কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায়? বর্তমান রেগুলার ইনকাম দিয়ে সংসারের ঘানি টানতে পারছেন না। একার ইনকাম দিয়ে একটি সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাসের অর্ধেক না যেতেই ইনকাম শেষ হয়ে যাচ্ছে তাহল, বাড়তি ইনকামের ব্যবস্থা করা দরকার।
নিয়মতি চাকুরির পাশাপাশি একটি পার্ট-টাইম চাকুরি প্রয়োজন। যেখান থেকে কিছুটা বাড়তি ইনকাম আসবে। সংসার চালাতে সহজ হবে। বর্তমানে, তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে টাই-টাইম ইনকামের অনেক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। যেকেউ চাইলে টাই-টাইম কাজ করে বাড়তি ইনকাম করতে পারবে।
কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায়?
কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায়- বাড়তি ইনকামের অনেক উপায় আছে। প্রত্যকের দক্ষতা অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর নির্ভর করে কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায়। কারণ, আপনি কিভাবে বাড়তি ইনকাম করবেন তা আপনার উপরই নির্ভর করছে।
কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায়- উত্তর হলো ফ্রিল্যান্সিং করা। বর্তমানে যে পেশায় থাকেন না কেন? আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। কারণ, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোনো অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করার প্রয়োজন নেই।
ফ্রিল্যান্সিং হলো নিজের ইচ্ছামতো সময়ে ঘরে বসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করে টাকা এবং ডলার ইনকাম করাই হলো ফ্রিল্যান্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং-ই হলো কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায় তার সবথেকে উপযুক্ত উপায়। এছাড়া আরো কিছু প্রাসঙ্গিক কাজ আছে। যেসব কাজ করে বাড়তি কিছু ইনকাম করা যায়। এবার, আমরা দেখবো কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায়।
১০টি উপায়ে কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায়
১০টি উপায়ে কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায়। একটু বাড়তি ইনকাম আপনার পরিবারকে সার্পোট করবে। পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট-টাইম কাজ করতে পারলে, বাড়তি আয়ের সুয়োগ তৈরি হবে। যারা আপনার বৃদ্ধ পিতা-মাতার মাথার উপর থেকে আর্থিক বোঝা কমাতে সহায়তা করবে।
কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবো। এক্ষেত্রে, আমাদের আলোচনার মধ্যে যেসব পার্ট-টাইম কাজকে অর্ন্তভূক্ত করেছি সেসব ছাত্র-ছাত্রী বেকার সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবী ব্যবসায়ী দোকানদার গৃহিণী সবাই করত পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিয়ের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়
কিভাবে ইনকাম করা যায়। বাড়তি ইনকাম করতে চাইলে, ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে উপযুক্ত উপায়। কারণ, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট টাইম-টেবিলের দরকার হয় না। সকাল নয়ট থেকে বিকল পাঁচটা পর্যন্ত অফিস করার দরকার হয় না। নিজের বাড়িতে বসে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না।
দিনে ২-৩ ঘন্টা কাজ করে মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা বাড়তি ইনকাম করতে পারবেন। এটা কম কথা নয়। ফ্রিল্যান্সিংয়ে যতোবেশি সময় দিবেন ততো বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে বাড়তি টাকা ইনকাম করতে চাইলে, ফ্রিল্যান্সি মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। পোর্টফোলিও তৈরি করুন। প্রফাইল সাজিয়ে রাখুন। এসব মার্কেটপ্লেসে প্রথম কাজ পেতে সহায়তা করবে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রথম কাজ পাওযা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম কাজে ৫-স্টার রেটিং নিবেন। এসব অভিজ্ঞতা পরবর্তী কাজ পেতে সহায়তা করবে।
এভাবেই, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করে বাড়তি ইনকাম করা যায়- তা বুঝতে বুঝতে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে পারবেন।
ফেসবুকিং করে ইনকাম করা যায়
ফেসবুকিং করে কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায়? সত্যিই ফেসবুকিং করে বাড়তি টাকা ইনকাম করা যায়। কেউ কি করছেন- বাড়তি ইনকাম? হ্যাঁ, বর্তমানে ফেসবুক থেকে বাড়তি ইনকামের অনেকগুলো উপায় আছে। হাতে মোবাইল আর মোবাইলে ফেসবুক অ্যাপ লগইন করা। চাইলেই ঢু-মারছেন ফেসবুকে।
প্রতিদিন একটু একটু করে গড়ে তুলুন আপনার ফেসবুক ক্যারিয়ার। আশেপাশে যা কিছু আছে। তাই নিয়ে শর্টস ভিডিও ধারণ করুন। রিলস আকারে আপলোড করুন। ফেসবুক রিলস থেকে বাড়তি ইনকামের সুয়োগ পাচ্ছেন। আপনার চারপাশের ঘটনা-প্রবাহ অবলোকন করুন। উপলব্ধ করুন।
নিজের মতামতা দিয়ে পোস্ট করুন। বির্তকিত বিষয় এড়িয়ে চলুন। পোস্ট যতো বেশি ইন্ট্যারিয়্যাক্টিভ হবে ততেো বেশি ইয়্যাগেজমেন্ট হবে। টিউটোরিয়াল ভিডিও ধারণ করুন। পাবলিশ করুন। এভাবে ফেসবুক থেকে বাড়তি ইনকাম করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করা যায়
কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায়- বাড়তি ইনকাম করতে চাইলে, ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং কর কিভাবে ইনকাম করা যায জানেন? ডিজিটাল মার্কেটিং করে নিজের পণ্য বিক্রয় করে টাকা ইনকাম করা যায়। অণ্যের পণ্য প্রচার করে বাড়তি ইনকাম করা যায়।ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ আছে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ডিজিটাল ডিভাইস (মোবাইল টিভ ইন্টারনেট ডিজিটাল বিলবোর্ড) এর মাধ্যমে অনলাইন দুনিয়ায় সকল স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচার করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মূল্য উদেশ্য হলো পণ্যের প্রচার এবং সেল বাড়ানো। নিজের পণ্য থাকলে, সেল বাড়িয়ে বাড়তি ইনকাম করা যায়। না থাকলে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে অর্ডার নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে বাড়তি ইনকাম করা যায়।
অনলাইন টিউশনি করে ইনকাম করা যায়
পড়ালেখায় ভালো হলে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে নিজের পড়লেখা চালিয় যাওয়া উচিৎ। নিজের পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করিয়ে বাড়তি ইনকাম করা যায়। আর বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নে ঘরে বসে কম্পিউটার ল্যাপটপ আর দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগকে কাজ লাগিয়ে অনলাইন টিউশনি করে হাজার হাজার টাকা বাড়তি ইনকাম করা যায়।
সেলাই মেশিনের কাজ করে ইনকাম করা যায়
আমার স্বামীর একার ইনকাম দিয়ে তো ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে সংসার চালাতে পারি না। কোন কাজ করে আর কিছুটা বাড়তি ইনকাম করতে পারি। এমন কথা সখিনা বিবির একার না। এটা নিম্নবিত্ত সমাজের প্রতিটি মায়ের কথা। প্রতিটি গৃহবধুর কথা। প্রতিটা সংসারের গৃহিণীর কথা।
এদের মধ্যে যারা সেলাইন মেশিনের কাজ পারেন। তারা সেলাই মেশিনের কাজ করে বাড়তি ইনকাম শুরু করুন। সেলাইন মেশিনের কাজ শিখে নিন। নিজের পরিবারের পোশাক তৈরির ছাড়াও বাড়তি ইনকাম করতে পারবেন।
ভালো কাজ করতে পারলে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কাজ করতে পারেন। একবার সুর্নাম ছড়িয়ে পরলে কাজ করে শেষ করতে পারবে না।
উপসংহার:
কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায়। এটা নিয়ে আপনাদের মনে আর সংশয় থাকার কথা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি নিয়মিত ইনকামের পাশাপাশি কিভাবে আরো একটি বাড়তি ইনকাম করা যায় সেটা দেখাতে।
এছাড়া, আরো অনেক উপায় আছে। অনলাইনে ব্যবসা করে বাড়তি ইনকাম করা যায়। ফেসবুকে পণ্য বিক্রয় করে বাড়তি আয় করা যায়। ফুড ডেলিভারিসহ আরো অনেক ই-কর্মাস কোম্পানির বিক্রিত পণ্যের হোম ডেলিভারি করে ইনকাম করা যায়।
যাইহোক, আমাদের আজকের পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্টস করে জানাবেন। এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্যক ধন্যবদা।