ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম/মনিটাইজেশনের শর্ত ২০২৪

YouTube কতো ভিউ থেকে কতো টাকা দেয়? বা ইউটিউব কতো সাবসক্রাইবারে কতো টাকা দেয়? বা প্রতি ১০০০ ভিউসে ইউটিউব থেকে কতো  টাকা ইনকাম হয়। এমন প্রশ্ন নতুন ইউটিউবার থেকে ভিউয়ার সবার মুখে মুখে। আপনি ইউটিউবিং করেন আর না করেন। প্রশ্নের উত্তরটা আপনার জানা দরকার। ইউটিউব তার কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কতো টাকা দেয়। ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে চান? ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেল আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে।

কিভাবে টাকা দেয়। কেন টাকা দেয়। ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার শর্ত কি কি? এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আমাদের আজকের আর্টিকেলে। তাহলে আর দেরিনা করে আসুন শুরু করি মূল আর্টিকেল।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম এর উৎস কি:

এখন আমরা দেখবো কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। ইউটিউব থেকে কতো ভিউ থেকে কতো টাকা পাওয়া যায়। এসবের আদ্যোপান্ত জানবো। শুরুতে আমরা জানবো, ইউটিউব যে টাকা দেয় তার উৎস কি? ইউটিউব কোথায় থেকে টাকা দেয়।তাদের পকেট বা ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা দেয়। ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটদের তাদের ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা দেয়না। তাহলে কিভাবে দেয়?

ইউটিউব যেহেতু অনলাইন ভিত্তিক জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। ইউটিউবে প্রতিদিন কোটি কোটি ভিজিটর ভিজিট করে। তাই কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্যের প্রচার করে ইউটিউবে। আর প্রচার করার জন্য, এই অনলাইন ভিত্তিক ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তারা তাদের পণ্যের প্রচার করার জন্য ইউটিউব কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে।

 তাদেরকে বিগ বাজেট দেয়। ইউটিউবের যেসব চ্যানেলে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভিউ হয়, সেই সব চ্যানেলে তাদের পণ্যের প্রচার চালানোর জন্য। তার জন্য তারা হিউজ পরিমাণ পেমেন্ট করে থাকে।

ইউটিউবের বিজ্ঞাপনের টাকা কিভাবে বন্টন হয়:

প্রথমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য যেপরিমাণ টাকা দেয়, এটাই ইউটিউবারদের ইনকামের মূল উৎস। এই টাকা ইউটিউব কিভাবে বন্টন করে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন প্রচার করার জন্য ইউটিউবকে যেটাকা প্রদান করে। সেই টাকা ইউটিউব এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্য বন্টন করা হয়। ৫৪-৪৬ রেশিওতে ভাগ করা  হয়।

৫৪% টাকা দেওয়া হয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে। আর বাকি ৪৬% টাকা ইউটিউব কর্তৃপক্ষের। তারা নিজেদের কাছে রেখে দেয়। ইউটিউব কখনো নিজেদের টাকা ইউটিউবারদের কে দেয় না। বরং উল্টো হয়। আপনার, আমার টাকা ইউটিউব কর্তৃপক্ষ কেটে রাখে। অর্থাৎ আপনাকে দিয়ে ইউটিউব ১০০ ডলার ইনকাম করালে। সেখান থেকে আপনি পাবেন ৫৪-ডলার। আর ইউটিউব পাবে বাকি ৪৬ ডলার।

প্রতি ১০০০ ভিউয়ের জন্য ইউটিউব কতো টাকা দেয়। আসলে ইউটিউব থেকে ভিউয়ের জন্য কোন টাকা প্রদান করে না। আবার যদি বলেন ভিউ ছাড়া ইউটিউব একটি টাকাও দেয়না। তাও চিরন্তন সত্যি কথা। তাহলে কিভাবে টাকা প্রদান করে। আসলে ইউটিউব এর অর্থ ইনকাম করার কিছু শর্ত আছে। এসব শর্ত পূরণ করতে হয়। শর্ত পূরণ হলে গুগল এডসেন্স বা গুগল এর পার্টনার প্রোগামে যুক্ত হতে হয়। তারপর গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকামের বিষয়ে সবিস্তারে তুলে ধরবো।  

এবার আমরা ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করবো। শুরুতে আমরা দেখবো কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়। কারণ আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে। তাহলে ইউটিউব কতো ভিউ থেকে কতো টাকা দেয় তা জানার জন্য আগ্রহ থাকবে। আর আমার মনে হয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির এই সময়ে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকা জরুরি।, একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকা আপনার স্মার্টনেসের বহি:প্রকাশ। এখন যেমন ফেসবুক একাউন্ট প্রত্যক মানুষের আছে। তেমনই ইউটিউব চ্যানেল থাকাও স্বাভাবিক।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

কিভাবে একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন। আসুন দেখে নেয়া যাক। ইউটিউব চ্যানেল খুলার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে;

  • প্রথমেই একটি মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থাকতে হবে।
  • ইন্টারনেট সংয়োগ
  • একটি ইমেইল আইডি
  • একটি সচল মোবাইল নাম্বার

এগুলো যেহেতু আপনার হাতের কাছে আছে। তাহেল আসুন খুলে নেওয়া যাক প্রফেশনালমানের ইউটিউব চ্যানেল। আপনার ডিভাইসের ব্রাউজার থেকে একটি ব্রাউজার ওপেন করুন। তারপর YouTube.com লিখে সার্চ করুন। যদি মোবাইল দিয়ে কাজ করেন, তাহলে মোবাইল থেকে ডেস্কটপ ভার্সন করে নিন। তাহলে মোবাইল থেকেই কম্পিউটারের মতো কাজ করতে পারবেন। এবার ডিভাইসের মনিটারের উপরের ডানপাশে প্রফাইল আইকনে ক্লিক করুন।

তারপর Create your Channel অপশন পাবেন। এবার আপনার চ্যানেলের নাম দিন। একটি হ্যান্ডেল ঠিক করুন। তারপর ক্রিয়েট বাটন প্রেস করুন। আপনার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে।

এবার এই সাধারণ চ্যানেলটা অসাধারন করে নিন। অর্থাৎ চ্যানেলের সেটিং গুলো ঠিক করুন। সেটিং করার জন্য নিচের ধাপ গুলো ফলো করুন।

  • চ্যানেলের ট্যাগ দিন।
  • ড্রেসক্রিপশন লিখন।
  • চ্যানেল কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
  • প্রোফাইল পিকচার সেট করুন।
  • চ্যানেল লোগো ব্যবহার করুন।
  • মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করে নিন।
  • চ্যানেলের ওয়াটারমার্ক এড করুন।
  • ইউটিউব একাউন্টে সোশ্যাল মিডিয়ার লিংক এড করুন।
  • চ্যানেলে কনট্রাক্ট নাম্বার দিতে পারেন।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম জেনে ইনকাম করুন:

আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করাতে হবে। কারণ মনিটাইজেশন না করালে ইউটিউব চ্যানেল থেকে কোনো টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করালে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। গুগলের পার্টনার প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য কিছু শর্ত আছে, আপনাকে ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে এসব শর্ত মেনে কনটেন্ট ক্রিয়েট করতে হবে।

আরো পড়ুন: CPA Marketing করে ইকাম করুন।

  • গত এক বছর বা ১২ মাসের হিসাবে
  • ১০০০ সাবসক্রাইবার
  • ৪-হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম
  • ২-স্টেপ ভেরিফিকেশন
  • কোনো প্রকার স্ট্রাইক থাকতে পারবে না।
  • আর চ্যানেল রিভিউ পাস করতে হবে।

এসব শর্ত যখন পূরণ হবে। তখন আপনি, আপনার চ্যানেল রিভিউ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তারপর ইউটিউব রিভিউ টিম আপনার চ্যানেল টি ম্যানুয়ালি রিভিউ করবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আপনাকে গুগল এডসেন্স এর পার্টনার প্রোগ্রামে এড করে দেওয়া হবে। আপনার যদি আগে থেকে গুগল এডসেন্স এর একাউন্ট খুলা থাকে তাহলে তো খুব ভালো। আর যদি না থাকে তাহলে গুগল এডসেন্স এর একটি একাউন্ট খুলন । ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম জানুন।

 তারপর আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট গুগল এডসেন্স একাউন্ট এর সাথে এড করে দিন। এবার আপনি, আপনার ইউটিউব চ্যানেলের এড থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম/ গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হলে

গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি প্রোডাক্ট। এডসেন্স মূলত একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা। অর্থাৎ গুগলের বিজ্ঞাপন সেক্টর নিয়ে কাজ করে গুগল এডসেন্স। বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এডসেন্স কাছে তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য টাকা প্রদান করে। আর গুগল এডসেন্স সেসব কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের টাকার বিনিময়ে তাদের পণ্যের প্রচার চালায় জনপ্রিয় সব ইউটিউব চ্যানেলে।

আর যেসব চ্যানেলের ভিডিওর শুরুতে, মাঝে বা শেষে এসব এড চালানো হয়, গুগল এডসেন্স কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত টাকা ৫৪% প্রদান করে ইউটিউবারদের কে আর বাকি ৪৬% টাকা রেখে দেয় তাদের ব্যাংকে। এবার বলি এই যে.টাকা দেয় টাকার পরিমান কম-বেশি হওয়ার কারণ কি? কি সব কারণ আছে আসুন দেখে নেয়া যাক।

ইউটিউব ভিডিও ভিউ হলে সত্যই কি টাকা ইনকাম হয়:

এইপ্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেয়া সম্ভব না। কারণ আগেও বলেছি ইউটিউব কোনো প্রকার ভিউ বা সাবসক্রাইবার থেকে টাকা দেয় না। অর্থাৎ আপনার চ্যানেলে যদি প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভিউ হয়। কিন্তু ১-হাজার সাবসক্রাইবার না থাকে তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে একটি ডলারও ইনকাম করতে পারবেন না। আবার আপনার চ্যানেলে যদি লক্ষ লক্ষ সাবসক্রাইবার থাকে কিন্তু ভিউ বা ৪-হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম না থাকে তাহলে একটি পয়সায় গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন না।

যদি আরো সহজ করে বলি। ইউটিউব ভিডিও ভিউ থেকে কোনো প্রকার টাকা দেয়না। আপনার ইউটিউব ভিডিও যত ভিউ হোক না কেন তাতে থেকে গুগল আপনাকে একটি পয়সাও দিবে না। গুগল এডসেন্স আপনাকে টাকা বা ডলার দিবে আপনার ভিডিওতে যেএড শো হবে সেই এড ক্লিক এর উপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ আপনার ভিডিতে যতো বেশি এড চলবে আপনি ততো বেশি টাকা পাবেন।

এসব এড-এ যতো ক্লিক পড়বে, আপনার ইনকাম ততো বাড়বে। আপনার ভিডিওতে কোনো প্রকার এড  না চললে। আপনার চ্যানেলে যতো সাবসক্রাইবার থাকুক না কেন, আর যতো ভিউ আসুক না কেউ, আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি পয়সাও ইনকাম হবে না। 

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম না জানলে ইনকাম কম-বেশি হতে পারে:

একটি ইউটিউব চ্যানেলের আয়ের কম-বেশি হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে, আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি কারণে একটি ইউটিউব চ্যানেলের আয়ের তারতাম্য হয়ে থাকে।

  • Add View
  • CPM
  • CPC
  • Audience Location
  • High Rank Keywords
  • Channel Subscribers
  • Channel Category
  • Video Language

Add View:

একটি ইউটিউব চ্যানেলের ইনকামের কমবেশি হয়ে থাকে মূলত ভিডিওর এড ভিউ এর কারণে। আগেই জেনেছেন যে, ইউটিউব চ্যানেলের ইনকাম আসে মূলত ভিডিও মাঝে আসা এড থেকে। আর এই এড যদি আপনার ভিডিওতে না আসে তাহলে আপনার ইনকাম কম হবে। আবার কিছু ভিডিওতে দেখবেন in skiable ads, in stream ads and Skiable ads চলে। যেসব ভিডিওতে স্কিপঅ্যাবল এডস চলে তার তুলনায় যেসব ভিডিওতে ইনস্কিপঅ্যাবল এডস চলে সেই সব ভিডিওতে অধিক ইনকাম হয়ে থাকে।

আবার দেখা যায় যেসব ভিডিওর দৈর্ঘ্য ৮ মিনিট বা তার বেশি। সেই সব ভিডিওতে দুই বা ততোধিক এডস শো করে। যার ফলে ছোট ভিডিওর তুলনার বড় ভিডিওতে এডস বেশি আসে। আর এডস বেশি আসার ফলে ইনকাম বেশি হয়ে থাকে। যার ফলে দেখা যায় একটি কনটেন্ট ক্রিয়েটর ১-হাজার এডস ভিউ থেকে ২-ডলার ইনকাম করছে, আবার আরেকজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ১-হাজার এডস ভিউ থেকে ৫-ডলার ইনকাম করছে।

আশাকরি এতক্ষণে বুঝে গেছেন। ইউটিউব শুধু ভিডিও থেকে কোনো প্রকার টাকা দেয় না। ইউটিউব টাকা দেয় ইউটিউব ভিডিওর মাঝে শো করা এডস এর জন্য।

এডস লিসিডিটেড হওয়ার কারণ কি: 

আপনি যদি ইউটিউব রুলস রেগুলেশন ফলো না করে ভিডিও তৈরি করে থাকেন। আপনার চ্যানেল গুগল এডসেন্স দ্বারা মনিটাইজেশন হলেও তা স্থগিতকরণ হবে। আবার আপনার ভিডিও যদি এডভার্টাইজ ফ্রেন্ডলি না হয়। আপনার সেই নির্দষ্ট ভিডিতে এড চলবে না। আবার যদি ব্যাপারটা এমন হয় যে, আপনার ভিডিও অনেক ছোট। তাহলে প্রতিবার ভিডিও ভিউ হলেও  প্রতিবার এডস আসবে না। যার ফলে গুগল এডসেন্স থেকে আপনার ইনকাম কম হবে।

CPM (Cost per Miles) কি:

CMP হলো Cost Per Miles, যার অর্থ হলো প্রতি ১-হাজার এডস ভিউতে কতো ডলার খরচ করা হবে। মনে করুন, আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর। আপনার চ্যানেলে এডস শো হবে। আবার আরেক পক্ষ আছে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের পণ্য প্রচার করতে চায়। তারা ইউটিউব এডসেন্স এর সাথে চুক্তি করলে। প্রতি ১-হাজার এডস শো করার জন্য ৫-ডলার প্রদান করা হবে।

 এবার ইউটিউব, আপনার চ্যানেলের ভিডিওতে ১-হাজার এডস চালালো। তারপর এই ৫-ডলার গুগল এডসেন্স এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর বা আপনার সাথে (৫৪-৪৬)% রেশিওতে ভাগ করা হবে। এই cpm কখনো কখনো ৫-ডলার বা কখনো কখনো .৫-ডলার হয়ে থাকে। কেন এমনটা হয়ে থাকে তাই আসুন জেনে নেয়া যাক।

CPC (Cost per Click):

CPCহলো কস্ট পার ক্লিক। কস্ট পার ক্লিক এর ক্ষেত্রে প্রতি এড ক্লিক এর রেশিওতে টাকা নির্ধারণ হয়ে থাকে। মনে করুন, গুগল এডসেন্স, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে চুক্তি করলো প্রতি এড ক্লিকে তাদের পে করতে হবে। প্রতি এড ক্লিক এর জন্য ০.০১ ডলার থেকে ০.৫ ডলার হয়ে থাকে।

  • ইউটিউব চ্যানেল এর ভিডিও কোন ভাষায়।
  • অডিয়েন্স লোকেশন।
  • ভিডিওর ডিউরেশন।
  • ভিডিও ট্যাগ।

ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে একটি ভিডিওর CPC Rate নির্ধারণ হয়ে থাকে।

Audience Location:

 আপনার ভিডিওর যারা অডিয়েন্স আছেন, তারা কোন দেশে অবস্থান করছেন। অর্থাৎ কোন দেশে বসে ভিডিওটি দেখছেন। তার উপর নির্ভর করছে CPC Rate। আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম কেমন হবে।  এসবের অনেকটাই নির্ভর করে অডিয়েন্স লোকেশনের উপর। কেন এমনটি হয়ে থাকে? তা বুঝার জন্য একটি উদাহরণ দেয়া যাক। মনে করুন, কর্পোরেট কোম্পানিগুলো গুগলের সাথে চুক্তি করলো, যদি তাদের ভিডিওতে আমেরিকা থেকে ক্লিক হয়। তাহলে প্রতি ক্লিক এর জন্য কস্ট হবে ১-ডলার। অর্থাৎ Cost Per Click=1 Dollar, আবার যদি বাংলাদেশ থেকে তাদের ভিডিওর এডে ক্লিক হয়। তাহলে প্রতি ক্লিক এর জন্য ০.০১-ডলার পে করা হবে।

কিছু উন্নত দেশ আছে, সেসব দেশের CPM, CPC Rate খুবই হাই। এসব দেশের ইউটিউবারদের ইউটিউব থেকে অনেক ইনকাম হয়ে থাকে। আবার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশেই CPM, CPC Rate অনেক কম। তাই তো বাংলাদেশসহ এশিয়ার ইউটিউবারদের ইনকাম তুলনামূলক অনেক কম। আসুন দেখে নেয়া যাক High CPM and CPC Rate কিছু দেশের নাম এবং সেসব দেশে CpM and CPC rate কেমন।

High CPC Country NameCPC(USD) Cost Per Click
Luxembourg0.65 CPC
United States0.61
Australia0.57
United Kingdom0.48
Finland0.45
Canada0.45
New Zealand0.33
Sweden0.31
Ireland0.31
Denmark0.28
Singapore0.27
South Africa0.26
Norway0.26
Netherlands0.26
Bahamas0.24
Germany0.22
Switzerland0.21
Belgium0.21
Spain0.19
Thailand0.17
France0.17
Colombia0.17
Greece0.16
CPC and CPM Rate

ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম কম-বেশি হয় Video Keywords এর কারণে:

সাধারণত ইউটিউব চ্যানেলের কী-ওয়ার্ড এর নির্ভর করে, সেই ভিডিও থেকে কতো টাকা ইনকাম হবে। ইউটিউব চ্যানেলের ইনকাম কমবেশি হওয়ার অনেকগুলো উপাদানের মধ্যে কী-ওয়ার্ড হলো একটি। এখন কী-ওয়ার্ড কিভাবে আয় কমবেশির হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। আসুন দেখে নেয়া যাক। মনে করুন, একটি সফটওয়্যাট কোম্পানি বা ডমেইন হোস্টিং সার্ভিস প্রদান করে এমন একটি কোম্পানির নাম Namecheap । তারা ডোমেইন এবং হোস্টিং বিক্রয় করে। নেইমচিপ তাদের পণ্য বিক্রয় করার জন্য গুগল এডসেন্স এর কাছে টাকা দিল তাদের এড দেখানো জন্য। গুগল এডসেন্স ডোমেইন হোস্টিং এর এড কাদের দেখাবে। বা কোন ভিডিওতে দেখাবে। বলুন নিশ্চয় রান্নার ভিডিওতে দেখাবে না। সেসব ভিডিওতে ওয়েবসাইট তৈরির কথা আছে, অর্থাৎ Web Development, Web Design, WordPress, ইত্যাদি কী-ওয়ার্ড গুলো যেসব ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে সেই সব ভিডিওতে এই এড দেখানো হবে।

আর এভাবেই KeyWords এর উপর ভিত্তি করেও আপনার ইউটিউব ভিডিওর আয়ের কম বেশি হতে পারে। আর কোন KeyWords এর CPM rate and CPC rate কতো তা গুগল নির্ধারণ করে থাকে। আপনি চাইলে গুগলের KeyWords Planner থেকে দেখে নিতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম/ কতো সাবসক্রাইবার থেকে কতো টাকা:

 আগেই বলেছি ইউটিউব সাবসক্রাইবার থেকে কোনো টাকা দেয় না। আপনার চ্যানেলে হাজার, লক্ষ, কোটি সাবসক্রাইবার থাকলেও ইউটিউব থেকে একটি টাকাও দিবে না। আবার পক্ষান্তরে যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে সাবসক্রাইবার না থাকে তাহলেও টাকা ইনকাম করার চিন্তাও করতে পারবেন।

 তাই সাবসক্রাইবার আর টাকার আয়ের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্ত পরোক্ষ একটি গাঢ় সর্ম্পক আছে। অর্থাৎ ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে অবশ্যই সাবসক্রাইবারস যথেষ্ট থাকতে হবে। যতো বেশি সাবসক্রাইবার থাকবে আপনার ততো ভিউ হওয়ার সম্ভবনা থাকবে। আর ভিউ বেশি হলে আয় বেশি হওয়র সম্ভবনা বেশি হবে।

আমরা এতো সময় দেখলাম গুগল এডসেন্স থেকে কতো টাকা ইনকাম করা যায়। আসলে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হলো একটি প্রাথমিক ইনকাম। যদিও বাংলাদেশের যারা ইউটিউবার আছেন তারা কম CPM and CPC rate পেমেন্ট পেয়ে থাকেন।  তাই ইনকাম ও কম হবে এটাই স্বাভাবিক । তারপরেও আমাদের দেশের কিছু বড় বড় ইউটিউবার আছেন যাদের ইনকাম মাসে কয়েক লক্ষ টাকা। এমন কিছু ইউটিউব চ্যানেল এর উদাহরণ:  

  • পিনিকপাই
  • খালেদ ফারহান
  • সোহাগ ৩৬০
  • এআরএফ টেকনোলজি
  • আরএনআর
  • শামিমা শ্রবাণী
  • দোলেল এগ্রো
  • আরাউন্ড মি বিডি
  • শ্যামস জোন
  • সালাউদ্দিন সুমন
  • মায়াজাল

ইউটিউব থেকে ইনকামের আরো কিছু উপায় আছে যেমন,

এক লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক মিলিয়ন টাকা ইনকাম করছে প্রতিমাসে। তবে এসব চ্যানেল আজকে শুরু করেননি । এসব চ্যানেল এর ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, বাংলাদেশে ইউটিউবিং ক্যারিয়ার শুরুতে তাদের চ্যানেল এর কাজ শুরু করেছেন। আবার অনেকেই আছেন, যাদের অনেক চ্যানেল গ্রো করতে পারেন নাই। অনেকের অনেক চ্যানেল স্ট্রাইক এর কারণে সাসপেন্ড হেয়ে গেছে। তারা বর্তমান চ্যানেল নিয়ে সফল হয়েছেন । আপনি চাইলে ইউটিউবি ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। আজ হোক কাল হোক সফলতা আসবেই।

উপসংহার:

পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে, তাহলে নিয়মিত কাজ করুন। মানে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন। আর যদি চ্যানেল না থাকে। তাহলে একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করুন। ২০২৩ সালে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকা উচিৎ। আর যদি লেগে থাকেন তাহলে, আজ হোক কাল হোক সফলতা আসবেই। শুরতে পার্টটাইম হিসেবে কাজ করুন। যখন নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন, তখন ফুলটাইম কাজ করবেন। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এরকম আরো আর্টিকেল পড়ার জন্য Shrabonbd.com সাইটটি ভিজিট করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top