ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়। ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে ওয়েবসাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেকাজই করেন না কেন? আপনার যেকোনো ব্যবসা থাকুক না কেন? আপনার কাজের জন্য ওয়েবসাইট থাকাটা জরুরী। অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে, আপনার যদি একটি চায়ের দোকান বা মুদি দোকানও থাকে, তাহলেও সেটার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন। আর আপনি যদি স্টুডেন্ট, বেকার, চাকুরিজীবী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতেই হবে। এখন ওয়েবসাইট থাকাটা হয়ে গেছে স্মার্টনেসের একটি অংশ। ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়। তাই দেখবো।
আজকে আমরা আলোচনা করবো ওয়েবসাইট কি? ফ্রিতে ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়। করতে পারবেন। নাম মাত্র মূল্য পরিশোধ করে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবেন। কিভাবে মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। ওয়েবসাইট দিয়ে কিভাবে ইনকাম করবেন? কতো টাকা ইনকাম করতে পারবেন? এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আমাদের আজকের আর্টিকেলে ।
আরো পড়ুন: ফাইভার একাউন্ট তৈরির উপায়
ওয়েবসাইট (Website) কি?
ওয়েবসাইট হলো বেশ কিছু ওয়েব পেজের সমষ্টি। সেই ওয়েবপেজগুলো যেসম্পর্কে লেখা হয়, তার বিষয়বস্তুর (লিখা, ইমেজ, অডিও, ভিডিও তথ্যের একটি সংগ্রহ। প্রতিটি ওয়েবসাইটকে একটি ইউনিক ডোমেইন নেম দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এবং যেকোনো একটি ওয়েব সার্ভারের সাথে যুক্ত করা হয়। আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে ডোমেইন নেমসহ কিছু ওয়েবসাইট এর উদাহরণ দেওয়া হলো। Facebook .com, Google .com, Fiverr.com, Upwork.com, Amazon.com. তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে-সাথে মানুষের জীবনে ওয়েবাসইটের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরো পড়ুন: ফাইভার গিগ মার্কেটিং করে প্রথম অর্ডার
ওয়েবসাইটগুলো সাধারণত যেকোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে উপর ভিওি করে তৈরি করা হয়। খবর, শিক্ষা, পণ্য, ছবি, বাণিজ্য, বিনোদন, সামাজিক নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়। ওয়েবসাইটের পেজগুলোর মাঝে লিংক করে দেওয়া হয়। ওয়েবপেজগুলো লিংক করে দিলে ওয়েবসাইটের নেভিগেশন তৈরি হয়। যেমন কোন একটি পেজ পড়ছেন। যে ট্রপিকের উপর লেখা আছে। সেই বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য অন্য একটি পেজকে লিংক করে দেওয়া হয়।
আর আমরা যারা ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ব্যবহার করি। তারা এসব ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে এক্সসে করতে পারি।
একটি ওয়েবসাইট কিভাবে কাজ করে?
একটি ওয়েবসাইট কিভাবে কাজ করে তা জানতে হবে। তার আগে আমাদের জানতে হবে একটি ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়। ওয়েবসাইট তৈরির প্রসেসটা আমাদের জানতে হবে। ওয়েবসাইট তৈরির জন্য প্রয়োজন হবে একটি ইউনিক ডোমেইন নেম। পৃথিবীতে যত ওয়েবসাইট আছে তার প্রত্যেকটির জন্য একটি আইপি এড্রেস আছে। আর এই আইপি এড্রেস দ্বারা প্রতিটি ওয়েবসাইট আইডেন্টিফাই করা হয়। আর আমাদের ওয়েবসাইটে যেসব তথ্য বা ইনফরমেশন থাকে তা সংরক্ষণ করার জন্য একটি হোস্টিং প্রয়োজন হয়। এর ফলে কি হয়? যখন কেউ আপনার ডোমেইন নেম বা আপনার ওয়েবসাইটের পেজের কোনো কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ দেয়। তখন পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইটের মধ্য থেকে আপনার ওয়েবসাইটি গুগলের সার্চ রেজাল্টে দেখানো হয়।
ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়/ওয়েবসাইট তৈরির খরচ কেমন?
বর্তমানে ফ্রিতে কিছুই হয় না। কিন্তু আপনি চাইলে সম্পূর্ণ ফ্রিতেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। তবে গুগল বর্তমানে এইসব ফ্রি ওয়েবসাইট Rank করায়না কারণ গুগলের একটি ব্যবসা আছে। আর ব্যবসা মানেই প্রতিযোগিতা। আর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্যই ফ্রিতে তৈরি ওয়েবসাইট Rank হয় না। অর্থাৎ আপনাকে কিছু প্রিমিয়াম থিম কিনতে হবে। কিছু খরচ করতে হবে। কি কি কিনতে হবে ?
- অনলাইনে ইনকাম করার উপায়! মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকামের সহজ উপায়
- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়;কম্পিলিট গাইডলাইন!
- ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি! ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেস্ট কোর্স কোনটি!
- ছোট ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে বের করার গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক
- ১০টি নতুন ব্যবসার আইডিয়া যা এখন শুরু করা উচিৎ!
ডোমেইন নেম:
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ইউনিক ডোমেইন নেম প্রয়োজন হবে। এই ইউনিক ডোমেইন নেম ব্যবহার করার জন্য টাকা দিয়ে কিনতে হবে। আর বিভিন্ন ডোমেইন এর দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন একটি .xyz ডোমেইন ৯৯ টাকা থেকে শুরু হয়, আর King of Domain নামে পরিচিত .com Domain এর দাম কোম্পানি ভেদে ১০০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে থাকে। এছাড়া আরো কিছু ডোমেইন এর নাম, বর্তমান দাম এবং কোম্পানির নাম দেওয়া হলো। Namechep, Hostinger, Bluehost ইত্যাদি। ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়; জানতে হল উপরের টার্মগুলো জানতেই হবে।
সব সময় চেষ্টা করবেন ভালো এবং বিশ্বস্ত কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনতে। কারণ আপনার প্রাইভেসির ইস্যু আছে এখানে।
হোস্টিং:
হোস্টিং হলো আপনার ওয়েবসাইটের ডাটা সংরক্ষণের সার্ভার। বেশির ভাগ হোস্টিং সার্ভার আমেরিকার অবস্থিত। এই সার্ভারে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য স্পেস ক্রয় করতে হবে। সাধারণত এক জিবি থেকে শুরু হয়। এবং মান্থলি প্যাকেজে থেকে শুরু করে সব কোম্পানি। আপনার ওয়েবসাইটে কি পরিমাণ ডাটা রাখবেন আছে। তার উপর নির্ভর করেছে আপনি কতো জিবি হোস্টিং কিনবেন। আপনি যদি লেখালেখির কাজ করেন তাহলে শুরুতে এক জিবি হোস্টিং নিতে পারেন। হোস্টিং ১ জিবির দাম প্রতি মাসে ১৫০ টাকা থেকে শুরু হয়। যা বাৎসরিক ক্রয় করলে ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। তবে আগেই বলেছি কোম্পানি ভেদে ডোমেইন এবং হোস্টিং এর দামের কমবেশি হবে।
পেইড থিম বা প্রিমিয়াম থিম:
আপনি প্রফেশনালি কাজ করতে চাইলে একটি পেইড থিম বা প্রিমিয়াম থিম ক্রয় করতে পারেন। কারণ একটি প্রিমিয়াম থিমে অনেক সুয়োগ সুবিধা থাকে। যা আপনার ওয়েবসাইটের প্রফেশনাল লুক আনতে সহায়তা করে। সাথে অনেকগুলো প্লাগিন পেয়ে যাবেন। যা দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট খুব সুন্দর করে সেটিং করতে পারবেন। একটি প্রিমিয়াম থিম কিনতে অনেক গুলো টাকার প্রয়োজন হবে। আবার বেশির ভাগ কোম্পানি পেইড সিস্টেম ডলারে। আর আপনি যদি WordPress দিয়ে কাজ করেন। তাহলে এমনিতেই প্রচুর সুন্দর-সুন্দর ফ্রি থিম পাবেন WordPress এর সাথে। এগুলো ব্যবহার করে প্রফেশনালি কাজ করা যায়।
সম্পূর্ণ ফ্রিতেই ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়:
আপনি যদি ওয়েবসাইট খুলতে চান, তাহলে আপনি দুই মেথডেই ওয়েবসাইট খুলতে পারবেন। আজকে আমরা এই দুটি মেথড নিয়েই আলোচনা করবো। আপনি যদি প্রফেশনাল কাজের জন্য ওয়েবসাইট খুলতে চান। বা ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই শুরুতে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। অর্থাৎ কিছু টাকা দিয়ে একটি ডোমেইন এবং একটি হোস্টিং কিনতেই হবে। আর থিমটা আপনি ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারেন। এই খরচ টুকু করলে যেকোনো ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এমনকি মোবাইল দিয়েও একটি ওয়েবসাইট খুলতে পারবেন।
Google Blogger.Com দিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়:
গুগলের অনেকগুলো প্রোডাক্ট আছে। কিছু আছে পেইড ভার্সন আবার কিছু সম্পূর্ণ ফ্রি। আবার এসব পণ্য পৃথিবীর কিছু দেশে ব্যবহার করা যায়। আবার কিছু দেশে ব্যবহার করা যায় না। Google Blogger.Com হলো এমন একটি ফ্রি প্ল্যাটফর্ম। শুধু একটি ইমেইল থাকলেই আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। গুগল ব্লগার ডট কম এর সার্ভার টি গুগল নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকায় আপনার হোস্টিং ক্রয় করতে হবে না। আপনি যত ইচ্ছা ডাটা আপলোড করলে কোন সমস্যা হবে না। তাছাড়া গুগলের সার্ভিস হওয়ায় চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারেন।
এবার আপনি যদি blogger.com এ আপনার কাঙ্খিত ওয়েবসাইট খুলতে চান তাহলে আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলের সার্চ অপশনে গিগে blogger.com লিখে সার্চ করুন। অথবা এই লিংক-এ blogger.com ক্লিক করুন। তারপর আপনাকে ব্লগার হোম পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। আপনার যদি কম্পিউটার না থাকে তাতে কোন সমস্যা হবে না আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে ব্লগার থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
ব্লগারে যাওয়ার পর, দেখবেন ক্রিয়েট ইউয়োর ফাস্ট ব্লগ (create your first blog) এবং সাইন ইন । আপনার যেহেতু আগে ব্লগ একাউন্ট ক্রিয়েট করা নেই। তাই ক্রিয়েট ইউয়োর ফাস্ট ব্লগ-এ ক্লিক করুন।
তারপর আপনার ইমেইল দিয়ে লগইন করতে বলবে। লগইন করার পরে। হোম পেজ থেকে ক্রিয়েট ইউয়োর ফাস্ট ব্লগ-এ ক্লিক করুন। তারপর কয়েকটি ধাপ পূরণ করুন। ব্যস আপনার ব্লগ সাইটটি রেডি হয়ে যাবে।
আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য একটি নাম ঠিক করুন। অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের কি-ওয়ার্ড বা যে নিশ নিয়ে কাজ করতে চান তার সাথে রিলেটেড এমন একটি নাম ঠিক করুন। উদাহরণস্বরুপ: Technical blogspot.com। তবে ফ্রিতেই ওয়েবসাইট খুলতে চাইলে আপনার ব্লগ সাইটের নামের সাথে blogspot সাব-ডোমেইন যুক্ত থাকবে। যখন একটি পেইড ডোমেইন কিনে আপনার ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত করবেন তখন এই ব্লগস্পট সাব-ডোমেইন রিমুভ করে Technical.com রাখাতে পারবেন।
Google Blogger.com দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করার কিছু সুবিধা আছে।
আসুন দেখে নেওয়া যাক কি কি সুয়োগ সুবিধা আছে।
১. গুগল ব্লগার ডট কম দিয়ে ফ্রিতেই ওয়েবসাইট তৈরি করলে ফ্রিতেই একটি সাব-ডোমেইন পাবেন।
২. মাসিক বা বাৎসরিক কোন চার্জ ছাড়া সর্বচ্চো ১৫ জিবি পর্যন্ত হোস্টিং পাবেন।
৩.Blogger.com, Google এর একটি সার্ভিস হওয়ার কারণে এদের নেটওয়ার্ক সার্ভিস খুব ভালো
৪. গুগলের সার্ভিস হওয়ার কারনে আপনি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারেন।
৫. গুগলের হোস্টিং সার্ভিস খুব ভালো। আপনার ওয়েবসাইটে যতই ভিজিটরস আসুক না কেন কোন সমস্যা হবে না।
৬, গুগলের ব্লগার ডট কমের সাথে কিছু সুন্দর-সুন্দর ফ্রি থিম আছে। যেগুলো গুগল এডসেন্স এপ্রুভ ফ্রেন্ডলি।
৭. ফ্রি থিমগুলো সুন্দর করে ডিজাইন করে আপনি চাইলে, আপনার মনমতো কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম:
এখন আমরা দেখবো কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট খোলা য়ায়। ওয়ার্ডপ্রেস খুবই জনপ্রিয় একটি CMS সফটওয়্যার। CMS হলো Content Management System। পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় সিএমএস সফটওয়্যার হলো ওয়ার্ডপ্রেস। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা খুব সহজ। ওয়ার্ডপ্রেস ডট কমে আপনি দুটি পন্থায় ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস এর রয়েছে পেইড ভার্সন। এবং ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি ভার্সন। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান। তাহলে wordPress.com-এ একটি একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপনি ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট খুলতে পারবেন। নিজস্ব নেটওয়ার্ক সার্ভারে যদি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান, তার জন্য প্রথমে wordPrss.org-এ একাউন্ট খুলতে হবে। এখানে অবশ্যই আপনাকে কিছু পেইড করতে হবে। হোস্টিং কিনার জন্য।
wordPress.com and wordPress.org দুটি দেখতে একই রকম মনে হলেই দুটি ওয়েবসাইটের মধ্য কিছু পার্থক্য আছে। যদিও দুটি ওয়েবসাইট একই প্রতিষ্ঠানের। ব্যবহারে দিক দিয়ে তাদের মধ্যে পার্থক্য আছে। যেমন সামান্য কিছু subscription free দিয়ে একটি একটি ফ্রি ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন wordPress.com থেকে। ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য কোন হোস্টিং এর প্রয়োজন হবে না। কিন্ত আপনি যদি wordPress.org ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে হোস্টিং কিনে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। আপনি যদি প্রফেশনালি ব্লগ করতে চান? আপনি যদি ওয়েবসাইটটি গুগল এডসেন্স দ্বারা মনিটাইজ করাতে চান, তাহলে শুরতে একটু বেশি খরচ হলেও আপনার বেস্ট হবে wordPress.org. আপনি চাইলে এই সম্পূর্ণ প্রসেস টি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরির কিছু সুবিধা:
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যদি আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে কিছু সুবিধা পাবেন যেমন,
১ ওয়ার্ডপ্রেস এর একটি সাব-ডোমেই পাবেন।
তাদের নির্দিষ্ট হোস্টিং পাবেন।
পরবর্তী সময়ে যদি আপনার ডোমেইন এর প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে তাদের কাছে থেকে ডোমেইন কিনতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম ফ্রি ভার্সন হওয়ার কারণে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এডসেন্স এপ্রুভ করাতে পারবেন না।
wordPress.org দিয়ে যদি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে বিজ্ঞাপণসহ সকল সুয়োগ সুবিধা পাবেন।
ওয়েবলি দিয়ে ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয় (How to Create a Website by Weebly)
ওয়েবলি হলো খুবই জনপ্রিয় একটি ওপেনসোর্স প্ল্যাটফর্ম। ওয়েবলিতে সকল অ্যাডভান্স ফিচারযুক্ত থিম রয়েছে। এছাড়া ওযেবলিতে ড্রপ এন্ড ড্যাগ এর সুবিধা রয়েছে। এটা দেখে আপনি সুন্দর করে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। ওয়েবলিতে আপনি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। ওয়েবলি একটি ওপেনসোর্স CMS প্ল্যাটফর্ম হওয়ার কারণে আপনি সুন্দর ডিজাইনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরির প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম। ইমেইল দিয়ে লগইন করুন। তারপর একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করুন। এবার একাউন্ট ড্যাশবোর্ডে থেকে আপনি একটি ফ্রি ওয়বেসাইট তৈরি করতে পারবেন। তবে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরির কিছু সুবিধা-অসুবিধা আছে। মনিটাইজ করাতে পারবেননা।
উপসংহার:
উপরের আলোচনা থেকে আমি বলতে পরিযে, আপনি ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়, তা জানতে পেরছেন। যদি জেনে থাকেন তাহলে, যেকোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে করতে পারবেন। আপনার শিখার জন্য যদি হয়। তাহলে গুগলের ব্লগার ডট কম ভালো হবে। নতুনদের জন্য সহজ ব্লগার খুব ভালো হবে। সহজ সরল করে সেটআপ করা। মোবাইল ফ্রেন্টলি। মোবাইল দিয়েই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। বুঝতে পারছেন, আর ডেক্সটপ ব্যবহার করে তৈরি করতে চাইলে অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করুন। ওয়েবসাইট তৈরি করে যদি মনিটাইজ করাতে চান, তাহলে পেইড ভার্সন ব্যবহার করুন। আমাদের আর্টিকেলিট কেমন লাগলো জানাবেন। এমনই সব গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইটের অন্য পেজ ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
- অনলাইনে ইনকাম করার উপায়! মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকামের সহজ উপায়অনলাইনে ইনকাম করার উপায় নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। অনেকে বলতে পারেন। অনলাইনে ইনকাম করার উপায় নেই। আসলেই, টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় নেই। শান্ত সমুদ্রে দক্ষ নাবিক হওয়া যায় না। টাকা ইনকাম করতে হলে প্ররিশ্রম করতেই হবে। কথায় আছে, পরিশ্রমই সৌভাগের প্রসূতি। সহজে পাওয়া জিনিসের মূল্য থাকে না। সস্তার তিন অবস্থা জানেন তো? সহজে পাওয়া… Read more: অনলাইনে ইনকাম করার উপায়! মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকামের সহজ উপায়
- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়;কম্পিলিট গাইডলাইন!মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় জানতে চাচ্ছেন? তাহলে, আমাদরে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য সহায়ক হবে। অনলাইন ইনকামের অনেক উপায় থাকলেও, মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় খুব বেশি নাই। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় জেনে টাকা ইনকাম করতে চাইলে, কিছু স্কিল অর্জন করা… Read more: মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়;কম্পিলিট গাইডলাইন!
- ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি! ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেস্ট কোর্স কোনটি!ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি? জানতে হলে দুটি ফ্রিল্যান্সিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং দুইটি বিষয় সর্ম্পকে জানতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং এই দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আশাকরি কনসেপ্ট ক্লিয়ার হয়ে যাবে। বর্তমান ইনকামের সহজ উপায় হলো ফ্রিল্যান্সিং। বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং তুমুল জনপ্রিয়। দিন দিন ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। একদিকে মানুষ ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা পাচ্ছে। আরেকদিকে ঘরে… Read more: ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি! ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেস্ট কোর্স কোনটি!
- ছোট ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে বের করার গুরুত্বপূর্ণ টেকনিকছোট ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন? অল্প পুঁজিতে ছোট-খাটো একটি ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন। আমাদের আজকের পোস্টে খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো, কিছু জনপ্রিয় এবং লাভজনক ছোট ব্যবসার আইডিয়া। ছোট ব্যবসার আইডিয়া পাওয়া সহজ নয়। অনেকগুলো বৈশিষ্ট্র্য যাচাই-বাছাই করতে হয়। এরপর, ব্যবসা শুরু করা যায়। সত্যি কথা বলতে কি, একটি ব্যবসা দাঁড় করানো কঠিন কাজ। ছোট ব্যবসা… Read more: ছোট ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে বের করার গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক
- ১০টি নতুন ব্যবসার আইডিয়া যা এখন শুরু করা উচিৎ!নতুন ব্যবসার আইডিয়া কে সফল ব্যবসা হিসেবে দাঁড় করাতে হলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। ছেড়ে না দেয়ার মানসিকতা থাকতে হয়। উদ্ভাবনী মনোভাব থাকতে হয়। তবেই একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া কে প্রতিষ্ঠা করতে পারা যায়। কলেজজীবনে অনেক ছাত্রছাত্রীর মাথায় পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসার পোঁকা খুরপাক খায়। এসব ব্যবসার আইডিয়াকে কিভাবে স্টার্ট-আপ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তার জন্য… Read more: ১০টি নতুন ব্যবসার আইডিয়া যা এখন শুরু করা উচিৎ!