ফেসবুক একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। ইংরেজিতে লেখা হয় Facebook। ফেসবুক ২০০৪ সালের ৪-ই ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠতা মার্ক জাকারবার্গ। তিনি যখন হার্ভাড ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করছিলেন তখন তিনি এবং তার কয়েকজন বন্ধু মিলে ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন। ফেসবুকের একটি বিজনেস সেকশন আছে। যার নাম হলা Facebook page or Facebook business page. আজকের আলোচনায় থাকছে ফেসবুক, ফেসবুক পেজ, ফেসবুক থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় এসব বিষয় নিয়ে। ফেসবুক পেজের নাম লিস্ট।
ফেসবুক প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে শুধু হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তারপর যখন জনপ্রিয়তা লাভ করে তখন সকল হাই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে নেটওর্য়াক বিস্তৃত হয়। এখন পর্যন্ত ১৩ বছর প্লাস সকল মানুষ এই ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবে। ফেসবুক বর্তমানে মেটা মালিকানাধীন একটি স্যোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট। ২৪০ টাকা ফ্রি ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট।
যেকেউ চাইলেই ফেসবুকের সদস্য হতে পারবেন। সদস্য হওয়ার জন্য কোনো রকম চার্জ বা ফ্রি প্রদান করতে হয় না। আপনি যখন ফেসবুকের সদস্য হবেন। মানে যখন ফেসবুকে একটি একাউন্ট খুলবেন। তখন আপনি আপনার পরিচিত বন্ধু, আত্নীয় স্বজন, কলিগদের বন্ধু দেখতে পাবেন। তাদের সাথে খুদে বার্তা প্রদান এবং প্রাপ্তি সম্পূর্ণ করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার ব্যক্তিগত ছবি, লেখা, ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন। যা আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা ফ্রেন্ডরা দেখতে পাবেন। ফেসবুকের ভাষায় এগুলোকে পোস্ট বলে। গুগল এডসেন্স একাউন্ট
facbook page:
ফেসবুক পেজ হলো ফেসবুকের একটি বিজনেস প্রফাইল। এই page কে ফ্যান পেজ বলা হয়। আবার বিজনেস পেজও বলা হয়। ফেসবুক পেজে ফ্রেন্ড এড বা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর ফিচার নেই। তবে Follow or Like করার ফিচার আছে। ফেসবুক পেজ থেকে ইনভাইট পাঠানো যায়। যাকে ইনভাইট করছেন তার যদি আপনার ফেসবুক পেজটি ভালো লাগে তাহলে আপনার ফেসবুক পেজটিতে Follow করে রাখতে পারেন।ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
আপনি কোনো আপডেট দিলেন। আপনার ফলোয়ারদের কাছে একটি নটিফিকেশন চলে গেল। Facebook Profile-এ যেমন একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক পর্যন্ত ফেন্ড এড করা যায়। অর্থাৎ ৫-হাজার পর্যন্ত ফেন্ড এড করা যায়। ফেসবুক পেজের ক্ষেত্রে এই লিমিটেশন নেই। এই জন্য সাধারণত যারা সেলিব্রিটি, ব্যবসায়ী, বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, কর্পোরেট পার্সন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি ব্যক্তিগণের অনুসারী অনেক বেশী থাকেন তারা ফেসবুক প্রোফাইলে চাইলেও সবাইকে রাখতে পারেন না ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্ট এর সীমাবদ্ধতার জন্য।
তাই তাদের জন্য Facebook page খুব ভালো একটি মাধ্যমে। যেখানে যত খুশি ততো মানুষ কে Follower হিসেবে রাখতে পারবেন। তাছাড়া যারা E-Commerce or F-Commerce ব্যবসা করতে চান। তাদের জন্য Facebook Page হতে পারে উপযুক্ত পন্থা।গুগল ড্রাইভ
Facbook page এর সুবিধা:
ফেসবুক পেজের প্রধান সুবিধা হলো ফেসবুক প্রফাইলের লিমিটেশন গুলো ওভারকাম করা। অর্থাৎ প্রফাইলের ফ্রেন্ডলিস্টের ৫-হাজারের একটি সীমাবদ্ধতা আছে। পেজের ক্ষেত্রে সেটি নেই। ফেসবুক বিজনেস পেজে আনলিমিটেড Follower এড করতে পারবেন। Facebook Page এর মাধ্যমে অল্প সময়ে অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে পৌছানো যায়।ডিজিটাল মার্কেটিং
পেজের মাধ্যমে টার্গেটেড অডিয়েন্স বা কাস্টমারস পাওয়া যায়। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ই-কর্মাস ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। এটার মাধ্যমে প্রচুর সেল করতে পারবেন। অল্প খরচে বেশি বিক্রয় করতে পারবেন। Page এর মাধ্যমে ব্র্যান্ড প্রমোশন করতে পারবনে।
Facebook Page এবং ফেসবুক প্রোফাইলের পার্থক্য:
প্রফাইল এবং ফেসবুক পেজ প্রায় একই রকম মনে হয়। আসলে একই রকম মনে হলেও তাদের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। দুটির মধ্যে নিম্নরুপ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
আরো পড়ুন: ফাইভার একাউন্ট তৈরির উপায়
ফেসবুক প্রফাইল:
- প্রফাইল হলো ব্যক্তিগত, বন্ধু-বান্ধবী, আত্নীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজন, সহকর্মীদের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত থাকা।
- Friend list ৫-হাজার সদস্য এর সীমাবদ্ধতা আছে।
- ফেসবুক মেইন একাউন্ট বা প্রফাইল ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করা হয়।
- মেটা প্রফাইলে অনেক ফিচার নেই।নতুন একাউন্ট তৈরী
Facebook page:
- প্রফেশনাল বিজনেস একাউন্ট হলো ফেসবুক পেজ
- ফেসবুক পেজে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো যায় না।
- পেজে ৫-হাজারের ফ্রেন্ড সীমাবদ্ধতা নেই।
- ফেসবুক পেজে যত খুশি ততো ফলোয়ার থাকতে পারেন।
- পেজে Follow Button আছে। যা ফেসবুক প্রফাইলে নেই।
- সেলিব্রটি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ব্যবসায়িক পার্সন, কর্পোরেট কোম্পানি খুলতে পারেন।
- সময়ে অধিক মানুষের কাছে পৌছানো যায়।
Facebook Page খুলতে কি কি প্রয়োজন হবে?
ফেসবুক পেজ তৈরি করা জটিল কোনো কাজ নয়। তবে একটি প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ তৈরি করা কিছুটা ঝামেলার ব্যপার। আবার আপনার Facebook page যদি প্রফেশনালমানের না হয়, তাহলে সেই পেজটি প্রমোট হবেনা। তাই পেজটি অপটিমাইজেশন করতে হলে শুরুতেই প্রফেশনাল হতে হবে।
তাই আসুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে একটি প্রফেশনাল Facebook page খুলা যায়। মোবাইল দিয়ে কিভাবে একটি ফেসবুক পেজ খুলবেন। অথবা কম্পিউটার বা পিসি দিয়ে কিভবে ফেসবুক পেজ খুলবেন সেটা নিয়ে আলোচনা করছি।ডিজিটাল মার্কেটিং কি
- একটি ফেসবুক একাউন্ট তো থাকতেই হবে।
- একটি স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার।
- আর অবশ্যই আপনার ডিভাইসের সাথে ইন্টারনেট সংযোগ।
Facebook Page খুলার নিয়ম:
ফেসবুক পেজ খুলার কিছু নিময় বা ধাপ আছে। যেগুলো অনুসরণ করে একটি প্রফেশনাল Facebook Page খুলা যায়। তবে মোবাইল এবং পিসির কনফিগারেশন ভিন্ন হওয়ার কারণে পেজ খুলার নিয়মের কিছুটা ভিন্নতা হয়। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয় দিয়ে Facebook Page খুলার উপায় শেয়ার করবো।
কম্পিউটার থেকে কিভাবে Facebook Page খুলতে হয়:
আপনি যদি কম্পিউটার থেকে ফেসবুক পেজ খুলতে চান। তাহলে প্রথমে আপনার কম্পিউটারে ফেসবুক একাউন্টটি Login করতে হবে। তারপর কিছু নিয়ম বা ধাপ আছে অনুসরণ করে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারবেন। নিয়মগুলো নিম্নে দেওয়া হলো:
- শুরুতে কম্পিউটারে আপনার ফেসবুক একাউন্ট লগইন করুন।
- তারপর আপনার ফেসবুক একাউন্টে প্রবেশ করুন।
- হোম পেজের উপরের বাম পাশের মেনু থেকে Page-এ ক্লিক করুন।
- এবার Create New Page নামে একটি অপশন পাবেন। এটাতে ক্লিক করুন।
- এবার আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেজ ওপেন হবে।
এরপর আপনার ফেসবুক পেজের একটি নাম ঠিক করুন। আপনার পেজের ক্যাটাগরি রিলেটেড নাম দিতে চেষ্টা করবেন।
Create Your Facebook Page Name:
এই ধাপে এসে আপনার ফেসবুক পেজের জন্য একটি নাম ঠিক করতে হবে। Create Your Page Name লিখা বক্সে আপনার পেজের নাম লিখুন। মনে রাখবেন, আপনার পেজের নামটি যেনো ক্যাটাগরি রিলেটেড হয়। তাহলে আপনার ফেসবুক পেজের অপটিমাইজেশনে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।
Add Facebook Page Category:
ফেসবুক পেজ প্রমোশন। Facebook Page এসইও যাই বলেন। তার জন্য পেজ ক্যাটাগরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর Facebook Page Category Select করতেই হবে। না করলে নেক্সট অপশনে যেতে পারবেন না। তাই এমন একটি ক্যাটাগিরি সিলেক্ট করুন। যেটা আপনার পেজকে প্রেজেন্টেশন করবে। According to Facebook, ‘A Category will help people find this page in search results।
Page Category তে ৩টি ক্যাটাগরি এড করতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার জন্য কিছু পপুলার Facebook Page ক্যাটাগরি নিম্নে দেওয়া হলো:
প্রথমেই থাকছে,
- Popular category:
- Musician/band
- Health/beauty
- Grocery
পপুলার ক্যাটাগরির শেষ। এবার আদ্যার স্যাম ক্যাটাগরি;
- Other some category:
- Personal blog
- Digital Creator
- Product/Service
- College & University
- Women’s clothing store
- E-commerce website
- Not a business
- Baby & children’s clothing store
- Men’s clothing store
উপরের ক্যাটাগরিগুলো থেকে একটি ক্যাটাগরি ঠিক করুন। তারপর Next Option ক্লিক করুন।
আরো পড়ুন: CPA Marketing
Description of Facebook Page:
এই ধাপে পেজের জন্য একটি প্রফেশনালমানের ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। পেজ ডেসক্রিপশন লিখার জন্য, ডেসক্রিপশনে অবশ্যই আপনার পেজ ক্যাটাগরি, পেজের নাম, এবং পেজের মেইন কী-ওয়ার্ড থাকতে হবে। তাহলে আপনার Facebook Page জন্য একটি SEO (Search Engine Optimization) Friendly ডেসক্রিপশন হবে।
Facebook Page এর ডেসক্রিপশন লিখার জন্য ২৫৫ ক্যারাক্টার পাবেন। এই ২৫৫ ক্যারাক্টারের মধ্যে প্রফেশনালমানের এসইও ফ্রেন্ডলি ডেসক্রিপশন লিখুন। তাহলে ফেসবুক সার্চে আপনার পেজ উপরের দিকে শো করবে। এবার পেজ ক্রিয়েট বাটনে ক্লিক করুন। তারপর পরের ধাপে নিয়ে যাওয়া হবে।
Facebook Page Profile Picture:
প্রফাইল পিকচার হলো পেজের আইডেন্টিটি। তাই Facebook Page প্রফাইল পিকচার-এ গুড লুকিং ইমেজ আপলোড করবেন। যেন আপনার বিজনেস এর ব্র্যান্ড তৈরি করতে সহয়তা করে। যারা আপনার ফেসবুক পেজ ভিজিট করবে। তারা সবাই যেন আপনার ফেসবুক পেজের প্রফাইল পিকচার দেখেই বিজনেস সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা পেতে পারেন।
তাই Facebook Page প্রফাইল পিকচার হিসেবে এমন একটি হাই রেজুলেশন পিএনজি টাইপ ইমেজ সেট করবেন। আর আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ না পারেন। তাহলে ভালো কোনো একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার দিয়ে একটি প্রফেশনালমানের প্রফাইল পিকচার তৈরি করে নিবেন। আর Canva দিয়ে কাজ চালানোর মতো গ্রাফিক্স এর কাজ করতে পারবনে। আপনার যেমন খুশি করতে পারেন।
Facebook Page Cover Photo:
ফেসবুক পেজের একটি কভার ফটো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি ভালো মানের কভার ফটো আপনার ব্র্যান্ড পরিচিতি বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। Facebook Page প্রফাইল পিকচারের সাথে একটি প্রফেশনাল মানের কভার ফটো ফেসবুক পেজের সৌন্দর্য বাড়াতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তাই আমি বলবো।
আপনি Canva দিয়ে সুন্দর লোগো এবং কভার ফটো তৈরির মতো গ্রাফিক্স এর কাজ করতে পারবেন। আর এর থেকে যদি ভালো কোনো গ্রাফিক্স এর কাজ চান। তাহলে একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার দিয়ে কভার ফটো তৈরি করে নিতে পারেন।
Facebook Page Profile Image Optimization:
প্রফাইল পিকচার হোক। আর কভারফটো যাইহোক না কেন, Facebook Page কোনো ইমেজ আপলোজ করার আগে অবশ্যই ইমেজ SEO (Search Engine Optimization) করে নিবেন। কারণ আপনার পেজ র্যাংকিং করার ক্ষেত্রে ইমেজ অপটিমাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিভাবে একটি ইমেজ এসইও করতে হবে। প্রথমে আপনি যে ইমেজটি অপটিমাইজেশন করতে চান। সেই ইমেজ এর রিনেম করে নিন।
তারপর ইমেজ ফাইল থেকে আপনার কম্পিউটারের মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করুন। এবার প্রপার্র্টিস থেকে ডিটেলস অপশনে আসুন। তারপর ইমেজ এর নাম যেমনটি দিয়েছেন ঠিক সেই নামটি দিন। তারপর টাইটেল, সাবজেক্ট, ডেসক্রিপশন, ট্র্যাগ, রেটিং থেকে ৫ স্টার রেটিং দিবেন তারপর এপ্লাই বাটনে ক্লিক করে সেভ করুন। তারপর অপটিমাইজেশন করা ইমেজটি Facebook Page আপলোড করুন। মনে রাখবেন এটা শুধু জেপিজে টাইপ ইমেজ এর জন্য প্রযোজ্য। আর পিএনজি টাইপ ইমেজের জন্য শুধু ফাইল নেম, অলট্যাগ, ক্যাপশন ইত্যাদি দিলেই হবে।
Facebook Page Username:
আপনার ফেসবুক পেজকে গুগল বা ফেসবুক সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসার জন্য পেজের একটি ইউজারনেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে করুন, একটি Facebook Page আপনার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি চাচ্ছেন এই ফেসবুক পেজটিকে আপনার বন্ধু-বান্ধবী, আত্মীয় স্বজনরা পেজের ইউজারনেম দিয়ে খুঁজবে। এভাবে যখন আপনার Facebook Page টি ইউজারনেম দিয়ে সার্চ করবে, তখন আপনার ফেসবুক পেজটি সার্চ রেজাল্টে উপরে চলে আসবে।
প্রথমে একটি ইউনিক ইউআরএল বা ইউজারনেম ঠিক করুন। যেটি আপনার পেজের পরিচয় বহন করবে। আপনার পেজের নামটি যদি ইউজারনেম এ Available থাকে। তাহলে পেজের নামটি ব্যবহার করবেন। যদি না থাকে তাহলে পেজের নামের সাথে এক দু্ইটি নাম্বার যোগ করুন। তাহলে ইউজার নেম নিয়ে নিবে।
তবে একটি কথা। আপনার ফেসবুক পেজের ২০টি লাইক বা ফলোয়ার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ততোদিন ইউজারনেম সেট করবেন না। তা নাহলে আপনার এসইও বা অপটিমাইজেশনে কোনো কাজ হবে না। তাই আমার পরামর্শ থাকবে। যতোসময় আপনার ফেসবুক পেজ এ ২০টি লাইক না হয়। ততোদিন অপেক্ষা করুন।
Facebook Page Call to Action Button Add:
এই ধাপে আমরা আমাদের Facebook Page একটি কল টু অ্যাকশন বাটন এড করবো। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য পেজের একটি Call to action button এড করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মনে করুন, আপনার একটি ই-কর্মাস ব্যবসা আছে। এবার আপনার ফেসবুক পেজে এসে কাস্টমার আপনার একটি পণ্য পছন্দ হলো।
আর সেই পণ্য ক্রয় করার জন্য আপনার সাথে যোগায়োগ করতে চাইছে। কিন্তু পারছেনা। আপনি যদি আপনার ফেসবুক পেজ-এ একটি Call to action button এড করেন। তাহলে সেই কাস্টমার আপনাকে নক করতে পারবে। আর আপনি কাস্টমারের সাথে যোগায়োগ করতে পারবনে। আপনার পণ্যটিও বিক্রয় করতে পারবেন। এভাবেই আপনার পেজের রিচ বাড়বে। সেল বাড়বে। তাহলে একটি Facebook Page এর কল টু অ্যাকশন কতোটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বুঝতে পারছেন। কিভাবে কল টু অ্যাকশন এড করতে হয়। তা আসুন জেনে নেওয়া যাক।
We can choose a Button from the following;
- Send message
- Call now
- Send WhatsApp message
- Send email
- Learn More
- Shop now
- Sign up
- Contact us
- Watch now
- Play game
- Start order
- Get tickets
- Visit group
উপরের যে, Call to action button আপনার ফেসবুক পেজ ক্যাটগরির সাথে যায়। সেটির পাশে থাকা টিক বক্সে টিক দিয়ে নেক্সট করুন। তারপর save অপশন থেকে সেভ করুন।
Facebook Page Contact info:
এইধাপে এসে আপনার Facebook Page জন্য contact info এড করতে হবে। কারণ বিভিন্ন সময় ব্যবসায়িক প্রয়োজনে কাস্টমার বা বায়ারদের সাথে আপনার যোগায়োগ করা লাগতে পারে। তাই আপনার পেজে একটি কন্টাক্ট ইনফ্রো এড করতে হবে। এখানে আপনি মোবাইল নাম্বার এড করার অপনশন পাবেন। আপনার ব্যবসায়িক মোবাইল নাম্বারটি এড করে দিন।
WhatsApp Number এড করুন। আপনার পেজের সেল বা কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য।
Facebook Page Website এড করুন:
আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে খুব ভালো হয়। এখন সব ব্যবসার জন্য একটি ওয়েবসাইট থাকা বাধ্যতামূলক। ওয়েবসাইট থাকলে আপনার Facebook Page সাথে এড করুন। দেখবেন সেল বাড়বে। যদিও এখন একটি প্রফেশনাল ফেসবুক পেজকে একটি ওয়েবসাইটের বিকল্প ভাবা হয়। তারপরেও আমি বলবো। যদি আপনি ভালোভাবে ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনার ব্যবসার জন্য একটি ওয়েবসাইট খুলন। এবং সেই ওয়েবসাইটের লিংক এখানে এড করুন। তাতে আপনার পেজ এবং ওয়েবসাইট উভয়ের জন্য ভালো হবে।
Facebook Page সার্ভিস এরিয়া:
আপনার ব্যবসার যদি কোন নির্দিষ্ট সার্ভিস এরিয়া থাকে তাহলে এখানে সেটি উল্লেখ করতে পারেন। সাধারণত Facebook Page মাধ্যমে পৃথিবীর সকল দেশে ব্যবসা করা যায়। আবার কিছু ব্যবসা আছে নির্দিষ্ট এরিয়ায় এভেইলএবল থাকে। আপনার যেটাইপের ব্যবসাই হোক তা উল্লেখ করতে পারেন।
Facebook Page সার্ভিস আওয়ার:
আপনার বিজনেস এর জন্য একটি সার্ভিস আওয়ার যুক্ত করতে হবে। কারণ আপনি তো আর ২৪ ঘন্টাই সার্ভিস দিতে পারবেন না। তাই কতো সময় সার্ভিস দিতে পারবেন তা উল্লেখ করে দিন। আর যদি ২৪ ঘন্টা সার্ভিস দিতে পারেন তাহলে ২৪ ঘন্টা উল্লেখ করুন। তবে মনে রাখবেন। রাত ৩-৪ টার সময় কোনো কাস্টার পণ্যের জন্য কল দিতে পারে। আর কল দিলে আপনি যদি রিসিভ না করে রেখে দেন। তাহলে আপনার Facebook Page রেসপন্স রেট কমে যাবে। তাই আপনি যতোটুকু সময় সার্ভিস দিতে পারবেন ততোটুকু দিবেন।
প্রাইজ রেট:
আপনার ব্যবসার পণ্য যদি একাধিক হয়। তাহলে তো প্রাইজও একাধিক হবে। সেক্ষেত্রে পাইজ রেট কিভাবে দিবেন। তাহলে প্রাইজ রেট মডারেট দিবেন। আর আপনার যদি একটি পণ্য হয়। একটি প্রাইস রেট হয়ে থাকে। তাহলে তা উল্লেখ করতে পারেন।
প্রোডাক্ট সেকশন:
এইধাপে আপনার পেজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করতে হবে। আপনার ব্যবসায় যেসব প্রডাক্ট আছে। সেসব প্রডাক্ট এর ইমেজ দিয়ে দিবেন। আর এডিশনাল ইনফরমেশন সেকশনে গিয়ে এসব পণ্যের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া সাইট লিংক করা:
এবার আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে সোশ্যাল মিডিয়া লিংক করতে হবে। আমাদের আরো যেসব সোশ্যাল মিডিয়া সাইট আছে সেগুলোর লিংক এড করে দিবো। তাতে আমাদের পেজটি আরো অপটিমাইজ হবে। আমাদের পেজটি র্যাংক করবে।
Facebook Page থেকে ইনকাম:
ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় আছে। প্রথমে দেখলাম কিভাবে একটি প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ খোলা যায়। তারপর পেজটি সেটিং করলাম। Facebook Page এর অপটিমাইজেশন করলাম। আমাদের হাতে এখন একটি প্রফেশনাল মানের ফেসবুক পেজ আছে। এই ফেসবুক পেজ থেকে আমরা কিভাবে ইনকাম করতে পারি। তাই আলোচনা করবো এখন।
ফেসবুক ভিডিও থেকে টাকা ইনকাম:
আপনার ফেসবুক পেজ আছে। এই পেজে আপনি নিয়মিত টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করুন। আপনার যেবিষয়ে আগ্রহ আছে। সেই বিষয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করুন। হতে পারে টেক রিলেটেড। ব্লগ, গান, নাচ, কবিতা, আবৃত্তি, যেকোন ব্যবসা সংক্রান্ত হতে পারে। এসবের উপর ভিডিও আপলোড করুন। এই ভিডিও গুলোতে যখন ভিউ আসবে তখন আপনি এসব ভিডিওতে এড বসিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- ফেসবুক ভিডিওতে এড বসিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার পেজে ৫-হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে।
- এবং গত দুই মাসে ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম।
- কোনো কপিরাইট কনটেন্ট থাকতে পারবে না।
- ফেসবুকের মনিটাইজেশন পলিসি মেনে পেজ পরিচালনা করতে হবে।
ই–কর্মাসের মাধ্যমে ইনকাম:
আপনার যদি কোন একটি ব্যবসা থাকে। তার মানে আপনার অনেকগুলো পণ্য আছে। আপনার সেল বাড়ানোর জন্য কাস্টমার দরকার। আপনার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রচুর কাস্টমার পাবেন। অনেক সেল বাড়বে। ব্যবসা বড় হবে। ইনকাম বেশি হবে।
Facebook Page এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম:
মনে করুন আপনার একটি ফেসবুক পেজ আছে। আর এই ফেসবুক পেজে ১-লক্ষ ফলোয়ার আছে। এবার আপনি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে একটি একাউন্ট খুলুন। অ্যামাজনের একটি পণ্যের ইমেজ আপনার ফেসবুক পেজে আপলোড করুন। এবার পণ্যের ইমেজের ডেসক্রিপশন লিখে দিলেন।
তারপর দেখা গেল। আপনার Facebook Page থেকে পোস্টটি দেখে ভিউয়ার আমাজন ওয়েবসাইটে গেল। এবং পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় আমাজন থেকে যতো পণ্য কিনলো। তাহলে আপনি ৫-২০ % কমিশন পাবেন। এভাবে আপনার ফেসবুক পেজ ব্যবহার করুন। আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন।
Facebook Page এর মাধ্যমে সিপিএ মার্কেটিং করে ইনকাম:
আপনার ফেসবুক পেজ ব্যবহার করুন। আর সিপিএ মার্কেটিং করেও টাকা ইনকাম করুন। সিপিএ মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতোই। কিন্তু সিপিএ মার্কেটিংয়ে আপনার মাধ্যমে কোনো পণ্য বিক্রয় হওয়ার প্রয়োজন নেই। সিপিএ অর্থ হলো কস্ট পার অ্যাকশন। অর্থাৎ যতোটুকু কাজ করবেন তার জন্য আয় করবেন।
যেমন, আপনার ট্রাফিক ফ্লো ব্যবহার করে কোন একটি কাজ করলেই পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। যেমন আপনার পোস্ট করা Facebook Page -এ দেয়া লিংকে ক্লিক করে ভিজিটর যখন কোনো সিপিএ সাইটে গিয়ে ফরম ফিলাপ, কল করা, একাউন্ট ওপেন করা ইত্যাদি কাজ করবে। তার জন্য আপনাকে টাকা দেয়া হবে।
Facebook Page এর মাধ্যমে ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন করে ইনকাম:
Facebook Page মাধ্যমে একটি ব্র্যান্ড প্রমোশন করে ইনকাম করতে পারবেন। অন্য কোন একটি কোম্পানিকে আপনার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রমোট করলেন। তার বিনিময়ে বড় অংকের পেমেন্ট পাবেন।
Facebook Page ক্রিয়েট করে ইনকাম:
আপনি যদি প্রফেশনাল মানের ফেসবুক ক্রিয়েট করতে পারেন। তাহলে শুধু ফেসবুক পেজ তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ রয়েছে। ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করার। আপনি চাইলেই এসব কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।
আজকে আমরা দেখলাম কিভাবে একটি Facebook Page ক্রিয়েট করতে হয়। সেই ফেসবুক পেজটি কিভাবে সেটিং করতে হবে। পেজের অপটিমাইজেশন করতে হয়। কিভাবে রিচ বাড়াতে হয়। তারপর ফেজবুক পেজ থেকে ইনকাম করা যায়। তাও দেখে নিলাম।
উপসংহার:
পরিশেষে বলতে পারি। আপনি যদি আমাদের আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে বুঝতে পারবেন। কিভাবে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হয়। এই আর্টিকেল নিয়ে কোনো অভিযোগ বা কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন। আমাদের সাইটে এমনই সব গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের পেজটি ফলো করতে পারেন।
এখন বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে ফেসবুক স্কল করে সময় নষ্ট করে। ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট শেয়ার। অন্যের পোস্টে লাইক, কমেন্ট করা। বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করা। এসব না করে নিজে কিছু করার চেষ্টা করুন। দেখবেন কিছু হবে। শুরুতে মনে হবে পারবেননা। মানুষ আপনাকে বলবে, তোমাকে দিয়ে কিছু হবে।
আপনি হাল ছাড়বেননা। শক্ত হাতে হাল ধরুণ। আর সফল না পর্যন্ত লেগে থাকুন। নিজের যেটা ভালো লাগে করে যান। দেখবেন একদিন সফল হবেনই। মনে রাখবেন সফলতা কারো জন্য সহজ নয়। সফলতা কারো কাছে পায়ে হেঁটে আসে না। সফলতা অর্জন করে নিতে হয়। একটি ফেসবুক পেজ খুললেন। আর ইনকাম শুরু করে দিলেন। ব্যাপারটা এমন নয়। তাই কথাগুলো বললাম। ধনবাদ।
Pingback: ফেসবুক পেজের নাম - shrabonbd.com
An impressive share, I simply given this onto a colleague who was doing a bit of analysis on this. And he the truth is bought me breakfast as a result of I found it for him.. smile. So let me reword that: Thnx for the treat! But yeah Thnkx for spending the time to debate this, I feel strongly about it and love studying extra on this topic. If doable, as you grow to be expertise, would you thoughts updating your weblog with more particulars? It’s extremely helpful for me. Big thumb up for this blog post!
This website is my intake, very superb pattern and perfect content material.
What Is Java Burn? Java Burn is a natural health supplement that is formulated using clinically backed ingredients that promote healthy weight loss.
Thank you for every other informative web site. Where else could I am getting that type of information written in such an ideal method? I’ve a venture that I am just now running on, and I’ve been on the glance out for such information.
Thank you, I have just been searching for information about this subject for ages and yours is the greatest I have discovered so far. But, what about the bottom line? Are you sure about the source?
Wow that was odd. I just wrote an really long comment but after I clicked submit my comment didn’t show up. Grrrr… well I’m not writing all that over again. Regardless, just wanted to say fantastic blog!
Great blog right here! Also your site a lot up fast! What web host are you the use of? Can I get your associate link in your host? I desire my site loaded up as fast as yours lol
Hi, i think that i saw you visited my site thus i came to “return the want”.I’m attempting to to find issues to improve my web site!I guess its adequate to use a few of your ideas!!
Hey, I think your blog might be having browser compatibility issues. When I look at your website in Opera, it looks fine but when opening in Internet Explorer, it has some overlapping. I just wanted to give you a quick heads up! Other then that, superb blog!
Thank you for the auspicious writeup. It actually used to be a leisure account it. Glance complicated to more added agreeable from you! However, how can we communicate?
You have observed very interesting points! ps decent site.
Hi my friend! I want to say that this post is awesome, great written and include almost all important infos. I would like to look extra posts like this .
Real informative and wonderful complex body part of content, now that’s user friendly (:.
I will immediately grab your rss feed as I can not find your email subscription link or e-newsletter service. Do you have any? Kindly permit me recognize so that I may just subscribe. Thanks.
I got what you intend, regards for putting up.Woh I am delighted to find this website through google.