Affiliate marketing 2024

আপনি যদি affiliate marketing করে ইনকাম করতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন। আমরা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করবো, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়? কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হবেন? কতোটাকা ইনকাম করা যায়? এই সাইটগুলোর খুটিনাটি বিষয় তুলে ধরবো আমাদের এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে।

Table of Contents

affiliate marketing কি?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো মূলত ওয়েবসাইট, ব্লগ সাইট, ইউটিউব, ফেসবুক বা যেকোনো সোশ্যোল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার ভিজিটরস বা ট্রাফিককে অ্যাফিলিয়েট সাইটে পাঠানোর মাধ্যমে কোনো পণ্য বিক্রয় করে কমিশন অর্জন করাকেই বুঝায়।

মনে করুন, আপনার একটি ফেসবুক পেজ আছে। আর এই পেজে লক্ষাধিক ফলোয়ার আছে। আপনি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের সদস্য। আপনার ফেসবুক পেজে অ্যামাজনের এক বা একাধিক পণ্যের ইমেজ পেজে আপলোড করে সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে একটু বর্ণনা লিখে অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েট লিংকটি দিয়ে দিলেন।

এবার আপনার ফেসবুক পেজের ফলোয়ারদের মধ্যে থেকে যতোজন সেই লিংকে ক্লিক করে অ্যামাজনের ওয়েবসাইটে গিয়ে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় যতো পণ্য ক্রয় করবে, তার ৫%-২০% পর্যন্ত কমিশন আপনাকে দেওয়া হবে। এভাবেই আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

আরো পড়ুন:    

 সিপিএ মার্কেটিং করে ইনকাম 

ফাইভার একাউন্ট তৈরির উপায়

ফেসবুক পেজের নাম

affiliate marketing এর প্রসেস:

এতো সময় তো আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি সেটা জানলাম। এখন আমরা জানবো, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রসেস কি? সেটা আমরা জানি না। এবার আমরা সেটি সম্পর্কে ধারণা নিবো।

প্রথমে থাকে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একটি পণ্য বা সেবা উৎপাদনকারী কোম্পানি বা সেলার তাদের পণ্য বা সেবা বিক্রয় করার জন্য একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্যাম তৈরি করেন।

মাঝে থাকেন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার। এবং তাদের নেটওয়ার্ক সিস্টেম।

আর শেষে ভাগে থাকে কনজুউমার বা ক্রেতা।

পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা সেবা প্রদানকারী কোম্পানি তাদের পণ্য বিক্রয় করার জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম তৈরি করেন। আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে পণ্য বিক্রয় করতে দেওয়া হয়। সেই পণ্যের একটি ইউনিক ইউআরএল ক্রিয়েট করেন। এবং1 এই ইউআরএল তাদের দেওয়া হয়। এই পণ্য বিক্রয় করার জন্য।

এরপর মার্কেটার যখন তাদের নেটওয়ার্কে সেই পণ্যের বিস্তারিত লিখে, ইমেজ দিয়ে আপলোড করেন, তখন অ্যাফিলিয়েট প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ইউনিক লিংক এড করে দেন। তাহলে তার কাজ শেষ। এবার আপনার ভিজিটরস বা ট্রাফিকদের মধ্যে থেকে যদি কেউ সেই লিংকে ক্লিক করে পণ্যটি ক্রয় করেন। তাহলে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।

আরো পড়ুন: ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম

affiliate marketing কতোগুলো স্টেপ থাকে?

অ্যাফিলিয়েট কোম্পানি:

যারা সাধারণত অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম পরিচালনা করেন। যাদের পণ্য বা সেবা সেল করা হয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বা ফ্রিল্যান্সার যারা সাধারণত তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করে কমিশন ইনকাম করে থাকে।

নেটওয়ার্ক:

যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে পণ্য বা সেবা সেল করে ইনকাম করা হয়।

কনজুমার বা ক্রেতা:

ফাইনালি যারা পণ্য বা সেবাভোগ করার জন্য ক্রয় করেন। তারাই হলেন কনজুমার বা ক্রেতা।  

এই চারটি ধাপের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রসেস সম্পূর্ণ হয়ে থাকে।

এবার আমরা এই চারটি স্টেপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

অ্যাফিলিয়েট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান:

অ্যাফিলিয়েট কোম্পানিকে হোস্টও বলা হয়ে থাকে। তারা তাদের পণ্যগুলোকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রচার না করে বা বিজ্ঞাপন খরচ না করে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম তৈরি করেন। আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা বিক্রি করে থাকেন। এতে তাদের অধিক লাভে, বেশি পণ্য বিক্রি হয়। এরকম কিছু প্রতিষ্ঠান হলো অ্যামাজন ডট কম, আলিবাবা ডট কম, বিক্রয় ডট কম, ফ্লিপকার্ট ডট কম, ই-বে ইত্যাদি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বা ফ্রিল্যান্সার, যারা তাদের নেটওয়ার্কে থাকা ট্রাফিক বা ভিজিটরদের কাজে লাগিয়ে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের পণ্য বিক্র করেন। এবং প্রচুর টাকা ইনকাম করেন। তাদের ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার পেজের পোস্টে দেওয়া লিংকে কেউ ক্লিক করে অ্যাফিলিয়েট কোম্পানি থেকে যা কিনবে তার সর্বচ্চো ২০% কমিশন আয় করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক:

affiliate marketing

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এবং অ্যাফিলিয়েট কোম্পানি বা পণ্য সেলার প্রতিষ্ঠানের মাঝে একটি সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করে এই অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক। আর এক্ষেত্রে সকলসোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েট নেটওর্য়াক হিসেবে কাজ করে। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এবং অ্যাফিলিয়েট কোম্পানির যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে অ্যাফিলিয়েট নেটওর্য়াক।

কনজ্যুমার:

অ্যফিলিয়েট মার্কেটিং এর সর্বশেষ ধাপে আছে কনজ্যুমার। তারাই মূলত পণ্য বা সেবা ভোগ করেন। তারাই বিভিন্ন ওয়েবসাইট গিয়ে বা সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে গিয়ে লিংকে ক্লিক করে পণ্য বা সেবা ক্রয় করে থাকেন। সুতরাং কনজ্যুমারাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রাণ। কারণ পণ্য বা সেবা বিক্রি হলেই এক পক্ষ লাভ পাবে। আর অন্য পক্ষ বিক্রিত পণ্যের কমিশন পাবেন।

কিভাবে affiliate marketing করলে অধিক ইনকাম করতে পারবেন:

আপনি যেহেতু এই আর্টিকেল পড়ছেন, তার মানে হলো; আপনি চাইছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে । কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করলে অধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন, তাই আলোচনা করবো। আপনার যেস্কিল আছে, তা দিয়েই শুরু করতে পারবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বিভিন্ন পন্থায় তার অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করিয়ে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করে কমিশন ইনকাম করতে পারেন। তাই আমরা জানবো কি কি উপায়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অধিক কমিশন ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট:

আপনার যদি একটি ওয়বেসাইট থাকে। আর এই ওয়েবসাইটে থাকে অর্গানিক ভিজিটরস। তাহলে তো কথায় নাই। কারণ আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কথা চিন্তা করেন তাহলে অবশ্যই আপনার কাছে ট্রাফিক ফ্লো থাকতেই হবে। তাহলেই কেবল আপনি অ্যাফিলিয়েট ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

 আপনার এই ওয়েবসাইটের ভিজিটর যখন আপনার দেওয়া অ্যাফিলিয়েট লিংক-এ ক্লিক করে অ্যামাজনের মতো মার্কেটে গিয়ে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় যা যা ক্রয় করবে তার ২০% পর্যন্ত আপনি কমিশন পাবেন। পৃথিবীতে প্রচুর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার উদ্দেশ্যে তৈরি ওয়েবসাইট দেখতে পাবেন। যারা অ্যামাজন, আলিবাবা, থেকে প্রতিদিন প্রচুর ডলার ইনকাম করছে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।

ব্লগিং করে অ্যাফিলিয়েট ইনকাম:

আপনার যদি একটি ব্লগিং সাইট থাকে। তবে আপনার অলরেডি ট্রাফিক ফ্লো আছে। এই ট্রাফিক ফ্লো কাজে লাগিয়ে অ্যাফিলিয়েট ইনকাম করতে পারেন। আপনার যে ব্লগিং সাইট আছে, সেটির আর্টিকেলে একটি অ্যাফিলিয়েট সাইটের লিংক দিয়ে দিন। দেখবেন আপনার ভিজিটররা সেই অ্যাফিলিয়েট সাইট গিয়ে পণ্য ক্রয় করবে। আর সেই পণ্য বিক্রয় থেকে আপনার ইনকাম জেনারেট হবে।

ইউটিউব:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার জন্য আপনার একটি ট্রাফিক ফ্লো থাকতেই হবে। যা আগেই বলেছি। এখন আপনার কাছে যদি কোনো ওয়েবসাইট না থাকে। যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে। তাহলে এই ইউটিউব চ্যানেলের যে subscribers থাকবে, তাদের মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কমিশন ইনকাম করতে পারবেন।

মনে করুন, আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে । আর এই ইউটিউব চ্যানেলে লক্ষাধিক Subscribers আছে। আপনি অ্যামাজন এর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের সদস্য। কোন একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের পণ্য বা সেবার লিংক আপনার ভিডিও ডেসক্রিপশনে দিয়ে সেই পণ্য সর্ম্পকে ভিডিওতে বলে দিলেন। তাহলে দেখা যাবে আপনার সেই ভিডিওতে আসা দর্শকরা যখন ভিডিও এর ডেসক্রিপশন বক্সে ক্লিক করে অ্যামাজনে গিয়ে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় যত পণ্য কিনবে সেই সব পণ্যর ২০% পর্যন্ত কমিশন পাবেন আপনি।

ইনফ্লেয়েনজার:

সাধারণত ইনফ্লেয়েনজারের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট  ইনকাম জেনারেট করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ যাদের অলরেডি একটি ফ্যানবেইস আছে তাদের জন্য। অর্থাৎ যারা ফেসবুক বা অনলাইন সেলিব্রটি তাদের জন্য। তারা তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বলে দিবেন। আর তাদের ভক্তরা সেই পণ্য কিনবে। আর এভাবে সে প্রচুর অ্যাফিলিয়েট ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।  

ই-মেইল মার্কেটিং করে অ্যাফিলিয়েট ইনকাম:

ই-মেইল মার্কেটিং করে আপনি অ্যাফিলিয়েট ইনকাম করতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে খুব একটা শ্রম দিতে হবে না। আপনার যদি ট্রাফিক  ফ্লো না থাকে, তাহলে আপনি এই পন্থা অবলম্বন করে অ্যাফিলিয়েট ইনকাম করতে পারবেন। আপনার কাজ শুধু ইমেইল সেন্ড করা।

আর এসব ইমেইলে অ্যাফিলিয়েট লিংকগুলো দিয়ে দিবেন। তাহলে দেখবেন আপনার ইমেইল ক্লিক করলে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে অ্যাফিলিয়েট সাইটে । আর অ্যাফিলিয়েট সাইটে যাওয়ার পর সেই ব্যক্তি পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় যা-যা ক্রয় করবে সেই ওয়েবসাইট থেকে তার কমিশন আপনি পাবেন। তুলনামূলক এই প্রেসেস টা একটু সহজ। এই প্রসেসে কাজ করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

আপনার যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিয়ের জন্য কোনো প্রকার ট্রাফিক সোর্স না থাকে। তাহলেও টেনশন করার কিছু নেই। কারণ আমি জানি আপনি সোশ্যাল মিডিয়ারয় বেশ একটিভ থাকেন। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিলে বেশ ভালোই লাইক কমেন্টস হয়। লাইক কমেন্টস যাই হোক আপনি নিজে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন।

আর বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন হতে পারেন। এসব গ্রুপে দেখবেন প্রচুর ট্রাফিক আছে । আর সকল সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট তৈরি করবেন। আর প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া এখন প্রফেশনাল বা বিজনেজ মুড চালু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজনেস মুড চালু করবেন। বিজনেস মুড ফ্রিতেই খুলতে পারবেন।

তারপর এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে পোস্ট করুন। দেখবেন পোস্টের লিংকে ক্লিক করে অ্যাফিলিয়েট সাইটে গিয়ে অনেকেই পণ্য বা সেবা ক্রয় করবেন। আর আপনার অ্যাফিলিয়েট ইনকাম জেনারেট হবে।

কুপন সাইট এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অনলাইন জনপ্রিয়তার ফলে দিন দিন ই-শপিং এবং কুপন সাইট গুলোর একটি ভালো অবস্থান করে নিয়েছে । আপনি চাইলে কুপন সাইটগুলোতে যারা শপিং করতে আগ্রহী তাদের সাহায্য করার পাশাপশি অ্যাফিলিয়েট ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

বেনিফিট অ্যফ affiliate marketing:

একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার অনেকগুলো সুবিধা পেয়ে থাকেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে। কি সব সুবিধা রয়েছে যা একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার পেতে পারেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক। একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কি কি সুবিধা পাবেন।

affiliate marketing করে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি একটি প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। প্যাসিভ ইনকাম হলো, একবার কাজ করবেন। আর তার ফল ভোগ করবেন সারা জীবন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি এমন একটি প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। তাই শুরুতেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সিরিয়াসলি করুন। তাহলে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট ইনকামে ঝুঁকি কম:

অ্যাফিলেট মার্কেটিং করে ইনকামে ঝুঁকি কম। তবে আপনার ট্রাফিক লাগবে। আপনার যদি ট্রাফিক থাকে তাহলে কোনো কষ্ট করতে হবেনা। আর যদি ট্রাফিক না থাকে তাহলে পরিশ্রম করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সাইট তৈরি করতে পারেন। সেই সাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট ইনকাম করতে পারবেন।

নিজের ইচ্ছামতো কাজ করার স্বাধীনতা:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে আপনার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। কারো আন্ডারে থেকে, কারো নির্দেশে কাজ করতে হবেনা। বাসায় বসে নিজের ইচ্ছামতো সময়ে কাজ করতে পারবেন। ট্রাডিশনাল অফিসের মতো কোনো বস এর নিয়ন্ত্রনে ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস করতে হবেনা। নিজের বস নিজেই। আপনার ঘরই আপনার অফিস। এভাবেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।

affiliate marketing করে অনলাইন ইনকাম জেনারেট:

আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম জেনারেট করতে চান। তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে আপনার জন্য উপর্যুক্ত মাধ্যম। কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম জেনারেট করা সম্ভব। আপনি যদি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সব সোশ্যাল মিডিয়াসহ ব্লগিং সাইট বা ওয়েবসাইট সর্ম্পকে ভালো ধারণা রাখেন, তাহলে খুব সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

affiliate marketing করে মাসে কতো ডলার ইনকাম হয়:

প্রকৃত অর্থে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার মাস কতোটাকা ইনকাম করেন। তা নির্ভর করছে তার অভিজ্ঞতা উপর। তিনি কোন অ্যাফিলিয়েট সাইটে কাজ করছেন তার উপর। তিনি মাসে কতো ঘন্টা সময় দিচ্ছেন তার উপর। তাছাড়া তিনি কোন পণ্য নিয়ে কাজ করছেন তার উপর। যারা মাত্র কাজ শুরু করেছেন তাদের মাসিক ইনকাম কম হবে এটাই স্বাভাকি।

আবার যারা অনেকদিন কাজ করছেন, তাদের ইনকাম মাসে কয়েক হাজার ডলার হবে। তারা মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করবেন এটাই স্বাভাবিক। আমরা মাঝামাঝি একটি হিসাব নিতে পারি। যাদের ইনকাম মাসে ৫-হাজার ডলার থেকে ১০-হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের খালেদ ফারহানের নাম শুনে থাকবেন। তিনি আয়ার‌ল্যান্ডে বসবাস করেন। তিনি ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও নিয়ে কাজ করেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন। তিনি মাসে কয়েক হাজার ডলার ইনকাম করে থাকেন। শুধু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে।

একটি উদাহরণ দেওয়া যাক;

মনে করুন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য একটি সাইট তৈরি করেছেন। সাইটে মেইন keyword এর সাথে আরো কিছু keywords আছে। সেইসব কি-ওয়ার্ড থেকে যদি দুটি কি-ওয়ার্ড গুগলে Rank করাতে পারেন। তাহলে দেখবেন, দুটি কি-ওয়ার্ড থেকে প্রতিদিন একটি করে পণ্য সেল হবে।

 তাহলে মাসে সেল হবে ৬০টি পণ্য। একটি পণ্যের দাম যদি ১০০ ডলার হয়। তাহলে মোট সেল হবে ১০০*৬০= ৬০০০ ডলার এর পণ্য। অ্যাফিলিয়েট কোম্পানি যদি আপনাকে ৫% কমিশন দেয়। তাহলে আপনার কমিশন হবে ৬০০০ এর ৫%=৩০০ ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় হবে ৩০-হাজার টাকা। সাইটে অনেকগুলো পোস্ট দিয়েছেন, সেই পোস্ট থেকে যে শুধু দুটি পোস্ট থেকে পণ্য সেল হবে তা তো নয়। অন্য পোস্ট থেকেও পণ্য সেল হবে। তাতে সেল আরো বাড়বে। আর সেল বাড়লে কমিশনের পরিমাণও বাড়বে।

affiliate marketing ইনকাম কমবেশি হওয়ার কারণ:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে ইনকাম কম-বেশি হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। এসব কারণগুলো আপনাদের অবশ্যই জানা থাকা দরকার। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে এসব বিষয়ে জ্ঞান থাকলে অ্যাফিলিয়েট সাইট থেকে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

affiliate marketing কোম্পানি:

আপনি কোন অ্যাফিলিয়েট কোম্পানির পণ্য বা লিংক নিয়ে কাজ করছেন তার উপর নির্ভর করছে আপনার অ্যাফিলিয়েট ইনকাম কেমন হবে। আপনি যদি অ্যামাজনে কাজ করেন, তাহলে আপনার পণ্য বেশি সেল হবে। ইনকাম বেশি হবে। আর যদি ইন্ডিয়ান বা বাংলাদেশি অ্যাফিলিয়েট কোম্পানির পণ্য নিয়ে কাজ করেন, তাহলে ইনকাম কম হবে এটাই স্বাভাবিকি।

পণ্যের ক্যাটাগরি:

আপনি কোন ক্যাটাগরির পণ্য নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করছেন তার উপর নির্ভর করছে আপনার ইনকাম কতো হবে। কারণ এক একটি পণ্যের চাহিদা, দাম কম-বেশি হয়ে থাকে। চাহিদা কম হলে সেল কম হবে। সেল কম হলে ইনকাম হবে।

পণ্যের দাম:

কমা দামি  পণ্য নিয়ে কাজ করলে ইনকাম কমে। প্রথম অবস্থায় কম দামি পণ্য নিয়ে কাজ করতে চেষ্টা করবেন। কারণ কমা দামি পণ্য নিয়ে কাজ করা তুলনামুলক একটু সহজ। যেহেতু ইনকাম কম হয় তাই অভিজ্ঞ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা কমা দামি পণ্য নিয়ে কাজ করেননা। তাই কমাদামি পণ্য নিয়ে কাজ করলে গুগলে সহজেই Rank করানো যায়। তাই শুরুতে ইনকামের চিন্তা করবেননা। শুধু কাজ করে যান। দেখবেন একসময় সফল হবেন। তখন অনেক কমিশন ইনকাম করতে পারবেন।

Keyword Search Volume:

 Keyword Search Volume এর নির্ভর করছে আপনার অ্যাফিলিয়েট ইনকাম কেমন হবে। কারণ যেসব কি-ওয়ার্ড এর সার্চ ভলিউম হাই, সেইসব কি-ওয়ার্ড গুগলে Rank করাতে পারলে, ইনকাম অনেক বেশি হবে। আর যেসব Keyword Search Volume তুলনামূলক কম, সেই সব Keyword Rank করলেও ইনকাম কম হবে।

অভিজ্ঞতা:

আপনার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করছে ইনকাম কম হবে না বেশি হবে। আপনার affiliate marketing এর অভিজ্ঞতা যতোবেশি হবে, আপনার ইনকাম ততোবেশি হবে। অভিজ্ঞতা বেশি হলে আপনি অল্প সময়ে অনেক বেশি কাজ করতে পারবেন। অনেক বেশি পণ্য সেল হবে। আপনার ইনকামও বেশি হবে।

পণ্যের কমিশন রেট:

সব পণ্যের কমিশন রেট কিন্ত সমান নয়। এক একটি পণ্যের কমিশন রেট এক এক রকম। ৫% থেকে ২০% পর্যন্ত কমিশন দেওয়া হয়। তাই যে পণ্যের কমিশন রেট বেশি সেই পণ্য নিয়ে কাজ করলে আপনার ইনকাম বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। আর যে পণ্যের কমিশন রেট কম সেই পণ্য নিয়ে কাজ করলে ইনকাম কম হবে।

জনপ্রিয় affiliate marketing সাইট বা প্রোগাম:

affiliate marketing করতে চাইলে, আপনি অনেক দেশি বিদেশী কোম্পানি পেয়ে যাবেন। তবে সবথেকে জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট সাইটগুলো নিয়ে কাজ করতে চেষ্টা করবেন। এমন কিছু জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট সাইটের নাম আপনাদের সুবিধার জন্য দেওয়া হলো:

অ্যামাজন: affiliate marketing

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সবার প্রথমে যে নাম আসবে তা হলো অ্যামাজন ডট কম। অ্যামাজনে প্রচুর পণ্য আছে। আপনি যে পণ্য চাইবেন তাই পাবেন। অ্যামাজনের ভিজিটরস প্রচুর। পৃথিবীর যেকোন দেশ থেকেই অ্যামাজনের পণ্য ক্রয় করা যায়। তারা ডেলিভারি দেয় খুব অল্প সময়ে। অ্যামাজনের ফিচারগুলো এতোটাই ইউজার ফ্রেন্ডলি যে, নতুনরা খুব সহজেই কাজ করতে পারেন। তাই আপনিও অ্যামাজন দিয়ে শুরু করতে পারেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্যারিয়ার।

Flipkart Affiliate program: affiliate marketing

Flipkart Affiliate program একটি ইন্ডিয়ান অ্যাফিলিয়েট সাইট। আপনি চাইলে কাজ করতে পারেন। কারণ ইন্ডিয়াতে বসবাস করে ১৩০ কোটি মানুষ। বুঝতেই পারছেন কি হিউজ পরিমাণ কাস্টমার আছে। প্রতিদিন অনেক মানুষ অনলাইন থেকে কেনাকাটা করে। ফ্লিপকাট ব্যবহার করছে অনেক অ্যাফিলিয়েটর। আপনি চাইলেই শুরু করতে পারেন।

Ebay affiliate Program: affiliate marketing

ebay affiliate program ব্যবহার করে affiliate marketing মাধ্যমে ইনকাম শুরু করতে পারেন। একটি অনলাইন ভিত্তিক শপিং কোম্পানি। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই তাদের পণ্য ডেলিভারি করে থাকে। তাদের অ্যাফিলিয়েট সাইট ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন। তাদের পণ্য মার্কেটিং করুন। সেলস বাড়ান। কমিশন ইনকাম করুন।

Go Daddy: affiliate marketing

গো ড্যাডি হলো একটি অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম। যেখানে থেকে Domain and hosting এর সার্ভিস নেওয়া যায়। তাদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে নাম রেজিস্ট্রেশন করুন। আর তাদের বিভিন্ন প্যাকেজ মার্কেটিং করুন। যখন আপনার সাইটে দেওয়া লিংকের মাধ্যমে সেল হবে তখন আপনার কমিশন ইনকাম হবে।

 শেয়ার এ সেল: affiliate marketing

শেয়ার এ সেল পৃথিবীর সব থেকে বেশি সেলস কমিশন প্রদান করা একটি অ্যাফিলিয়েট সাইট। এখানে একাউন্ট ওপেনিং প্রসেস খুব সহজ। অনেক পণ্য আছে তাদের। তারা ডেলিভারি দেয় খুব দ্রুততম সময়ে। নতুনদের জন্য আর্দশ একটি প্ল্যাটফর্ম। চাইলে কাজ করতে পারেন।

বিভিন্ন পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক:

উপরোল্লিখিত অ্যাফিলিয়েট সাইটগুলোতে গিয়ে সাইন আপ করুন। সাইন আপ করার জন্য নিম্ন লিখিত তথ্য সরবরাহ করুন।

  • একটি ইমেইল আইডি।
  • সচল মোবাইল নাম্বার।
  • তারপর ইউজার নেম।
  • একটি স্ট্রং পার্সওয়াড দিতে হবে।
  • ক্যান্ট্রি ডিটেইলস ইনফরমেশন দিতে হবে।
  • ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে।
  • আপনার বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
  • কোম্পানির নাম দিতে হবে।
  • ওয়েবসাইটের নাম দিতে হবে।

এই তথ্যগুলো দিয়ে আপনার একাউন্ট তৈরি হলে গেলে। ইউজার আইডি দিয়ে লগইন বা সাইন ইন করুন। লগইন করলে একটি ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। এই ড্যাশবোর্ড থেকে আপনার সকল তথ্য দেখতে পাবেন। কতোগুলো পণ্যের লিংক দেওয়া আছে। কতোগুলো পণ্য সেল হলো। কতো ডলার ইনকাম হলো। কোন দেশে বিক্রয় হলো। কতো টাকায় বিক্রয় হলো সব তথ্য পাবেন। এই ড্যাশবোর্ড থেকেই লিংকও পাবেন। লিংক নিয়ে পণ্য মার্কেটিংয়ের কাজ করতে পারবেন।

affiliate marketing এর লক্ষ্য অর্জন :

affiliate marketing আপনার কাঙ্খিত লক্ষ অর্জন করতে হলে, পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে। আপনার প্রোডাক্ট এর কি-ওয়ার্ড রিসার্স করে খুব ভালোমানের আর্টিকেল লিখতে হবে। আপনার পেজটিকে গুগলে Rank করাতে হবে। গুগলে Rank করানোর জন্য খুব ভালো করে অন পেজ এসইও করতে হবে। অফ পেজ এসইও করতে হবে। আপনার সাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে।

 আর এভাবেই একসময় আপনার পেজটি গুগলে Rank করবে। আর আপনি লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন। আমি একটি মাধ্যমের কথা বললাম মাত্র। আপনারা যে মাধ্যমেই কাজ করুন। আপনাকে খুব ভালো মার্কেটিং জানতে হবে। ভালো করে মার্কেটিং করতে পারলে অল্প সময়ে সফলতা আসবে।

সেটি ইউটিউব হোক আর ব্লগ সাইট। অথবা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে কাজ করেন। ভালো করে মার্কেটিং করতেই হবে। প্রয়োজনে  গুগল এড চালাতে হবে।

কোন পণ্য নিয়ে affiliate marketing এর কাজ করা লাভজনক:

কিছু পণ্য আছে যেগুলোর চাহিদা খুব বেশি। যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি, সেসব পণ্য নিয়ে কাজ করলে সেল বেশি হবে। যার ফলে আপনার ইনকাম বেশি হবে। এমন কিছু পণ্যের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

  • ইলেকট্রনিক্স পণ্য
  • মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার এক্সিসরিস
  • অনলাইন বই/ পিডিএফ বুক
  • ডোমেইন এন্ড হোস্টিং সার্ভিস
  • ওর্য়াডপ্রেস থিম
  • ক্যামেরা এন্ড ক্যামেরা এক্সিসরিস
  • জুয়েলারি পণ্যসমূহ
  • ঘড়ি
  • ফ্যাশান রিলেটেড ড্রেস
  • কসমেটিকস পণ্য
  • ফার্নিচার পণ্য
  • কিচেন পণ্য
  • শিশু ফুড
  • ক্যাট ফুড
  • ডগ ফুড

ইত্যাদি পণ্যগুলোর অনলাইনে ব্যপক চাহিদা। দেশের বাইরে বিশেষকরে আমেরিকায় অনেক বেশি সেল হয়। যুক্তরাষ্ট্রে সেল হলে কমিশন বেশি পাবেন। তাই আমি বলবো এসব পণ্য নিয়ে কাজ করতে পারেন। তাহলে দেখবেন পণ্য কম সেল হলেও কমিশন বেশি পাবেন।

affiliate marketing কমিশনের টাকা কিভাবে পাবেন ?

অ্যাফিলিয়েট সাইট থেকে প্রাপ্ত কমিশনের টাকা আপনি খুব সহজেই তুলতে পারবেন। যখন একাউন্ট তৈরি করবেন, তখন আপনার ব্যাংক একাউন্ট এর লিংক আপনার অ্যাফিলিয়েট একাউন্টে এড করে দিতে পারবেন। তাহলে আপনার অর্জিত কমিশনের টাকা আপনার একাউন্টে চলে যাবে।

নতুনরা affiliate marketing এ যেসব ভুল করে:

যারা নতুন affiliate marketing করছেন তারা কিছু ভুল করবেন। এটা স্বাভাবিক ব্যপার। কিন্তু একই ভুল বার বার করা যাবেনা। ভুল থেকে শিক্ষা নিন। আবার শুরু করুন। সব সময় শিখতে থাকুন। আর্টিকেল লেখার সময় ইনফো দিতে হবে। আর্টিকেলে ইনফো দিতে ভুল করবেননা। কারণ একটি পোস্ট Rank হওয়ার পেছনে ইনফোর অনেক ভূমিকা থাকে।

আর আপনার সাইটের স্ট্রাকচার ভালো হতে হবে। সাইটের স্পিড ফাস্ট হতে হবে। সাইট লোড নিতে লেট হলে, গুগল সেই সাইট Rank করায়না। তাই যখন সাইট তৈরি করবেন, অবশ্যই সাইটের স্পিড এর দিকে খেয়াল রাখবেন। কিছু প্লাগিন ব্যবহার করে সাইটের স্পিড বাড়ানো যায়। এসব প্লাগিন ব্যবহার করে সাইটের স্পিড বাড়াতে পারেন। এমন কোনো ছোট ছোট ভুলও করা যাবেনা।

উপসংহার:

পরিশেষে, বলতে চাই। আপনি যদি affiliate marketing করে ইনকাম করতে চান? তাহলে অ্যামাজন ট্রাই করেন। ভালো কনটেন্ট তৈরি করুন। যখন আপনার ট্রাফিক ফ্লো তৈরি হবে, তখন অ্যাফিলিয়েট সাইট থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন। কেউ রাতারাতি সফল হয়না। Rome was not built in a day. কথাটি মনে রাখবেন।

সফলতার কোনো শর্টকার্ট রাস্তা নেই। পরিশ্রম করেই সফল  হতে হয়। সবাই বিশ্বাসঘতকতা করতে পারে। কিন্ত পরিশ্রম কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করেনা। কাজ করুন। ধর্য্য ধরুন। সফলতা আসবেই। আপনারে জন্য শুভকামনা রইলো। এমনই সব গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন ইনকাম বিষয়ক, মোডিভেশনাল বিষয়ক পোস্ট পড়তে আমাদের সাইটের অন্য পেজগুলো ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

  1. ↩︎

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top