট হলেই হবে। ইনকাম করা টাকা উত্তোলন নিযে কোনো ঝামেলায় পড়তে হবেনা।

আরো পড়ুন: অনলাইন ইনকাম বিডি পেমেন্ট বিকাশ

ফাইভার একাউন্ট তৈরির উপায়

বাংলাদেশী অনলাইন টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট ব্রিল্যান্সার থেকে ইনকাম করতে চাইলে, প্রথমেই একটি একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট খুলতে প্রয়োজন হবে।

  • একটি মোবাইল বা কম্পিউটার
  • একটি ইমেইল আইডি।
  • স্বচল মোবাইল নাম্বার।
  • এবং দ্রুতিগতির ইন্টারনেট সংযোগ।

এগুলো রেডি থাকলে ব্রিল্যান্সারে একটি একাউন্ট খুলতে পারেন। একাউন্ট খুলা হয়ে গেলে সেটিং ঠিক করে নিন। একটি প্রফেশনাল লোগো ব্যবহার করুন। একটি প্রফাইল পিকচার সেট করুন। কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন। একাউন্ট এর জন্য বর্ণনা লিখুন। ট্র্যাগ ব্যবহার করু্ন। একাউন্ট-এ আপনার কাজের পোর্টফলিও এড করুন। পোর্টফলিও যে কাজের অভিজ্ঞিতাই হবে এমন নয়। আপনার চর্চা করা কাজের ডকুমেন্টও আপনার পোর্টফলিও হতে পারে। কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকলে চর্চা করার ডকুমেন্ট সাবমিট করুন।

ফাইভার গিগ মার্কেটি করে প্রথম অর্ডার

এবার কাজের অর্ডার পাওয়ার জন্য আপনার একাউন্টটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। যতোবেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন, ততো বেশি অর্ডার পাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হবে। তাছাড়াও আপনার সকল সোশ্যাল মিডিয়ার লিঙ্ক একাউন্টের সাথে এড করে দিন। দেখবেন অর্ডার আসতে শুরু করবে। আর এভাবেই শুরু হবে বাংলাদেশী ইনকাম সাইট থেকে টাকা ইনকাম।

বিক্রয় ডট কম (Bikroy.com) টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট:

বিক্রয় ডট কম একটি পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করার অনলাইন সাইট। যেটার শুরু হয়েছিল পুরাতন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য। তবে বর্তমানে নতুন-পুরাতন সকল পণ্যই ক্রয়-বিক্রয় করা হয় এই সাইটে। বিক্রয় ডট কম-এ লক্ষ লক্ষ ভিজিটর আছে। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ পণ্য ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। আপনি চাইলে বাংলাদেশী অনলাইন ইনকাম সাইট হিসেবে বিক্রয় ডট কম কে বেছে নিতে পারেন। বিক্রয় ডট কম থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।

বিক্রয় ডট কম থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে, প্রথমেই বিক্রয় ডট কম-এ একাউন্ট খুলতে হবে। আর একাউন্ট খুলার জন্য আগেই সাইটগুলোর মতোই প্রয়োজন হবে;

  • একটি ইমেইল আইডি।
  • মোবাইলফোন/ ডেক্সটপ/ ল্যাপটপ কম্পিউটার।
  • একটি একটিভ মোবাইল নাম্বার।
  • এবং দ্রুতগতির ইন্টার সংযোগ।
  • ইউজারনেম ব্যবহার করুন।
  • একটি স্ট্রং পার্সওয়ার্ড দিয়ে ক্রিয়েট একাউন্টে ক্লিক করুন।

এভাবেই একটি প্রফেশনাল একাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারবেন। একাউন্ট ক্রিয়েট করা হয়ে গেলে, একাউন্টটি সেটিং করুন। ভালো সেটিং করুন। এবার আপনার যেকোনো পুরাতন জিনিসের ছবি তুলুন। তারপর ভালো করে এডিট করুন। আর বিক্রয় ডট কম এর একাউন্ট আপলোড করুন। পণ্য দামসহ বিস্তারিত তুলে ধরুণ। দেখবেন প্রচুর কাস্টমার পেয়ে যাবেন। পণ্য বিক্রয় করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার আশেপাশে থেকে পুরাতন জিনিস ক্রয় করুন। সেগুলো বিক্রয় ডট কম-এ বিক্রয় করুন। অল্প টাকায় কিনবেন। বেশি টাকায় বিক্রয় করবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায়

আর পেমেন্ট তো আপনি যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। অথবা সরাসরি গ্রাহকের থেকে টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন।

দারাজ টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট:

দারাজ হলো বাংলাদেশের সবথেকে বড় ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান। দারাজ এর নিজের অল্প কিছু পণ্য থাকলে অন্যদের পণ্য বিক্রয় করে থাকে। দারাজ এর ওয়েবসাইটে প্রচুর পণ্য আছে। দেশী বিদেশী কোম্পানির পণ্য আছে। দারাজের আছে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। আপনি চাইলেই দারাজ এর পণ্য বিক্রয় করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বাংলাদেশী টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট দারাজ থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে, প্রথমে দারাজ একটি একাউন্ট খুলতে হবে। আর আমরা জানি একাউন্ট খুলার জন্য কি করতে হবে। উপরের প্রক্রিয়া ফলো করুন।

তারপর দারজা এর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হতে হবে। কোন পণ্য নিয়ে অ্যাফিলিয়ট মার্কেটিং করতে চাই তা সিলেক্ট করুন। এবার দারাজ আপনাকে সেই পণ্যের লিঙ্ক দিবে। এই লিঙ্ক নিয়ে আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে। আপনার যে ট্রাফিক আছে তাদের কাছে পণ্যের লিঙ্কটিকে প্রমোট করতে হবে। এভাবে যখন সেই পণ্য সেল হবে তখন আপনি একটি কমিশন পাবেন। দারাজের পণ্য অনেক সেল করা যায়। তাই ইনকাম বেশি হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি।

কিভাবে মার্কেটিং করবেন? আপনার যদি কোনো ইউটিউব চ্যানেল থাকে। আর এই ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে দারাজ থেকে প্রাপ্ত লিঙ্ক টি প্রোমট করুন। আবার আপনার যদি কোনো ফেসবুক পেজ থেকে তাহলে এই পেজে সেই লিঙ্কটি প্রোমট করুন। ব্যস আপনার কাজ শেষ। এবার শুধু ইনকাম আর ইনকাম। এভাবেই আপনি বাংলাদেশী অনলাইন ইনকাম সাইট দারাজ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট বিকাশ:

বাংলাদেশী টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে বিকাশ থেকে খুব সামান্য পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন বিকাশ এ্যাপস রেফার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার পরিচিত বন্ধুদেরকে বিকাশ এ্যাপস রেফার করুন। আর টাকা ইনকাম করুন।এই টাকা পরিমাণ খুবই সীমিত। তাছাড়াও বিকাশ কিছু বোনাস, অফার দিয়ে থাকে। এসব অফার ও বোনাস থেকে অনলাইন টাকা ইনকাম করতে পারেন। আগেই বলেছি এই ইনকাম হবে কিঞ্চিৎ পরিমাণ। তবে প্রথমে যদি কিছু টাকা খরচ করতে পারেন, তাহলে বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে বিকাশ এর এজেন্ট নিতে হবে। বিকাশ এর ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট দিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

টেন মিনিট স্কুল:

বাংলাদেশী ইনকাম সাইটের মধ্যে টেন মিনিট স্কুল একটি। টেন মিনিট স্কুল এর আছে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। টেন মিনিট স্কুল এর বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক কোর্স আছে। যেমন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিংসহ আরো অনেক কোর্স আছে। এসব কোর্স বিক্রয় করতে হবে। টেন মিনিট স্কুলের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে। এই প্রোগ্রামের অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করলে তারা আপনার একাউন্ট অনুমোদন করে দিবে।

এবং আপনাকে একটি লিঙ্ক দিবে। এই লিঙ্কটি মার্কেটিং করতে হবে। যতো বেশি কোর্স বিক্রয় করতে পারবেন, ততো বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ইনকাম আসবে কমিশন থেকে। কোর্স সেল নাই আপনার কমিশন নাই। তাই যেকোনো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মতো টেন মিনিট স্কুলের কোর্স বিক্রয় করে ইনকাম করতে হলে, আপনার ট্রাফিক থাকতে হবে। যদি ট্রাফিক না থাকে তাহলে খুব ভাল এসইও এবং ডিজিটাল মার্কেটিং জানতে হবে। আর পেইড মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারবেন। টেন মিনিট স্কুল বাংলাদেশী সাইট।

তাই এখান থেকে যে পরিমাণ টাকা ইনকাম করবেন, সেটি উত্তোলনের জন্য বাংলাদেশী ব্যাংক একাউন্ট বা বাংলাদেশের যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট ব্যবহার করে পেমেন্ট উত্তোলন করতে পারবেন। এভাবেই বাংলাদেশী অনলাইন ইনকাম সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

শিখো/ বাংলাদেশী অনলাইন ইনকাম সাইট:

শিখো হলো টেন মিনিট স্কুলের মতো অনলাইন ভিত্তিক একটি শিক্ষা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এদেরও অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা প্রোগ্রাম আছে। একাডেমিক কোর্স, টেকনিক্যাল কোর্স, কম্পিউটার কোর্সসহ প্রচুর কোর্স। শিখোর আছে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। শিখো থেকে অনলাইনে ইনকাম করতে হলে। শিখোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে হবে।

তারা আপনার আবেদনটি যাচাই-বাছাই করবে। সব ঠিক থাকলে আপনার আবেদনটি অনুমোদন করে দিবে। আপনাকে একটি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দিবে। সেই লিঙ্কটিকে মার্কেটিং করতে হবে। তাদের কোর্স সেল করতে হবে। যতো বেশি সেল ততো বেশি ইনকাম। সেল নাই ইনকাম বা কমিশন নাই। তাই মার্কেটিং এর সব আধুনিক স্ট্রেটেজি ব্যবহার করুন। এসইওতে ভালো জ্ঞান অর্জন করুন। তাহলে দেখবেন, সেল বাড়বে। আপনার কমিশনও বাড়বে।

টাকা ইনকামের করার ওয়েবসাইট এক্সনহোস্ট

এক্সনহোস্ট হলো বাংলাদেশী ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের প্রধান কাজ হলো ডোমেইন, হোস্টিংসহ ওয়েবসাইট সর্ম্পকিত সকল সার্ভিস প্রদান করে থাকে। এক্সনহোস্ট এর আছে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। আপনি চাইলে ফ্রিতেই এক্সনহোস্ট এর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করতে পারবেন। কোনো প্রকার ফ্রি প্রদান করতে হবেনা।

এক্সনহোস্ট এর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার পরে আপনাকে প্রতিটি পণ্যের জন্য একটি ইউনিক ইউআরএল দিবে। এসব ইউনিক ইউআরএল নিয়ে আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে। তাদের ডোমেইন, শেয়ার হোস্টিং, পাইভেট হোস্টিং সার্ভিস প্যাকেজ আছে। এগুলোর ইউনিক ইউআরএল বিক্রয় করতে হবে।

টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট স্বাধীন কাজ ডট কম

এটি অনলাইন ভিত্তিক বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট। আপনি চাইলে এখানে একাউন্ট খুলতে পারবেন। আমার মনে একাউন্ট খুলার জন্য কি করতে হবে। তা আপনার জানা আছে। উপরোল্লিখিত উপায়ে একাউন্ট তৈরি করুন। একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে প্রফাইলটি প্রফেশনালি সেটিং করুন। এটি একটি বাংলাদেশী সাইট। তাই কাজ করার পর পেমেন্ট নিয়ে ঝামেলা হবে। বাংলাদেশী ব্যাংক এর মাধ্যমে বা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। এই সাইট থেকেও ইনকাম খুব বেশি হবেনা।

উপসংহার:

পরিশেষে উপরের আলোচনা থেকে আমি বলতে পারিযে, আপনি যদি বাংলাদেশী টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে এসব সাইটে একাউন্ট তৈরি করুন। আপনার প্রফাইল সেটিং করুন। ভালো মানের একটি লোগো সেট করুন। প্রফাইল পিকচার আপলোড করুন। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ার লিঙ্ক এড করুন। আবার সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। দেখবেন একটা সময়ের পর ঠিকই ইনকাম শুরু হবে। ততোদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কোন বাংলাদেশী অনলাইন ইনকাম সাইটটি আপনার ভালো লেগেছে তা উল্লেখ করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top