সোনালী ব্যাংক লোন প্যাকেজ, কিস্তি, সুদের হার দেখুন

আজকে আমরা আলোচনা করবো সোনালী ব্যাংক লোন নিয়ে। অন্যান্য ব্যাংক এবং এনজিও এর লোন দেয়ার ধারার ধারবাহিকতায় সোনালী ব্যাংকও বিভিন্ন লোন স্কিম প্রদান করছে। সোনালী ব্যাংক লোন প্যাকেজ। সোনালী ব্যাংক স্কিম এর মেয়াদ। ইন্টারেস্ট রেট। লোনের কিস্তি। সোনালী ব্যাংক লোন ফরম।

সোনালী ব্যাংকের লোন নিতে হলে কি কি ডকুমেন্ট লাগে। এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাহলে আসুন কথা না বাড়িয়ে আলোচনা শুরু করি। মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় ২০২৪ জানতে পড়ুন।

বর্তমানে ব্যাংকিং কার্যক্রমের অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে সোনালী ব্যাংক লি: পিএলসি। সোনালী ব্যাংক গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ ব্যাংক। সোনালী ব্যাংক নিয়মিত লোন প্রদান করে। দীর্ঘদিন ধরে লোন প্রদান করেছে। নিম্নবিত্ত মানুষের নিয়মিত লোন প্রদান করছে সোনালী ব্যাংক।

সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে সহজ শর্ত লোন প্রদান করে। আপনি যদি সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান, বা লোন নেয়ার উপায় এবং পরিশোধের তথ্য জানতে চান, তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনাকে সহায়ক ভূমিকা পালন কারবে। এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট পড়ুন।

সোনালী ব্যাংক লোন কি:

সোনালী ব্যাংক লোন

সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৭২ সালে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী ব্যাংক এর শাখা সবথেকে বেশী। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোনালী ব্যাংকের প্রচুর শাখা আছে। গ্রামের দারিদ্র মানুষের লোন বিতরণ করে সুনাম অর্জন করেছে সোনালী ব্যাংক।

সোনালী ব্যাংক গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নয়নে কাজ করছে। সোনালী ব্যাংকের লোন প্যাকেজের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের শিক্ষা লোন। সোনালী ব্যাংকের পার্সোনাল লোন, শিক্ষক/ কর্মচারীদে জন্য লোন অন্যতম। ঘরে বসে ইনকাম করার সেরা উপায় ২০২৪ পড়ুন।

সোনালী ব্যাংকের ক্ষুদ্র লোন কর্মসূচি প্রদন করে। এছাড়া সোনালী ব্যাংক আরো অনেক লোন প্রদন করে থাকে। সোনালী ব্যাংকের এসব লোন প্যাকেজ এবং তার বিস্তারিত আলোচনা করছি।

সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়:

সোনালী ব্যাংকের লোন পাওয়ার জন্য প্রথম কনফার্ম করুন, আপনার সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার একাউন্ট আছে। সোনালী ব্যাংকের যে শাখা থেকে লোন নিতে চাচ্ছেন, সেই শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট তৈরী করুন।

এবার ব্যাংকের শাখায় যান। সোনালী ব্যাংকের লোন অফিসারের সাথে কথা বলুন। আপনার লোনের প্রয়োজন জানান। এবার তার থেকে সোনালী ব্যাংকের থেকে লোন আবেদন ফরম সংগ্রহ করুন। এই ফরমটা পূরণ করুন।  

সোনালী ব্যাংকের থেকে লোন পাওয়া জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখুন। আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখা তথ্যগুলো লোন আবেদেন ফরমের সাথে যুক্ত করুন। এবং সংশ্লিষ্ট শাখায় জমাদিন। রিয়েল টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট ২০২৪ পড়ুন।

ব্যাংক আপনার দেয়া তথ্যগুলো যাচাই বাচাই করবে। এবং ঠিকানা ভেরিফিকেশন করবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আপনার নামে লোন অনুমোদন করা হবে। 

সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার শর্তসমূহ:

যেকোনো ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। সোনালী ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। কিছু ডকুমেন্টস বা পেপার লাগবে। একজন গ্যারান্টার, যার সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে। 

এবার আমরা বিস্তারিত দেখছি, সোনালী ব্যাংকের লোন পাওয়া জন্য কি কি শর্ত পূরণ করতে হবে।  নতুন গুগল একাউন্ট খুলব কিভাবে ২০২৪, Google Account এর ব্যবহার

আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র/ পাসপোর্ট এর প্রয়জোন হবে।

আবেদনকারীর পিকচার বা ছবি প্রয়োজন। বিভিন্ন সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে।

সঠিকভাবে লোন আবেদন ফরম পূরণ করুন।

যাকে গ্যারান্টারকে বাংলাদেশী স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।

গ্যারান্টারকে অবশ্যই সোনালী ব্যাংক এর অ্যাকাউন্টধারী হতে হবে।

আবেদনকারী যদি স্টুডেন্ট হলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড থাকতে হবে। এবং জন্ম নিবন্ধন থাকতে হবে।

আবেদনকারী ছাত্রছাত্রী হলে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচত্র প্রয়োজন হবে।

আবেদনকারীকে অবশ্যই সোনালী ব্যাংক এর অ্যাকাউন্টধারী হতে হবে।

সোনালী ব্যাংকের লোন গ্রহণ করার জন্য উপর্যক্ত কারণ থাকতে হবে।

সোনালী ব্যাংক স্কিম সমূহ:

বাংলাদেশের শহর থেকে গ্রামে লোন সুবিধা ছড়িয়ে দিচ্ছে সোনালী ব্যাংক। শিল্প লোন থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র প্রদান করছে সোনালী ব্যাংক। ব্যক্তিগত লোন, চাকুরিজীবী লোন, হাউজ লোন, কার লোন, শিক্ষা লোন ইত্যাদি। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট পড়ুন।

তবে সোনালী ব্যাংক পিএলসি বর্তমানে সহজ শর্তে লোন প্রদন করে। এসব লোন কি কি শর্তে প্রদন করে থাকে। বিভিন্ন লোন প্রদান করে আসছে। আসুন দেখি কি কি লোন আছে।

  • সোনালী ব্যাংকের পার্সোনাল লোন প্যাকেজ;
  • সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোন প্যাকেজ;
  • সোনালী ব্যাংকের শিক্ষা লোন প্যাকেজ;
  • সোনালী ব্যাংকের শিক্ষক ও চাকুরিজীবী লোন কর্মসূচি;
  • সোনালী ব্যাংকের প্রবাসী কর্মসংস্থান লোন প্যাকেজ;
  • এছাড়া সরকারি ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিষেষ মেয়াদী লোন;
  • সোনালী ব্যাংকের ক্ষদ্র লোন প্যাকেজ কর্মসূচি;
  • সোনালী ব্যাংকের ক্ষুদ্র লোন প্যাকেজ কর্মসূচি।

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন প্যাকেজ নেয়ার উপায়:

সোনাল ব্যাংকের পার্সোনাল লোন। এখন আমরা আলোচনা করবো সোনালী ব্যাংকের পার্সোনাল লোন। সোনালী ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখুন।তথ্যগুলো লোন আবেদেন ফরমের সাথে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট শাখায় নিয়ে যান। সোনালী ব্যাংক দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পার্সোনাল লোন দেয়। যদিও এই সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।

যেসব কর্মকর্ত-কর্মচারির বেতন সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করেন, তাদরে জন্য। অর্থাৎ স্যালারি অ্যাকাউন্টধারীগণের জন্য।

সরকরি, আধা-সরকারি শ্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারিদের জন্য প্রযোজ্য। অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ ২০২৪ জানতে পড়ুন

সকল প্রকার মালিকানাধীন ব্যাংক বীমা কোম্পানির কর্মকর্ত, সকল সরকারি বেসরকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এই লোন পাবেন। এক কথায় বলতে পারি যাদের চাকুরি স্থায়ী। এবং রাজস্য খাতের অর্ন্তভূক্ত।

যাদের চাকুরিকাল পিআরএল ব্যতীত চার বছর আছে। যারা সরকারি এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপতিষ্ঠানের কর্মরত আছেন।

এবার আসুন কথা টাকা লোন পাবেন। প্রতিমাসে আপনার বেতনের টাকার সমান, বা তার কম হবে প্রতিটা কিস্তির পরিমাণ।

সেই পরিমাণ টাকার দুই তৃতীয়াংশ লোন নিতে পারবেন।

মনে রাখবেন, লোনের সুদের হার হ্রাস-বৃদ্ধ সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এখতিয়া।

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন প্যাকেজ নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সমূহ:

পার্সোনাল লোন পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এই লোন পাওয়ার জন্য কিছু ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হবে। সোনালী ব্যাংকের পার্সোনাল লোন প্যাকেজ গ্রহণ করতে হলে দেখে নিন।

  • লোন আবেদনকারীর সাম্প্রতিক তোলা ছবি;
  • লোন আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি;
  • একজন লোনের গ্যারান্টার প্রয়োজন হবে;
  • গ্যারান্টার এর ছবি এবং তার জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি;
  • বিবাহিত আবেদনকারীর ক্ষেত্রে স্ত্রীর ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি;
  • আপনার আয়ের ডকুমেন্ট এর কপি;
  • লোন আবেদনকারীর এবং গ্যারান্টারের এর স্বাক্ষর করা একটি ব্ল্যাক চেক প্রদন করতে হবে;

যারা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত তাদের এমপিও কপির ফটোকপি জমা করতে হবে।

সোনালী ব্যাংকের থেকে ১- ৫ বছর মেয়াদী লোন নিতে পারবেন। এবং লোন প্রাপ্তির পরিমাণ ১ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আর তথ্যের কমবেশি হতে পারে। সম্ভব্য সকল তথ্য সংগ্রহ করে লোন আবেদন করুন।

শিক্ষক / চাকুরিজীবীদের জন্য বিষেশ লোন:

শিক্ষক / চাকুরিজীবীদের জন্য বিষেশ লোন প্যাকেজ নিয়ে এসেছে সোনালী ব্যাংক লি: পিএলসি। আপনি যদি শিক্ষকতা করেন, স্বল্প বেতনে চাকুরি করেন, তাহলে সোনালী ব্যাংকের এই লোন নিতে পারবেন।

সোনলী ব্যাংকের এই লোন প্যাকেজের আন্ডারে একজন ব্যক্তি কতো টাকা লোন নিতে পারেন। আসুন দেখে নিই।

এই লোন প্যাকেজের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে মার্জিন লোন লোনসীমার ২০ শতাংশ। শিক্ষক ও সাকুরিজীবীদের জন্য এই লোন ১২%। অর্থাৎ এই লোন প্যাকেজে এক লক্ষ টাকায় এক বছরে ১২ হাজার টাকা সুদ দিতে হবে।

শিক্ষক / চাকুরিজীবীদের জন্য বিষেশ লোনের মেয়া সাধারণত এক বছর থেকে তিন বছর মেয়াদী হয়ে থাকে।

শিক্ষক / চাকুরিজীবীদের জন্য বিষেশ লোন নেয়ার জন্য ডকুমেন্ট উপরোল্লিখিত ডকুমেন্ট একই হবে। তবুও লোন আবেদনের আগে সকল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করুন। সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগ করুন। এবং কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে তা জেনে নিন। গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার সেরা উপায় ২০২৪ পড়ুন।

সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন:

সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোন নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে চাকুরিজীবী হতে হবে। এবং যে শাখা হতে লোন নিতে চান, সেই শাখায় আপানর অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

মনেরাখবেন আপনার চাকুরী স্থায়ী হতে হবে। এবং চাকুরীর পিআরএল ব্যতীত ৩ বছর থাকতে হবে।

সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোন এর মার্জন লোন রেট হবে ১২ %। এই লোনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা লোন নিতে পারবেনে। এবং সর্বচ্চো ১-লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন।

এই লোনের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ হাতে সুদ দিতে হবে। যা অবশ্যই পরিবর্তনযোগ্য। স্যালারি লোনের ক্ষেত্রে সাধারণত ১ বছর থেকে তিন বছর মেয়াদী লোন প্রদান করা হয়।

এক্ষেত্রেও পার্সোনাল লোনের মতোই সকল প্রকার ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে।

সোনালী ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচী প্যাকেজ:

সোনালী ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচী প্যাকেজ রয়েছে। সোনালী ব্যাংকের থেকে ক্ষুদ্রঋণ নিতে পারেন। গ্রামের গরিব মানুষের অর্থনৈতিক সহায়তা করার জন্য এই লোন প্রদন করে থাকে।

সোনালী ব্যাংকের থেকে ক্ষুদ্র লোন হিসেবে সর্বচ্চো ১-লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিতে পারি। এবং সর্বনিম্ন ২০-হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারি।

সাধারণত এই লোনের ক্ষেত্রে ১২ মাস থেকে ৩৬ মাস পর্যন্ত মেয়াদ থাকবে। এবং সোনালী ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচীর ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ মার্জিন লোন রয়েছে।

যেসব ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচীর লোন গ্রহণ করতে পারবেন। নিম্নে এসব সেসব ক্ষেত্রসমূহ উল্লেখ করা হলো:

  • ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিনিয়োগ করার জন্য;
  • শিক্ষায় বিনিয়োগ করার জন্য;
  • কৃষি পণ্যের বিপণন করার জন্য;
  • কম্পিউটার, স্ক্যানার, প্রিন্টার ক্রয় করার জন্য;
  • সেলাই মেশিন, এমব্রয়ডারি মেশিন, বুটিক্স করার জন্য, সুয়েটার তৈরি করার জন্য মেশিন করার জন্য;
  • সবজি বাগান করার জন্য
  • গাভি পালন করার জন্য;
  • হাঁস মুরগির পালন করার জন্য;
  • মৎস্য চাষ করার জন্য;
  • মশলা চাষ করার জন্য;
  • পেঁয়াজ চাষ করার জন্য;
  • ফল চাষ করা জন্য;
  • ঘরের বিভিন্ন ফার্নিচার করার জন্য;

এছাড়াও সোনালী ব্যাংক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র লোন কর্মসূচিতে লোন প্রদনা করে থাকে। সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় যান, যোগাযোগ করুন। এবং লোন আবেদন করুন। আশাকরি লোন পেয়ে যাবেন।

সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়:

সোনালী ব্যাংক নিতে চাচ্ছেন। জানেন তো সোনালী ব্যাংকের থেকে লোন নিতে চাইলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এবার আসুন দেখি কি কি শর্ত পূরণ করলে সহজেই সোনালী ব্যাংকের লোন পেতে পারি।

  • সোনালী ব্যাংক এর অ্যাকাউন্টধারী হতে হবে। অ্যাকাউন্ট না থাকলে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন।
  • সোনালী ব্যাংকের কোন লোন স্কিম নিতে চাচ্ছেন, তা নির্ধারণ করুন।
  • লোনের প্রাথমিক আবেদন ফরম সংগ্রহ করুন।
  • এবার লোনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করুন।
  • সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টধারী একজন গ্যারান্টার প্রয়োজন হবে;
  • সাম্প্রতিক তোলা ছবি লাগে, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি লাগবে।
  • লোন আবেদন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে ডকুমেন্টসগুলো সাথে সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা করুন।

এবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনটি যাচাই বাছাই করবে। সব ঠিক থাকলে লোন অনুমোদন হয়ে যাবে।

ইন্টারেস্ট রেট:

সোনালী ব্যাংকের থেকে লোন নিতে চাচ্ছেন, তাহলে লোনের সুদের হার জানা দরকার। সোনালী ব্যাংকের সুদের হার ১২% হারে দিতে হয়। ১২ শতাংশ সুদের হার যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। কারণ এটা পরিবর্তন যোগ্য। যদিও অর্থবছরের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী কম-বেশী করতে পারনে। যা বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানিয়ে দেন।

লোনের কিস্তি:

সোনালী ব্যাংক থেকে সংগ্রহ তো করলেন। এবার এই লোনের টাকা তো পরিশোধ করতে হবে। কতো দিনে পরিশোধ করতে হবে। কতো মাস পর পর কিস্তি প্রদান করতে হবে। এক কিস্তিতে কতো টাকা প্রদান করতে হবে।

এটা নির্ভর করে বেশ কিছু উপাদানের উপর। কতোটাকা লোন নিয়েছেন। কতো বছরের জন্য লোন নিয়েছন। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের লোন অফিসার আপনাকে অবহিত করবেন। তাই চিন্তা করার কিছু নাই।

লোন আবেদন ফরম:

লোনের আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। লোন গ্রহণের প্রথম কাজ এটা। সোনালী ব্যাংক থেকে দুই উপায়ে লোন সংগ্রহ করতে পারবেন।

প্রথমত সোনালী ব্যাংক এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট  করুন। তারপর লোন আবেদন ফরম দেখতে পাবেন। এখান থেকে সংগ্রহ করতে  পারবেন।

আবার সোনালী ব্যাংকের যে শাখা থেকে লোন সংগ্রহ করবেন, সেই শাখায় যোগাযোগ করুন। লোন অফিসার, বা ম্যানেজারের সাথে কথা বলুন। লোন আবেদন ফরম সংগ্রহ করুন।

লোন আবেদন ফরম পূরণ করুন। ফরম পূরণ করার সময় সাবধনতা অবলম্বন করুন। ওভার রাইটিং করবেন না। ঘষা মাজা করবেন না। পরিস্কার, পরিছন্নভাবে ফরম পূরণ করবেন। তাহলে সহজেইল লোন অনুমোদন হয়ে যাবে।

উপসংহার:

উপরের আলোচনা থেকে বলতে পারিযে, যদি আপনি সোনালী ব্যাংকের লোন নিতে চান, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারী হবে। সর্ম্পূণ পোস্টটি পড়ুন কোন লোন নিতে চান, বলুন। আরো কিছু জানতে চাইলে কমেন্টস করুন।

সোনালী ব্যাংকের যে শাখা থেকে লোন নিতে চান, সেই শাখায় যোগাযোগ করুন। যেই স্কিম নিতে চান, সেই প্যাকেজের অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহ করুন। লোন আবেদন করুন। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top