আজকে আমি আলোচনা করবো, ফাইভার Gig Marketing কি? কিভাবে একটি Gig Marketing করে প্রথম পেজে নিয়ে আসা যায়। ফাইভার Gig Marketing করে প্রথম অর্ডার পাওয়া উপায়। এসব বিষয়ে থাকছে বিস্তারিত আলোচনা।
ফাইভার হলো অনলাইন ভিত্তিক একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস হওয়ায়, যেকোনো ধরণের অনলাইন পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় হয়। ফাইভার ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ফাইভারে শুরুতে মাত্র ফাইভ-ডলারের কাজ করার জন্য গিগ পাবলিশ করা যেত। তাই এই মার্কেটপ্লেসটির নাম করা হয়েছিল ফাইভার। অর্থাৎ ফাইভ থেকেই ফাইভার নামটি দেওয়া হয়েছিল। যদিও ২০১৪ সালের পর থেকে তাদের এই ফাইভ ডলারের গিগের সীমাবদ্ধতা উঠিয়ে দিয়েছেন।
তারপর থেকেই ফাইভার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ফাইভার এখন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর মাধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে। ফাইভারের ওয়েবসাইটে আছে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন গিগ। এবং প্রচুর বায়ার ফাইভার ভিজিট করেন। এবং ফাইভার থেকে ফ্রিল্যান্সার নিয়ে তাদের কাজ করান। ফাইভার গিগ কি? ফাইভার গিগ মার্কেটিং করতে হলে আমাদের আগে জানতে হবে ফাইভার গিগ কি জিনিস? ফাইভার একাউন্ট, মার্কেটিং ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকতে হবে। তাহলে আমাদের জন্য বুঝতে সুবিধা হবে। তাই আমরা শুরু থেকে ধাপে ধাপে অগ্রসর হবো।
আরো পড়ুন: ফাইভার একাউন্ট তৈরির উপায়।
ফাইভার একাউন্ট:
ফাইভার একাউন্ট খুলার জন্য আপনার কিছু জিনিস প্রয়োজন হবে। কি কি লাগবে তা নিম্নে দেখে নেওয়া যাক।
- একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যেমন, মোবাইল ফোন, বা কম্পিউটার।
- ইন্টারনেট কানেকশন
- একটি ই-মেইল আইডি
- এবং একটি সচল মোবাইল নাম্বার
এগুলো যখন আপনার কাছে আছে। তখন আপনি একটি ফাইভার একাউন্ট খুলতে পারেন। একাউন্ট খুলার জন্য, আপনার ডিভাইস থেকে একটি ব্রাউজার ওপেন করুন। তারপর Fiverr.com লিখে সার্চ করুন। এবার ফাইভার ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ইমেইল আইডি দিয়ে সাইনআপ করুন। তারপর কিছু নির্দেশনা ফলো করুন। আর ধীরে ধীরে সবগুলো ধাপ অতিক্রম করে একটি প্রফেশনাল ফাইভার একাউন্ট খুলে ফেলুন। ফাইভার একাউন্ট খুলা হয়ে গেল। এবার ভালো করে সেটিং ঠিক করুন। সেটিং ঠিক করার জন্য নিচের পরামর্শ ফলো করতে পারেন।
- প্রোফাইল পিকচার
- ইমেজ অপটিমাইজেশন
- কী-ওয়ার্ড
- ডেসক্রিপশন
- ভাষা
- স্কিল
- সার্টিফিকেশন
আপনার একাউন্টে সেটিং ঠিক করুন। এসকল সেটিং যখন করবেন, তখন আপনার একাউন্টে ফাইভার Gig পাবলিশ করার উপযুক্ত হবে।
স্কিল টেস্ট:
ফাইভারে যখন গিগ পাবলিশ করার সময় টেস্ট দিতে হয়। ফাইভার স্কিল টেস্ট দিতে হয়। এবং ফাইভার ইংলিশ টেস্ট দিতে হবে। টেস্ট দেওয়া হলে আপনার ফাইভার একাউন্ট এর কাজ শেষ।
- অনলাইনে ইনকাম করার উপায়! মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকামের সহজ উপায়অনলাইনে ইনকাম করার উপায় নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। অনেকে বলতে পারেন। অনলাইনে ইনকাম করার উপায় নেই। আসলেই, টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় নেই। শান্ত সমুদ্রে দক্ষ নাবিক হওয়া যায় না। টাকা ইনকাম করতে হলে প্ররিশ্রম করতেই হবে। কথায় আছে, পরিশ্রমই সৌভাগের প্রসূতি। সহজে পাওয়া জিনিসের… Read more: অনলাইনে ইনকাম করার উপায়! মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকামের সহজ উপায়
- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়;কম্পিলিট গাইডলাইন!মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় জানতে চাচ্ছেন? তাহলে, আমাদরে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য সহায়ক হবে। অনলাইন ইনকামের অনেক উপায় থাকলেও, মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় খুব বেশি নাই। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার… Read more: মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়;কম্পিলিট গাইডলাইন!
- ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি! ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেস্ট কোর্স কোনটি!ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি? জানতে হলে দুটি ফ্রিল্যান্সিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং দুইটি বিষয় সর্ম্পকে জানতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং এই দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আশাকরি কনসেপ্ট ক্লিয়ার হয়ে যাবে। বর্তমান ইনকামের সহজ উপায় হলো ফ্রিল্যান্সিং। বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং তুমুল জনপ্রিয়। দিন দিন ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।… Read more: ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি! ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেস্ট কোর্স কোনটি!
- ছোট ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে বের করার গুরুত্বপূর্ণ টেকনিকছোট ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন? অল্প পুঁজিতে ছোট-খাটো একটি ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন। আমাদের আজকের পোস্টে খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো, কিছু জনপ্রিয় এবং লাভজনক ছোট ব্যবসার আইডিয়া। ছোট ব্যবসার আইডিয়া পাওয়া সহজ নয়। অনেকগুলো বৈশিষ্ট্র্য যাচাই-বাছাই করতে হয়। এরপর, ব্যবসা শুরু করা যায়। সত্যি কথা… Read more: ছোট ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে বের করার গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক
ফাইভার Gig:
ফাইভার গিগ হলো মূলত কাজের প্রস্তাবনা। যা ফাইভারের টেকনিক্যাল ভাষায় বলে গিগ। আপনি ফাইভার-এ যে, একাউন্ট ক্রিয়েট করেছেন। সেই একাউন্টের গিগ অপশনে আপনার কাজের সমস্ত বর্ণনা দিয়ে গিগ পাবলিশ করতে হয়। ফাইভার গিগের মধ্যে আপনি কি কাজ করবেন? এই কাজের রেট কতো নিবেন? কাজের অভিজ্ঞতা কতো দিনের আছে। কতো দিনের মধ্যে কাজটি শেষ করবেন। এসব নিয়ে একটি রেজুলেশন আকারে প্রকাশ করতে হবে। যেন একজন বায়ার আপনার গিগটি দেখেই বুঝতে পারেন আপনি কোন কাজের পারদর্শী। কোন কাজ করতে পারবেন ইত্যাদি।
প্রফেশনালি গিগ মার্কেটিং করতে হল একটি গিগ পাবলিশ করার যেধাপগুলো আছে তা জানতে হবে। কারণ একটি ভালোমানের গিগ তৈরি করাই হলো ফাইভার গিগ মার্কেটিং এর প্রাথমিক ধাপ। কিভাবে একটি ভালোমানের গিগ তৈরি করা যায় তা দেখবো:
- গিগের টাইটেল
- ক্যাটগরি
- সাব-ক্যাটগরি
- প্ল্যাটফরম
- মেটা-ট্যাগ
- ট্যাগ,
- প্যাকেজ এর ক্যাটাগরি,
- প্যাকেজ এর মূল্য নির্ধারণ,
- রিভিশন,
- বর্ণনা,
- প্রশ্ন-উত্তর বা Q&A
- রিকিউয়ারমেন্ট
- গিগ ইমেজ
- স্কিল টেস্ট
- পাবলিশ
Gig Marketing স্ট্র্যটেজি:
প্রচারেই প্রসার, ব্যবসায় এই কথাটির গুরুত্ব অপরিসীম। মার্কেটিং হলো মূলত পণ্য বিক্রয় করার উপায়। কোনো ব্যবসার সেল বাড়ানোর জন্যই মার্কেটিং করতে হয়। ভালো মার্কেটিং করতে পারলে কোম্পানি অল্প দিনেই লাভের মুখ দেখতে পারে। দশ টাকার চিপস এর প্যাকেটে মার্কেটিং খরচ পাঁচ টাকা। তাই ব্যবসার জন্য মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কেটিং-এ একটি পণ্য বা ব্র্যন্ড সর্ম্পকে তার ক্রেতাদের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। কাস্টমারের চাহিদা তৈরি করাই মার্কেটিং এর মূল্য উদ্দেশ্য। মার্কেটিং-এ ভালো করতে হলে আত্মবিশ্বাস থাকতে হয়। মরুভূমির দেশে নৌকা বিক্রি করা। আর যার মাথায় চুল নাই তার কাছে চিরুনী বিক্রি করতে পারা হলো একজন দক্ষ মার্কেটিং ম্যানেজারের দক্ষতার পরিচয়।
কিভাবে ফাইভার Gig Marketing করবেন:
এবার ফাইভার Gig মার্কেটিং-এ আসা যাক; ফাইভারে যেগিগ আপনি পাবলিশ করেছেন, সেই Gig বায়ারের কাছে পৌঁছানোই হলো মূল উদ্দেশ্য। কারণ বায়ারগণ আপনার গিগের কাস্টমার। বায়ারগণের সামনে আপনার গিগ গেলে তারা আপনার গিগটি দেখবেন। ভালো করে যাচাই বাছাই করবেন। তারপর আপনার সাথে যোগাযোগ করে অর্ডার প্লেস করবেন। আপনি কাজ করে কাজ জমা দিবেন। কাজ বুঝে পেয়ে বায়ার গ্রিন সিগন্যাল দিলে ফাইভার থেকে আপনার কাজের পেমেন্ট আপনার একাউন্টে জমা করা হবে। আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিতে পারবেন।
ফাইভার Gig Marketing করার উপায়:
ফাইভার Gig মার্কেটিং করার অনেকগুলো সূক্ষ্ম নিয়ম আছে। এসব নিয়ম বা উপায় অনুসরণ করলে আপনার গিগ আপনা-আপনি Rank করবে। গিগের ইম্প্রেশন বাড়বে। গিগে ক্লিক বাড়বে। আরো বেশি বেশি অর্ডার প্লেস হবে। আপনার উপার্জন বাড়তে থাকবে। সচরাচর দেখা যায় যে, আপনি যতো ভালো গিগ তৈরি করুন না কেন, কিছু ট্রিক্স ফলো না করলে আপনার আপনার গিগের ইম্প্রেশন বাড়বে না। আর স্বভাবতই ইম্প্রেশন না বাড়লে ক্লিক বাড়বে না। ক্লিক না বাড়লে অর্ডার আসবে না।
আর যদি অর্ডার না আসে তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ফাইভারে একাউন্ট তৈরি করে গিগ পাবলিশ করা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। এই অবস্থানে আবদ্ধ না থাকতে চাইলে নিম্নের দেওয়া পরামর্শগুলো অনুসরণ করুন।
রিসার্চ টার্গেটেড কী-ওয়ার্ড:
আপনার ফাইভারের গিগের জন্য একটি টার্গেটেড কী-ওয়ার্ড থাকবে। আর সেই কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করে আপনাকে বের করতে হবে। কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করার অনেক ফ্রি টুলস আছে এগুলো ব্যবহার করে আপনার গিগের জন্য টার্গেটেড কী-ওয়ার্ড খুঁজে বের করুন।
- Google AdWords; Keyword Planner
- Soovle
- Keyword shitter
- Google Trends
- Answer the Public
- Keywords Everywhere
- Moz Keyword Explorer
- Keyword Tool Dominator
- Wordtracker
- Suggestion Keyword Finder
এসব কি-ওয়ার্ড টুলস খুবই জনপ্রিয়। আপনি আপনার গিগের জন্য যেকোনো একটি ব্যবহার করে আপনার টার্গেটেড কী-ওয়ার্ড বের করতে পারবনে।
টাইটেল-এ মূল কী-ওয়ার্ড:
আপনার গিগের জন্য একটি ছোট এবং সুন্দর এবং প্রফেশনালমানের টাইটেল দিতে হবে। আর মনে রাখবেন গিগের টাইটেলে যেন আপনার রিসার্চ করা টার্গেটেড কী-ওয়ার্ড টি থাকে। একটি গিগ Rank করার জন্য প্রধান যেফ্যাক্টর কাজ করে তাহলো একটি সঠিক টাইটেল। বায়ার একটি গিগের টাইটেল লিখে সার্চ করেন। এবং তার পছন্দের গিগটি খুজেঁ বের করেন। বলা হয় যে, ফাইভারের Gig Rank এর পিছনে টাইটেল একাই ভূমিকা রাখে ৩০% এর থেকে বেশি।
আই ক্যাচিং টাইটেল:
আপনার গিগের টাইটেল অবশ্যই ক্যাচিং হতে হবে। টাইটেলে এমন কিছু ওয়ার্ড রখতে হবে যেন, বায়ার দেখা মাত্র আপনার গিগে ক্লিক করতে বাধ্য হয়। তাতে দেখা যাবে আপনার অর্ডার বেড়ে যাবে।
ইউনিক টাইটেল দিতে হবে:
সব সময় চিন্তা করবেন একটি ইউনিক টাইটেল দিতে। ইউনিক টাইটেল দেখলে বায়ারদের মনোযোগ করবে। তাছাড়া ফাইভার সিস্টেম পছন্দ করে। গিগ অপটিমাইজেশন হতে সহয়তা করে। তাই সবসময় চেষ্টা থাকবে একটি ইউনিক টাইটেল দিতে।
টাইটেলে শব্দ/ বর্ণ সংখ্যা:
একটি ফাইভার গিগে কতো গুলো শব্দ ব্যবহার করা যাবে? এমন প্রশ্ন হর-হামেশাই শুনতে পাই। তাই এখন উত্তরটি বলি: একটি ভালোমানের ফাইভার গিগ তৈরি করার জন্য সর্বনিম্ন ৪-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, একটি গিগে সর্বনিম্ন ১৫ ক্যারেক্টার এবং সর্বচ্চো ৮০ ক্যারাক্টার লিখতে পারবেন। তবে সফল ফ্রিল্যান্সারদের মতামত হলো ৫০ ক্যারাক্টার এর মধ্যে গিগ রাখতে চেষ্টা করবেন। তাতে সুবিধা হলো একজন বায়ার যখন গিগ সার্চ করেন তাখন গিগের সম্পূর্ণ টাইটেল দেখতে পাবেন। এটা তাঁর জন্য সুবিধাজনক ব্যাপার।
ফাইভার Gig ক্যাটাগরি:
টাইটেল এর কাজ শেষ হলো আপনাকে একটি ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে। ফাইভার গিগ Rank করার জন্য, গিগের ক্যাটাগরি সিলেক্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন কথা হলো ক্যাটাগরি কিভাবে সিলেক্ট করবেন কিভাবে? আপনি তো আর আগে থেকেই জানেন না কোন কী-ওয়ার্ড জন্য কোন ক্যাটাগরি বেস্ট। তাই আমার পরামর্শ হলো প্রথমে ফাইভার গিয়ে সেই কী-ওয়ার্ড দিয়ে গিগ সার্চ করুন। এবার প্রথম দিকের কিছু গিগের ক্যাটাগরি দেখুন তারা কোন ক্যাটাগরি সিলেক্ট করেছেন। তাদের বেশির ভাগ যে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করেছেন, আপনিও সেই ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে পারেন। কারন ক্যাটাগরি সিলেক্ট এর ক্ষেত্রে কপিরাইট বা প্ল্যাগারিজম ধরার কিছু নেই।
Gig মেটাডাটা:
গিগের একটি মেটাডাটা সিলেক্ট করতে হবে। মেটাডাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই গিগের মেটাডাটা দেওয়ার সময় একটু ভাবনা চিন্তা করে তারপর গিগের মেটাডাটা ব্যবহার করবেন।
ফাইভার মার্কেটিং করতে হলে গিগের ট্যাগ ব্যবহার করুন।
ফাইভারে গিগের ট্যাগ, গিগের Rank করার জন্য ফিফটি পাসেন্ট কাজ করে। গিগের ট্যাগে অবশ্যই আপনার গিগের মূল কী-ওয়ার্ড টি যেন থাকে তা নিশ্চয়ত করবেন।
- গিগে মোট ৫টি ট্যাগ ব্যবহার করতে পারবেন।
- একটি ট্যাগে মোট ২০টি ক্যারেক্টার ব্যবহার করতে পারবেন।
- গিগে মূল কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।
ফাইভার Gig প্যাকেজ তৈরি:
আপনার ফাইভার গিয়ের জন্য একটি প্যাকেজ তৈরি করতে পারবেন। এই প্যাকেজ তিনটি সাব-প্যাকেজ দেখাতে পারবেন। যেমন, শুরুতে থাকবে-
- Basic
- Premium
- Standard
এই তিনটি প্যাকেজের জন্য আলাদা করে প্রাইস নির্ধারণ করতে পারবেন।
ফাইভার Gig বর্ণনা:
একটি ফাইভার Gig Rank করার পিছনে ডেসক্রিপশনের ভূমিকা অপরিসীম। গিগের বর্ণনার মধ্যে গিগটি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরবেন। গিগের শুরুতে বায়ারের মনোযোগ আর্কষণ করবেন। তারপর কি কি অফার আছে সেসব বলবেন। তারপর আপনার কাজের অভিজ্ঞতা জানাবেন। ইত্যাদি।
কাস্টম থাম্বনেইল ইমেজ:
ফাইভার গিগের মূল আর্কষণ হলো কাস্টম থাম্বনেইল ইমজ। থাম্বনেইল ইমেজ আর্কষণীয় হতে হবে। কারণ থাম্বনেইল হলো গিগের মোড়ক স্বরুপ। গিগ থাম্বনেইল দেখে ভালো লাগলে থাম্বনেইলে ক্লিক করবে। তারপর গিগের সব কিছু দেখে আপনার কাজের অফার করবে। তাই গিগের থাম্বনেইল ইমেজ খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সবসময় একটিভ থাকার চেষ্টা করুন:
ফাইভার Gig থেকে অর্ডার পেতে চান? তাহলে এই টিকসটি অনুসরণ করুন। ফাইভারে কাজ পেতে প্রথমে যেকাজটি করতে হবে। গিগে অর্ডার পেতে হলে, গিগে ক্লিক প্রয়োজন। আর ক্লিক এর জন্য প্রয়োজন ইম্প্রেশন। আর ইম্প্রেশন এর জন্য প্রয়োজন ফাইভার একাউন্টিকে লগইন রাখা। ফাইভার সাইটে যতো বেশি ভিজিট করবেন। ততো বেশি ইম্প্রেশন পাবেন। ইম্প্রেশন বেশি হলে ক্লিক বেশি হবে। আর ক্লিক বেশি হলে অর্ডার পাওয়ার সম্ভবনা বেশি হবে। পরমর্শ হলো প্রথমে দিনে ১৮-২০ ঘন্টা লগইন থাকুন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার:
ফাইভার গিগি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। যতোবেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন, ততোবেশি ক্লিক ইম্প্রেশন পাবেন। আর আপনার অর্ডার পাওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যাবে।
Quora ব্যবহার করে Gig Marketing করুন:
এসইও স্পেশালিস্টরা বলে থাকনে যে, Quora marketing করে ফাইভারে প্রথম অর্ডার পেতে পারেন। Quora Account তৈরি করুন। এটি এমন একটি সাইট যেখানে, আপনি মানুষের প্রশ্ন উত্তর পর্বের মাঝে আপনার গিগের লিংক শেয়ার করতে পারবেন। এখান থেকে গিগের ক্লিক পাবেন। অর্ডার পাবেন। তাই বলবো, নিয়মিত Quora Marketing করুন।
ফোরাম এর মাধ্যমে ফাইভার Gig Marketing করুন:
ফোরামের মাধ্যমে মার্কেটিং করুন। ফাইভার ফোরামে গিয়ে জয়েন করুন। আর নিয়মিত ফোরামের আপডেট থাকবেন। তাহলে নতুন নতুন স্ট্রেটেজি পাবেন। যেগুলো ফলো করে ফারভার গিগ মার্কেটিং করে প্রথম অর্ডার পেয়ে যাবেন।
লিংকডইন ব্যবহার করে ফাইভার Gig Marketing করুন:
লিংকডইন ব্যবহার করুন। কারণ লিংকডইনকে বলা হয় বায়ারের খনি। এটি একটি প্রফেশনাল সাইট। পৃথিবীর সকল বড় বড় কোম্পানির সিইওদের পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে। তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। তাছাড়া এখানে Gig মার্কেটিং করে সরাসরি বায়ারের সাথে কাজ করতে পারবেন। অনেক অর্ডার পাবেন। তাই আমি বলবো লিংকডইন মার্কেটিং করুন।
বায়ারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করুন:
যখন প্রথম অর্ডার পাবেন। কাজটি সাবমিট ডেডলাইনের আগেই সাবমিট করুন। যত্নসহকারে কাজটি করুন। কাজ সাবমিট করার আগে বায়ারকে ফলোআপা করতে বলুন। কোনো ভুল হলে, ঠিক করে দিন। যতোটুকু কাজের জন্য অর্ডার পেয়েছেন তার থেকে বেশি করে দিন। রিভিশনের প্রয়োজন হলে রিভিশন করুন। এবং কাজ শেষে বায়ার থেকে ৫-স্টার রেটিং নিন। এই কাজগুলো করলে তার সাথে আপনার সর্ম্পকে বিল্ডআপ হবে। আরো অর্ডার পাবেন। এভাবেই ফাইভার গিগটি ভালো অবস্থানে চলে আসবে।
উপসংহার:
উপরের আলোচনা থেকে আমি বলবো যে, Gig তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রফেশনালি Gig তৈরি করবেন। গিগ টাইটেল, ক্যাটাগরি, ট্যাগ, ডেসক্রিপশন, থাম্বনেইল ইমেজটা ব্যবহার করুন। এভাবেই ফাইভার গিগ মার্কেটিং করে প্রথম অর্ডার পেতে পারেন। প্রথম অর্ডার পেলে সেটিতে ৫-স্টার রেটিং নিবেন। তারপর থেকে আপনার গিগ প্রথম পেজে চলে আসতে থাকবে। আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শক্ত ভিত্তির উপর দাড়াবে। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।