৪৬ হাজার টাকা ফ্রি আয়, যে ফ্রি টাকা ইনকাম Apps প্রয়োজন

’৪৬-হাজার টাকা ফ্রি’ নিব কিভাবে- এই keyword লিখে গুগলে প্রচুর সার্চ হয়। সবাই জানতে চান, কিভাবে ৪৬ হাজার টাকা ফ্রি নিব কিভাবে। তাদেরকে সঠিক তথ্য দেয়ার জন্য আমাদের আজকের পোস্ট। সত্যই কি, হাজার হাজার টাকা ফ্রি নেয়া যায়? কিভাবে নিবেন এই টাকা? এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে এই পোস্টে।

৪৬ হাজার টাকা ফ্রি:

যেখানে, এম.এ, বি.এ পাশ করে, মাসে ২০-হাজার টাকা আয় করার মতো একটি বেসরকারি চাকুরিও পাওয়া যায় না। যদিও কেউ পেয়ে থাকেন। তাহলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয়।

সেখানে, অনলাইন থেকে মাসে ৪৬ হাজার টাকা আয় করা স্বপ্নের মতো। ঘরে বসে নিজের ইচ্ছামতো সময়ে কাজ করতে পারবেন। তাই আসলে এটাকে ফ্রি টাকা ইনকাম করার তুলনা করা হয়।

৪৬ হাজার টাকা কিভাব নিব। বিকাশে ১০০০ টাকা ফ্রি। ফ্রি টাকা ইনকাম apps ২০২৪। কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট। 11 হাজার টাকা ফ্রি নিবো কিভাবে।

তাই, আজকের পোস্টের মাধ্যমে সকল প্রশ্নের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

৪৬-হাজার টাকা বাংলা:

৪৬ হাজার টাকা ফ্রি
৪৬ হাজার টাকা ফ্রি

৪৬ হাজার টাকা বাংলা। এখানে বুঝানো হয়েছে, বাংলা ভাষায় কনটেন্ট তৈরি করে টাকা আয় করাকে। বাংলাদেশে থেকে বা বাংলাতে কাজ করে, কিভাবে 46-হাজার টাকা ফ্রি নিবেন। আগেই বলেছি, এখানে ফ্রি অর্থ, বিনা-অর্থে, বিনা-পরিশ্রমে নয়। বরং স্মার্ট উপায়ে, স্বল্প পরিশ্রমে আয় করা।  এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পড়ুন।

ফ্রি টাকা ইনকাম Apps ২০২৪:

বর্তমানে, ফ্রি টাকা ইনকাম apps অনেক আছে। চাইলে, যেকেউ ঘরে বসে এসব apps ব্যবহার করে, আয় করতে পারেন। ফ্রি টাকা ইনকাম apps এর মাধ্যমে, ৪৬ হাজার টাকা কিভাবে আয় করতে পারবেন। মোবাইলে ব্যবহার করে, ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন। আসুন দেখে নেই কোন কোন appa ব্যবহার করে, ৪৬ হাজার টাকা ফ্রি নিব কিভাবে তা জানতে পারি। ফ্রি টাকা ইনকামর করার একটি তালিকা নিচে দেয়া হলো।

মোবাইল ব্যাংকিং apps এর মাধ্যমে আয় করার মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ apps।

যাত্রী পরিবহণ এবং খাবার ডেলিভারি করে আয় করার মতো কিছু অ্যাপস।

  • Deliver Faster App
  • Porter App
  • Garibook App
  • পাঠাও মোবাইল app
  • উবার মোবাইল app
  • ওভাই মোবাইল app
  • ফুডপান্ডা মোবাইল app

মোবাইলে গেম খেলে টাকা আয় করার মতো কিছূ অ্যাপস নিচে দেয়া হলো

  • গেমথন মোবাইল app
  • লুডো সার্কেল মোবইল app
  • ফ্যান ফাইট মোবাইল app
  • পকেট লিগ মোবাইল app

এছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল অ্যাপস দেয়া হলো।

  • কর্ম জব মোবাইল app
  • মোবাইল পাঠদান app
  • কৃষক বিনিয়োগ app
  • দারাজ মোবাইল app
  • Swagbucks মোবাইল app

৪৬ হাজার টাকা ফ্রি নিব কিভাবে:

৪৬ হাজার টাকা ফ্রি নিব কিভাবে? আগেই বলেছি, ফ্রিতে ৪৬ হাজার টাকা তো দূরের কথা, ৪৬ টাকাও ফ্রি পাবেন না। তাহলে, কিভাবে পাবেন? কাজ করতে হবে। সত্যি কথা বলতে ৪৬ হাজার টাকা প্রতিমাসে ইনকাম করা সহজ নয়।

কিছু ব্যাংকে MTO-তে শুরুতে এই পরিমাণ টাকা পাবেন। কর্পোরেট চাকুরীতে ম্যানেজারিয়াল লেভেলে এই পরিমাণ টাকা পাবেন। সরকারি চাকুরিতে এই পরিমাণ টাকা আয় করতে হলে, ৬ষ্ট গ্রেডের কর্মকর্তা হতে হবে।

এগুলোর কোনোটি যদি না পারেন। তাহলে, আপনার জন্য আছে ফ্রিল্যান্সি। অনলাইনে কাজ করে মাসে ৪৬ হাজার নয়, কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।

শুধু অনলাইনে কাজ করেই যেকোনো ব্যক্তির পক্ষে এর থেকে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব। তাই আমরা এখন দেখবো কি কি কাজ করে এর থেকে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়:

অনলাইন থেকে, 46 হাজার টাকা ফ্রি আয় করার জন্য, কিছু সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। এসব সফটওয়্যার ব্যবহার ছাড়া টাকা করতে পারবেন না। তাই, এসব সফটওয়্যারগুলো নাম জানুন এবং সেগুলোর ব্যবহার জানুন। তাহলে, আপনার জন্য সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যাবে। এগুলো নাম দেয়া হলো;

ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার; ক্যামটাসিয়া, ফিলম্যোরা, কাইনমাস্টার, ক্যাপকাটসহ আরো অনেকগুলো আছে। এগুলোর ব্যবহার জানুন।

অডিও এডিটিং সফটওয়্যার যেমন; Audacity, Acon Digital Acoustcia, and MyEdit.

গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার; Adobe Photoshop, Canva, and Snappa.

এসইও টুলস; Grammarly, Small SEO Tools, Semrush, Keyword Surfer, Keyword Explorer

মার্কেটপ্লেস সর্ম্পকে জানতে হবে যেমন, Fiverr, UpWork, Freelancer

স্যোশাল মিডিয়া সাইট: ইউটিউব, ফেসবুক, লিংকডইন, পিনটারেস্ট, ইনসটাগ্রাম ইত্যাদি।

কম্পিউটার ব্যসিক সফটয়্যার যেমন; মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট।

এসকল সফটওয়্যার সর্ম্পকে ভালোভাবে জানুন। কারণ এগুলো ব্যবহার করেই মাসে ৪৬-হাজার টাকা ফ্রি নয়, কাজ করে আয় করতে পারবেন।

৪৬ হাজার টাকা ফ্রি আয় করার কাজসমূহ:

প্রথমেই বলে রাখি, প্রতিমাসে ৪৬ হাজার টাকা করা, নতুন ফ্রিল্যান্সদের পক্ষে সম্ভব নয়। অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে আয় বাড়বে। একসময় মাসে ৪৬ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। ধর্য্যধরে কাজ করতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে। একসময় সফল হবেন।

কি কি কাজ করে আয় করতে পারবেন। কিভাবে মাসে এই বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন, তা জেনে নেয়া যাক।

৪৬ হাজার টাকা ফ্রি আয়, ফ্রিল্যান্স কাজ:

ফ্রিল্যান্স করে, মাসে-মাসে ৪৬ হাজার টাকা বা তার বেশি আয় করা যায়। কি কাজ করবেন? যেসব কাজে চাহিদা বেশি এমন কাজ করতে পারেন। তাহলে, আয় বেশি হবে। ফ্রিল্যান্সিং কিন্ত কোনো কাজ নয়। অনলাইনভিত্তিক সকল কাজই ফ্রিল্যান্সি মাধ্যমে করা যায়। দেশে বসে বিদেশের কাজ করা যায়।

এবার দেখি, কি কি কাজ ফ্রিল্যান্সি মাধ্যমে করা যায়; ডিজিটাল মার্কেটিং, স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও, এসইও মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ওয়েব ডেভলাপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, এগুলোর প্রতিটির মধ্যে আছে নিশভিত্তিক কাজ।

ইউটিউবিং করে মাসে ৪৬ হাজার টাকা আয় করা যায়। তার থেকে বেশি টাকা আয় করছেন অনেক ইউটিউবার। ইউটিউব থেকে আয় আসা শুরু হলে, তখন আসতেই থাকে।

তবে, ইউটিউব থেকে আয় শুরু করা অনেক কঠিন। ইউটিউব এর ৪-হাজার ঘন্ট ওয়াচ টাইম এবং ১-হাজার সাবসক্রাইবারের শর্ত পূরণ করাও কঠিন।

মানুষ এখন সাধারণ ভিডিও দেখতে চায় না। মানুষ সব সময় ইউনিক ভিডিও দেখতে চায়। তাই ইউটিউব সবসময় ইউনিক কনটেন্ট প্রমোট করে।

ইউনিক কনটেন্ট তৈরি করতে পারলে, দ্রুতই আয় শুরু করতে পারবেন।

ব্লগিং করে টাকা আয় ২০২৪:

ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আপনাকে লিখতে হবে। যদি লিখতে না পারেন, তাহলে কনটেন্ট রাইটার হার্য়ার করতে হবে। বাংলায় ব্লগিং করে মাসে ৪৬-হাজার টাকা আয় কর সহজ নয়। অনেক পোস্ট করতে হবে। মিনিমাম ১০-১৫ পোস্ট গুগলে Rank করাতে হবে।

আর ইংরেজিতে পোস্ট লিখতে পারলে, ইনকাম ভালো হবে। কয়েকটি পোস্ট গুগলের প্রথম পেজে আনতে পারলে মাসে এর থেকেও বেশি আয় করতে পারবেন।

আর্টিকেল লিখেও আয়:

নিজের জন্য ব্লগ সাইট তৈরি না করেও এই পরিমাণ টাকা আয় করা। যদি ভালো লিখতে পারেন। তাহলে, আয় করতে পারবেন। ইংরেজি আর্টিকেল লিখুন। আর্টিকেলের মান ভালো হলে সহজেই মাসে ৪৬-হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

ব্যবসা করে, ৪৬ হাজার টাকা আয়:

যেকোনো একটি ব্যবসা করুন। কারণ ব্যবসার মাধ্যমেই ৫৫ হাজার টাকা ফ্রি আয় করা সম্ভব। যাদের লেখাপড়ার দৌড় বেশি না। তাদের জন্য ব্যবসা হতে পারে সেরা উপায়। তবে, ব্যবসাতে আপনাকে ১০-১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন। গামেন্টস এর ব্যবসা করতে পারেন।

ব্যবসার কাজে টাকা লেনদেনের জন্য বিকাশ ব্যবহার করুন। বিকাশ জনপ্রিয় একটি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা। দ্রুত এবং যেকোনো সময় ব্যাংকিং করার জন্য বিকাশ ব্যবহার করুন। তাহলে বিকাশের অনেক অফার পাবেন।

আবার, কিছু সফটওয়্যার থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম করে বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারবেন। বেশিরভাগই বাংলাদেশী সাইট। এসব সাইটে কাজ করে, মাসে ৪৬-হাজার টাকা আয় করা সম্ভব নয়।

উপসংহার:

উপরের আলোচনা থেকে বলতে পারিযে, মাসে ৪৬ হাজার টাকা ফ্রি নয়, কাজ করেই আয় করতে হয়। কাজ ছাড়া ৪৬ টাকাও পাওয়া যায় না। তাই, ফ্রি’র চিন্তা বাদ দেন। কাজ করার চিন্তা করুন। কাজই পারে, মাসে ৫৫ হাজার টাকার আয় করা যায়।

আমাদের আজকের পোস্টটি কেমন লাগলো বলুন। যদি ভালো লাগে তাহলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top