নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া বেশ কঠিন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করতে চাচ্ছেন, কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যত কি? কোন নিশ নিয়ে কাজ করবেন, কোন-কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন, কি কি শিখবেন, কোথায় থেকে শিখবেন, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করে কতো টাকা ইনকাম করতে পারবেন, ফ্রিল্যান্সিং কাজ ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবেন কিনা এমন সব প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, রাতের ঘুম হারাম হচ্ছে।
তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। সব সংশয় দূর হয়ে যাবে। আপনার সিদ্ধান্ত নেয়ার গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে। নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজের নিশ এবং মার্কেটপ্লেস ঠিক করা খুবই কঠিন কাজ। গুগল এডসেন্স একাউন্ট সর্ম্পকে জানতে পড়ুন।
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং হলো ঘরে বসে দেশ-বিদেশের ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানির সাথে চুক্তিভিত্তিক কাজ করা। ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে হলে, আপনার থাকতে হবে একটি মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ।
আপনার যদি কোন বিষয়ে স্কিল থাকে, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে থেকে অনেক কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্স কাজ করার জন্য আপনাকে ৯-৫ টার গতানুগতিক অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে না। আপনি আপনার ইচ্ছা-স্বাধীন সময়ে ঘরে বসে কাজ করে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।
পাট টাইম কাজ হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং:
ফ্রিল্যান্সিং করে কতো টাকা ইনকাম করা যায়:
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা:
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজের বাধা:
নতুদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং:
আপনি যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনাকে কিছু বিষয় অবশ্যই জানতে হবে। কেন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন? অবশ্যই অনেক টাকা ইনকাম করার জন্য। আপনার পরিচিত বড় ভাই, ছোট ভাই, বা আপনার বন্ধু ফ্রিল্যান্স করে মাসে লক্ষ-লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তাই আপনিও ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন। খুবই ভালো কথা। ফ্রিল্যান্স কাজ শুরু করার আগে যেটা আপনাকে খুব ভালো করে জানতে হবে তা হলো; ফ্রিল্যান্সিং করার সঠিক গাইড লাইনস।
ক্যারিয়া হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং:
আপনার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবী বা আত্মীয়-স্বজন কোনো ফ্রিল্যান্স কাজ করে মাসে লক্ষ-লক্ষ টাকা কামাছে। সেই স্কিল সর্ম্পকে আপনি জানলেন, তারপর মার্কেটপ্লেসে গিয়ে গিগ পাবলিশ করলেন, কাজের বিড করলেন। এরকম করাই যাবে না। এটা মারাত্মক ভুল। এরকম করলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেন না।
এবার আপনি নিজেকে নিয়ে ভাবুন। কোন স্কিল নিয়ে কাজ করলে আপনার ভালো লাগবে। কাজটি শিখতে আনন্দ পাবেন। যেসব স্কিলে আপনার আগে থেকেই ধারণা আছে সেসব স্কিল-এ কাজ শিখা আপনার জন্য সহজ হবে। এরকম কিছু স্কিল আয়ত্ব করুন। তারপর মার্কেটপ্লেসে গিয়ে একাউন্ট খুলুন। তারপর গিগ পাবলিশ করুন। অথবা কাজের বিড করুন। বিড উইন করবেন। বা গিগ থেকে অর্ডার পাবেন। আর এক বার অর্ডার পেলে ফাইভ স্টার রেটিং নিতে পারলে আপনার আর পেছেন ফিরে তাকাতে হবে না।
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করবেন:
আপনি ফ্রিল্যান্সিং সর্ম্পকে জানেন। কোন স্কিল আপনার কাছে ভালোলাগে তাও নির্ধারণ করেছেন। এখন আপনার কাজ হলো এই স্কিল বা কাজগুলো ভালো করে শিখে নেয়া। এছাড়া আপনার মনে রাখা দরকার ফ্রিল্যান্স কাজ শুরু করার আগে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে সর্ম্পকে একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। এছাড়া কিছু শর্ত আছে যা পূরণ করলে দ্রুতই সফল হতে পারবেন।
- আপনার একটি উচ্চ কনফিগারেশনের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থাকা বাধ্যতামূলক।
- আপনার ডিভাইসে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংয়োগ থাকতে হবে।
- ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখার মানসিকতা থাকতে হবে।
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে শুরতে রাত জেগে কাজ করা লাগে, তাই অবশ্যই রাত জাগতে হবে।
- কমিউনিকেশন দক্ষতা বাড়াতে হবে বিশেষ করে ইংরেজিতে কমিউনিকেশন দক্ষতা বাড়াতে হবে।
- শুরুতে কিছু টাকা খরচ করার মানসিকতা থাকতে হবে।
- টাইম ম্যানেজম্যান্ট শিখতে হবে।
নতুন যারা আছেন, ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন। তাদের এসব শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের শুরুতেই হাই-ডিমান্ড কাজ করতে চাইলে কাজ তো পাবেনই না উল্টো হতাশ হবেন। তাই আপনি যদি অনলাইন জগতে নতুন হয়ে থাকেন বা আপনার হাতে যদি বেশি সময় না থাকে, দ্রুতই ইনকাম করতে চান, তাইলে কিছু সহজ কাজ আছে, সেগুলো শিখতে পারেন। যেসব কাজ আবার হাতের মোবাইল দিয়ে করা যায়।
আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুন হয়ে থাকলে অবশ্যই ফ্রি ফেসবুক মাকেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মাকেটিং, ই-মেইল মাকেটিং, সোশ্যাল বুকমাকিং ইত্যাদি ছোট-ছোট কাজ শিখুন। শুরুতে অল্প টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তারপর যখন কিছু টাকা ইনকাম হবে তখন একটি ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার কিনে হাই-ডিমান্ড কাজ যেমন, ওয়েব ডেভলাপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, ইথিক্যাল হ্যাকিং, এসইও, ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন এর কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং করে মার্কেটপ্লেসে থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। নতুন একটি জিমেইল একাউন্ট তৈরি।
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে কি কি প্রয়োজন:
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুর করতে কি কি প্রয়োজন হবে তার একটি ভাসা-ভাসা ধারণা আপনি অলরেডি পেয়েছেন। এখন বিস্তারিত আলোচনা করবো। নতুনদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে কি কি প্রয়োজন হবে।
কম্পিউটারের বেসিক নলেজ/নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে -এ নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে জেনে রাখুন, আপনার হাতের অতি দামি মোবাইল এর দাম দিয়ে একটি মাঝারি কনফিগারেশনের কম্পিউটার সেট আপ করে নিতে পারবেন। কিন্তু কম্পিউটার দিয়ে যা করতে পারবেন, আপনার দামি মোবাইল দিয়ে তা করতে পারবেন না। তাই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য আপনার একটি কম্পিউটার থাকা আবশ্যক। এবং এই কম্পিউটারের বেসিক নলেজ যেমন, মাইক্রোসফট ওয়াড, মাইক্রোসফট এক্সেল ইত্যাদি সর্ম্পকে আপনার বেসিক নলেজ থাকতেই হবে।
ইন্টারনেট ব্যবহার সর্ম্পকে ভালো ধারণ থাকতে হবে:
আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে নতুন হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার সর্ম্পকে স্বচ্ছ ধারণ রাখতে হবে। কারণ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এর কোন কাজ আপনি করতে পারবেন না। গুগল বা ইউটিউব থেকে কোন কাজ শিখতে চাইলেও আপনার অবশই ইন্টারনেট সর্ম্পকে একটা ভালো ধারণ থাকতে হবে। তাই আপনার যদি ইন্টারনেট সর্ম্পকে ভালো ধারণা থাকে তাহলে দ্রুতই শিখে নিন।
কমিউনিকেশন দক্ষতা:
নতুন যারা আছেন, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আসতে চাচ্ছেন তাদের কমিউনিকেশন দক্ষতা ভালো থাকতে হবে। কারণ বায়ারদের সাথে আপনার যোগাযোগ করতে হবে। অন্য যারা সফল দেশি বিদেশী ফ্রিল্যান্সার আছেন, তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। তাছাড়া বায়ারদের সাথে যোগাযোগ করতে আপনাকে skypee, WhatsApp, Instagram, LinkedIn এর মতো প্রফেশনাল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে হবে।
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য যেভাবে কাজ শুরু করবেন:
পছন্দের নিশ বা স্কিল ঠিক করুন:শুধু ফাইভারেই অনেক কাজ রয়েছে। কোন-কোন বিষয়ে ফাইভারে গিগ পাবলিশ করার সুয়োগ আছে। তা আপনার জানা উচিত। তাহলে কোন বিষয় আপনার জন্য ভালো হবে সেটা বুঝতে পারবেন। তাই প্রতিটি ক্যাটাগরি এবং সাব-ক্যাটাগরি এবং এর ট্রপিক ইত্যাদি আপনার সুবিধার্থে আলোচনা করা হলো:
Digital Marketing
SEO
- SEO (Search Engine Optimization)
- Search Engine Marketing (SEM)
- Local SEO
- E-Commerce SEO
- Video SEO
Social
- Social Media Marketing
- Paid Social Media
- Influencer Marketing
- Community Management
Methods & Techniques:
- Video Marketing
- E-Commerce Marketing
- Email Marketing
- Guest Posting
- Affiliate Marketing
- Display Advertising
- Public Relations
- Text Message Marketing
Analytics and Strategy
- Marketing Strategy
- Marketing Advice
- Web Analytics
Industry & Purpose Specific;
- Music Promotion
- Podcast Marketing
- Book & eBook Marketing
- Mobile App Marketing
Miscellaneous;
- Crowdfunding
- Other
Graphics & Design:
Logo
- Logo Design
- Brand Style Guides
- Business Cards & Stationery
- Fonts & Typography
Web & App Design
- Website Design
- App Design
- UX Design
- Landing Page Design
- Icon Design
Art & Illustration
- Illustration
- AI Artists
- Children’s Book Illustration
- Portraits & Caricatures
- Cartoons & Comics
- Pattern Design
- Tattoo Design
- Storyboards
- NFT Art
Architecture & Building Design;
- Architecture & Interior Design
- Landscape Design
- Building Engineering
- Building Information Modeling
Product & Gaming;
- Industrial & product Design
- Character Modeling
- Game Art
- Graphics For Streamers
- Twitch Store
- Trade Booth Design
Visual Design;
- Image Editing
- Presentation Design
- Infographic Design
- Vector Tracing
- Resume Design
Print Design;
- Flyer Design
- Brochure Design
- Poster Design
- Catalog Design
- Menu Design
- Invitation Design
Packaging & Covers;
- Packaging Label Design
- Book Design
- Book Covers
- Album Cover Design
- Podcast Cover Art
- Car Wraps
3D Design;
- 3D Architecture
- 3D Industrial Design
- 3D Fashion & Garment
- 3D Landscape
- 3D Jewelry Design
Marketing Design
- Social Media Design
- Thumbnails Design
- Email Design
- Web Banners
- Signage Design
Fashion & Merchandise;
- T-Shirts & Merchandise
- Fashion Design
- Jewelry Design
Miscellaneous;
- Design Advice
- Other
Writing & Translation:
Content Writing
- Articles & Blog Posts
- Content Strategy
- Book & eBook Writing
- Website Content
- Script Writing
- Creative Writing
- Podcast Writing
- Speech writing
- Research & Summaries
Editing & Critique
- Proofreading & Editing
- AI Content Editing
- Book Editing
- Beta Reading
- Writing Advice
Translation & Transcription;
- Translation
- Localization
- Transcription
Business & Marketing Copy
- Brand Voice & Tone
- Business Names & Slogans
- Case studies
- White Papers
- Product Descriptions
- Ad Copy
- Email Copy
- Social Media Copy
- Press Releases
- UX Writing
- Business Names & Slogans
Career Writing;
- Resume Writing
- Cover Letters
- LinkedIn Profiles
- Job Descriptions
- Cover Letters
Miscellaneous
- eLearning Content Development
- Technical Writing
- Grant Writing
- Other
- Technical Writing
Programming & Tech
Most Popular In Programming & Tech
- WordPress Developers
- Python Developers
- Shopify Developers
- HTML & CSS Developers
- Android Developers
- JavaScript Developers
- ios Developers
- Wix Developers
- Unity Developers
Explore More Programming & Tech:
- Website Development
- Website Maintenance
- Website Customization
- WordPress
- Shopify
- Wix
- Webflow
- Custom Website
Application Development:
- Software Development
- Mobile Apps
- Desktop Application
- Game Development
- Chatbots Development
- AI Coding & Development
Support & Cybersecurity:
- Support & IT
- DevOps & Cloud
- Cybersecurity
- Development for Streamers
- Convert Files
Miscellaneous:
- Blockchain & Crytocurrency
- Electronics Engineering
- QA & Review
- NFT Development
- User Testing
- Online Coding Lessons
- Other
স্কিল ডেভলাপমেন্ট/নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং
উপরোল্লিখিত স্কিলগুলোর থেকে আপনি যে, স্কিল নিয়ে কাজ করতে সাচ্ছন্দ্য ফিল করেন, সেই স্কিল ডেভলাপ করতে পারেন। এসব কাজ শিখার জন্য সব থেকে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হলো আপনার প্রবল ইচ্ছাশক্তি। আপনি যদি আবেগ থেকে কাজ শিখতে আসেন তাহলে বেশিদিন ভালো লগাবে না। কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকলে যেকোন উপায়ে কাজ শিখতে পারবেন। কাজ শিখার জন্য প্রথমে আমাদের সাইটটির সকল পোস্ট মনোয়োগ দিয়ে পড়তে পারেন। আমার পোস্ট পড়েই আপনি কাজ শিখে ফেলতে পারবেন না। তবে আপনার কাজ শেখার পথটা সহজ হয়ে যাবে।
তারপর বিভিন্ন ইউটিউবের ভিডিওগুলো দেখতে পারেন। কোনো একটি চ্যানেল এর একটি ভিডিও দেখে কাজ শিখতে পারবেন না। কাজ শিখার জন্য অনেকগুলো চ্যানেল ফলো করতে পারেন। বই পড়তে পারেন। আর বলবো আপনি কোন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করতে পারেন। তবে কোর্স করার আগে অবশ্যই ভেবে চিন্তে তারপর কোর্স নিবেন। কারণ বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান নামেই চলে। তারাই কিছু জানে না। তারা নতুন-নতুন গেস্ট-মেন্টর দিয়ে ক্লাস নেওয়াবে। নতুন মেন্টর দিয়ে ক্লাস নেওয়ালে তাদের লাভ। আপনাদের লস। তাই কোনো কোর্স নেওয়ার আগেই সব খোঁজ-খবর নিয়ে তারপর ভর্তি হবেন। আর যদি আপনার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবী, পরিচিত বড় ভাই, ছোট ভাই কাজ জানে, তাহলে তাদের সাথে যোগাযোগ করে কাজ শিখতে পারেন।
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং, মার্কেটপ্লেসেগুলোতে একাউন্ট তৈরি করুন:
Best Freelancing Website to find work for new Freelancers in the following.
- Fiverr.com
- Upwork.com
- Freelancer.com
- Envato Studio.com
- Brybe.com
- CrewScale.com
- PeoplePerHour.com
- Toptal.com
- Guru.com
10.DesignCrowd.com
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করতে পোটফোলিও তৈরি করুন:
নতুন হিসেবে মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পাওয়া সহজ নয়। বরং খুবই কঠিন। মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পেতে পোর্টফোলিও সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পোর্টফোলিও মানে কাজের অভিজ্ঞতা হতে হবে এমন নয়। আপনি তো কোনো কাজই পায় না তাহলে অভিজ্ঞতা কিভাবে পাবেন। তাই তো যেসব কাজ শিখবেন সেগুলোর স্কিনশর্টস রাখুন। পিডিএফ ফাইল রাখুন। ভিডিও রাখুন। তাহলে আপনার পোফাইলে আপলোড করতে পারবেন। বায়ারকে দেখাতে পারবেন।
গিগ তৈরি করুন:
ফাইভারে কাজ করতে চাইলে প্রফেশনালি একটি গিগ তৈরি করুন। একটি ভালো গিগ আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভবনা অনেক বাড়িয়ে দেয়। তাই খুব যত্ন করে গিগ তৈরি করে পাবলিশ করবেন। কিভাবে গিগ তৈরি করতে হয় তার উপর আমাদের একটি পোস্ট পাবলিশ করা আছে। এখানে ক্লিক করে দেখতে পারেন।
বিড করুন:
আপওয়ার্কে কাজ করতে হলে বিড করতে হবে। প্রথমে একাউন্ট তো তৈরি করতেই হবে। তারপর বিড করতে হবে। অর্থাৎ বায়ার কাজ পোস্ট করবে। আর আপনি কাজের জন্য আবেদন করবেন। আপওর্য়াককে আবেদন করাকে বিড বলে। বিড এ ভালো করে ডেসক্রিপশন লিখতে হয়। অর্থাৎ কিভাবে কাজটি করতে পারবেন সেই সর্ম্পকে বিস্তারিত লিখতে হবে। যার উপস্থান সবথেকে সুন্দর অর্থাৎ যার বিড দেখে বায়ার সন্তুষ্টু হবে তাকেই কাজটি দিবে।
এসইও করুন:
নতুন অবস্থায় কাজ পাওয়ার জন্য এসইও শিখুন। কারণ কাজ পাওয়ার উপায় সর্ম্পকে ভালো ধারণা পাবেন। এবং এসইও করেও ইনকাম করতে পারবেন। এসইও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। কোনো কি-ওয়ার্ডকে গুগল সার্চ রেজাল্টে প্রথম পেজে নিয়ে আসাই এসইও এর কাজ। আপনি ভালো করে এসইও জানলে আপনার গিগ প্রথম পেজে নিয়ে আসতে পারবেন। তাহলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেড়ে যাবে।
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং/সোশ্যাল মিডিয়ায় মাকেটিং করে
নতুন হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করুন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি কাজ পাবেন। কারণ বায়ারা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচুর একটিভ থাকেন। তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। দেখবেন। সহজেই কাজ পাবেন। লিংকডইনকে তো বায়ারের খনি বলা হয়ে থাকে। তাছাড়া অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে বায়ার পাবেন।
পেমেন্ট উত্তোলন:
কাজের পেমেন্ট উত্তোলন করার জন্য গেটওয়ে হিসেবে পেপ্যাল, পাইওনিয়ার, ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করুন। কাজ করুন। টাকা ইনকাম করুন। টাকা উত্তোলন নিয়ে সমস্যা হবেনা।
উপসংহার:
উপরের আলোচনা থেকে বলতে পারি নতুন হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া সহজ নয়। তবে আপনি যদি আমাদের দেওয়া পরামর্শগুলো ফলো করেন, তাহলে আপনার কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। ধাপে-ধাপে কাজগুলো করুন। কাজ শিখা একটু কঠিন। কাজ করা কঠিন নয়। প্রথম কাজ পাওয়ার পরে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার দৌঁড়াবে। তবে শুরুতে ধর্য্যধরে কাজ শিখতে হবে। এবং চেষ্টা করতে হবে। লেগে থাকতে হবে। সফল হওয়ার জন্য আপনি কতোটা জ্ঞাণী তার থেকে বেশি প্রয়োজন আপনি কতোটা পরিশ্রমী তার উপর। আপনার সফলতা কামনায় শেষ করছি। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।