Social Media হলো অনলাইন ভিত্তিক একটি সামাজিক প্ল্যাটফর্ম। কোনো একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এর সাথে নেট কানেকশন দিয়ে এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত থাকতে হয়। বিভিন্ন ওয়েবাসইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (Facebook, Instagram, Twitter, LinkedIn, YouTube, Pinterest) ব্যবহার করে সামাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে ইমেজ, টেক্সট, ভিডিও শেয়ার করার মাধ্যম হলো সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তার ফলে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায় সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে social media marketers রা এগুলো ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। মানুষের সকাল শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ার নটিফিকেশন চেক করে। আর রাতে ঘুমাতে যায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজ করতে করতে। অবস্থা এমন হয়েছে যে, মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে না, বরং সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে ব্যবহার করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে বুঝায়, সকল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করা। এখন কথা হলো, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কিভাবে মার্কেটিং করা যায়? আমাদের দেশের সবথেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হলো Facebook। প্রতিদিন লক্ষ-লক্ষ মানুষ ফেসবুক ভিজিট করছে। আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ থাকে তাহলে, এই পেজের মাধ্যমে আপনি লক্ষাধিক মানুষের কাছে আপনার প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন পৌঁছাতে পারবেন। এই ফেসবুকসহ অন্য সবসোশ্যাল মিডিয়াকে ভিত্তি করে যখন ব্যবসা পরিচালনা করা হয় তখন তাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে।
এখন সকল সোশ্যাল মিডিয়ার একটি করে বিজনেস পেজ আছে। আপনি চাইলেই ফ্রিতে একটি বিজনেস পেজ তৈরি করতে পারবেন। আর পণ্যের প্রচার চালাতে পারেন। তাহলে দেখবেন খুব অল্প সময়ে আপনার ব্র্যান্ড এর পরিচিতি বাড়বে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করার সুবিধা হলো আপনার ফিজিক্যালি রুম নিতে হবে না। তাছাড়া পৃথিবীব্যপী ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করার জন্য, নিজের প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি করে প্রফেশনাল একাউন্ট খুলুন। তারপর একটি করে বিজনেস পেজ তৈরি করুন।
প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে একাউন্ট তৈরি করুন:
বিজনেস পেজ তৈরি করুন।।
একটি গ্রুপ তৈরি করুন।
ম্যাসেনজার গ্রুপ বা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলুন।
বড় বড় রিলেটেড বিজনেস ফলো করুন।
অন্য প্রাসঙ্গিক গ্রুপে যোগদান করু্ন।
social media marketers যেদশটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ব্যবহার করেন:
সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর জনপ্রিয়তার করণেই, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি স্মার্ট পেশা হিসেবে তরুণ সমাজের কাছে সমাদৃত হচ্ছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ার এই ব্যপক জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাচ্ছে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের পণ্যের প্রচার চালানো হচ্ছে। এসব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমে। টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন বা বিলবোর্ডের মাধ্যমে প্রচার চালাতে যে পরিমাণ খরচ করতে হয়, তার থেকে অনেক কম টাকা খরচ করে, অধিক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে।
এবার আমরা দেখবো, দশটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এর নাম। কিভাবে এইসব সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের সাহয্যে মার্কেটিং করা যায়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলেও আপনার জন্য এই দশটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট হতে পারে টার্নিং পয়েন্ট।
- YouTube
- Telegram
- Tumlr
10. Snap Chat
১. social media marketers ফেসবুক ব্যবহার করেন:
সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হলো ফেসবুক। ২০০৫ সালে মার্ক জার্কারবার্গ ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন। ফেসবুক শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরে ফেসবুকের ব্যপক জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরে। বর্তমানে প্রতি মাসে ফেসবুক ভিজিট করেন প্রায় ৩ বিলিয়ন মানুষ। আর বাংলদেশে এই সংখ্যাটা ৫০ মিলিয়নের কম নয়। এই বিপুল জনগোষ্ঠী ফেসবুক ব্যবহার করার ফলে, ফেসবুককে ভিত্তি করে ব্যবসা-বাণিজ্য এর প্রসার ঘটছে। যেকেউ চাইলেই ফেসবুকের পেজের মাধ্যমে বিজনেস পরিচালনা করতে পারেন। চাইলে নিজের ব্যবসার পণ্য প্রচার করতে পারেন। আবার কারো যদি নিজের ব্যবসা না থাকে। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে অর্ডার নিয়ে কাজ করতে পারেন।
ফেসবুক মার্কেটিং করার দুটি উপায় আছে। ফেসবুক মার্কেটিং এর দুটি উপায় নিয়েই আলোচনা করবো। দুটি উপায়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা, পণ্য প্রচার এবং প্রসার করার জন্য।
আরো পড়ুন: ফেসবুক পেজের নাম
১.social media marketers ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করেন:
ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং করতে হলে, আপনার একটি ফেসবুক একাউন্ট এর সাথে একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ লাগবে। আপনার যদি একটি প্রফেশনাল ফেসবুক বিজনেস পেজ থাকে। তাহলে আপনি মার্কেটিং করার জন্য একধাপ এগিয়ে গেলেন। কিন্তু প্রফেশনালি মার্কেটিং করতে চাইলে। এবং ভালো আউটপুট চাইলে, আপনাকে প্রথমে আপনার পেজটিকে গ্রো করতে হবে। অর্থাৎ আপনার ফেসবুক পেজে মিনিমাম লক্ষাধিক ফলোয়ার থাকতে হবে।
আপনার ফেসবুক পেজে যদি এক লক্ষ ফলোয়ার থাকে, তাহলে আপনি কোনো একটি পোস্ট করলে, সেই পোস্টটি এক লক্ষ মানুষের ফেসবুকের নটিফিকেশনে নটিফাই করবে। এক লক্ষ মানুষের ফেসবুক ওয়ালে দেখানো হবে। তার মানে হলো, আপনার এক লক্ষ অডিয়েন্স আছে। এবার আপনার কোনো ব্যবসা থাকলে, সেই ব্যবসার যে পণ্য আছে, সেই সব পণ্যের ইমেজ দিয়ে একটি পোস্ট তৈরি করুন। এবং ফেসবুক পেজে পোস্ট করুন। ফ্রি মার্কেটিং করার জন্য কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে যেমন:
প্রফেশনাল পোস্ট করার উপায়:
- ছোট কিন্তু সুন্দর একটি টাইটেল দিতে হবে।
- টাইটেল-এ আপনার টার্গেটেড কী-ওয়ার্ড থাকতে হবে।
- পোস্টে সুন্দর, আর্কষণীয় ইমেজ ব্যবহার করতে হবে।
- SEO সমৃদ্ধ ডেসক্রিপশন লিখতে হবে।
- পোস্টে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
- পোস্ট ইমেজে আপনার ব্র্যান্ড এর লোগো ব্যবহার করুন
- পোস্ট ইমেজে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক লিখে দিতে পারেন।
- কোন পণ্যের প্রচারের জন্য পোস্ট করলে, তার কোনো অফার থাকলে পোস্ট ইমেজেই তা উল্লেখ করুন।
এভাবেই একটি সুন্দর, গঠনমূলক, প্রফেশনাল পোস্ট করতে পারেন। আর আপনার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পণ্যের প্রচার চালাতে পারেন। তারপরের স্টেপ হলো। কোথায় কোথায় পোস্ট করবেন। বা কিভাবে ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করবেন? ফেসবুক বিজনেস পেজের মাধ্যমে পোস্ট করতে পারবেন। আপনার বিজনেস এর সর্ম্পকিত বড়-বড় পাবলিক গ্রুপে জয়েন হবেন। কম করে ১০০টি পাবলিক গ্রুপে জয়েন হবেন। নিজেই একটি পাবলিক গ্রুপ তৈরি করুন। এবং নিজেই সেটি পরিচালনা করুন।
আরো পড়ুন: ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম
social media marketers কোথায় পোস্ট শেয়ার করবেন?
- পাবলিক গ্রুপে আপনি পোস্ট করুন।
- নিজের ফেসবুক বিজনেস পেজে পোস্ট করুন।
- পাবলিক গ্রুপে পোস্ট শেয়ার করুন।
- পাবলিক গ্রুপের পোস্টের কমেন্টস এ গিয়ে কমেন্ট করে নিজের পোস্টের লিংক দিয়ে আসুন।
- নিজের পাবলিক গ্রুপে পোস্ট করা এবং পোস্ট এপ্রুভ করা।
তবে মনে, রাখবেন ফেসবুক সব সময় তিন (৩) এর নীতি অনুসরণ করে। অর্থাৎ আপনি আপনার একটি ফেসবুক আইডি বা পেজ থেকে অন্য পাবলিক গ্রুপে তিনটির বেশি পোস্ট করতে পারবেন না। এবং তিনটির বেশি শেয়ার করতে পারবেন না। না হলে ফেসবুক আপনার পোস্টকে স্প্যাম ভাববে। এবং আপনার পোস্ট ও ফেসবুক আইডি রেসট্রিকটেড করে দিতে পারে। তাহলে ফ্রি ফেসবুক এর সমাধান কি? কিভাবে ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করা যায়? আপনি যদি ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করতে চান? তাহলে আপনার অবশ্যই ৪-৫ টি ফেসবুক আইডি ম্যানেজ করতে হবে।
একদিনে কতোগুলো পোস্ট করা এবং শেয়ার করা উচিৎ?
আপনার নিজের একটি আইডি। আপনার বাবা-মার নামের আইডি ব্যবহার করুন। পরিবারের অন্য যেকোন কারো আইডি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু নিজের নামে ফেইক আইডি তৈরি করার মতো বাজে কাজ করার সাহস দেখাতে না যাওয়াই ভালো। কারণ আপনি যেহেতু প্রফেশনাল কাজ করতে যাচ্ছেন, তাই ফেইক কোনো কাজ না করাই ভালো হবে। এভবে সহজেই আপনার ৫টি ফেসবুক আইডি ম্যানজ করুন। একটি আইডি থেকে ৩টি করে পোস্ট করুন। এবং ৩টি করে শেয়ার করুন। তাহলে ৫টি আইডি থেকে মোট ১৫টি পোস্ট করতে পারবনে। এবং ১৫টি শেয়ার করতে পারবেন। তাহল দেখা যাবে, ৫-দিন কাজ করলে ৭৫টি পোস্ট হবে। এবং ৭৫টি শেয়ার হবে। যেকোন ব্যবসার জন্য ব্যপক প্রচার হবে। এই কাজ যদি আপনি ফাইভার মার্কেটপ্লেসে গিয়ে করেন। তাহলে এই ৭৫টি পোস্ট এবং ৭৫টি শেয়ারের জন্য ২০-ডলার পর্যন্ত চার্জ করতে পারবেন।
১.social media marketers ফেসবুক পেইড এডস মার্কেটিং করে ইনকাম করেন:
ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং করে যখন কাঙ্খিত রেজাল্ট পাবেন না। বা কেউ বেশি টাকা খরচ করে Brand Awareness বাড়াতে চায়, তাহলে ফেসবুক পেইড মার্কেটিং করতে হবে। ফেসবুক পেইড মার্কেটিং মূলত বড়-বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য করা হয়ে থাকে । কারণ তারা অনেক টাকা খরচ করে দ্রুত রেজাল্ট চান। আপনিও যদি আপনার পণ্য বা ব্র্যান্ড এর প্রচার করতে চান। তাহলে ফেসবুক পেইড এডস চালাতে পারেন। ফেসবুক পেইড এর মাধ্যমে খুব দ্রুতই রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব।
ফেসবুক পেইড এড ক্যাম্পিং করে, আপনার ব্যবসার জন্য টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। ফেসবুক এডস ম্যানেজার একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর এড একাউন্ট দিয়ে আপনার ফেসবুক পেজ এর জন্য পেইড এড চালাতে পারবেন। এই এড ম্যানেজারের মধ্যে আপানর কিছু Asset থাকবে। তারমধ্যে আপনার ফেসবুক পেজ, এড একাউন্ট, ইত্যাদি। এরপর আপনার এড ম্যানেজারের সাথে পেমেন্ট মেথড এড করতে হবে। এবার যেকোন একটি অবজেক্ট সিলেক্ট করুন।
- Traffic
- Brand Awareness
- Conversion
এখান থেকে একটি অবজেক্ট সিলেক্ট করতে হবে। তারপর এডসেট এর একটি নাম দিন। এডসেট এর মধ্যে এড সিলক্টে করে, এড এর একটি নাম দিন। তারপর এড কতো দিনের জন্য চালাতে চান তা নিদির্ষ্ট করুন। লাইফ টাইমের জন্য এড চালাতে চাইলও তার অপশন আছে। তবে মনে রাখবেন লাইফ টাইম মানে সারা জীবনের জন্য নয়। বরং সেটি অনিদির্ষ্ট সময়কে নির্দেশ করে। আপনি চাইলে যেকোন সময় বন্ধ করে দিতে পারবেন। আবার আপনাকে টাকা বা ডলার এর পরিমাণ দিতে হবে। সেই সাথে আপনি পাশে দেখতে পাবেন কতো টাকা বা ডলারের বিনিময়ে কতো গুলো ইম্প্রেশন বা ক্লিক পাবেন। তার একটি সম্ভব্য ধারণা আপনাকে দেওয়া হবে।
ফেসবুক পেইড এড থেকে সর্বচ্চো রেজাল্ট বা আউটপুট পাওয়ার উপায়:
- ডেমোগ্রাফি
- লোকেশন
- ইন্টারেস্ট
- বিহেভিয়ার
- জেন্ডার
- বয়স
- পেশা
- শিক্ষা
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠন
- রেস্টুরেন্ট
- ফ্যাশন হাজউ
ইত্যাদি সিলেক্ট করে দিতে পারবেন। যেমন, মনে করুন, আপনার ব্যবসা হলো লেডিস ফ্যাশন প্রোডাক্ট নিয়ে তাহলে, আপনি জেন্ডারে লেডিস সিলেক্ট করুন। এবং ফ্যাশন পোশাক সাধারণত ১৫-৩০ বছর বয়সের মেয়েরা কিনবে তাই, বয়স ১৫-৩০ সিলেক্ট করুন।
এভাবে স্পেসিপিক হতে হবে। আমার যারা সম্ভব্য ক্রেতা, আমি তাদেরই শুধু আমার এড দেখাতে চাই। যারা আমার পোশাক বা পণ্য কিনবে না। আমি তাদেরকে এড দেখাতে চাইনা। এভাবেই আমরা ফেসবুক পেইড এড এর মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে আমাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারি।
২.LinkedIn, social media marketers:
লিংকডইনকে বলা বায়ারের খনি। লিংকডইন প্রফেশনাল সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। পৃথিবীর সকল কর্পোরেট ব্যক্তিদের যুক্ত করেছে লিংকডইন। লিংকডইন এ একটি একাউন্ট খুলতে পারেন। লিংকডইন-এ যদি আপনার প্রোফাইলটা গ্রো করতে পারেন, তাহলে মার্কেটিং করা খুব সহজ হয়ে যাবে। এছাড়া লিংকডইন প্রফেশনাল বিজনেস পেজ খুলতে পারেন। লিংকডইন এর বিজনেস পেজ, কোম্পানি পেজ নামে পরিচিত। লিংকডইন কোম্পানি পেজ খুলে ব্যবসা করতে পারেন।
তবে লিংকডইন এ পেইড মার্কেটিং অনেক ব্যয় বহুল। আপনার যদি ছোট ব্যবসা হয়, তাহলে লিংকডইন এ পেইড এড চালানোর কথা ভাবার দরকার নেই। তবে আপনি চাইলে লিংকডইন ফ্রি মার্কেটিং করে অনেক আউটপুট পেতে পারেন।
৩.Instagram,social media marketers:
ইনসটাগ্রাম আরেকটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। বিশ্বব্যাপী ইনসটাগ্রাম জনপ্রিয়তা সমান। বিদেশের বেশির ভাগ বায়ার ইনসটগ্রামে সময় পার করেন। আপনার অবশ্যই একটি ইনসটাগ্রাম একাউন্ট আছে। কিন্তু সেটা প্রফেশনাল একাউন্ট কি না তা চেক করুন। যদি প্রফেশনাল একাউন্ট না হয়। তাহলে আরেকটি প্রফেশনাল একাউন্ট ক্রিয়েট করুন। আর এই ইনসটাগ্রাম প্রফেশনাল একাউন্ট দিয়ে মার্কেটিং করুন।
ইনসটাগ্রামে যদি আপনার ১০ হাজারের বেশি ফলোয়ার থাকে তাহলে, বিভিন্ন ব্র্যান্ড, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনার ইনসটগ্রাম প্রফাইলের মাধ্যমে তাদের ব্যবসার প্রচার চালানোর জন্য। আপনি তাদের কোন একটি পণ্য বা একাধিক পণ্য প্রমোট করার জন্য আপনার ইনসটগ্রামে পোস্ট করবেন। ব্যস আপনার কাজ শেষ। এভাবেই আপনার ইনসটগ্রামের মাধ্যমে মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৪.YouTube,social media marketers:
ইউটিউব যদিও একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফরম। তবুও ইউটিউবের জনপ্রিয়তার কাছে অন্য সব সোশ্যাল মিডিয়া হার মানা দিয়েছে। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহল, এই চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারবেন। যেকোনো পণ্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন। বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি যদি ইউটিউব এ সফল হতে পারেন। তাহলে তো কথাই নাই। বিভিন্ন ক্রয় বিক্রয় করে আপনার ব্যবসার প্রচার ঘটাতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করুন।
৫.Pinterest:
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য পিনটারেস্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। আপনি প্রথমেই একটি পিনটারেস্ট প্রফেশনাল একাউন্ট খুলন। তারপর আপনার পিনটারেস্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে যেকোন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করার কাজে আপনার পিনটারেস্ট একাউন্টটি ব্যবহার করতে পারবেন। বাংলাদেশের বাইরে পিনটারেস্ট এর অনেক ব্যবহারকারী রয়েছে। আপনার পিনটারেস্ট একাউন্টটিতে অনেক পিন থাকে। এবং অনেক ফলোয়ার থাকে। তাহলে দেখবেন পিনটারেস্ট এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৬.Twitter:
পৃথিবীতে যতো ভিআইপি ব্যক্তি আছে, তাদের সবারই টুইটার একাউন্ট আছে। এবার আপনি যদি টুইটার একাউন্টসহ সকল সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ভালো করে চালতে পারেন। তাহলে দেখবেন অনেক ভিআইপি ব্যক্তিদের টুইটার একাউন্ট ম্যানেজ করার দায়িত্ব আপনি পাবেন। যা আপনার জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হবে। আর টুইটার এর মাধ্যমে তো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার সুয়োগ থাকছেই।
৭. Telegram:
আপনি চাইলে টেলিগ্রামের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। আসলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টেলিগ্রাম খুব একটা জনপ্রিয় নয়। তবে দেশের বাইরে টেলিগ্রামের অনেক চাহিদা রয়েছ। আপনি চাইলেই টেলিগ্রাম নিয়ে কাজ করতে পারেন।
৮. Tumlr:
Tumlr হলো একটি মাইক্রো ব্লগিং সামাজিক নেটওর্য়াকিং সাইট। আপনি চাইলেই এখানে একাউন্ট খুলতে পারেন। ট্রাম্বলারে একাউন্ট খুলা সহজ কাজ। Tumlr ২০০৭ সালে ডেভিড কার্প প্রতিষ্ঠা করেন। আর ২০১৩ সাল থেকে Tumlr সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু এর একটি সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। আপনি চাইলেই টাম্বলার ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া করে ইনকাম করতে পারবেন।
Basic Rules of সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম:
আপনি যখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে চাইবেন? তখন আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সর্ম্পকে নিয়ম কানুন জানতে হবে। প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের বেসিক কিছু নিয়ম আছে। এসব নিয়ম আপনাকে ফলো করতেই হবে। যদি ফলো না করেন, তাহলে আপনার একাউন্টটি রেস্ট্রিকটেড হবে।তার কিছু দিন পরে দেখবেন আপনার একাউন্ট ব্যান্ড করে দেওয়া হবে।
তাই সকলসোশ্যাল মিডিয়ায় প্রফেশনাল আচরণ করবেন। একদিনে অনেক পোস্ট করবেননা। একদিনে অনেক শেয়ার করবেননা। আবার অনেকদিন গ্যাপ দিয়ে পোস্ট করবেননা। চেষ্টা করবেন প্রতিদিন একটি করে পোস্ট দিতে। এভাবেই দেখবেন আপনার সোশ্যাল মিডিয়া সাইটটি র্যাঙ্ক করবে। এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
social media marketers দের ইনকাম টিপস:
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন করবো? এমন প্রশ্নের উত্তর নিয়ে অলরেডি আমরা আলোচনা করেছি। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এসব সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তার কারণেই আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবো। মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পছন্দ করে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করতে পারলে ভালো আউটপুট পাওয়া যায়। অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। যার ফলে
- খরচ কম হবে।
- দ্রুত রেজাল্ট পাওয়া যায়।
- বেশি আউটপুট পাওয়া যায়।
- ব্যপক প্রচার করা যায়।
social media marketers’দের ইনকাম করতে দক্ষতা অর্জন করতে হয়:
ভালোভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে কিছু দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এসব দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে আপনি পিছেয়ে পড়বেন। তাই আমি বলবো একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার হিসেবে কিছু দক্ষতা আপনাকে অর্জন করতেই হবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক কি কি দক্ষতা থাকলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে ভালো করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ফাইভার একাউন্ট তৈরির উপায়।
টেকনোলজি সর্ম্পকে ধারণা: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম সহয়তা করবে:
আপনাকে টেকনোলজি সর্ম্পকে ভালো ধারণা রাখতেই হবে। কারণ টেক জগতে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন আপডেট আসে। এসব আপডেট সর্ম্পকে ভালো ধারণা না থাকলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে ভালো করতে পারবেননা। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন টেকনোলজি সর্ম্পকে আপডেট ধারণা রাখতে।
social media marketers’দের সৃজনশীলতা থাকতে হবে:
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভালো করতে হলে, অবশ্যই আপনাকে সৃজনশীল হতে হবে। মিডিয়াতে কাজ করতে গেলে দেখবেন প্রচুর সমস্যা সামনে আসবে। এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। তাই সৃজনশীল হতে হবে। আপনার কাজে নতুনত্ব থাকতে হবে। তাহলেই সফলতা আসবে।
SEO (Search Engine Optimization):
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভালো করতে চান, তাহলে আপনাকে SEO সর্ম্পকে ভালো ধারণা থাকতেই হবে। কারণ একটি পোস্ট বা কনটেন্ট গুগলে Rank করাতে হলে SEO এর কোনো বিকল্প নেই। তাই যতো ভালো এসইও করতে পারবেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে সফল হওয়ার সম্ভবনা ততো বেশি হবে।
কাস্টমার সার্ভিস:
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভালো করতে হলে, অবশ্যই কাস্টমার সার্ভিস ভালো দিতে হবে। কারণ ভালো কাস্টমার সার্ভিস নতুন নতুন কাস্টমার তৈরিতে সহয়তা করে। কাস্টমার সন্তুষ্টি হলো সবথেকে বড় মোটিভেশন। আপনার সার্ভিসে যদি আপনার কাস্টমার সন্তুষ্ট হয় তাহলে দেখবেন, আপনার আর কিছু লাগবেনা। কাস্টমার সার্ভিস থেকে সফলতা আসবে।
বিভিন্ন টুলস এর ব্যবহার:
সোশ্যাল মিডিয়াতে সফল হতে হলে আপনাকে বিভিন্ন টুলস এর ব্যবহার জানতে হবে। আপনি যতো বেশি টুলস এর ব্যবহার জানবেন, ততো বেশি সফল হবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার কাজ করার জন্য প্রচুর টুলস পাবেন। এসব টুলস এর ব্যবহার শিখে নিবেন। ফ্রি টুলস দিয়ে শুরু করবেন। পরে পেইড টুলস ব্যবহার করবেন।
গুগল পেইড এড:
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে ভালো করতে চাইলে, গুগল পেইড এড রান করা শিখতে হবে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং দ্রুততম সময়ে রেজাল্ট পেতে চাইলে, পেইড এড এর বিকল্প নেই। আপনি যদি সঠিকভাবে গুগল পেইড এডস সেটআপ করতে পারেন। তাহলে দেখবেন, গুগল এডস রান করার কাজও আপনি করতে পারবেন। আর আপনার যদি বিজনেস থাকে, সেই বিজনেসের প্রচার চালানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এডস চালানো বাধ্যতামূলক। তাই আমি বলবো। গুগল এড সর্ম্পকে স্বচ্ছ ধারণা রাখুন।
আরো পড়ুন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন।
গুগল এনালিটিক্স:
গুগল এনালিটিক্স সেটআপ করা শিখুন। সোশ্যাল মিডিয়ার যেকোনো কাজের জন্য গুগল এনালিটিক্স কাজে দিবে। প্রয়োজনীয় সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা। সেই তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করা। তারপর সেই অনুযায়ী সিন্ধান্ত নেওয়া। যা আপনার কনটেন্ট এর Rank করতে সাহায্য করে থাকে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন:
গ্রাফিক্স ডিজানইনের কাজে আপনার প্রাথমিক ধারণা থাকতেই হবে। কারণ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্ট করতে হয়, সেই পোস্টের থাম্বনেইল ইমেজ তৈরি করতে হয়। আবার প্রফাইল পিকচারের প্রয়োজন হয়। লোগো ডিজাইন করতে হয়। এসব কাজ আপনি কোনো গ্রাফিক্স ডিজাইনার দিয়ে করাতে পারেন। কিন্ত তার জন্য পেমেন্ট করতে হবে। প্রথমিক অবস্থায় এতো টাকা খরচ করতে চাইবেননা। তাই বলবো, গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রাথমিক কাজগুলো শিখে নিন। ক্যানভা দিয়ে কাজ চালানোর মতো গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারবেন। ক্যানভা দিয়ে ডিজাইনের কাজ শিখে নিন।
social media marketers’রা ব্লগিং করেন:
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে ভালো করতে চান তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লগ লিখতে পারেন। শুধু ব্লগিং করে যেমন ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে পারবেন। টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেই সাথে আপনার একটি ট্রাফিক্স ফ্লো তৈরি হবে। যার মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। সিপিএ মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। কোনো ব্যান্ড প্রমোশন করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। নিজের পণ্যের প্রচার চালাতে পারবেন। নিজের ব্লগ সাইটের ভিজিটরস অন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নিতে পারবেন। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করতে চাইলে ব্লগিং হতে পারে আপনার জন্য টানিং পয়েন্ট।
এছাড়া আরো কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলো অর্জন করতে পারলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে ভালো করতে পারবেন। নিম্নে ফলো করুন।
- দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ:
- টাইম ম্যানেজমেন্ট:
- বই পড়ার অভ্যাস:
- গুগল করা:
এজেন্সির মাধ্যমে social media marketers’রা মার্কেটিং করে ইনকাম:
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অনেক বেশি জনপ্রিয়। বিশ্বের বড় বড় সব কোম্পানি তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে থাকে। কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যের প্রচার, ব্যান্ড অ্যায়ারন্যাস, কনভার্সন, ট্রাফিক্স, অনপেজ এসইও, অফ পেজ এসইও, ফ্রি মেথড সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, পেইড মেথড সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, আর্টিকেল রাইটিং, ব্যাকলিংক, গেস্ট পোস্ট ইত্যাদি কাজগুলো করার জন্য আলাদা আলাদা ফ্রিল্যান্সারদের কাছে না গিয়ে একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান থেকে বা এজেন্সি থেকে নিতে চায়। তাহলে কোম্পানিগুলো এক জায়গা থেকে সব কাজ করাতে পারছে। আবার এজেন্সিগুলো একসাথে অনেক কাজ করতে পারছে।
বর্তমানে প্রচুর সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এজেন্সি গড়ে উঠছে। ব্যপক চাহিদা থাকার কারণে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এজেন্সি গড়ে উঠছে।
social media marketers কতো টাকা ইনকাম হয়?
এটা নির্ভর করছে আপনার উপর। আপনার অভিজ্ঞতার উপর। আপনি কোন দেশ থেকে কাজ করছেন তার উপর। আপনি কোন ডিভাইস থেকে কাজ করবেন তার উপর। কতোটুকু সময় ব্যয় করবেন তার উপর।
তবে একজন প্রতিষ্ঠিত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার ৫-হাজার ডলার থেকে ১০-হাজার ডলার ইনকাম করে থাকেন। তবে শুরুতে আপনাকে ইনকামে আসতেই অনেক সময় লাগবে। অনেক পরিশ্রম করতে হবে। প্রচুর সময় দিতে হবে। কিছু টাকা খরচ করতে হবে। তাহলে শুরুতে কম সময় ব্যয় করেই ইনকামে আসতে পারবেন। লেগে থাকুন সফলতা আসবে। আর সকল সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্যই একাউন্ট তৈরি করুন। পোস্ট করুন। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করুন। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: সিপিএ মার্কেটি করে ইনকাম।
উপসংহার:
পরিশেষে বলতে পারি যে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পারদর্শী হতে হবে। সব সময় আপডেট থাকতে হবে। নতুন নতুন টুলসের ব্যবহার শিখতে হবে। নতুন কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত হতে হবে। যেসকল সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করতে চান। সেসব সোশ্যাল মিডিয়ায় রেগুলার পোস্ট করতে হবে।সকল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করতে হবে। কাজ করুন। অপেক্ষা করুন। দেখবেন সফল হবেন। যতোদিন সফলতা না আসে লেগে থাকুন। সফলতা তাড়াহুড়ো করে আসেনা। সফলতার জন্য ধর্য্য ধরে কাজ করতে হয়। আপনিও সফল হবেন। সঠিক পরিকপ্লনা করে কাজ শুরু করুন। কারণ সঠিক পরিকপ্লনা কাজের অর্ধেক। আপনার সফলতার প্রত্যাশায় আজকে এখানেই শেষ করলাম।