ক্রেডিট কার্ড কি,ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার উপায়,কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো

Table of Contents

ক্রেডিট কার্ড কি?

ক্রেডিট কার্ড কি? ক্রেডিট কার্ড হলো এমন একটি বিনিময় ব্যবস্থার উপায় যা দিয়ে ক্রেতাগণ পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে পারেন। ক্রেডিট কার্ড হলো মূলত একটি প্লাস্টিক কার্ড। যা সাধারণত পণ্য বা সেবার মূল্য প্রদানকারীদেরকে ইস্যু করা হয়। স্থানীয় ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেন।

তবে, মনেরাখা প্রয়োজন যে, ডেভিড কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড এক জিনিস নয়। আবার চার্জ কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। চার্জ কার্ড ব্যবহার করতে হলে নির্দিষ্ট মাসের শেষে বা একটি চক্রের শেষে টাকা রির্চাজ করতে হয়। যতসময় চার্জ কার্ডে ব্যালান্স থাকবে ততোসময় খরচ করতে পারবেন। চার্জ কার্ডে ব্যালান্স না থাকলে খরচ করতে পারবেন না। ২৪০ টাকা বিকাশ থেকে ইনকাম করতে পড়ুন

ক্রেডিট কার্ডের বেলায় এমনটা নয়। গ্রাহকের একাউন্টে ব্যালান্স না থাকলেও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিল পরিশোধ করতে পারবেন। কেনাকাটা করতে পারবেন। গ্রহকের হয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিল প্রদান করবেন।

ব্যাংকে আপনার ট্রানজেকশনের উপর ভিত্তি করে যে পরিমাণ ক্রেডিট লিমিট করা হবে। প্রতিমাসে সেই পরিমাণ ব্যালান্স খরচ করতে পারবেন। পরের মাসের নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে সেই টাকা পরিশোধ করতে হবে। নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে পারলে কোনো চার্জ দিতে হবে না। নির্দিষ্ট তারিখের পরে পরিশোধ করলে চার্জ আরোপ করা হবে।  

ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিস্তারিত জানতে, আজকের পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ আজকের পোস্ট পড়ে ক্রেডিট কার্ডের আদ্যোপান্ত জানতে পারবেন।

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা কি কি থাকা উচিৎ:

জেনে রাখা ভালো। যেকেউ চাইলেই ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন না। ক্রেডিট কার্ড নিতে হলে, আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা কি কি। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানভেদে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কিছু শর্ত একই রেখে ব্যাংকভেদে কিছু শর্ত আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

  • ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহকারীর সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
  • ন্যূনতম মাসিক বেতন ২০-হাজার টাকা হতে হবে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
  • সংশ্লিট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আপনার একাউন্ট থাকতে হবে।
  • পার্সপোর্ট সাইজ ছবির প্রয়োজন হবে।
  • আপনার আবেদনকৃত লোনটি ব্যাংকের লোনের সীমা যেন অতিক্রম না করে তা খেলায় রাখতে হবে।

ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা:

  • সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে আপনার একাউন্ট এর বয়স একবছর হতে হবে।
  • এই ব্যাংক একাউন্টে বছররে ১০ লক্ষ টাকার মতো লেনদেন করতে হবে।
  • ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করতে হবে।
  • এছাড়াও ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র তো লাগবেই।

চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা:

  • চাকুরির মেয়াদকাল মিনিমাম ছয়মাস হতে হবে।
  • মাসিক বেতন হতে হবে কমপক্ষে ২০-হাজার টাকা।
  • আপনার টেক্স আইডেনটিফিকেশন নাম্বার বা TIN নাম্বার লাগবে।
  • সংশ্লিট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আপনার একাউন্ট থাকতে হবে।
  • পার্সপোর্ট সাইজ ছবির প্রয়োজন হবে।
  • যে প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন সেই প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি।

অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা:

  • সংশ্লিট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আপনার একাউন্ট থাকতে হবে।
  • পার্সপোর্ট সাইজ ছবির প্রয়োজন হবে।
  • যে প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন, সেই প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • বিদ্যুৎ বিল বা গ্যাস বিলের কপির প্রয়োজন হতে পারে।
  • একজন রেফারেন্সকারীর প্রয়োজন হতে পারে।

তবে মনে রাখবেন, সকল লিমিটেড ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। তারাও ব্যবসা করেন। তাদের লাভ বুঝতে পারলে, তারাই যোগাযোগ করবে। আপনাকে ক্রেডিট কার্ড করতে উৎসাহিত করবে। তাদের কার্ড করানোর টার্গেট থাকে। তাই আপনার যদি পর্যাপ্ত ইনকাম থাকে, তাহলে ব্যাংক থেকে আপনাকে কার্ড করার জন্য উৎসাহিত করবে। আপনার বাসায় বা চাকুরিরত প্রতিষ্ঠানে চলে আসবে। বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকের রয়েছে ক্রেডিট কার্ড কি-ভাবে ব্যবহার করবনে।

আর যদি যোগ্যতা না থাকে তাহলে দিতে চাইবে না। কারণ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে পরের মাসে ক্রেডিট পরিশোধ করতে না পারলে তাদের জন্য সমস্যা। আপনার জন্যও সমস্যা। তাই যদি ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা না থাকে, তাহলে নিতে যাবেন না।

ক্রেডিট কার্ড কি
ক্রেডিট কার্ড কি

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম:

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার পর সাধারণত ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা যায়। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে যখন ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করবেন, তখন কার্ডের একটি পিন (PIN) নাম্বার সেট করে দিবেন। এই পিন ব্যবহার করেই লেনদেন করতে পারবেন। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কল সেন্টারে কল দিয়ে পিন রিসেট করে নিবেন। এটা আপনার ক্রেডিট কার্ডের নিরাপত্তার জন্য জরুরী। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এছাড়া অন্যান্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। কাঙ্খিত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে শপিং করতে পারবেন। ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে পারবেন।

তবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের আগে অবশ্যই আপনার ক্রেডিট লিমিট জেনে নিবেন। নিজের ইনকামের বেশি খরচ করলে, পরের মাসে পরিশোধ করতে সমস্যার সম্মুখীন হবেন। আয়কর রির্টান জমা দেওয়ার উপায় সর্ম্পকে জানতে পড়তে পারেন।

প্রতিমাসে যে, পরিমাণ টাকা খরচ করবেন, পরের মাসে সেই পরিমাণ টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করুন। তাহলে ক্রেডিট চার্জ দিতে হবে না।

কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো?

আপনি ক্রেডিট কার্ড নিচ্ছেন। তাই এই ব্লগ পোস্টটি পড়ছেন। যে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো, সেই ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিবেন। কিন্তু কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো। কিভাবে বুঝবেন? কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো। ক্রেডিট কার্ড যখন নিবেন, অবশ্যই ভালো ব্যাংক থেকেই নিবেন।

আসুন ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে ভালোভাবে জেনে নিই। কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো। কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড খারাপ। কিছু নিয়ামকের উপর ভিত্তি করে আমরা বিচার করবো কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো।

  • সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অবস্থা কেমন:
  • সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের গ্রাহক সেবা কেমন;
  • ঐ ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখার সংখ্যা কতো;
  • সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বার্ষিক চার্জ কেমন:
  • ঐ ব্যাংকের কোনো প্রকার হিডেন চার্জ আছে কিনা।
  • সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের চার্জ কতো;
  • সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সুদের হার কতো পার্সেন্ট তা দেখতে হবে;
  • ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করার সময় কতো টাকা চার্জ দিতে হবে।
  • যে কার্ড নিচ্ছেন সেটি কি ডুয়েল কারেন্সি না সিঙ্গেল কারেন্সি;
  • দেশের বাইরে ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা কি কি এসব দেখতে হবে।

এসব বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে। কিছু ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করতে হবে। তারপর আমরা বুঝতে কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো। এবং আমাদের কাছে যে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো মনে হবে সেই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।

ক্রেডিট কার্ড খরচ কেমন?

দেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ক্যাশলেস কেনাকাটার সুবিধার কারণে মানুষ ক্রেডিট কার্ডের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। তবে সকল ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট কার্ডের জন্য অ্যানুয়াল চার্জ নির্ধারণ করেন। ব্যাংকভেদে অ্যানুয়াল চার্জ সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। সবাই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। কিন্তু এই চার্জ থেকে দিতে চান না। বা কম চার্জ হলে ভালো হতো। এমন পরিস্থিতি কোন প্রতিষ্ঠানের চার্জ কেমন তা আমাদের জানা প্রয়োজন। তাহলে কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করবো তা আমাদের জন্য সুবিধা হতো। আসুন দেখে নেই।

Types of CardClassic Master/Visa cardGold Master/Visa cardTitanium Master/Visa card
membership feeFree for 1st yearFree for 1st yearFree for 1st year
Renewal fee1000+vat2000+Vat2500+ Vat
Card replacement500 tk+Vat500 tk+Vat500 tk+Vat
Pin Regeneration500 tk+Vat500 tk+Vat500 tk+Vat
Interest Charge1.666% per month1.666% per month1.666% per month
Cash Adv. Limit50% of Limit50% of Limit50% of Limit
Cash Adv. Charge2.5% or 250 tk2.5% or 250 tk2.5% or 250 tk
ক্রেডিট কার্ডের খরচের তুলনামূলক চিত্র:

এরকম আরো অনেক চার্জ আছে। ক্রেডিট কার্ড করার আগে চার্জগুলো জেনে নিবেন। সকল ব্যাংকের অনেক হিডেন চার্জ থাকে। এসকল হিডেন চার্জ অবশ্যই জানা প্রয়োজন। তারপর কোন ব্যাংকের কার্ড করবেন সিদ্ধান্ত আপনার।

ক্রেডিট কার্ড নাম্বার কিভাবে পাবো?

আপনি যখন ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করবেন, তখন আপনার আবেদন যাচাই বাছাই করে আপনাকে ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হবে। আপনার এই ক্রেডিট কার্ডের একটি নাম্বার আছে। এই নাম্বারকে সাধারণত CVV number বলে থাকে। CVV Full Form হলো Card Verification Value. এই সি ভি ভি নাম্বারই হলো আপনার ক্রেডিট কার্ড নাম্বার।

এই ক্রেডিট কার্ড নাম্বার টি সাধারণত কার্ডের পিছনে থাকে। Master card এবং Visa crd এর পিছনে তিন ডিজিটের নাম্বার দেওয়া থাকে। এই নাম্বার ছাড়া আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে শপিং, ইউটিলিটি বিল প্রদান করতে পারবেন। তাই এই ক্রেডিট নাম্বার মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। এবং এই নাম্বার কারো সাথে শেয়ার করা উচিৎ না।

ক্রেডিট কার্ড কি কাজে লাগে:

বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংক আসছে। অর্থ ব্যবস্থা হচ্ছে ক্যাশলেস। তাই ক্রেডিট কার্ডসহ যেকোন ধরণের কার্ডের ব্যবহার বাড়ছে। এখন আমরা দেখবো একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কি কি কাজ করা যায়।

  • শপিং করতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
  • হেলথ প্যাকেজ ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারেন। এসব প্যাকেজে বিশেষ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
  • নারীদের জন্য বিউটি সেলুনে রয়েছে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট সুবিধা। এছাড়া জুয়েলারি শপগুলোতে থাকছে বিশেষ ডিসকাউন্ট।
  • সপ্তাহ শেষে বিশেষ দিনে গ্রোসারিতে থাকে ডিসকাউন্ট অফার। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করতে পারেন।
  • এমটিবি তে নারীদের জন্য অঙ্গনা নামে একটি ক্রেডিট কার্ড আছে । এই কার্ডে ১০ লাখ পর্যন্ত লিমিট আছে।
  • এছাড়াও দেশ বিদেশের বিভিন্ন ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে। অনলাইন কেনাকাটার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে ক্রেডিট কার্ড।

এছাড়াও দেশের ফ্রিল্যান্সারা মার্কেটপ্লেসে থেকে যে আয় করেন, তা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারেন। এই সুবিধা গ্রহণ করতে ক্রেডিট কার্ড এবং পেপাল সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। 

এখন ফ্রিল্যান্সারদের আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। সকল ফ্রিল্যান্সারদের আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এই কার্ড থাকলে আপনি অনেক সুবিধা নিতে পারবেন।

ক্রেডিট কার্ড এর প্রথম চারটি ডিজিট কতো?

ক্রেডিট কার্ডের চারটি নাম্বার দিয়ে চারটি অংশকে নির্দেশ করা হয়। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি। একটি ক্রেডিট কার্ডের সিভিভি নাম্বার থাকে তিনটি। পিন নাম্বার থাকে চার সংখ্যার। পিন নাম্বার গ্রাহক নিজে সেট করেন। এটি মূলত পার্সওয়ার্ড এর মতো।

আমার ক্রেডিট কার্ড একাউন্ট নাম্বার কি আমার কার্ডের নম্বর:

আমরা আগেই আলোচনা করেছি। ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার কোনটি সেটা বুঝার জন্য আরো একটু বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়। তাই আরেক প্যারা লিখতে হচ্ছে। আচ্ছা ক্রেডিট কার্ডের CVV number কি সেটা বলেছি। ক্রেডিট কার্ডের পিছনে তিন ডিজিটের নাম্বার থাকে এটাই CVV number। এছাড়া আপনার ক্রেডিট কার্ডের উপরে ১৬ ডিজিটের একটি নাম্বার থাকবে। এটি হলো আপনার ক্রেডিট কার্ড নাম্বার। আর থাকবে একটি পিন নাম্বার। যা ব্যাংক থেকে যখন কার্ড সংগ্রহ করবেন, তখন তারা কার্ডটি একটিভ করার জন্য একটি পিন নাম্বার সেট করে দেয়। তারপর আপনি কল সেন্টারে কল দিয়ে রিসেট করে নিতে পারবেন।

ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার উপায়/

আমরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করি। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ফলে আমাদের জীবনকে অনকে সহজ করে দিচ্ছে। শপিংয়ে গিয়ে টাকা স্বল্পতার কারণে পছন্দের জিনিস কেনা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে না। তবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ফলে অনাকাঙ্খিত অনেক খরচ বাড়ে। নিয়মিত কার্ডের বিল পেমেন্ট করতে হয়। চার্জ হিডেন চার্জ ইত্যাদি।

এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করতে চান। ভালো বুদ্ধি। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার না করতে চাইলে বন্ধ করুন। ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার অনেকগুলো উপায় আছে। বন্ধ করার আগে ভালো করে চেক করুন। সব বিল পরিশোধ করা আছে কিনা। অটোবিল চালু আছে কিনা। ক্রেডিট স্কোর ব্যবহার করুন। সব ঠিক থাকলে বন্ধু করার উদ্যোগ গ্রহণ করুন।

প্রথম, উপায়; ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার জন্য ব্যাংকের কল সেন্টারে কল করুন। কল করে বলুন আপনি ক্রেডিট কার্ড সেবা বন্ধ করতে চাচ্ছেন। তারা আপনার সকল কথার শুনে আপনার ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেনে।


দ্বিতীয় উপায়; ব্যাংকে গিয়ে ম্যানেজারকে বলুন, আপনি আপাতত তাদের ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে চাচ্ছেন না। তাহলে তারা আপনার ক্রেডিট কার্ড টি বন্ধ করে দিবেন।

তৃতীয় উপায় ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার; আপনার ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার জন্য ইমেইল করতে পারেন। ইমেইলে সকল কথা বলুন। তারা আপনার ক্রেডিট কার্ডটি বন্ধ করে দিবেন।

এভাবে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে আপনি ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করতে পারেন।

ডেভিট কার্ড কি?

ডেভিট কার্ড হলো এমন একটি প্লাস্টিক কার্ড। ডেভিট কার্ড ব্যাংক কার্ড হিসেবেও পরিচিত। এটি ব্যাংক কর্তৃক ইস্যু করা হয়। ব্যাংকের গ্রাহক ডেভিট কার্ড গ্রহণ করেন। ডেভিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটা লেনদেন করতে পারেন। ক্রেডিট কার্ড এর মতো একটি ব্যাংকিং কার্ড। ডেভিট কার্ড দিয়ে একজন গ্রাহক ব্যাংকে তার জমানো টাকা খরচ করতে পারেন।

যতসময় তার একাউন্টে টাকা আছে খরচ করতে পারবেন। যখন তার একাউন্টে টাকা থাকবে না, তখন টাকা খরচ করতে পারবেন ন। এছাড়া ক্রেডিট কার্ডের মতো ব্যাংক থেকে ধারও নিতে পারবেন না। অর্থাৎ গ্রাহক তার নিজের টাকাই খরচ করতে পারবেন। 

তবে, এখন বেশিরভাগ ব্যাংক ডেভিট কার্ড ডুয়েল কারেন্সি হয়ে থাকে। আপনি চাইলে পার্সপোর্ট ব্যবহার করে ডলার অনুমোদন করে বৈদেশিক ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন। আনলিমিটেড পারবেন না। বছরে ১২০০ ডলারের লিমিট থাকে। এই পরিমাণ ডলার খরচ করতে পারবেন।

ক্রেডিট কার্ড ও ডেভিট কার্ডের পার্থক্য কি কি?

আমাদের উপরের আলোচনা যদি পড়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন ক্রেডিট কার্ড এবং ভেডিট কার্ডের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তারপরও আমরা আপনার বুঝার সুবিধার জন্য ক্রেডিট কার্ড এবং ডেভিট কার্ড এর মধ্যে পার্থক্যগুলো মার্ক করে দিচ্ছে। এক নজরে দেখে নিন।

  • কার্ড গ্রহণের শর্তসমূহ ভিন্ন হয়ে থাকে;
  • কার্ড প্রদানকারী সংস্থা আলাদা আলাদ হয়ে থাকে;
  • কার্ডে ব্যবহীত টাকার উৎস ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে;
  • কার্ডে ব্যবহীত টাকার লিমিট আলাদা আলাদ হয়ে থাকে;
  • ক্রেডিট কার্ড এবং ভেডিট কার্ডের সুদের পার্থক্য আছে;
  • ক্রেডিট কার্ড ও ডেভিট কার্ডের পার্থক্য মধ্যে আরো আছে মাসিক স্টেটমেন্ট;
  • ক্রেডিট কার্ড ও ডেভিট কার্ডের পার্থক্যের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো বার্ষিক ফি;
  • এটিএম থেকে টাকা উত্তোলনে এই কার্ডের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
  • রেকারিং পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড ও ডেভিট কার্ডের পার্থক্য রয়েছে;
  • পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে চার্জে ক্রেডিট কার্ড ও ডেভিট কার্ডের পার্থক্য বিস্তর।
  • ক্রেডিট কার্ড ও ডেভিট কার্ডের পার্থক্যের মধ্যে আরেকট গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো ইএমআই;
  • ক্যাশব্যাক এবং রিওয়ার্ডস এর ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড ও ডেভিট কার্ডের পার্থক্য রয়েছে;
  • এই কার্ডের সুরক্ষার মধ্যে পার্থক্য আছে;
  • ক্রেডিট কার্ড ও ডেভিট কার্ডের ক্রেডিট স্কোরের উপর প্রভাবে পার্থক্য আছে।

ক্রেডিট কার্ড কি হারাম?

ক্রেডিট কার্ড ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে হারাম বলেই মনে হয়। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত নয়। কারণ আমার এই বিষয়ে তেমন ধারণা নেই। গুগল সার্চ দিয়ে এমন উত্তর পেয়েছি। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। তবে কার্ড সংগ্রহ করার আগে ভালো করে জেনে নিবেন।

উপসংহার:

উপরের আলোচনা থেকে বলতে পারি যে, ক্রেডিট কার্ড কি? আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে চান তাহলে আমাদের আজকের পোস্ট হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত। এবং এতো সময় সব ধারণা পেয়ে গেছেন বলেই আমার বিশ্বাস। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top