SEO কি (SEO Search Engine Optimization) হলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ। যারা ভালো এসইও (SEO) করতে পারেন। তাদের কাজের অভাব হয় না। হাই রেটেড কাজ করতে পারেন। মার্কেটপ্লেসে এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার দেখতে পাবেন যাদের মাসিক ইনকাম কয়েক লক্ষ ডলার।
বাংলাদেশ থেকে যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করছেন, তাদের ইনকামও কয়েক লক্ষ টাকার কম নয়। তবে এসইও কাজ সহজ নয়। এডভাসন্স লেভেলের কাজ। একদিন, একসপ্তাহ, একমাসে বা দুই-তিনমাসে শিখতে পারবেন না। এসইও শিখতে হলে আপনাকে মিনিমাম একটানা ছয়মাস কাজ শিখতে হবে। আর এইসও এক্সপার্ট হতে হলে আপনাকে ২-৩ বছর একটানা কাজ করতে হবে।
আপওর্য়াক, ফাইভারসহ সকল মার্কেটপ্লেস-এ অনেক উচ্চ রেটে কাজ পাবেন। চুক্তিভিত্তিক কাজ, স্থায়ী চাকুরি করে আয় করতে পারবেন। তাছাড়া নিজের একটি ব্লগ সাইট, ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেলসহ যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য এসইও এক্সপার্টদের অনেক কদর রয়েছে।
কিভাবে এসইও কাজ শিখবেন, কিভাবে শিখবেন, কিভাবে এসইও করা যায়, এসইও এক্সপার্টদের আয় কেমন, কোথায় কোথায় কাজ করা যায়, এসইও কাজ করতে কি কি টুলস ব্যবহা করতে হবে এসব কিছু নিয়ে থাকছে আমাদের আজকের আর্টিকেল। যদি এসইও সর্ম্পকে বিস্তারি জানতে চান, তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
আরো পড়ুন: ঘরে বসে অনলাইন ইনকাম করুন।
SEO কি ?
SEO কি? Search Engine Optimization জানার জন্য আমাদের অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন কি তা জানতে হবে। আর সার্চ ইঞ্জিন হলো কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে বা ইন্টারনেট থেকে কোনো ডিজিটাল বা ই-তথ্য খুজেঁ বের করার ইঞ্জিন। আপনার কোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে সার্চবারে গিয়ে “SEO Tools” লিখে সার্চ দিলে, সার্চ রেজাল্টে কয়েকশত রেজাল্ট দেখতে পাবেন। সকল অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম আপনার সামনে শো করবে। SEO Tools নিয়ে লেখা সাইট, ইউটিউব চ্যানলে সব আপনার সামনে প্রদর্শন করবে। এটাই হলো সার্চ ইঞ্জিন এর কাজ।
বিশ্বের ১০টি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন:
- Microsoft Bing
- Yahoo
- Baidu
- Yandex
- DuckDuckGo
- Ask.com
- Ecosia
- Aol.com
10.Internet Archive
SEO( search engine optimization) :
SEO হলো Search Engine Optimization। এখন কথা হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আবার কি জিনিস? সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি তা বুঝার জন্য, আগেই জেনে নিয়েছি সার্চ ইঞ্জিন? তাহলে এখন উপরোল্লিখিত সার্চ ইঞ্জিন গুলোর মধ্য থেকে সবথেকে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন, Google Search Engine-এ “SEO Tools” Keyword লিখে Search করলে Google তাদের সার্চ রেজাল্টের একটি লিস্ট আমাদের সামনে প্রদর্শন করবে। এই লিস্টে কয়েকশত থেকে কয়েকহাজার পর্যন্ত ওয়েবাসইট থাকতে পারে।
আরো পড়ুন: অনলাইন ইনকাম বিডি পেমেন্ট বিকাশ।
এখন এই কয়েকশত বা কয়েকহাজার ওয়েবসাইটকে একটি ক্রমধারা অনুযায়ী (১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,১০………) এভাবে যতোগুলো সাইট থাকবে তার সবগুলো সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শন করা হবে। এখন প্রশ্ন হলো Google কেন একটি ওয়েবসাইটকে ১ম স্থানে আবার একটি কে ১০০তম স্থানে আবার একটিকে সবার শেষে প্রদর্শন করছে। এটা কি কখনো ভেবে দেখেছেন। এটাই হচ্ছে SEO( Search Engine Optimization)
যে ওয়েবসাইটটি যতো ভালো করে SEO করবে, তার অবস্থান গুগলের সার্চ রেজাল্ট এর ততো উপরে অবস্থান করবে। ধরুণ আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে, এই ওয়েবসাইটে “SEO Tools”, এই Keyword নিয়ে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করেছেন। আর্টিকেলটি যথেষ্ট তথ্য সমৃদ্ধ।
কিভাবে SEO করতে হয়? SEO Tools নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থান করেছেন। এবার আপনার এই ওয়েবসাইট, Keywords টির জন্য সঠিক SEO করলেন। যখন কেউ Google Search bar গিয়ে “SEO Tools” এই Keywords লিখে সার্চ করবে, তখন সার্চ রেজাল্ট লিস্টের প্রথমে আপনার ওয়েবসাইটটি প্রদর্শন করবে।
এক কথায়, কোনো একটি ওয়েবসাইট বা কী-ওয়ার্ডকে,গুগল সার্চ রেজাল্টের টপ পেজের, টপে নিয়ে আসার জন্য যা কিছু করতে হয়, তার সবকিছুই SEO।
বিভিন্ন প্রকার এসইও করা হয়। একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে নিয়ে আসার জন্য। সকল প্রকার এসইওই ওয়েবসাইট Rank করার জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়।
তবে একটি ওয়েবসাইটকে Rank করার জন্য, সকল প্রকার SEO করার প্রয়োজন হয়। সব SEO করতে এক রকম পরিশ্রম হয় না আবার সব এসইও রেজাল্ট একই রকম হয় না। সকল প্রকার SEO সর্ম্পকে আমরা একটু একটু ধারণা নেয়ার চেষ্টা করবো।
SEO কি এবং কতো প্রকার:
- প্রথমতো SEO দুই প্রকার যেমন;
- হোয়াইট হ্যাট White Hat SEO
- ব্ল্যাক হ্যাট Black Hat SEO
হোয়াইট হ্যাট SEO কি:
হোয়াইট হ্যাট SEO হলো মূলত ভালো SEO। অর্থাৎ গুগল বা সার্চ ইঞ্জিন এর সকল পলিসি বা রুলস মেনে যে SEO করা হয়। হোয়াইট হ্যাট এসইও একটি ওয়েবসাইট Rank করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হোয়াইট হ্যাট SEO যেকোন ওয়েবসাইটের জন্য নিরাপদ।
ব্ল্যাক হ্যাট SEO কি:
ব্ল্যাক হ্যাট SEO করেও একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে নিয়ে আসা যায়। তবে সেটা সাময়িক সময়ের জন্য। যেসব ওয়েবসাইট এই অবৈধ্য পন্থা অবলম্বন করে ওযেবসাইট Rank করতে চেষ্টা করে, গুগল যখন ট্যাক করতে পারে তখন সেই ওয়েবসাইটে বিরুদ্ধে প্যানাল্টি দিয়ে দেয়। আর একবার যদি কোনো ওয়েবসাইটকে প্যানাল্টি দেয়। তাহলে সেই ওয়েবসাইট আর Rank করে না। ব্ল্যাক হ্যাট SEO তে মূলত গুগল বা সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম নীতি না মেনে এসইও করে Rank করার চেষ্টা করা।
আবার সোর্স বা ভিজিটরের উপর ভিত্তি করে SEOকে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়। যেমন,
- অর্গানিক SEO(Organic SEO)
- পেইড SEO (Paid SEO)
অর্গানিক SEO কি:
অর্গানিক SEO হলো মূলত অন পেজ SEO মতোই। যেসব মেথড এপ্ল্যাই করে SEO করলে কোনো প্রকার টাকা,পয়সা খরচ হয় না, তাই হলো অর্গানিক SEO। সঠিক কী-ওয়ার্ড রিচার্স, ভলোমানের কনটেন্ট রাইটিং, গুগলের নির্দেশনা অনুযায়ী পোস্ট আপলোড করতে পারলে অনপেজ SEO এর কাজ হয়ে যায়। আর ঠিক মতো অনপেজ SEO এর কাজ করতে পারলে অর্গানিক SEOএর কাজ হয়ে যায়।
পেইড SEO কি:
SEO যেসব মেথড ব্যবহার করার জন্য ডলার বা টাকা খরচ করতে হয় তাই হলো, পেইড মেথড, পেইড মেথড ব্যবহার করে খুব অল্প সময়ে একটি ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে নিয়ে আসা যায়। উদাহরণ হিসেবে যদি বলি, যখন গুগল সার্চ করেন, তখন দেখবেন শুরুতেই sponsored বা প্রয়োতিত লিখা ওয়েবসাইট দেখা যায়। এসব ওয়েবসাইটের মালিক গুগল এডস চালিয়ে তাদের ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ রেজাল্টের টপ Rank নিয়ে এসেছে।
এসইও করার প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়:
- অনপেজ SEO
- টেকনিক্যাল SEO
- অফপেজ SEO
অনপেজ SEO কি:
অনপেজ SEO কথাটি শুনেই হয়তো ধারণা করতে পারচ্ছেন অনপেজ পেজ SEO কি? অনপেজ SEO হলো ওয়েবসাইটের কোন একটি পেজকে বা আর্টিকেল যখন তৈরি করা হয়, তখন আর্টিকেলে মেইন কী-ওয়ার্ড টি ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া যখন পেজটি পাবলিশ করা হয়, তখন কিছু কাজ করতে হয়। এই কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারলেই অনপেজ SEO এর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়।
On page এসইও Strategy:
- একটি প্রফেশনাল টাইটেল দিতে হবে
- টাইটেল ক্যারেক্টার অনুযায়ী দিতে হবে
- টাইটেল ওর্য়াড অনুয়য়ী দিতে হবে যেমন, (৪) শব্দের টাইটেল দিতে হবে।
- মেটা ট্যাগ দিতে হবে
- মেটা ডেসক্রিপশন দিতে হবে
- অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লিখতে হবে।
- আর্টিকেল-এ ফোকাস কী-ওয়ার্ড থাকতেই হবে।
- কনটেন্ট মিনিমাম ১০০০ হাজার ওয়ার্ড থাকতে হবে।
- পোস্ট এর ক্যাটাগরি অপশন
- কনটেন্টে h2,h3, হেডিং ব্যবহার করুন।
- আর্টিকেলে এ ইমেজ ব্যবহার করতে হবে।
- ইমেজ অবশ্যই অপটিমাইজেশন হতে হবে।
- ভালো SEO এর জন্য Yeast SEO or Rank Math ব্যবহার করুন।
অনপেজ এসইও এর সুবিধা:
অনপেজ SEO অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটি ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ Rank টপ পেজে নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু অনপেজ SEO যদি সঠিক উপায়ে এবং যত্ন করে করা যায়, তাহলে দেখা যাবে একটি ওয়েবসাইট Rank করার জন্য আর তেমন কিছু করা লাগে না। আবার যদি অন পেজ এসইও ঠিকমতো করা না হয়, তাহলে অফপেজ বা টেকনিক্যাল SEO করেই তেমন বেশি লাভ হয়না।
টেকনিক্যাল SEO কি:
একটি ওয়েবসাইটকে Rank করার জন্য যে, ফেক্টরগুলো কাজ করে তারমধ্যে টেকনিক্যল SEO খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টেকনিক্যল SEO ঠিক না থাকলে অনপেজ এসইও, অফপেজ এসইও করেও লাভ নেই। তাই অনপেজ এসইও বা অফপেজ এসইও করার আগে অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট এর টেকনিক্যল এসইও ঠিক করা খুবই প্রাসঙ্গিক কাজ।
প্রথমেই আপনার ওয়েবসাইটটির স্ট্রাকচার এবং ডিজাইন ঠিক করে নিবেন। তাহলে দেখবেন, আপনার ওয়েবসাইটের অন্যান্য এসইও খুব ভালো কাজ করবে। এখন টেকনিক্যল কাজগুলো ঠিক করুন:
· রোবট টেক্সট ফাইল দিতে হবে
· ওয়েবসাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন
· ব্রোকেন লিংক সিলেক্ট করা
· 4O4 পেজ নির্ধারণ করা
· ভেলূঅ্যাবল কনটেন্ট
· SSL Certificate
· Page Loading Speed
· Google Analytics
· Crawl
অফপেজ SEO কি:
কোনো একটি ওয়েবসাইট গুগল সার্চ রেজাল্ট এর টপে পেজে নিয়ে আসার জন্য অফপেজ এসইও এর ভূমিকা কম নয়। সঠিকভাবে যদি অফপেজ এসইও করা না হয়, তাহলে অন্য এসইওগুলো ঠিক মতো কাজ করে না। তাই আসুন দেখে নেয়া যাক। অফপেজ এসইও সর্ম্পকে ধারণা নেওয়া যাক।
· Create Backlink;
· Blog Comments
· Forum SEO
· RSS Directories
· HARO SEO
· Broken Link Building
· Guest Post Publishing
· Skyscraper
· Share with Social Media
· Do Local Business
· Referring Domai
Keywords Research:
আপনারা তো কী- ওয়ার্ড টুলস এর নাম শুনেছেন? কী-ওর্য়াড রিসার্চ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে সর্বোচ্চ ব্যবহৃত শব্দটি খুঁজতে সাহায্য করে। অফপেজ এসইও ভালো করতে হলে কী-ওয়ার্ড রিসার্চ ভালো করতে হবে। সঠিকভাবে কী-ওয়ার্ড রিসার্চ না করতে পারলে কোনো পেজকেই র্যাঙ্ক করানো সম্ভব নয়।
Keywords Research Tools:
সঠিকভাবে কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করতে হলে কিছু ফ্রি টুলস এবং কিছু পেইড টুলস ব্যবহার করতে হবে। এসব টুলস ব্যবহার ছাড়া সঠিক কী-ওয়ার্ড খুঁজে বের করতে পারবেননা। হাই ভলিউম কিন্তু লো কমপিটিটিভ কী-ওয়ার্ড ছাড়া ভালো অফ পেজ এসইও সম্ভবনা।
· প্রথমেই আছে Keyword Research Tools
· Semrush
· Sloove
· TopicRanker
· Jaaxy
· Google Search Console
· Ahref keywords explorer
· SECockpit
· Google Keyword planner
· Keyword Tool.io
· Moz Keyword Explorer
· Keyword Everywhere
Google Top Ranking Factors:
- Domain Factors
- Page-Level Factors
- Site-Level Factors
- Backlink Factors
- User Interaction
- Special Google Algorithm Rules
- Brand Signals
- On-Site Web spam Factors
- Off-Site Web spam Factors
এই Google top ranking factor গুলোর আবার আছে কিছু সাব-ফেক্টর। সব মিলে প্রায় ২০০ ফেক্টর আছে। যে ফেক্টর গুলো কোনো কী-ওয়ার্ডকে র্যাঙ্কে নিয়ে আসে।
Unique Content:
আপনাকে এসইও ভালো করতে হলে ইউনিক কনটেন্ট নিয়ে কাজ করতে হবে। যদি ১০০% ভাগ ইউনিক কনটেন্ট নিয়ে কাজ করেন। তাহলে এসইওর অন্য ফেক্টর ঠিক থাকলে দ্রুতই আপনার সাইট র্যাঙ্ক করবে। আর যদি কনটেন্ট ইউনিক না হয়, তাহলে এসইও করে লাভ হবে না।
উপসংহার:
উপরের আলোচনা থেকে, আমরা এটা বলতে পারিযে, যদি আপনার আর্টিকেল বা সাইট গুগলে Rank করাতে চান। তাহলে আপনার সাইটের টেকনিক্যাল এসইও, অনপেজ এইসও, ইউনিক আর্টিকেল এবং অফপেজ এসইও ঠিক করে করতে হবে। যদি আমাদের পোস্ট ভালো লাগে তাহলে সাইটের অন্য পোস্টগুলো পড়তে পারেন ধন্যবাদ। সূত্র: ১