১০টি ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া যা, এখন শুরু করা উচিৎ

ব্যবসার আইডিয়া-২০২৪ আমাদের আজকের পোস্টের মূল বিষয়বস্তু। সকাল ৯ থেকে বিকাল ৫ পর্যন্ত গতানুগতিক অফিস না করে, আপনার ইচ্ছানুযায়ী অফিসে কাজ করে অর্থ উপার্জনের কথা ভাবুন। কি খুব আর্কষণীয় শোনাচ্ছে? সিনেমাটিক মনে হচ্ছে? হ্যাঁ! এটাই এখন বাস্তব। এটা বাস্তবায়ন করতে আমাদের ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে বের করতে হবে।

আজকে আমরা কথা বলবো কিছু ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে। প্রতিচলিত চাকুরি ছাড়াও প্রতিদিন হাজার টাকার বেশি আয় করা সম্ভব। এই এটা কেবল স্বপ্ন নয় চরম বাস্তবতা। কিভাবে প্রতিদিন ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় তাও থাকবে আমাদের এই পোস্টে।

ব্যবসার আইডিয়া

আপনি প্রচলিত গতানুগতিক চাকুরি করছেন। চাকুরি দিয়ে দুইবেলা ডাল ভাত খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকা যায়। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় না। বর্তমান চাকুরির পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করুন। ব্যবসায় যা ইনকাম হবে তা দিয়ে জীবকে আরাম আয়েসে কাটাতে পারবেন।

এই পোস্টে আমরা ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস, অনলাইন ব্যবসা, ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান, এফ-কর্মাস, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ইউটিউবিং, ওয়েবসাইট, ফেসবুক এডস, গুগল এডস, ফুড ডেলভারি ব্যবসা, গার্মেন্টস ব্যবসা, গবাদি পশুর ব্যবসা, ইলেকট্রনিক ব্যবসা, ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

ব্যবসার আইডিয়া
ব্যবসার আইডিয়া

আমাদের উদেশ্য থাকবে, কিভাবে আপনার শখ এবং দক্ষতাকে কাজে লাগায়ি ইকোনমিতে যোগদান করা পর্যন্ত। আমরা আজকে দেখবো, কিভাবে দক্ষতার সাথে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবং কিছুটা চাতুর্যের সাথে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার আর্থিক স্বাধীনতার দরজা খুলে দিতে পারে।

১.একটি ই-কর্মাস স্টোর চালু করুন:

বর্তমান যুগ ডিজিটালাইনজেশনের যুগ। ডিজিটাল যুগে অনলাইন স্টোরের আয়ের প্রচুর সুযোগ আছে। দিন দিন ই-কর্মাস ব্যবসার চাহিদা বাড়ছে। মানুষ ই-কর্মাস ব্যবসার প্রতি বিশ্বাসী হয়ে উঠছে। মানুষ ঘরে বসে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পছন্দ করেন। ই-কর্মাস ব্যবসার ক্ষেত্র বাড়ছে। আমাদের পোস্টের ব্যবসার আইডিয়া গুলো মধ্যে জনপ্রিয় ব্যবসার আইডিয়া হলো ই-কর্মাস স্টোর।

এরপরের কাজ হলো, এই পণ্যের বাজার খুঁজে বের করা। কোথায় এই পণ্যের চাহিদা বেশি? ক্রেতা অধিক। চাহিদা বেশি। পাইকেরি বিক্রেতাদের মধ্যে আপনার ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান বা দোকানকে আলাদাভাবে উপস্থান করতে হবে।

এই প্রক্রিয়াটি প্রযুক্তিবান্ধব এবং স্বল্প খরচে আপনার ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। নিয়মিত আয় করতে পারবেন। একটি ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে আনলিমিটেড আয় করা সম্ভব।

ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানকে সফলভাবে চালাতে পারলে প্রতিদিন হাজার হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। দেড়ি না করে আজই শুরু করে দিন আপনার নতুন ব্যবসা।

২. একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠুন:

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে প্রতিদিন হাজার ডলারের বেশি আয় করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ভিজিট করুন। দেখুন। এই কাজের কি পরিমাণ চাহিদা। লিখালিখিতে আগ্রহ থাকলে, গেস্ট পোস্ট লিখতে পারেন।

গেস্ট পোস্ট লিখেই মাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। নিজের মতো একটি ব্লগসাইট তৈরি করুন। প্রয়োজনে কয়েকজনকে নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করুন। আর আয় করুন।

এসইও এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করুন। এসইও এর কাজ পারলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের অভাব হয় না। আবার এসইও কাজ একা একা করেও শেষ করা যায় না। তাই এটাকে ব্যবসা হিসেবে বিবেচনা করুন। নিজেই একটি এসইও এজেন্সি তৈরি করুন।

এছাড়াও কোডিং করে, ডিজাইন করে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এসইও সার্ভিস দিতে পারবেন। আর এই ব্যবসা করে আয়ের কোনো সীমারেখা নেই। ফ্রিল্যান্সিং পেশা হতে পারে আপনার জন্য একটি ইউনিক আইডিয়া।

Fiverr.com, Upwork.com, Frelancer.com, people per hour.com ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসগুলো কাজ পেতে এবং ইনকাম বাড়াতে আপনাকে সাহায্য করবে। নতুন নতুন বায়ার খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। আপনার প্রোফাইলকে সমৃদ্ধ করবে।

পোর্টফোলিও হলো আয়নার মতো যার মাধ্যমে বায়ারকে আপনার প্রকৃত দক্ষতা দেখতে পাবেন। আর বেশি বেশি কাজ দিবেন।

৩. অনলাইন কোর্স বিক্রি করার ব্যবসার আইডিয়া:

আপনি যে বিষয়ে আগ্রহী এবং অভিজ্ঞ সেই রকম একটি বিষয় নির্বাচন করুন। এটা হতে পারে রান্না তৈরি প্রক্রিয়া, ছাদবাগান, পশুপালন, মাতৃত্বকালীন মায়ের যত্ন থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং, এআই, স্যোশাল মিডিয়া ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন।

 আপনার অর্জিত জ্ঞান অন্যের কাছে ছড়িয়ে দিন। শিক্ষাদান করুন। কোর্স তৈরি করুন। অনলাইনে কোর্স বিক্রয় করে আয় করতে পারবেন। কোর্স বিক্রয় করে আয় এখন অনেক জনপ্রিয় একটি ব্যবসার আইডিয়া।

অনলাইন টিউটোরিং করে আয় করার মতো তবে, কোর্স বিক্রয় করার ক্ষেত্রে সাধারণত রেকর্ড ভিডিও আপলোড দেয়া হয়। একই সাথে অনেক কোর্স বিক্রয় করা সম্ভব হয়। তাই আয়ও  হয় বেশি।

মাতৃত্বকালীন আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। নতুনদের  টিপস দিন। এগুলো কোর্স তৈরি করে বিক্রয় করুন। অনলাইন কোর্স তৈরি করার আইডিয়া হয়তো নয় তবে, এখন ব্যাপক চাহিদা আছে।

কোর্স তৈরি করেই থেমে গেলে আয় করতে পারবেন না। নিয়মিত আয় করতে হলে, ভালো মার্কেটিং করতে হবে। স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং করুন। গুগল এডস রান করুন। স্যোশাল মিডিয়াতে এডস চালান।

এভাবেই আপনার কোর্সকে ছড়িয়ে দিন। তাহলে, কোর্স বিক্রয় করার গ্রাহক পাবেন। এদের কাছে যতোবেশি কোর্স সেল করবেন ততোবেশি আয় করবেন।

৪. একজন ইনফ্লেঞ্জার হয়ে উঠুন

 বর্তমান সময় স্যোশাল মিডিয়ার সময়। মানুষ এখন স্যোশাল মিডিয়াতে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে, আনন্দে, বিনোদনে, এবং দেশ বিদেশের খবর জানতেও মানুষ স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। এটি এখন অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া।

এই স্যোশাল মিডিয়ায় নিয়মিত পোস্ট করুন। ভিউয়ারদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু তৈরি করুন। এবং ফ্রিতে সরবরাহ করুন। যেটা অনলাইনে ফ্রিতে পাওয়া যায় না, এমন জিনিস আপনাকে ফ্রিতে দিতে হবে।

স্যোশাল মিডিয়াতে প্রথম প্রথম ফলোয়ার, ভিউয়ার পাওয়া কঠিন। তাই শুরুতে কিছু মূল্যবান উপাদান সরবরাহ করুন। তাহলে, আপনার স্যোশাল মিডিয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। যেমন ব্লগার সাইটের পেইড থিম, কোনো পেইড এইসও টুলস, এমন অনেক কিছু আছে। যা আপনি ফ্রিতে সরবরাহ করতে পারেন।

স্যোশাল মিডিয়াতে নিয়মিত পোস্ট করুন। ছবি পোস্ট করুন। ভিডিও পোস্ট করুন।  টেক্সট পোস্ট করুন। সব সময় চেষ্টা করবেন ইউনিক ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করুন।

স্যোশাল মিডিয়াতে প্রচুর ফলোয়ার হলে, তখন স্যোশাল মিডিয়াতে পণ্য সেল করে আয় করতে পারবেন। নিজের পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। অন্যের পণ্য বিক্রয় করেও আয় করতে পারেন। আসল কথা হলো ট্রাফিক থাকা চাই।

যেকোনো এক-দুইটি স্কিল অর্জন করুন। তাহলে, স্যোশাল মিডিয়া ইনফ্লেঞ্জার হিসেবে কাজ করতে সহজ হবে। এটা ব্যবসা হিসেবে নেওয়া উচিৎ। নিয়মিত আয় হবে হাজার হাজার ডলার।  

৫. একজন Airbnb হোস্ট হোন:

আপনি যদি ইউনিক ব্যবসা আইডিয়া খুঁজেন তাহলে, এই আইডিয়া আপনার জন্য সহায়ক হবে। একজন Airbnb host হিসেবে কাজ করতে পারেন। যেটা আপনাকে নিয়মিত বাড়তি আয়ের সুযোগ দিবে। আমাদের ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম সেরা ব্যবসার আইডিয়া।

আপনার বাড়ির অতিরিক্ত ঘর বা খালি অ্যাপার্টমেন্ট হতে পারে ব্যবসার মূলধন। একজন Airbnb host হয়ে উঠলে ভ্রমণকারীদের কাছে এসব ঘর, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া দিতে পারবেন। তাদের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে উঠবেন। নিয়মিত আয়ের সুযোগ তৈরি হবে।

এটি একটি রুম, একটি বাড়ি বা একটি অ্যাপর্টমেন্ট যাই হোক না কেন, সেটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। আরামদায়ক হতে হবে। আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে এমন হতে হবে।

ভ্রমণ গিয়ে হোটেল রুমে আপনার চাহিদা কেমন থাকে। আপনি কেমন হোটেল রুম চান, তা ভাবুন। তারপর, সেরকম আরামদায়ক বিছানা, পরিষ্কার তোয়ালে এবং পরিষ্কার সুগন্ধিময় ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করুন।  

 আপনার Airbnb-এ একটি তালিকা তৈরি করুন। এটা আপনার একটি গুরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। রুমের অ্যাপর্টমেন্টের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, সাজানো গোছানো পরিপাটি উজ্জ্বল ছবি তুলন। বিস্তারিত বর্ণনা লিখুন। সুবিধাগুলি হাই-লাইট করে এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলোকে হাই-লাইট করুন।

আপনার বাড়ির, রুমের, ঘরের বা অ্যাপর্টমেন্টের নিয়ম-কানুন নির্দিষ্ট করুন। আপনার গেস্টরা বা ভ্রমণার্থীরা কি প্রত্যাশা করে তা নিশ্চত হোন। সেগুলো সরবরাহ করুন।

এবার আপনাকে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ অংশটির কাজ করতে হবে। আপনার ঘর রুমের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। এটি করতে আপনাকে ভাবতে হবে। কারণ এটা অবশ্যই যোক্তিক হতে হবে। আবার প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে।

তাই, সঠিক ধারণা পেতে, আশে পাশের Airbnb গুলোর মূল্য থেকে ধারণা নিন। যা আপনাকে, আপনার রুমের জন্য মূল্য নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে। Airbnb হতে পারে একটি ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া।  

৬. পোষা প্রাণী হোটেল ব্যবসার আইডিয়া:

আপনি কি জানেন যে, বিড়াল কুকুরের হোটেল হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা। এটা আমাদের উপ-মহাদেশে এখনো একটি ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া। তবে, ইউরোপ আমেরিকায় এটা ইউনিক নেই, কমন এবং প্রয়োজনীয় হয়ে গেছে।

পোষা প্রাণীর যত্ন নেয়ার সাথে সাথে অর্থ উপর্জন করা একটি চমৎকার উদ্যোগ। পোষা প্রাণী প্রেমীদের জন্য একটি আনন্দদায়ক পেশা হতে পারে।  

 আপনি কোন পরিষেবা সরবরাহ করবেন তা নির্ধারণ করুন। আপনার হোটেলে কি বিড়াল কুকুর শুধু হাঁটবে নাকি রাতে থাকবে। রাতে থাকলে, প্রতি রাতে কতো টাকা প্রদান করতে হবে। প্রতিদিন কতোটাকা প্রদান করতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদী রাখার ব্যবস্থা করলে, প্যাকেজ মূল্য নিধারণ করুন। প্রতিদিনের প্যাকেজ, প্রতিদিনরাত্রির প্যাকেজ,  সাপ্তাহিক প্যাকেজ, মাসিক প্যাকেজ কতো টাকা

 এছাড়াও পোষা প্রাণীর প্রাথমিক চিকিৎসা, খাবার, উপদেশ, সময় দেয়া ইত্যাদি সেবা প্রদান করতে পারেন। এসব পরিষেবা পোষা প্রাণীর মালিককে তাদেরকে পালতে আরামদায়ক করে তুলবে।

 নতুন এই ব্যবসা শুরু করলে, শুরুতে আপনার ব্যবসা সর্ম্পকে তথ্য সবার সাথে শেয়ার করুন। স্যোশাল মিডিয়তে শেয়ার করুন। মিরপুরে ‘ফারি ঘর’ বলে একটি পোষা প্রাণীর একটি হোটেল আছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আপনার পোষা বসার ব্যবসা সম্পর্কে শব্দ ছড়িয়ে. বন্ধু এবং পরিবারের সাথে শুরু করুন এবং সোশ্যাল মিডিয়া বা কমিউনিটি বোর্ড ব্যবহার করুন। Rover বা PetSitter-এর মতো ওয়েবসাইটগুলিও আপনাকে আপনার এলাকার পোষা প্রাণীর মালিকদের সাথে সংযোগ করতে সাহায্য করতে পারে। এটা বর্তমান সময়ের সবথেকে জনপ্রিয় ব্যবসার আইডিয়া।

 ৭. রিসেলিং ব্যবসার আইডিয়া :

নতুন ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন। রিসেলিং ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত। কমদামে পাইকেরি পণ্য ক্রয় করুন। আর খুরচতে বেশিদামে বিক্রয় করুন। আবার পুরাতন পণ্য ক্রয় করতে পারেন। সেই পুরাতন পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন।

এমন পুরাতন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় সাইট বিক্রয় ডট কম, ই-বে এসব সাইট থেকে পণ্য ক্রয় করে নিজের ফেসবুক পেজে বিক্রয় করুন। নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে বিক্রয় করুন।

পুরাতন পণ্য ক্রয় করার আগে গবেষণা করুন। কোন পণ্যের চাহিদা বেশি। সেই পণ্যটি কোন মার্কেটে কমদামে বিক্রয় হচ্ছে। এবং কোন মার্কেটে বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে।

ভিনটেজ পোশাক, ব্যবহৃত মোবাইল, কম্পিউটার, যেকোন ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য মটরসাইকেল, আসবাবপত্র ইত্যাদি পণ্য থেকে বাছাই করতে পারেন আপনার পছন্দের পণ্য।

পণ্য ক্রয় করার পরের কাজ হলো এসব পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা। মূল্য হতে হবে নার্য্য এবং প্রতিযোগিতামূলক। সঠিক মূল্য নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যবসায় সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকখানি এগিয়ে রাখে।

৮. একজন মেকআপ শিল্পী  হয়ে উঠুন:

নতুন ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে মেকআপ শিল্পীর কাজ। আপনার যদি সৌন্দর্য এবং সৃজনশীলতার প্রতি ঝোক থাকে, তাহলে একজন মেকআপ শিল্পীর কাজ করতে পারেন। মেকআপ শিল্পীর কাজের ব্যাপক চাহিদা।

এমন অবস্থা যে, ফ্রিল্যান্স, সেলুন, ব্র্যান্ডের জন্য বা ফিল্মের বা থিয়েটারের মতো মিডিয়াতে কাজ করতে চান, সব জায়গাতেই মেকআপ শিল্পীদের কাজের ব্যাপক চাহিদা। তাই আয়ও অনেক। নিজের একটি বিউটি পার্লার স্থাপন করুন। বর্তমানে মেকআপ ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে প্রতিষ্ঠিত একটি ব্যবসা।

ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রামসহ সকল স্যোশাল মিডিয়াতে প্রচার চালান। আপনার কাজের অভাব হবে। যতোবেশি প্রচার করবেন, ততোবেশি কাস্টমার পাবেন। প্রচারেই প্রসার। অনলাইনে ছড়িয়ে দিন আপনার মেকআপ শিল্পের ছোঁয়া।

৯. একজন ভার্চুয়াল সহকারী হোন:

একজন ভার্চুয়াল সহকারীরা প্রশাসনিক, প্রযুক্তিগত বা সৃজনশীল কাজে সহায়তা প্রদান করে দূর থেকে। ভার্চায়ুাল সহকারী সাধারণত তাদের বাড়ি থেকে কাজ করে থাকেন। এটি একটি ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসার আইডিয়া।

আপনি যদি সংগঠিত হোন, প্রযুক্তি-বুদ্ধিসম্পন্ন হোন এবং অন্যদের ট্র্যাকে থাকতে সাহায্য করার আনন্দ পান, তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য উপযুক্ত।

অনলাইনে সরব উপস্থিতি ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে। এটি হতে পারে একটি পেশাদার লিঙ্কডইন প্রোফাইল, একটি ওয়েবসাইট, অথবা আপওয়ার্ক বা ফাইভারের মতো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের প্রোফাইল পরিচালনা করার কাজ। আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং আপনি কোন পরিষেবাগুলি অফার করেন তা আপনার প্রোফাইলে প্রদর্শন করুন৷

তারপর, আপনার পরিষেবাগুলি সম্পর্কে তাদের জানাতে আপনার নেটওয়ার্কের সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করুন৷ ক্লায়েন্ট খুঁজতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকুন।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করুন। প্রতিটি সম্ভাব্য ক্লায়েন্টের জন্য আপনার অ্যাপ্লিকেশন বা প্রস্তাবগুলিকে উপস্থান করুন। আপনার দক্ষতা কিভাবে তাদের চাহিদা মেটাতে পারে তা হাইলাইট করুন।

একজন ভার্চুয়াল সহকারীর মাসিক বেতন কয়েক শত ডলার থেকে কয়েক হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই, চাইলে স্যোশাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

১০. ই-বুক বিক্রি ব্যবসার আইডিয়া

ই-বুক বিক্রয় করা হতে পারে আপনার একটি ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া। যেকোনো বিষয়কে কভার করতে পারেন। রান্নার বই , স্বাস্থ্য টিপস, ডিজিটাল মার্কেটিং, আইস সহায়তা, অর্থনীতি, ভ্রমণ, সৌন্দর্য ইত্যাদি বিষয়ে হতে পারে। কথা সাহিত্য, উপন্যাস, ছোট গল্প ইত্যাদি।

যেকোনো একটি বিষয়কে পাঠকের সামনে উপস্থান করুন। পাঠকের বোধ্যগম্য হলেই আপনার সফলতা। এসব ই-বুক বিক্রয় করতে সহায়তা করবে স্যোশাল মিডিয়া গ্রুপ। ফেসবুক পেজ। ওয়েবসাইট। গুগল এডস, ফেসবুক এডস ইত্যাদি স্যোশাল মিডিয়া এডস।

Amazon Kindle Direct Publishing, Barnes & Noble’s Nook Press, এবং Apple এর iBooks Author এর মত প্ল্যাটফর্মগুলি আপনাকে আপনার ই-বুক সহজে প্রকাশ করার সুযোগ দেয়। এবং এসব ই-বুক বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেয় এসব ওয়েবসাইট।

আপনার ই-বুকের দাম নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটা হতে হবে প্রতিযোগিতামূলক। আবার যোক্তিক মূল্য হওয়া নিশ্চত করতে হবে। তবেই আপনার ই-বুক এর মান এবং দাম পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

আমাদের ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে সর্বশেষ ভাবনা

নতুন নতুন ব্যবসার আইডিয়া সহজে পাওয়া যায় না। সাম্প্রতিক ইস্যুগুলোতে নজর রাখতে হয়। গ্রাহকের চাহিদা বুঝতে চেষ্ঠা করতে হয়। মানুষ কি চায়? তাদের ক্রয় ক্ষমতা কেমন? কোন পণ্য কিনতে পারবে। কোন পণ্য কিনতে পারবে না। এসব চিন্তা করে ব্যবসা করতে হয়।

আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে সেরা ১০টি ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। কোন আইডিয়া আপনার পছন্দ হয়েছে জানাতে পারেন।

আপনার কাছে কোনো ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করুন। আমরা সেটা আমাদের পোস্টে আপডেট করবো। আজকের পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব পোস্ট পড়তে সাইটটি ভিজিট করুন।

2 thoughts on “১০টি ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া যা, এখন শুরু করা উচিৎ”

  1. Hi, I’m Jack. Your blog is a treasure trove of valuable insights, and I’ve made it a point to visit daily. Kudos on creating such an amazing resource!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top