সার্ভে কি -অনলাইন পেইড সার্ভে করে ইনকাম করার উপায়

সার্ভে কি ? What is Survey ?

সার্ভে হলো গবেষণার প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপ। গবেষণা প্রক্রিয়ার এই ধাপে সার্ভের মাধ্যমে ডাটা সংগ্রহ করা হয়। ডাটা সংগ্রহ করার আবার একটি প্রক্রিয়া আছে। সাধারণত কোন একটি উপাদানের ছোট থেকে বড় অংশ সংগ্রহ করা হয়। আবার বড় থেকে ছোট উপাদান সংগ্রহ করা হয়। এভাবে বিভিন্ন গোষ্ঠীর থেকে তথ্য সংগ্রহ করাই হলো সার্ভে।

এবার আলোচনা করবো Surveyকি? এটা করার প্রক্রিয়া। Survey করার ধাপসমূহ। এটা করে লাভ কি? Survey করে কি ইনকাম করা যায়? Survey মাধমে কতোটাকা ইনকাম করা যায়? পেইড Survey কি? অনলাইন সার্ভে কি? অনলাইন Survey করে ইনকাম করার উপায়। অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ ২০২৪ পড়ুন।

এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশাকরি সাথে থাকবেন। এবং সার্ভে কি? এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে আসুন শুরু করা যাক।

সার্ভে বলতে নমুনা সংগ্রহ করাকেই বুঝায়। কোন একটি বিষয়ের উপর তথ্য সংগ্রহ করা। যে বিষয়ের উপর তথ্য সংগ্রহ করবেন। সেই বিষয়ের সমস্ত উপাদান থেকে যতোবেশি পারা যায় নমুনা সংগ্রহ করা। নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার সেরা উপায় ২০২৪ পড়ুন।

এরপর এসকল নমুনা একত্রিত করা হয়। এবং নমুনাগুলোর মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়। এবং একটি সিদ্ধান্তে আসা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে পড়ুন।

সার্ভের উদাহরণ:

উদাহরণ: আমি একটি Survey কাজে অংশগ্রহণ করি। প্রথমিক বিদ্যালয়ের স্যানিটেশন ব্যবস্থা এর উপর। আমাদের জেলার সবগুলো উপজেলার যাই। এবং প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভিজিট করি। এসব প্রাথমিক থেকে স্যানিটেশন বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করি।

এরপর এগুলো একত্রিত করি। তুলনামূলক বিশ্লেষণ করি। তারপর গবেষণা করি। এবং একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাই। এবং আমাদেরে জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হয়। এটা ছিল Survey থেকে গবেষণা পর্যন্ত। অনলাইন টাকা ইনকাম পড়ুন।

সার্ভে কেন করা হয়?

সার্ভে

সার্ভে করার প্রয়োজন হয় কেন? মূলত যখন কোনো বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের প্রয়োজন হয়, তখন সার্ভের প্রয়োজন হয়। Survey কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের হতে পারে। আবার সম্পূর্ণ দেশের হতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং শিখব কিভাবে জানতে চান তাহলে এই পোস্ট পড়ুন

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান অধিদপ্তর অধীনে আদমশুমারী হয়। তখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এটিই Survey সবথেকে বড় উদাহরণ।আবার যখন কোনো কোম্পানি নতুন পণ্য উৎপাদন করেন, তখন Surveyপ্রয়োজন হয়। কেন মানুষের চাহিদা, রুচিবোধ, অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়।

বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারী হয় ১৯৭৩ সালে। প্রতি ১০ বছর অন্তর অন্তর আদমশুমারী হয়। আমরা সবাই জানি আদমশুমারীতে ব্যক্তি, জাতি, বয়স, জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, সন্তান, পরিবার, পরিবারের সদস্য সংখ্যা ইত্যাদির তথ্য উঠে আসে।

১৭৯০ সালে প্রথম আদমশুমারী হয় আমেরিকায়। আমাদের দেশের মতোই প্রতি ১০ বছর অন্তর অন্তর আদমশুমারী হয় আমেরিকায়।

শিল্প উন্নয়নের জন্য শিল্প খাতে জরিপ পরিচালনা করে যুক্তরাজ্য। প্রথম এই জরিপ করা হয় লন্ডন থেকে। সামাজিক অবস্থার বুঝতে জরিপ করা হয়। ১৮০৮ সালে প্রথম এমন জরিপ করে তদন্ত করে যুক্তরাজ্য।

অনলাইন সার্ভে কি?

কোনো সার্ভে এর কাজ যখন অনলাইনের মাধ্যমে করা হয় তখন তাকে অনলাইনSurvey বলা হয়। মোবাইল, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে, এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। সার্ভের অন্যান্য প্রসেস ঠিক রেখে তথ্য সংগ্রহ করার উপায় পরিবর্তন করা হয়। অর্থাৎ স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের প্রশ্ন করা হয়। এবং তাদের মতামত গ্রহণ করা হয়।

অনলাইন Survey প্রথম চালু হয় ১৯০৮ সালে। যখন এটার নাম ছিল টেলিফোন সার্ভে। সময়ের পরিবর্তনে এই টেলিফোন সার্ভেই এখন অনলাইন সার্ভে নামে পরিচিত। অনেকে আবার একে web Survey বলে থাকেন।

 সার্ভে করার খাতসমূহ:

অনলাইন বা অফলাইন যেকোন উপায়ে সার্ভে করা যায়। যেভাবে সম্ভব সার্ভে করুন। তবে যেসব খাতে সার্ভে করলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়। তার একটি তালিকা আমরা তৈরি করেছি। একবার দেখে নিন এই তালিকা। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম জেনে কার্ড সংগ্রহ করুন পড়ুন।

  • জনস্বাস্থ্য খাতে
  • স্যানিটেশন খাতে
  • খাদ্যদব্য খাতে
  • জনগোষ্ঠী খাতে
  • রাজনৈতিক খাতে
  • অর্থনৈতক খাতে
  • চিকিৎসা খাতে
  • শিক্ষা খাতে
  • পানীয় পানি খাতে
  • পরিবেশ খাতে
  • জলবায়ু খাতে
  • বায়ু দূষণ খাতে
  • নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ খাতে
  • নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চত করার জন্য
  • কৃষি পণ্যের খাতে
  • গবাদিপশু খাতে

সার্ভে কেন করবেন?

সার্ভে করার অনেক ভালো দিক আছে। গবেষণা কাজ করলে সার্ভে মাস্ট। সার্ভে ছাড়া গবেষণা সম্পূর্ণ হয় না। তাই গবেষণায় সুফল পাওয়ার জন্য সার্ভে করতে হয়। সার্ভের আরো কিছু ভালোদিক আছে। আমরা এখন দেখবো কি কি পেতে পারি।

কোনো একটি জাতি গোষ্ঠির চিন্তা-ভাবনা, মতামত অনুভূতি বিবেচনায় নিয়ে গবেষণার কাজে ব্যবহার করা যায়।

নতুন পণ্য বাজারজাত করার আগে সম্ভাব্য ক্রেতাদের অভিরুচি সর্ম্পকে ধারণা পাওয়া যায়। পণ্য উৎপাদন করা উচৎ হবে কিন? পণ্যের দাম কেমন হলে, ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে ইত্যাদি।

চলমান কোন পণ্য সর্ম্পকে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা কেমন তা জানা যাবে। ফলে পণ্য সর্ম্পকে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে। কোনো সমস্যা থাকলে সমাধান করা যাবে।

কোনো অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা কেমন? স্কুলের স্যানিটেশন ব্যবস্থা কেমন? নিরাপদ খাদ্যদব্য পাওয়া যায় কিনা? এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জন্য সার্ভে করা খুবই গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করে।

 কোন অঞ্চলের আবহাওয়া কেমন? জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জনজীবনে প্রভাব তাও জানতে পারবেন সার্ভের মাধ্যমে।

শেষে এই কথা বলতে পারিযে, সঠিকভাবে সার্ভে করলে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি, গোষ্ঠি, অঞ্চল, দেশ সবারই উপকার হবে। তাই আমি বলবো যতোবেশি সম্ভব সার্ভে পরিচালনা করনু্ সার্ভে করতে সহয়তা করুন। সার্ভে করতে উৎসাহিত করুন।

পেইড সার্ভে কি?

অনলাইন Survey কি সেটাতো আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি। এখন আমরা জানবো পেইড Survey কি? কিভাবে পেইড Survey কাজ করা যায়।

পেইড সার্ভে হলো Survey বা জরিপ কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য পেইড করাকেই বুঝায়। অর্থাৎ অনলাইনে সার্ভে কাজে অংশগ্রহণ করে জন্য টাকা প্রদান করতে হয়। এই ধরণের Survey সাধারণত অনেক প্রশ্ন থাকে। অনেক সময় নিয়ে উত্তর দিতে হয়।

অনলাইনে স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এতো সময় নিয়ে Survey উত্তর দিতে চায় না। তাই তাদের পেইড করতে হয়। তাদের পেইড করলে তারা Survey কাজে অংশগ্রহণ করবেন। এসব Survey সকল প্রশ্নের উত্তর দিবেন। এতো Surveyপ্রতিষ্ঠানের Survey কাজ সুষ্ঠুভাবে সর্ম্পূণ হয়।

পেইড Survey মাধ্যমে আয়:

এক এক দিন একটি পেইড সার্ভে ওয়েবসাইটের ১-২টি সার্ভে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিনিময়ে ১-২ ডলার আয় করতে পারবেন। এভাবে প্রতিদিন ৫-১০ Survey কাজে অংশগ্রহণ করলে প্রতিদন ১০-১৫ ডলার আয় করতে পারবেন। মাসে ২০০-৩০০ ডলার আয় হয়ে যাবে।

পেইড Survey ওয়েবসাইটে অংশগ্রহণ করার জন্য সঠিক সাইটগুলো খুঁজে বের করতে হবে। সাইটে Registration করতে হবে। Registration করার জন্য ইমেইল আইডি, মোবাইল নাম্বার এর প্রয়োজন হবে। রেজিস্ট্রেশন শেষে সার্ভে সাইটে লগইন করতে হবে। সাইটে আপনার একাউন্টের ড্যাশবোর্ডে সার্ভে অফার দেখতে পাবেন। এই Survey অংশগ্রহণ করুন। সকল প্রশ্নের উত্তর করুন। সাবমিট করুন। ব্যস আপনার কাজ শেষ।

পেইড Survey করে কতোটাকা আয় করা যায়:

এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর করা সম্ভব নয়। কারণ সবার আয় সমান হয় না। কেন সবার আয় একই হয় না। তা আপনার ভালো জানার কথা। তারপরও বলি।

আমি কোন ডিভাইস দিয়ে কাজ করবো। মোবাইল না কম্পিউটার। কোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবো? মোবাইল সেলুলর নেট নাকি ওয়াই-ফাই? ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা কেমন? কারণ প্রায় পেইড Survey সাইট ইংরেজি ভাষায় প্রশ্ন করবে। কম্পিউটার স্কিল কেমন, ইন্টারনেট সর্ম্পকে কেমন জানি।

এসব কিছুর উপর নির্ভর করছে। আমার মাসিক ইনকাম কেমন হবে। তবে একটা ধারণা দিতে পারি।

প্রতিদিন ৪-৫ ঘন্টা করি। মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা পাই। কারণ প্রতিদিন সমান হয় না। নেটওর্য়াক ভালো সার্ভিস দেয় না। বিদ্যুৎ থাকে না। তারপরও যেটুকু কাজ করি। তার জন্য যথেষ্ট আয় হয়। এতে আমার হয়ে যায়। মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানতে পড়ুন।

তবে বলে রাখি। এই সার্ভে কাজ ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে যাবেন না। একটু সার্পোট পাওয়ার জন্য করতে পারেন। অন্য কাজ শিখার সময় করতে পারেন।

যতোদ্রুত সম্ভব সুচই করতে চেষ্টা করবেন। এটা স্থায়ী কাজ নয়। বুঝতেই পারছেন। কোন প্রতিষ্ঠান সার্ভে বা জরিপ সারাজীবন করবে না। এটা একটি প্রজেক্ট মাত্র। তাই এই কাজ একই প্রতিষ্ঠানের বেশিদিন পাবেন না।

সার্ভে করতে হলে সব সময় নতুন নতুন Survey জন্য খুঁজতে হবে। তাই এই কাজ না করে অন্য কাজের জন্য চেষ্টা করবেন।

আর যতোদিন করবেন, ততোদিন বিশ্বস্ত সার্ভে ওয়েবসাইটে কাজ করবেন। অনলাইনে তাদের উপস্থিতি পরীক্ষা করবেন। তাদের রিভিউ চেক করবেন। যারা সার্ভে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাদের সঠিক সময়ে পেইড করেছে কিনা নিশ্চত হবে কাজ করবেন।

উপসংহার:

পরিশেষে উপরের আলোচনা থেকে এটাই বলতে পারিযে, Survey বা জরিপ যেটাই বলুন না কেন, সঠিক উপায়ে করতে হবে।

মানুষের মতামত যাচাইয়ের মাধ্যম হলো Survey। গ্রাহকের অভিমত কি, পণ্য সর্ম্পকে ধারণা ইত্যাদি জানা যায়। আবার পেইড Survey অংশগ্রহণ করে ইনকামও করা যায়।

আমাদের পোস্টটি পড়ে থাকলে সব বিষয়ে ধারণা পরিস্কার হয়ে গেছে। পোস্ট ভালোলাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এমনই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য সাইটটি ভিজিট করুন, ধন্যবাদ।  

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top