স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম, ২০২৪ সালের ট্রেন্ডিং ট্রপিক

আমি যখন স্টুডেন্ট ছিলাম। শুয়ে বসে সময় কাটাতাম। তখন অনলাইনে এতো কাজ ছিল না। বই পড়তাম। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাম। বিকেলে ঘুরে বেড়াতাম। এখন স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম এর সুয়োগ আছে। তাই ম্যাচে বসে বসে ফেসবুকিং না করে, কাজ শিখুন। পড়ালেখার পাশাপাশি আয় করুন। পরিবারকে সহায়তা করুন।

আজকের পোস্টে আমরা স্টুডেন্টদের আয়ের উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। যারা এখনো ছাত্র-ছাত্রী, তাদের হাতে অনেক সময় আছে। এই সময়কে কাজে লাগাতে হবে। সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। স্টুডেন্ট লাইফে যেকাজ শিখবেন, তা পরবর্তী জীবনে আপনাকে অনেক এগিয়ে রাখবে।

স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম

স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম এর কাজসমূহ

স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম
স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম

ছাত্র-ছাত্রীদের প্রচুর কাজ আছে। তাদের কাজ করার সময় আছে। দক্ষতা অর্জন করতে পারলে, স্টুডেন্ট লাইফে ক্যারিয়া গড়া সম্ভব। আমাদের আশে-পাশে, অনেক উদাহরণ আছে। যারা ছাত্র অবস্থায় লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন, যেমন- ফরিদপুরের শাওন, ইথিক্যাল হ্যাকিং এর কাজ করছেন। কয়েক বছরের কয়েক লক্ষ টাকা আয় করছেন।

 স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম এর কাজসমূহ হলো;

  • কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ;
  • ব্লগিং এর কাজ
  • ইউটিউবিং এর কাজ;
  • ভিডিও এডিটিং এর কাজ;
  • ফটোগ্রাফি এর কাজ;
  • লোগো ডিজাইনের কাজ;
  • ওয়েব ডেভলাপমেন্ট এর কাজ;
  • ওয়েব সাইট ডিজাইনের কাজ;
  • এসইও এর কাজ
  • গেস্ট পোস্টিং এর কাজ
  • অনপেজ এসইও এর কাজ;
  • অফপেজ এসইও এর কাজ;
  • লোকাল এসইও এর কাজ;
  • ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ;
  • স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ;
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ;
  • ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ;
  • লিংডইন মার্কেটিং এর কাজ;
  • গুগল এডস এর কাজ;
  • ফেসবুক এডস এর কাজ
  • ওয়ার্ডপ্রেস অপ্টিমাইজেশন এর কাজ;
  • ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইস্যু ফিক্স এর কাজ;
  • ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ইস্যু ফিক্স
  • সাইটেশন বিল্ডিং এর কাজ;
  • স্যোশাল বুকমার্কিং এর কাজ,
  • ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন এর কাজ;
  • স্যোশাল মিডিয়া ম্যানেজার এর কাজ;
  • এ-আই রিলেটেড কাজ;

এগুলো ছাড়াও আরো প্রচুর কাজ আছে। ফ্রিল্যান্সি মার্কেটপ্লেস ভিজিট করুন। তাহলে দেখতে পাবেন। বিদেশের বায়ারা কি পরিমাণ কাজ করান। ছোট খাটো সব কাজ পাবেন। এসব কাজ কোথায় পাবেন। এসব কাজ পাবেন মার্কেটপ্লেসে, এবং স্যোশাল মিডিয়া সাইটে।

স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের উপায় ফ্রিল্যান্সিং

স্টুডেন্ট অবস্থায় পড়ালেখা চলমান। পড়ালেখা চলমান অবস্থায় স্থায়ী চাকুরি পান না। পেলেও অনেকে করেন না। পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চান। ফলে, ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুকতে হয়। এখনতো স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের সেরা উপায় ফ্রিল্যান্সিং।

প্রচলিত ধারায়, অফিসে গিয়ে সকাল ৯ থেকে বিকেল ৫-বিকেল টা পর্যন্ত অফিস করতে হয় না। কারণ ফ্রিল্যান্সিং কাজ ঘরে বসে করা যায়। নিজের ইচ্ছামতো সময়ে কাজ করা যায়। আবার পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া যায়।

স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের সেরা উপায় ফ্রিল্যান্সিং। যেসব স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম করতে চান, তারা অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং ভিজিট করুন। প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করুন।

স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম এর মার্কেটপ্লেস

স্টুডেন্ট অবস্থায় আয় করতে হলে, এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো দেখুন। আমার এই সব মার্কেটপ্লেসে আমার অ্যাকাউন্ট আছে। আপনাদেরও অ্যাকাউন্ট তৈরি করা উচিৎ। তবে একটি কথা বলে রাখি। অ্যাকাউন্ট তৈরি করার আগে, অবশ্যই স্কিল অর্জন করুন। আগেই মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন। তাতে করে অ্যাকাউন্ট ভালো অবস্থায় আনতে পারবেন। নিম্নে মার্কেটপ্লেসগুলোর নাম উল্লেখ করছি।

এসব মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। নিয়মিত মার্কেটপ্লেস ভিজিট করুন। মার্কেটপ্লেসে ভিজিট না করলে, আপনার অ্যাকাউন্টটি ইম্প্রেশন পাবে না। কারণ ফেসবুকের মতো অ্যাকাউন্টে লগইন থাকলে, নামের পাশে গিন সিগন্যাল দেখাবে। এবং Active online show করবে। তাই যেকোনো একটি, দুটি মার্কেটপ্লেস অলটাইম লগইন থাকুন। তাহলে প্রথম কাজ পাওয়া সহজ হয়ে যাবে।

এবার আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। ২০২৪ সালে এসে ছাত্রদের জন্য অনলাইন চাকরি কি হওয়া উচিৎ। স্টুডেন্টদের জন্য পার্টটাইম জব ২০২৪ এর সেরা উপায়গুলো থাকছে এই আলোচনায়।

আপনার যদি পড়তে ভালো লাগে। লিখালিখির প্রত আগ্রহ থাকে, তাহলে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন। ভালোমানের কনটেন্ট রাইটারের অনেক মূল্য। প্রতিটি কনটেন্টই মূল্যবান। বাংলায় কনটেন্ট না লিখে, ইংরেজিতে লিখতে চেষ্টা করবেন।

বিশ্ববাজারে বাংলা কনটেন্ট মূল্যায়িত হয় না। আপনার ক্যারিয়ারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে চাইলে ইংরেজিতে লিখুন। প্রতিটি ১-হাজার শব্দের আর্টিকেল এর মূল্য ২০-ডলার থেকে ৫০-ডলার পর্য়ন্ত হয়ে থাকে।

ইংরেজিতে লিখতে না পারলে, শুরুতে বাংলায় লিখতে পারেন। আমাদের সাইটের জন্য বাংলায় বা ইংরেজিতে কনটেন্ট লিখতে পারেন। কনটেন্ট লিখার জন্য আমাদের ইমেইলে যোগাযোগ করুন।

২. লোগো ডিজাইনার

স্টুডেন্ট অবস্থায় লোগো ডিজাইন শিখতে পারেন। লোগো ডিজাইনারদের চাহিদা ব্যাপক। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে, লোগো ডিজাইনারদের মূল্য বেড়ে চলেছে।

নতুন-পুরাতন যেকোনো অনলাইন ব্যবসার জন্য লোগো থাকা বাধ্যতামূলক। আবার প্রচলিত ব্যবসার জন্য লোগোর প্রয়োজন হয়। কার্ড ডিজাইন, লোগো ডিজাইনের একটি অংশ। তাই এই কাজও করতে পারবেন।

ইউটিউবিং ক্যারিয়ারের চাহিদা বাড়ছে। সাথে লোগো ডিজাইনের চাহিদা। একটি চ্যানেল জন্য লোগোর প্রয়োজন হয়। প্রফাইল পিকচারের প্রয়োজন হয়। আবার প্রতিটি ইউটিউব ভিডিও জন্য একটি করে থাম্বনেইল প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে লোগো ডিজাইনারদের প্রয়োজন হয়।

প্রতিটি স্যোশাল মিডিয়াতে বিভিন্ন সাইজের পোস্ট করতে হয়। প্রতিটি পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা ডিজাইনের প্রয়োজন হয়। একজন লোগো ডিজাইনার এসব কাজ করতে পারেন। তার মূল্যও অনেক।

 লোগো ডিজাইন শিখতে একটু সময় লাগে। সুডেন্টদের হাতে সময় আছে। তাই, স্টুডেন্টরা লোগো ডিজাইনকে পার্টটাইম জব হিসেবে নিতে পারেন।

৩. স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং

স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম এর অন্যতম সেরা উপায় হলো ব্লগিং। লিখতে পারলে, ব্লগিং করতে পারবেন। তাই লিখার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ব্লগিং এর ভিত্তি হলো কনটেন্ট। তাই ভালোমানের কনটেন্ট রাইটিং ব্লগিংয়ে আপনাকে অনেকখানি এগিয়ে রাখবে।

তবে, ব্লগিয় করার জন্য আরো কিছু জানতে হয়। ব্লগিং করে আয় করতে সময় লেগে যেতে পারে। কারো কারো এক বছর লেগে যেতে পারেন।

যারা ভালো এসইও করতে পারেন। ভালোভাবে website structure করতে পারেনে, তাহলে ৩-৪ মাসে আয় করা সময়। নিয়মিত আয় আসতে ৮-১০ মাস লেগেই যায়। ব্লগিং মাধ্যমে ইনকাম শুরুতে স্টুডেন্টদের কিছু টাকা খরচ হবে। যেমন, ডোমেইন কিনতে হবে। থিম কিনতে হবে। হোস্টিং না কিনলেও চলবে।

বাংলায় ব্লগিং করে মাসে ৩-৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে, তার জন্য সাইট ডিজাইন ভালো হতে হবে। সাইটে কমপক্ষে ২-শতাধিক পোস্ট থাকতে হবে। সাইটে ১০০-এর উপরে রেফান্সে ডোমেইন থাকলে এই ইনকাম আসতে পারে। এটা একটা ধারণা মাত্র।

স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম এর পরিমাণ

অনলাইন ইনকামের পরিমাণ নির্ভর করছে কর্মীর উপর। যেকাজ করছে তার উপর নির্ভর করছে। সবার ইনকাম সমান হয় ন। কেন হয় না? কারণ সবাই একই কাজ করবেন না। সবাই একই মার্কটপ্লেসে কাজ করবেন না। একই কাজ করে, ফাইভারের থেকে আপওর্য়াকে বেশি টাকা পাওয়া যা।

আবার সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা এক নয়। সবাই একই ডিভাইস দিয়ে কাজ করেন না। সবার অভিজ্ঞতা এক নয়। বরং ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই তাদের অনলাইন ইনকাম এর পরিমাণও ভিন্নতর হয়ে থাকে।

এন্ট্রি লেভেলের একজন লোগো ডিজাইনার ফ্রিল্যান্সার মাসে ৫০০-১০০০-ডলার আয় করতে পারেন। আবার কনটেন্ট রাইটার শুরুতে মাসে ২০০-৩০০ ডলার আয় করতে পারেন। একজন ইউটিউবার যার চ্যানেলে ১০-২০ হাজার সাবসক্রাইবার আছে। তার মাসিক ইনকাম ১০০-ডলার হওয়া কঠিন। এই সময়ে ২-৩ মাসে একটি পেমেন্ট পাবেন।

উপসংহার

স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম এর কোন উপায় টি ভালো লেগেছে, বলুন। উপরের আলোচনা থেকে বলতে পারি, স্টুডেন্ট অবস্থায় যথেষ্ট সময় আছে। ভালোভাবে কাজ শিখুন। যেসব কাজ ভালোলাগে তাই শিখুন। যেকাজ আয় বেশি সেটা শিখতে যাবেন না। তারপর মার্কেটপ্লেসে যান। কাজ পাবেন। আয় করতে পারবেন।

পোস্ট কেমন লেগেছে? জানাতে ভুলবেন না। এমন সব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়তে, সাইটটি ভিজিট করুন। আমাদের সাইটে এমন অনেক পোস্ট আছে। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top