টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ দিয়ে আয় করার কথা ভাবছেন। ভাবার-ই কথা। করণ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাপক চাহিদা। দেশ বিদেশে অনলাইনভিত্তিক কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে তৈরি হয়েছে। এখানে জব পোস্ট করা হয়। ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে কাজ করানো হয়। দিন দিন ফ্রিল্যন্সিং করে আয়ের পরিমাণ বাড়ছে। বাড়ছে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ-এ কাজ করে আয় করার পরিমাণ।

আজকে আমরা আলোচনা করবো, টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সমূহ নিয়ে। শুধু একটি অ্যাপ নয়। অনেক অ্যাপ আছে। যেকোনো অ্যাপ দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। একাধিক অ্যাপ নিয়ে আলোচনা করবো। কোন অ্যাপ ভালো। কোন অ্যাপ দিয়ে বেশি টাকা আয় করা যায়। অ্যাপে কিভাবে কাজ করতে হয়। কোন অ্যাপ দিয়ে কাজ করা উচিৎ নয়। এসব থাকছে আজকের পোস্ট।

পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আশাকরি এই বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। রিয়েল টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট ২০২৪ জানতে পড়ুন।

 টাকা ইনকাম করার অ্যাপ:

অ্যাপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় জানবো। তার আগে জানতে হবে, অ্যাপ কি? এবং টাকা ইনকাম করার প্রক্রিয়া কি? নতুন গুগল একাউন্ট খুলব কিভাবে ২০২৪, Google Account এর ব্যবহার জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।

অ্যাপ হলো মোবাইলে ব্যবহার করার একটি সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন। আর এই অ্যাপ ব্যবহার করে যখন টাকা ইনকাম করা হয়, তাই হলো টাকা ইনকাম করার অ্যাপ। যেমন, টিকটক, ফেসবুক, ইউটিউব, ইনসট্রাগ্রাম, টুইটার, ইত্যাদি। এসব অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন তাই জানবো এখন।

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ টিকটক:

টিকটক অ্যাপটি ব্যবহার করুন। অনলাইন জগতে দ্রুতবর্ধনশীল সাইট হলো টিকটক। আমেরিকায় টিকটক ব্যবহার বাংলাদেশ থেকে কম নয়। তাই বলতে পারি, টিকটককে ছোট করে দেখার উপায় নেই। মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানতে এটি পড়ুন।

টিকটক অ্যাপ ব্যবহার করে আয় করতে পারেন। প্রথমে প্লে স্টোর থেকে টিকটকের অ্যাপ ডাউনলোড করুন। মোবাইলে ইনস্টল করুন। এবার ইমেইল নাম্বার দিয়ে এবং ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করুন।

একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে কনটেন্ট তৈরি করুন। টিকটকে ছোট ছোট ভিডিও আপলোড করতে হয়। তাই শর্টস ফর্মের ভিডিও ধারণ করুন। শর্টস ফর্মের ভিডিও বেশি জনপ্রিয় হয়। নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন। ভালোমানের ভিডিও ইমেজ ব্যবহার করুন। ভিডিও এসইও করুন। ভালোমানের এসইও না হলে আপনার ভিডিওতে ভিউ আসবে না। ভিউ না আসলে আয় করতে পারবেন না। তাই এসইও এর ব্যসিক জিনিসগুলো শিখে নিন। দেখবেন টিকটক টাকা ইনকাম করার অ্যাপ থেকে আয় করতে পারছেন।

ইউটিউব:

আপনার যদি আরো কিছু যোগ্যতা থাকে, তাহলে ইউটিউবিং করতে পারেন। টাকা ইনকাম করার অ্যাপ হিসেবে ইউটিউব হতে পারে আদর্শ অ্যাপ। কারণ ইউটিউব হতে পারে ক্যারিয়ার। ইউটিউব হতে পারে স্বপ্ন। ইউটিউব হতে পারে প্যাশন।

বর্তমানে প্রচুর মানুষ ইউটিউব ব্যবহার করে। ইউটিউবে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটায়। যার ফলে প্রচুর ওয়াচটাইম হয়। এর ফলে একজন ইউটিউবারের আয় বাড়ে। যাইহোক, এবার কিভাবে ইউটিউব অ্যাপ ব্যবহার করে আয় করতে পারেন, তাই দেখবো। ইউিটউব নিয়ে আমাদের নির্দিষ্ট ভিডিও আছে দেখে নিন।

একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে করতে হবে। যার জন্য একটি ইমেইল লাগবে। একটি মোবাইল নাম্বার লাগবে। ব্যস এবার একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করনু্।

চ্যানেল তৈরি হয়ে গেল। ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করুন। চ্যানেলে আপলোড করুন। যদি আপনার কনটেন্ট ভালো হয়, তাহলে ২-৩ মাসে আপনার ইনকাম আসতে পারে।

তবে, মনে রাখতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা সহজ নয়। শুরুতে ইউটিউব থেকে আয় করা জটিল। আয় করার শর্ত আছে। কি শর্ত?-

  • গত ১-বছরের হিসাবে ১-হাজার সাবসক্রাইবার থাকতে হবে।
  • এবং ৪-হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম থাকতে হবে।
  • চ্যানেলে টু-স্টেফ ভেরিফিকেশন থাকতে হবে।
  • কোনো প্রকার স্ট্রাইক থাকতে পারবে না।
  • আর শর্টস ভিডিওর জন্য গত তিন মাসের হিসাবে ১০ মিলিয়ন ভিউ থাকতে হবে।

এসব শর্ত পূরণ হলেই কেবল ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার স্বপ্ন পূরণ  হবে। যাদের তেমন কোনো স্কিল নেই, তাদের জন্য ইউটিউবে ভালো করা জটিল কাজ। শুরুতে আরো বেশি জটিল। তবে লেগে থাকলে হবে। আজ হোক কাল হোক হবেই।

ফেসবুক টাকা ইনকাম করার অ্যাপ:

টাকা ইনকাম করার অ্যাপস হিসেবে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে ফেসবুকও অনেক জনপ্রিয়। তাছাড়া প্রতিটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর ফেসবুক আইডি আছে। যতো বেশী ব্যবহারকারী ততোবেশী ভিউয়ার। যতোবেশী ভিউয়ার ততোবেশী ভিউ পাওয়ার সম্ভবনা বেশী। ততোবেশী আয়ের সম্ভবনা।

ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আয় করা যায়। একটি ফেসবুক পেজ তৈরী করুন। পেজে ভিডিও আপলোড করুন। যখন আপনার পেজে ৫-হাজার ফলোয়ার হবে। এবং গত দুই মাসের মধ্যে ৬০-হাজার মিনিট ওয়চটাইম হবে। ফেসবুক মনিটাইজেশনের শর্ত পূরণ হবে, তখন টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুকে ভিউ পাওয়া তুলনামূলক সহজ। তবে একই পরিমাণ ভিউ থেকে ইউটিউবে বেশী টাকা আয় করা সম্ভব। কারণ ইউটিউবে ভিউ পাওয়া ফেসবুকের তুলনায় কঠিন। তাই ফেসবুক অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।

ফেসবুক অ্যাপে ভিউ পাওয়া সহজ। কারণ ফেসবুকে শেয়ার বাটন আছে। যেকোনো কনটেন্ট ফেসবুক প্রফাইলে শেয়ার করা যায়। যার ফলে সহজেই ভিডিও ভাইরাল হয়।

সার্টারস্টক টাকা ইনকাম করার অ্যাপস:

ছবি ক্রয় বিক্রয় করার সাইট হলো সার্টারস্টক। যদি ভালোমানের মোবাইল ব্যবহার করেন। আর ছবি তুলতে যদি, আপনার ভালো লাগে, তাহলে সার্টারস্টক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট পড়ুন।

প্রথমে আপনাকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। একটি ইমেইল হলেই একাউন্ট খুলতে হবে। এরপর এই একাউন্ট ছবি আপলোড করুন। এই সব ছবি বিক্রয় করা হবে। বিক্রয় করার দায়িত্ব সার্টাস্টকের। তারাই এসইও করে । তারাই মার্কেটিং করে। যখন ছবি বিক্রয় হবে, তখন ছবি বিক্রয় করার কমিশন আপনার একাউন্ট পাঠিয়ে দেয়া হবে।

এরকম আরো অনেক সাইট আছে। এসব সাইটের মাধ্যমে ছবি বিক্রয় করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

টাকা ইনকাম করার উপায় সার্ভে:

টাকা ইনকাম করার অ্যাপস হিসেবে সার্ভে ব্যবহার করুন। যদি তেমন কোনো কাজ না পারেন, তাইলে এই সার্ভে অ্যাপ ব্যবহার করুন। কারণ এখানে তেমন কোনো কাজ করতে হয় না। কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আয় করা যায়। যদিও আয় করার পরিমাণ হয় যৎসামান্য। কারণ এখানে কোনো কাজ কারতে হয় না। সার্ভে সাইটের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। ব্যস আর তেমন কিছু করতে হয় না। এই নিয়ে আমাদের বিস্তারিত একটি পোস্ট আছে দেখে নিতে পারেন।

উপসংহার:

উপরের আলোচনা থেকে বলতে পারি যে, টাকা ইনকাম করার অ্যাপস নিয়ে আলোচনা আপনার কাজে আসবে। যেকোনো একটি অ্যাপ নিয়ে কাজ করুন। যদি আপনার যোগ্যতা থাকে, তাহলে কিছু দিনের মধ্যে আয় শুরু করতে পারবেন।

যদি তেমন স্কিল না থাকে তাহলে, স্কিল অর্জন করুন। চর্চা করুন। চচার কোনো বিকল্প নেই। দেখবেন আয় শুরু করতে পারবেন।

আমাদের পোস্টটি যদি ভালোলাগে তাহলে শেয়ার করে রাখুন। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top